আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ গৃহীত হয় কত সালে
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ গৃহীত হয় কত সালে? এই বিষয় সর্ম্পকে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা সাধারণত মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ গৃহীত হয় কত সালে? তা আপনাদের জানাবো। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ গৃহীত হয় কত সালে? তা জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ গৃহীত হয় কত সালে
- আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ গৃহীত হয় কত সালেঃ উপস্থাপনা
- আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন - জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন
- মানবাধিকার কমিশন কি
- আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন pdf
- মানবাধিকার বই pdf
- আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ গৃহীত হয় কত সালে
- মানবাধিকারের জনক কে
- আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ গৃহীত হয় কত সালেঃ শেষ কথা
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ গৃহীত হয় কত সালেঃ উপস্থাপনা
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ যা একটি আন্তর্জাতিক দলিল যা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দ্বারা গৃহীত হয় এবং সকল ধরনের মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতাকে সংহত করে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বিশ্বের প্রতিটি মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ গৃহীত হয় কত সালে? সে সম্পর্কে জানব।
আরো পড়ুনঃ বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস কবে পালিত হয় - বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস ২০২২
এছাড়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও আমাদের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ গৃহীত হয় কত সালে? সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে। তাহলে চলুন আমাদের মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন - জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন
মানবাধিকার হচ্ছে কতগুলো সংবিধিবদ্ধ আইন বা নিয়মের সমষ্টি, মানবজাতির সদস্যদের আচার-আচরণ ও বিশেষ বৈশিষ্ট্য কে বোঝায় ও আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা সুরক্ষিত এবং মৌলিক অধিকারের অবিচ্ছেদ্য অংশ বিষয় হিসেবে কাজ করে। দৈনন্দিন জীবনের চলার জন্য মানুষের যে সকল অধিকার রাষ্ট্রের সংবিধান কর্তৃক দেওয়া হয় তাদেরকেই মানবাধিকার বলে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেসরকারি ও অলাভজনক সংস্থা হিসেবেই মানবাধিকার বিষয়ে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের কাজ হচ্ছে মানবাধিকার বিষয়ে গবেষণা পরামর্শ সমর্থন প্রদান করা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন এর সদরদপ্তর অর্থাৎ প্রধান কার্যালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত।
১৯৭৮ সালে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবেই হিউম্যান রাইটস ওয়াচ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আমেরিকাস ওয়াচ মধ্য আমেরিকার রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ১৯৮১ সালে গঠিত করা হয়েছিল। মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায় যে শুধুমাত্র ক্ষমতাশীল দলগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ভঙ্গ করছে তা নয় এর পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধী বিদ্রোহী দলগুলোও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ভঙ্গ করে।
সাধারণত এর প্রেক্ষিতে বিশ্বের সকল মানুষের মানবাধিকার আইন সমানভাবে দেওয়ার জন্য ১৯৮৮ সালে সকল কমিটি একত্রিত হয়ে পরবর্তীকালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নামে পরিচিত হয়েছে।
মানবাধিকার কমিশন কি?
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের একটি সাহিত্য শাসিত প্রজাতন্ত্রের সংস্থা। ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে অস্তিত্ব লাভ করে। এটি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। সংগঠন টি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশের বিধানের অধীনে গঠিত হয়েছিল। এজাতীয় প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য হলো মান মর্যাদা ও অখণ্ডতার পথিক এবং গণতন্ত্রের মৌলিক অবদান রাখা ব্যক্তিত্বদের অবিচ্ছেদ্য মৌলিক মানবাধিকার সুরক্ষিত হয় এবং মানবাধিকারের মান উন্নত হয় দেশটি।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি অনুসারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ প্রতিষ্ঠিত। কমিশন মানব অধিকার আদায়ে সমৃদ্ধ করার একটি ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার ইস্যুতে জনসাধারণের জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে মানব অধিকারের সংস্কৃতি তৈরি করা মূল লক্ষ্য। মানবাধিকার কমিশন সাধারণত মানুষের অধিকারের কাজ করে থাকে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন pdf
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ গৃহীত হয় কত সালে? এই বিষয় সর্ম্পকে আলোচনা করব। ইতিমধ্যে আমরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছি। এখন আমরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন pdf সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। তাহলে চলুন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন pdf সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ বিশ্ব এইডস দিবস কবে - ১ ডিসেম্বর কি এইডস দিবস?
১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত নং ২১৭ বিশ্বজনীন মানব অধিকার সমূহ গ্রহণ ও ঘোষণা করে। মানবাধিকারের ঘোষণাপত্র জারি করা হলো বিশ্ববাসীকে মানবাধিকারের ঘোষণাপত্র প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করার জন্যই এই প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন কিছু নীতি-নৈতিকতা তিস্তা চুক্তি নিয়ে গঠিত হয়েছে।
সশস্ত্র সংঘাতের সময় যেসব পক্ষ থাকে তাদের যুদ্ধের পছন্দের পদ্ধতি ও উপায়সমূহকে সীমিত করার মাধ্যমে ব্যক্তি ও সম্পদ বা বস্তু যেগুলা সংঘাতের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাদেরকে রক্ষা করার প্রয়াস চালায়।
আধুনিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন দুইটি ঐতিহাসিক ধারা নিয়ে গঠিত যেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
১। হেগ আইন যেটি পূর্বে যুদ্ধের যথোপযুক্ত আইন হিসেবে উল্লেখিত হয়েছিল
২। জেনেভা আইন বা মানবিক আইন
সংঘাত সম্পর্কিত চুক্তিসমূহকে সুবিন্যস্ত করে যে আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলো হয়েছিল সেগুলোর মাধ্যমে উদ্ভূত হয়েছিল। এই আইন দুইটির উভয়েই নিয়ে কাজ করে যেটি সশস্ত্র সংঘাতের সময় কিছু নির্দিষ্ট আচরণ বা পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য কি না সে প্রশ্ন নিয়ে কাজ করে।
হেগ আইন বা সমীচীন যুদ্ধের আইন অপারেশন পরিচালনার ক্ষেত্রে যুদ্ধবাজদের অধিকার এবং কর্তব্যগুলো নির্ধারণ করে এবং ক্ষতি করার যে পদ্ধতিগুলো রয়েছে সেগুলোকে সীমিত করে। বিশেষত এটি যোদ্ধা বা যুদ্ধে লিপ্তদের সংজ্ঞায়নে নিযুক্ত থাকে যুদ্ধের পদ্ধতি এবং উপায় সম্পর্কিত নিয়মনীতিগুলো প্রতিষ্ঠা করে এবং সামরিক উদ্দেশ্যের ইস্যূগুলোকে পরীক্ষা করে।
1. যুদ্ধে আইন
যুদ্ধবিগ্রহে বর্বরতা রোধ করার রীতিবদ্ধ প্রয়াস শুধুমাত্র ১৯ শতকে বিকশিত হতে শুরু হয়। এই চেষ্টা আলোকিত যুুুগের দ্বারা প্রভাবিত রাষ্ট্রসমূহের যুদ্ধবিগ্রহে পরিবর্তনশীল দৃশ্য তৈরীতে সমর্থ হয়। যুদ্ধবিগ্রহের উদ্দেশ্য ছিলো শত্রু রাষ্ট্রকে জয় করা নেওয়া। যেটি শত্রুসৈন্যদের নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমেও করা যেতো।
2. জেনেভা আইন
সশস্ত্র সংঘাতে অসামরিক ব্যক্তিদের নির্বিচারে হত্যার রয়েছে একটি দীর্ঘ এবং অন্ধকার ইতিহাস। এই দীর্ঘ ইতিহাস থেকে চিহ্নিত কিছু উদারহরণের মধ্যে রয়েছে ভারতে অশোক কর্তৃক কলিঙ্গদের গণহত্যা জেরুজালেম দখলের সময় ক্রসেডারদের দ্বারা মুসলিম এবং ইহুদীদের গণহত্যা মঙ্গোলীয় আক্রমণের সময় মঙ্গোলীয়দের কর্তৃক নির্বিচারে হত্যা যেমন বাগদাদ ধ্বংসের সময় যে গণহত্যা এবং তৈমুর কর্তৃক ভারতীয়দের নির্বিচারে হত্যা।
মানবাধিকার বই pdf
মানবাধিকার বলতে সকল ধরনের এবং সকল পেশার মানুষের অধিকার বোঝাই। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ গৃহীত হয় কত সালে? সে সম্পর্কে আলোচনা করছি এর সাথে ইতিমধ্যে আমরা অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করে এসেছি। এখন আমরা মানবাধিকার বই pdf সম্পর্কে জানব।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ গৃহীত হয় কত সালে?
একটি ঘোষণাপত্র অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয় মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কিছুদিন পরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত হবে তাই অনেকেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ গৃহীত হয় কত সালে? এই বিষয় সর্ম্পকে ধারনা নিতে চাই।
আরো পড়ুনঃ বিশ্ব শিশু দিবস কবে - বিশ্ব শিশু দিবস ২০২২
ফ্রান্সের প্যারিসে প্যালেস দে শ্যালোটে ১০ ডিসেম্বর ১৯৪৮ সালের তৃতীয় অধিবেশন চলাকালীন সাধারণ পরিষদ কর্তৃক সিদ্ধান্ত ২১৭ হিসেবে গৃহীত হয়। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের মানবাধিকারনিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই সনদ ঘোষিত হয়েছিল।
মানবাধিকারের জনক কে
মানবাধিকার হচ্ছে কতগুলো সংবিধিবদ্ধ আইন বা নিয়মের সমষ্টি, মানবজাতির সদস্যদের আচার-আচরণ ও বিশেষ বৈশিষ্ট্য কে বোঝায় ও আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা সুরক্ষিত এবং মৌলিক অধিকারের অবিচ্ছেদ্য অংশ বিষয় হিসেবে কাজ করে। দৈনন্দিন জীবনের চলার জন্য মানুষের যে সকল অধিকার রাষ্ট্রের সংবিধান কর্তৃক দেওয়া হয় তাদেরকেই মানবাধিকার বলে।
৫৩৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পারস্যের রাজা দ্বিতীয় সাইরাস যিনি সাইরাস দ্য গ্রেট’নামে সমধিক পরিচিত ব্যাবিলন আক্রমণ করেন। ব্যাবিলন আক্রমণের পর তিনি ব্যাবিলনীয়দের দ্বারা নির্যাতিত দাস জনগোষ্ঠীকে মুক্ত করে দেন। তাদের নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনেরও ব্যবস্থা করে দেন।
অতঃপর সাইরাসের নির্দেশে একটি সিলিন্ডার তৈরি করা হয়। যা সাইরাস সিলিন্ডার নামে অভিহিত। এতে সাম্রাজ্যজুড়ে ধর্মীয় স্বাধীনতা সহিষ্ণুতা ও মানবাধিকার বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এটিই বিশ্বের প্রথম মানবাধিকার সনদ
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ গৃহীত হয় কত সালেঃ শেষ কথা
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ গৃহীত হয় কত সালে? আরো অনেকগুলো বিষয় আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।১৬৮৩০
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url