OrdinaryITPostAd

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা - সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা রচনা pdf

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা নিয়ে আজকের এয়ারটেল এ আলোচনা করা হবে। প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেল পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা জানার জন্য এসেছেন। ২১ নভেম্বর আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা - সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা রচনা pdf

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা - সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা রচনা pdf: ভূমিকা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আমাদের বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দিন গুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশ সরকার সহ বাংলাদেশের সকল মানুষ এই দিনটিকে অনেক আনন্দের সাথে পালন করে থাকে। এই দিনটিতে বিভিন্ন রকম রচনা প্রতিযোগিতা করা হয় সেখানে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা লিখতে হয়। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা বিস্তারিত আলোচনা করব।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা - সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা রচনা pdf

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো। আপনারা যারা সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চান তারা নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন তাহলে আশা করি আপনার কোন ধরনের সমস্যা থাকবে না।

আরো পড়ুনঃ ১৯৭২ সালের সংবিধানের মূলনীতি কি -  বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি কি কি

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা - ভূমিকাঃ ১৯৭১ সালের ২৫ পাক হানাদার বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল সেনা ইউনিটগুলোতে বুদ্ধিজীবী পুলিশ ও নিরস্ত্র জনগণকে নির্বিচারে হত্যা করতে সময় লাগেনি। তখন ছাত্র শ্রমিক কৃষক রাজনৈতিক কর্মী ও হাজার হাজার তরুণ যার যা কিছু ছিল তাই নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

কিন্তু দেশের সব জায়গাতে সশস্ত্র ইউনিট যেমন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ইপিআর পুলিশ আনসার বাহিনীর রুখে দাঁড়াই। যেসব স্থানে এসব সশস্ত্র ইউনিট অবস্থান করছিল সেই স্থানে ব্যাপক ও প্রবল প্রতিরোধ যুদ্ধ সূচনা হয়। পরেতা বিজয় অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সামরিক অসামরিক অবসরপ্রাপ্ত সদস্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের পেছনে একতাবদ্ধ হয়ে গড়ে তুলে মুক্তিবাহিনী।

১৯৭১ সালের ২১শে নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী গঠিত হয়। এ কারণে এই দিনটিকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসাবে পালন করা হয়। এই দিনে বঙ্গভবন সামরিক বাহিনী সদর দফতর ঢাকা সেনানিবাস এবং দেশের প্রতিটি সামরিক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা -গঠনঃ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় হল প্রধান প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান যেখানে সামরিক আইন তৈরী ও বাস্তবায়ন করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সামরিক নীতিমালা এবং কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর একটি ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটি রয়েছে।

এই উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা হলেন বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর অন্তর্গত তিন বাহিনীর প্রধান সামরিক বাহিনী বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিবগণ। এছাড়া এনএসআই, ডিজিএফআই, এবং বিজিবি এর সাধারণ পরিচালকগণ এই উপদেষ্টা পদের ক্ষমতাপ্রাপ্ত।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী হচ্ছে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী যা সেনা নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত। পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডসহ অন্যান্য আধা সামরিক বাহিনী গুলো সাধারণ সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকে তবে যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধীনে পরিচালিত হয়।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা - নিয়োগঃ বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা অভিযানে অংশগ্রহণ করে আসছে। ২০০৭ সালের হিসাব মতে বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর অধিকাংশ সদস্য নিযুক্ত ছিলেন গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, লাইবেরিয়া, লেবানন আরো অন্যান্য দেশগুলোতে। বাংলাদেশ এককভাবে সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য প্রেরণ করেছে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে।

ইরাকের যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছিল তাও বাংলাদেশ সেই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। সামরিক বাহিনীর মেডিকেল কোরের সদস্যদের সাধারণ মেডিকেল কলেজ থেকে শিক্ষা সম্পন্ন করার পর নিয়োগ করা হয়ে থাকে। নিয়োগ প্রাপ্তির পত মেডিকেল কোরের সদস্যগণ মিলিটারি একাডেমি থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন।

পরবর্তীতে পেশাদার পর্যায়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য তারা মেডিকেল কোর সেন্টার এবং আর্মড ফোর্স মেডিকেল কলেজে অংশগ্রহণ করে থাকেন। সম্প্রতি আর্মড ফোর্স মেডিকেল কলেজ থেকে ক্যাডেটগণ সরাসরি কর্মজীবনে প্রবেশ করছেন। এভাবে একজন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য কে বাছাই করা হয়।

তথ্যঃ উইকিপিডিয়া

সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য রচনা

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য রচনা- ভূমিকাঃ বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে যে কয়েকটি দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিবস গুলোর মধ্যে অন্যতম সশস্ত্রবাহিনী দিবস । এটি নির্দ্বিধায় ও নিঃসঙ্কোচে বলা যায় যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের চালিকাশক্তি ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং এ বাহিনীর নেতৃত্বেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে বিদ্রোহ করা সুপ্রশিক্ষিত বাঙালি সদস্যের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ শুরু।

আরো পড়ুনঃ মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য রচনা- মুক্তিযুদ্ধে অবদানঃ বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয়। সেনাবাহিনীর ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রথমে পাঁচটি ও পরবর্তীতে নতুন প্রতিষ্ঠিত আরো তিনটি ব্যাটালিয়নই ছিল মূল চালিকাশক্তি সে জন্য শুরু হতেই সেনাবাহিনী এককভাবেই নেতৃত্ব দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধে। গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে শত্রুকে আত্মসমর্পণ করার উদ্দেশ্য এবং এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিয়মিত যুদ্ধ শুরু করা হয়।

১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনীর সাথে নৌ ও বিমানবাহিনী সম্মিলিতভাবে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের শুরু করে। সেই জন্য প্রতিবছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়ে থাকে। ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সেনারা ভারতীয় সেনাদের সাহায্য নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।

পূর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আলাদা করে বাংলাদেশ গড়ে তোলার পেছনে দিনটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর দিনটিকে স্মরণ রেখে ১৯৮৬ সালে প্রথমবার ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়। তারপরে থেকে প্রতিবছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর। বাংলাদেশের ইতিহাসে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন এটি।

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য রচনা- সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্যঃ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় ভারতের সহযোগিতা নেওয়ার পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে। খুব তাড়াতাড়ি ভারত ও বাংলাদেশের সম্মিলিত যৌথ বাহিনী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়। এই দিনটি পালনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় যেসব মুক্তিযোদ্ধা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে মারা গিয়েছে তাঁদের স্মরণ করা হয়। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান।

বাংলাদেশের স্থপতি অর্থাৎ মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ বুনে দিয়েছিলেন। বাংলার মানুষ পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে পরাধীন বাংলাকে মুক্ত করার জন্য। মুক্তিযুদ্ধে অগণিত মানুষ তাদের প্রাণ বিসর্জন দেয় দেশকে পাকিস্তান থেকে মুক্ত করার জন্য। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক রাজনৈতিক নেতা-কর্মী সবার প্রাণের বিনিময়ে আমাদের বাংলাদেশে অর্জিত হয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য রচনা- উপসংহারঃ প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে জানলাম। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী স্বাধীনতা যুদ্ধে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভারতের সেনাবাহিনীর সাহায্যে পাক হানাদার বাহিনীর ওপর হামলা করে। সাধারণত যে দিনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয় অর্থাৎ ২১ নভেম্বর এ দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়।

দেশ গঠনমূলক কর্মকান্ডে সশস্ত্র বাহিনী রচনা

দেশ গঠন মূলক কর্মকান্ডের সশস্ত্র বাহিনী রচনা - ভূমিকাঃ প্রিয় বন্ধুরা ইতিমধ্যে আমরা সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা সম্পর্কে আলোচনা করে এসেছি। আশা করি আপনিও বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। বাংলাদেশ রক্ষা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাহলে দেশ গঠন মূলক কর্মকান্ড সশস্ত্রবাহিনী কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে। দেশ গঠন মূলক কর্মকান্ডের সশস্ত্র বাহিনী রচনা আলোচনা করা যাক।

দেশ গঠন মূলক কর্মকান্ডের সশস্ত্র বাহিনী রচনা - দেশ গঠনঃ ১৯৭১ সালে সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। যার জন্য প্রতিবছর তাদের সম্মান জানিয়ে এবং স্মরণ করে ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। দেশের উন্নয়নে এবং দেশ গঠনে সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।

আরো পড়ুনঃ জাতীয় ৪ নেতার নাম - জাতীয় চার নেতার নাম ও পদবী

বিগত বছরগুলোতে সশস্ত্র বাহিনীর অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করা হয়েছে। আধুনিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম ধীরে ধীরে সশস্ত্রবাহিনী অনেক বেশি উন্নত হচ্ছে। তারা মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় অবদান রেখেছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী দেশ গঠনে সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সততা এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে। তাদের সাফল্যের জন্য বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী হচ্ছে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী যা সেনা নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত। পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডসহ অন্যান্য আধা সামরিক বাহিনীগুলো সাধারণ সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকে।

দেশ গঠন মূলক কর্মকান্ডের সশস্ত্র বাহিনী রচনা - উপসংহারঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরে বাংলাদেশের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা বাংলাদেশের অবস্থান খারাপ করে গিয়েছিল। তারা বাংলাদেশ থেকে ধন সম্পদ গুলো তাদের দেশে পাচার করে তাদের দেশের উন্নয়নের কাজে লাগিয়েছিল। সেখান থেকে বাংলাদেশকে আবার নতুনভাবে গড়ে তোলা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এই চ্যালেঞ্জে অনেক সাহায্য করেছিল বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে কবিতা

প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা এছাড়া সশস্ত্র বাহিনী দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। কারণ আমরা জানি যে প্রতিবছর ২১ নভেম্বর বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। যে উপলক্ষে বিভিন্ন রকম প্রতিষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে কবিতাঃ

একজন সৈনিক জন্মভূমি মা কে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য গর্ভধারণী মায়ের ভালোবাসা কে বির্সজন দেয় হাসি মুখে।

একজন সৈনিক নিজের পরিবারের কথা চিন্তা না করে।

জন্মভূমি মায়ে'র কোলে থাকা প্রতিটা পরিবারের কথা চিন্তা করে।
একজন সৈনিক নিজের গর্ভধারণী মায়ের কথা চিন্তা না করে।

জন্মভূমি মায়ের সম্মান রক্ষা'র জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে যায়।
একজন সৈনিক নিজের গর্ভধারণী মায়ের কথা চিন্তা না করে।

জন্মভূমি'র প্রতিটা মায়ের সন্তান হয়ে জন্মভূমি'র সেবা করে।
একজন সৈনিক তার গর্ভধারণী মায়ের কথা চিন্তা না করে।

দুর্যোগময় সময়ে বট বৃক্ষ হয়ে ছায়া দেয় জন্মভূমি মা কে।
জন্মভূমি মায়ের বুকে থাকা প্রতিটা সন্তান যখন রাতে ঘুমায়।

তখন একজন সৈনিক জন্মভূমি মায়ের কোলে ঘুমিয়ে থাকা প্রতিটা সন্তান কে পাহারা দেয়।
একজন সৈনিক জন্মভূমি মায়ের জন্য নিজের শত শত ইচ্ছে গুলো কে বির্সজন দিয়ে দিনশেষে নিজের পরিবার সহ জন্মভূমি মায়ের বুকে থাকা প্রতিটা পরিবারের মুখে হাসি ফুটায়।

<সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আরো একটি কবিতাঃ

  • আমাদের পা থাকে কার্পেটে
  • তাদের বুট সব সময়ই মাটিতে
  • আমাদের নিরাপদ জীবন তাদের সামনে প্রতিদিন নতুন চ্যালেঞ্জ।
  • আমাদের রাতগুলো সুখের তাদেরটা উদ্বেগের
সংগ্রহঃ banglarkobita

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা - সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা রচনা pdf: উপসংহার

প্রিয় বন্ধুরা সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা, দেশ গঠন মূলক কর্মকান্ডে সশস্ত্র বাহিনী রচনা এছাড়া আরো অনেকগুলো বিষয় আজকের এই আর্টিকেলের আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনিও বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনাকে বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।২০৮৭৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url