OrdinaryITPostAd

মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস - মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিক হত্যা দিবস

মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। আমরা যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন রকম ঐতিহাসিক দিন স্মরণ রাখে তারা নিশ্চয়ই মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস সম্পর্কে জানি। কিন্তু আমাদের এই যুগের ছেলেমেয়েরা মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস সম্পর্কে কোনো ধারণা রাখে না। তাই আজকে তাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

পেজ সূচিপত্রঃ মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস - মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিক হত্যা দিবস

মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস - মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিক হত্যা দিবসঃ উপস্থাপনা

মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যবাহী একটি দিন। মানুষ এ দিনটিকে স্মরণ করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস পালন করে থাকে। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস সম্পর্কে কোনো ধারণা রাখে না। কিন্তু একজন প্রকৃত বাঙালি হিসেবে আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে কি জানা উচিত নয়?

আরো পড়ুনঃ ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস রচনা - ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবসের কবিতা

অবশ্যই আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। বাংলাদেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস হল এটি। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস সম্পর্কে কোন ধারণা রাখে না তাদের জন্য উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আশা করি আপনি শেষপর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আমাদের সাথে থেকে উক্ত বিষয়টি জানবেন।

মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস - মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিক হত্যা দিবস

বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিশেষজ্ঞরা বলেন সিপাহী বিপ্লবের নামে ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের হত্যা প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এবং এর অবসান ঘটে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ১৯৮১ সালের ৩০ মে। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহী বিপ্লবের নামে প্রথম হত্যা করা হয় তিনজন বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা কে।

এছাড়াও একদিনে উশৃংখল একজন মহিলাডাক্তার সহ ১৩ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছিল। সেনা সদস্যদের সাথে একজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রীকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ৬ নভেম্বর ভোররাতে গৃহবন্দী জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করতে যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি। তারা জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে নিয়ে আসে কর্নেল রশিদ এর দুই নম্বর রেজিমেন্টের দপ্তরে।

আরো পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস এর রচনা

জিয়াউর রহমান মুক্তি পাওয়ার পর নতুন নিযুক্ত রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা না বলে বেতারে ভাষণ দিতে চলে যান। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর অনুরোধে তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ তিনি প্রথম নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীকে শৃঙ্খলা মধ্যে ফিরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করেছিলেন।

কিন্তু একের পর এক সেনাসদস্যকে হত্যা করা হয় সর্বশেষ ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর মেজর জেনারেল মঞ্জুর সহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা কে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছিল এবং গুলি করে হত্যা করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস কত তারিখ

মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস কত তারিখ? আমাদের মধ্যে অনেকেই এই সম্পর্কে জানিনা। আবার অনেকে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস বলতে কোন দিবস আছে এ বিষয়টি প্রথম শুনছি। কিন্তু আপনারা যারা আমাদের এয়ারটিকেল পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই সম্পর্কে জানেন। আপনাদের জন্যই আজকে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস সম্পর্কে আলোচনা করছি।

৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এই দিনটিকে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস পালন করে থাকে। কারণ এই দিনটিতে অনেক মুক্তিযোদ্ধা কে হত্যা করা হয় এবং এর অবসান ঘটে জিয়াউর রহমান এর হত্যাকান্ড মধ্য দিয়ে। অনেক মুক্তিযোদ্ধা কে এই দিনে হত্যা করা হয় তাই এ দিনটিকে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস

৭ নভেম্বর এক রাজনৈতিক দলের কাছে বিপ্লব ও সংহতি দিবস এবং অন্য এক রাজনৈতিক দলের কাছে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক আলোচিত এবং সমালোচিত দিন হলো এই দিনটি। আমরা সকলেই জানি যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পরে বাংলাদেশের রাজনীতিকে একবারেই মেধাশূন্য করে দেওয়ার জন্য ৩ নভেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয় এর চার দিন পর শুরু করা হয় মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা। এই দিনে প্রথমে কয়েকজন বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম, কে এন হুদা বীর উত্তম, এ টি এম হায়দার বীর উত্তম।

আরো পড়ুনঃ জাতীয় শোক দিবস অনুচ্ছেদ - জাতীয় শোক দিবস রচনা

এছাড়া একজন মহিলাডাক্তার সহ ১৩ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। এর সাথে একজন সেনা কর্মকর্তা স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছিল। এর আগের দিন অর্থাৎ ৬ নভেম্বর ভোররাতে গৃহবন্দি জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করতে যায় বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুকের ল্যান্সার বাহিনীরা দল। তারা জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে নিয়ে আসে কর্নেল রশিদ এর দুই নম্বর রেজিমেন্টের দপ্তরে।\

৭ নভেম্বরের সকল বিষয়কে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের পরিণত করে এই হত্যাকাণ্ড গুলো। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পরে বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতা এরপরে বাংলাদেশের বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা গুলোকে হত্যা করে বাংলাদেশের রাজনীতিকে আবার আগের জায়গায় নিয়ে যায়। সাধারণত এই জন্যই ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস পালন করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস - মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিক হত্যা দিবসঃ শেষ কথা

মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস, মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস কত তারিখ? উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আজকের এ আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন। আশা করি আপনাকে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url