৫ জন বুদ্ধিজীবীর নাম - শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ছবি৫ জন বুদ্ধিজীবীর নাম আজকের এই আটিকের আলোচনা করা হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা মেধা দিয়ে স্বাধীনতায় সাহায্য করেছিল তাদেরকেই বুদ্ধিজীবী বলা হয়। বাংলাদেশ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা রয়েছে অনেকগুলো তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৫ জন বুদ্ধিজীবীর নাম সম্পর্কে জানাবো। তাহলে চলুন আর দেরি না করে ৫ জন বুদ্ধিজীবীর নাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

সূচিপত্রঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী কাকে বলে - শহীদ বুদ্ধিজীবী নাম

• ভূমিকাঃ ৫ জন বুদ্ধিজীবীর নাম - শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম
• শহীদ বুদ্ধিজীবী কারা
• ৫ জন বুদ্ধিজীবীর নাম - ৪ জন বুদ্ধিজীবীর নাম
• বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের নাম - শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম - বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা
• শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ছবি
• আমাদের শেষ কথাঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী কাকে বলে - শহীদ বুদ্ধিজীবী নাম

ভূমিকাঃ ৫ জন বুদ্ধিজীবীর নাম - শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা তাদের মেধা দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য করেছিল তাদের শহীদ বুদ্ধিজীবী বলা হয়। অনেকগুলো বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা রয়েছে। তাদের মধ্যে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা উল্লেখযোগ্য ৫ জন বুদ্ধিজীবীর নাম এবং তাদের পরিচয় আপনাদের জানাবো। তাহলে চলুন আর দেরি না করে উল্লেখযোগ্য ৫ জন বুদ্ধিজীবীর নাম সম্পর্কে জেনে নেই।

শহীদ বুদ্ধিজীবী কারা?

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বুদ্ধিজীবীদের সঠিক সংজ্ঞা দিয়েছেন। যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের মেধা কাজে লাগিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছে এবং পাক হানাদার বাহিনীদের কাছে নিহত হয়েছে তাদেরকে বুদ্ধিজীবী বলা হয়। বাংলাদেশ এরকম অসংখ্য বুদ্ধিজীবী ছিল যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রথম থেকেই সহযোগিতা করে আসছিল।

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব শিশু দিবস রচনা - বিশ্ব শিশু দিবস অনুচ্ছেদ

হানাদার বাহিনীরা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই বুদ্ধিজীবীদের টার্গেট করে তাদের তালিকাভুক্ত করে রাজাকার আলবদর স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠনগুলোর সাহায্য নিয়ে। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত রূপ নেই বাংলাদেশের বিজয় অর্জন করার কিছুদিন আগে অর্থাৎ ১৪ ডিসেম্বর। তাহলে বুঝলাম যে যারা মেধা কাজে লাগিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছিল তাদের বুদ্ধিজীবী বলা হয়।

৫ জন বুদ্ধিজীবীর নাম - ৪ জন বুদ্ধিজীবীর নাম

প্রিয় পাঠক আজকেরে আর্টিকেলে আমরা ৫ জন বুদ্ধিজীবীর নাম সম্পর্কে আলোচনা করব। তারা আগে আপনাকে অবশ্যই শহীদ বুদ্ধিজীবী কারা এই সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। নিচে আপনাদের জন্য ৫ জন বুদ্ধিজীবীর নাম উল্লেখ করা হলো।

মুনীর চৌধুরীঃ

মুনীর চৌধুরীর জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৫ সালে ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জে। তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্যিক এবং বুদ্ধিজীবী। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় পাকিস্তান সামরিক বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের অন্যতম একজন স্বীকার ছিলেন মুনীর চৌধুরী। মুনীর চৌধুরী একজন প্রতিভাবান ব্যক্তি ছিলেন।

তিনি বিভিন্ন রকম ভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত ছিল এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছিল তাই পাক হানাদার বাহিনীরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।

জহির রায়হানঃ

জহির রায়হান জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৫ সালে। তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক এবং গল্পকার। বাংলা সাহিত্যের গল্প শাখায় অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেছিলেন। জহির রায়হানকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক ও সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।

তার জীবনে কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। তাঁর রচিত প্রথম উপন্যাস শেষ বিকেলের মেয়ে ১৯৬০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। তিনিও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন।

সেলিনা পারভীনঃ

সেলিনা পারভীন জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩১ সালে। সেলিনা পারভীন ছিলেন একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক তিনি অনেকগুলো সংবাদ পত্রিকায় চাকরি করেছেন। সেলিনা পারভীন ফেনীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তার পিতা একজন শিক্ষক ছিল। বুদ্ধিজীবীদের লেখা নিয়ে প্রকাশিত শিলালিপি সকলের নজর কেড়েছিল। তা ছিল স্বাধীনতার পক্ষে শিলালিপি।

তিনিও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছে ১৪ ডিসেম্বর আলবদর বাহিনী কর্তৃক অপহরণ হওয়ার পর তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।

ড। আবুল খায়েরঃ

ড. আবুল খায়ের জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯২৯ সালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক এবং একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবী ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষে গিয়ে অর্থাৎ বাংলাদেশের বিজয় অর্জন করার কিছুদিন আগেই পাকহানাদার বাহিনী দ্বারা যেসব বুদ্ধিজীবী শহীদ হয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন। ১৪ ডিসেম্বর তাকে অপহরণ করা হয় নিজ বাড়ি থেকে।

আরো পড়ুনঃ সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে ২০২২ - সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে

তার কিছুদিন পরে মিরপুর বধ্যভূমি থেকে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাকে ও তার বাহিনীর নির্মম ভাবে অত্যাচার করে মৃত্যু দিয়েছিলেন।

মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীঃ

মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৬ সালে তিনি ছিলেন একজন প্রবন্ধকার, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং একজন বুদ্ধিজীবী। তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার সহ স্বাধীনতা পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশের নামকরা একজন ব্যক্তি ছিলেন। তাই তাকে পাক হানাদার বাহিনীরা হত্যা করেছিল।

১৪ ডিসেম্বর আলবদর বাহিনী তাকে এবং তার ছোট ভাইকে বাসা থেকে অপহরণ করেছিল। এরপর তাদের আর কোন খবর পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয়েছে ওই দিন তাদের হত্যা করা হয়।

বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের নাম - শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম - বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা

প্রিয় পাঠক আজকেরে আর্টিকেলে আমরা ৫ জন বুদ্ধিজীবীর নাম সম্পর্কে ইতিমধ্যে জেনে এসেছি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সকল বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশ করেছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৫ জন বুদ্ধিজীবীর নাম উপরে উল্লেখ করেছি। এখন আমরা উল্লেখযোগ্য আরো কয়েকজন বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা আলোচনা করব।

১। মুনীর চৌধুরী

২। জহির রায়হান

৩। শামসুদ্দিন আহমেদ

২৮। হুমায়ুন কবীর

২৯। শহীদুল্লাহ কায়সার

৩০। যোগেশচন্দ্র ঘোষ

৩১। সরাফত আলী

৩২। এম সাদেক

৩৩। গিয়াসউদ্দিন আহমেদ

৩৪। রাশেদুল হাসান

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ছবি

প্রিয় পাঠক উপরের আলোচনায় আমরা ৫ জন বুদ্ধিজীবীর নাম সহ আরো অনেকগুলো বিষয় আলোচনা করেছি। এখন আমরা কিছু উল্লেখযোগ্য শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ছবি দেখব। নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ছবি উল্লেখ করা হলো।

আমাদের শেষ কথাঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী কাকে বলে - শহীদ বুদ্ধিজীবী নাম

৫ জন বুদ্ধিজীবীর নাম, শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম আরো অনেকগুলো বিষয় আজকের এই আর্টিকেলের উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আর যদি না করে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল আবার মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন ধন্যবাদ।২০৭৯১