বিজয় দিবসের গুরুত্ব ২০২৩ - বিজয় দিবসের স্লোগান
আপনি কি বিজয় দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলে বিজয় দিবসের গুরুত্ব সহ বিজয় দিবস সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাই বিজয় দিবসের গুরুত্ব জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
নিচে আপনাদের জন্য বিজয় দিবসের কবিতা, বিজয় দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য এবং বিজয় দিবসের গুরুত্বসহ নানান বিষয় সম্পর্কে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই বিজয় দিবসের গুরুত্ব জেনে নিতে পারবেন। তাই দেরি না করে বিজয় দিবসের গুরুত্ব জেনে নিন।
পেজ সূচিপত্রঃ বিজয় দিবসের গুরুত্ব - বিজয় দিবসের স্লোগান
বিজয় দিবসের কবিতা
আপনারা যারা বিজয় দিবসের কবিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এখন কয়েকটি বিজয় দিবসের কবিতা দেওয়া হলো। এই কবিতাগুলো আপনারা আপনাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যেখানে খুশি ব্যবহার করতে পারবেন এবং পড়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
'১৬ ডিসেম্বর'
ড. মির্জা গোলাম সারোয়ার পিপিএম
লাখো শহীদের আত্নত্যাগে
এদেশ স্বাধীন হয়,
বীর বাঙালি এদেশের জন্য
বুকের রক্ত দেয়।
মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়েই
স্বাধীন করে দেশ,
বিশ্বের মানচিত্রেই জন্ম নেয়
স্বাধীন বাংলাদেশ।
লাল সবুজের পতাকা পেয়ে
সবাই খুশি হয়,
পাকিস্তানিদের হারিয়ে দিয়ে
বিজয় এনে দেয়।
দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিসংগ্রাম
অমর এক গাঁথা,
শহীদের কথা ভাবলে আমার
হৃদয়ে আসে ব্যথা।
চুড়ান্ত বিজয় আসে আমাদের
ষোলই ডিসেম্বরে,
আনন্দের হাওয়া বইতে থাকে
প্রতিটি ঘরে ঘরে।
আরো পড়ুনঃ মুক্তিযোদ্ধা দিবস কবে জেনে নিন
'বিজয়ের ডিসেম্বর'
মহীতোষ গায়েন
ডিসেম্বর মাস এলে আমাদের স্বাধীনতার কথা
মনে পড়ে,মনে পড়ে মুক্তিযুদ্ধ,যোদ্ধাদের কথা,
সমস্ত শরীরে স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়…।
ডিসেম্বর মাস এলে আমাদের বিজয় দিবস
তথা বাংলাদেশের অমর স্বাধীনতার কথা মনে পড়ে,
মনে পড়ে পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের কথা।
ডিসেম্বর মাস এলে মনে পড়ে ভারত-পাকিস্তান
যুদ্ধের কথা,যে যুদ্ধে পাকিস্তানকে ধরাশয়ী করে
ভারত,আজ থেকে ডিসেম্বরের কাউন্টডাউন শুরু।
তেরো দিনের যুদ্ধে ৭৫ মিলিয়ন বাংলাদেশের
মানুষ স্বাদ পায় স্বাধীনতার গৌরবের কথা…
১৬ ডিসেম্বর সমূহ সমাজ সিক্ত বিজয়ের গানে।
বিজয় দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য
বিজয় দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখা হলোঃ
- প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালিত হয়।
- ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে।
- বিজয় দিবস বাংলাদেশী নাগরিকের জন্য একটি গর্বের দিন।
- ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি বিজয় এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করার কথা বলা হয়।
- বিজয় দিবসের দিন সকল কিছু রাষ্ট্রীয়ভাবে ছুটির দিন।
বিজয় দিবসের স্লোগান
আমাদের দেশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের শোষণের বিরুদ্ধে এক মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। এই স্বাধীনতা সংগ্রাম প্রায় ৯ মাস ধরে চলেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষ যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। সেই কারণে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, শহীদ বুদ্ধিজীবী ও স্বাধীনতা সংক্রান্ত আটটি দিবসে ' জয় বাংলা' স্লোগান দেওয়া বাধ্যতামূলক করার জন্য রিট করা হয়েছে।১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস,১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস ও জয় বাংলা স্লোগান সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের জন্য বাধ্যতামূলক করার জন্য রিট করা হয়েছে।
বিজয় দিবসের গুরুত্ব
আমাদের দেশে যে প্রতিবছর বিজয় দিবস পালন করা হয় তা কেন পালন করা হয় অর্থাৎ বিজয় দিবসের গুরুত্ব কি? এই প্রশ্নটিই অনেকের মনে আসতে পারে। যারা জানতে চাচ্ছেন বিজয় দিবসের গুরুত্ব কি তাদের উদ্দেশ্যে বলি-বিজয় দিবস পালন করা হয় এই কারণে যে এই দিবসের মাধ্যমে বাংলাদেশের বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত করা।
বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ২০২৩
আমাদের বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিজয় দিবসের গুরুত্ব অত্যধিক।কেননা এত কষ্ট স্বীকার এর পরে আমরা আমাদের দেশকে স্বাধীন হিসেবে পেয়েছি। লাখো শহীদের বিনিময়ে আমরা আমাদের দেশকে স্বাধীন সার্বভৌম করতে পেরেছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং মানুষের মনে মুক্তিযোদ্ধাদের স্থান আজীবন রাখার জন্য বিজয় দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
আরো পড়ুনঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কবে জেনে নিন
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা আমাদের বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পেয়েছি। এই দিনটি যে শুধু আমাদের জন্য বিজয়ের দিন তা নয় বরং এই দিনটি বেদনার দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের দেশের কত নিরীহ মানুষকে পাকবাহিনীরা অকারনে হত্যা করেছে। সব মিলিয়ে এ দিনটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দিন।
মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের দেশের দামাল ছেলেরা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীদের পরাজিত করে বিজয় অর্জন করে। এই বিজয় অর্জন করতে লাখো মানুষ শহীদ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এইসব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং বিজয় লাভের গর্বে প্রতিবছর বিজয় দিবস পালিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের এই নির্মম ও বেদনাদায়ক ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মকে জানাতে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জাগ্রত করতে মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।
প্রিয় পাঠক, আশাকরি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং বিজয় দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আজকের আর্টিকেলে শুধু বিজয় দিবসের গুরুত্ব নয় বরং বিজয় দিবসের কবিতা, বিজয় দিবসের স্লোগান সহ অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। আশা করি এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহুল পোস্ট বেশি বেশি পড়তে ও জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন ধন্যবাদ।21021.
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url