OrdinaryITPostAd

সিপাহি বিপ্লব বাংলাদেশ - সিপাহি বিপ্লব কবে সংঘটিত হয়

সিপাহি বিপ্লব বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সিপাহি বিপ্লব বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস সিপাহি বিপ্লব অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সুবিধার্থে সিপাহি বিপ্লব বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করা হলো।

পেজ সূচিপত্রঃ সিপাহি বিপ্লব বাংলাদেশ - সিপাহি বিপ্লব কবে সংঘটিত হয়

সিপাহি বিপ্লব বাংলাদেশ - সিপাহি বিপ্লব কবে সংঘটিত হয়ঃ উপস্থাপনা

বাংলাদেশের ইতিহাসে সিপাহি বিপ্লব অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ইতিহাস। সিপাহি বিপ্লব সারা বাংলাদেশ জুড়ে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। আমাদের মধ্যে অনেক ছাত্রছাত্রী ভাই বোন রয়েছে যারা সিপাহি বিপ্লব বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চাই। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সিপাহি বিপ্লব বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আরো পড়ুনঃ জাতীয় শোক দিবস অনুচ্ছেদ - জাতীয় শোক দিবস রচনা

প্রিয় বন্ধুরা আপনি যদি সিপাহি বিপ্লব বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে সিপাহি বিপ্লব বাংলাদেশ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

সিপাহি বিপ্লব কি?

সিপাহি বিপ্লবকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ মহাবিদ্রোহ ১৮৫৭ সালের নামে অভিহিত করা হয়। এই বিদ্রোহে অনেকগুলো নিরপরাধ নারী-পুরুষ ও শিশু বৃদ্ধ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সিপাহি বিপ্লব ১৮৫৭ সালের ১০ মে আধুনা পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরের শুরু হওয়া সেনাবাহিনীর সিপাহীদের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহ। অল্প সময়ের মধ্যে এই বিদ্রোহ পুরো উত্তর ও মধ্য ভারতে ছড়িয়ে পড়েছিল।

এইসব অঞ্চলে বিদ্রোহীদের দমন করতে কোম্পানিকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। এর প্রভাব পুরো বাংলাদেশ পড়েছিল। চট্টগ্রাম ঢাকার প্রতিরোধ এবং সিলেট রংপুর পাবনা দিনাজপুর বাংলাদেশকে সতর্কতা উত্তেজনাকর করে তুলেছিল। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সিপাহি বিপ্লব বাংলাদেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস

বাংলাদেশে ৭ নভেম্বর তারিখটিকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস বা মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস হিসাবে পালন করা হয়। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সংঘটিত সিপাহী ও জনতার বিপ্লব এর স্মরণে এই দিবসটি পালিত হয়। কর্নেল আবু তাহের এর নেতৃত্বে সংঘটিত এই বিপ্লব জেনারেল খালেদ মোশাররফ এর ৩ দিনের সরকারের পতন ঘটায়।

বাংলাদেশে ৭ নভেম্বর তারিখটিকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস বা মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস হিসাবে পালন করা হয়। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সংঘটিত সিপাহী ও জনতার বিপ্লব এর স্মরণে এই দিবসটি পালিত হয়। কর্নেল আবু তাহের এর নেতৃত্বে সংঘটিত এই বিপ্লব জেনারেল খালেদ মোশাররফ এর তিন দিনের সরকারের পতন ঘটায়।

এই বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দীদশা থেকে মুক্তি পান এবং পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসেন। বিএনপি সরকার এর আমলে ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশে সরকারি ছুটি হিসেবে পালিত হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার এই দিবসটি কে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে।

সিপাহি বিপ্লব বাংলাদেশ - সিপাহি বিপ্লব কবে সংঘটিত হয়

প্রিয় পাঠক এখন আমরা সিপাহি বিপ্লব বাংলাদেশ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সংঘটিত সিপাহী ও জনতার বিপ্লব এর স্মরণে এই দিবসটি পালিত হয়। কিছু সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হবার পর শেখ মুজিব সরকারের তেইশ জন মন্ত্রীর একুশ জনকে সাথে নিয়ে এই ব্যাপারটি মেনে নিতে পারেননি।

আরো পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস এর রচনা

তিনি তার অনুগত সৈন্য বাহিনী নিয়ে ৩রা নভেম্বর মোশতাক সরকারের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থান ঘটান। অভ্যুত্থানটি প্রাথমিক ভাবে সফলও হয়। কিন্তু তার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৩ দিন। খালেদ মোশাররফ রক্তপাত এড়াতে চেষ্টা করেছিলেন যা পরবর্তীতে তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। ৩রা নভেম্বরের অভ্যুত্থানে জেনারেল খালেদ মোশাররফ রক্তপাতহীন করতে গিয়ে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে তার নিজ বাসভবনে গৃহবন্দী করেন।

কর্নেল আবু তাহের সে সময় নারায়ণগঞ্জ অবস্থান করছিলেন। কর্নেল তাহের ছিলেন জিয়াউর রহমানের একজন বিশেষ শুভাকাঙ্খী। তিনি সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন। সৈনিক অফিসার বৈষম্য তার পছন্দ ছিলনা। তার এই নীতির জন্য তাহের সেনাবাহিনীর সাধারণ সৈনিকদের মাঝেও দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন। কর্নেল তাহের বিশ্বাস করতেন জিয়াও তারই আদর্শের লোক।

ঊর্ধ্বতন সামরিক অফিসার তাকে পরামর্শ দিতে থাকেন। তাহের জিয়াকে ভাষণ দিতে বলেন। জিয়া ভাষণ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তাহের বুঝতে পারেন জিয়া তাদের সাথে আর থাকছেন না। তিনি পুনরায় সংগঠিত হতে থাকেন। কিন্তু জিয়া বুঝতে পারেন ক্ষমতায় টিকতে হলে তাহেরসহ জাসদকে সরাতে হবে। সেই অনুযায়ী গ্রেফতার হতে থাকেন জাসদের সব নেতারা। তাহেরও গ্রেফতার হন।

শুরু হয় এক প্রহসনের এক বিচার। গোপন আদালতে চলতে থাকে সেই বিচার ১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই কর্নেল তাহেরের ফাঁসি হয়। অন্যান্য নেতাদের বিভিন্ন মেয়াদের জেল হয়। ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের কারিগর ছিলেন তাহের। আর তার ফলে ক্ষমতায় বসেন জিয়া। বিপ্লব ও সংহতি শব্দটি সাধারণত সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের স্লোগান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

বর্তমানে দিনটিকে মূলত জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দল বিএনপি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে এবং রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এ দিনটিকে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। আশা করি আপনিও উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন।

তথ্যঃ উইকিপিডিয়া

কর্নেল তাহেরের ফাঁসির কারণ

কর্নেল তাহের মুক্তিযুদ্ধের পরে প্রথমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কিন্তু মতবিরোধ এবং ব্যক্তিগত আক্ষেপের কারণে ১৯৭২ সালে কর্নেল তাহের সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করে দেন। বাংলাদেশের প্রথম বিরোধী রাজনৈতিক দল জাসদের শীর্ষস্থানীয় নেতা ছিলেন। তিনি বামপন্থী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।

১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর তার নেতৃত্বে সিপাহী জনতার বিপ্লব সংঘটিত হয়। বিপ্লবের মাধ্যমে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফকে সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার আগেই তার পতন ঘটিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দীত্ব থেকে মুক্ত করা হয়। তবে জিয়াউর রহমান প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে সিপাহীরা বিদ্রোহ অব্যাহত রাখে। শেষ পর্যন্ত জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ দমন করেন।

পরে কর্নেল তাহের যখন জিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় যার ফলে ফলে কর্নেল তাহেরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাঁকে সামরিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ২০১১ সালের ২২ মার্চ বাংলাদেশের উচ্চ আদালত সামরিক আদালতে কর্নেল তাহেরের ফাঁসির রায়কে অবৈধ ঘোষণা করে।

সিপাহি বিপ্লব কোথায় শুরু হয়

সিপাহী বিপ্লব সংঘটিত হয় ১০ মে ১৮৫৭ সাল সংঘটিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুর শুরু হওয়া ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর সিপাহীদের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহ। কিন্তু আস্তে আস্তে এই বিপ্লব সম্পূর্ণ উত্তর ও মধ্য ভারতে ছড়িয়ে পড়েছিল। এসকল অঞ্চলে বিদ্রোহীদের দমনে কোম্পানিটি যথেষ্ট পরিমাণে বেগ পেতে হয়েছিল।

১৯৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশ

প্রিয় পাঠক আজকের এয়ার টিকেট আমরা সিপাহি বিপ্লব বাংলাদেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়া আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলের আলোচনা করা হয়েছে। এখন আমরা ১৯৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু আলোচনা করব। তো চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

জাতীয় চার নেতা নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এবং কামরুজ্জামানের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব আনা হয়নি বঙ্গবন্ধুর পরিবার ও ১৫ আগস্টে অন্যান্য নিহতের জন্য শোক প্রকাশ করা হয়নি মুজিব রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন সুপরিচিত ব্যক্তি ছিলেন ভাসানী একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ও জননন্দিত নেতা ছিলেন জাদু মিয়া একজন নিঃস্বার্থ ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দেশপ্রেমিক ছিলেন।

আরো পড়ুনঃ ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস রচনা - ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবসের কবিতা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করার পরিবর্তে, জিয়ার নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে, এই হত্যাকাণ্ডকে একটি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফল বলে উপস্থাপন করা হয়েছিল কিছু অসন্তুষ্ট সামরিক কর্মকর্তার হাতে তার সরকারের পতন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তৎকালীন সামরিক বাহিনী প্রধান জেনারেল জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদের শোক প্রস্তাবে বঙ্গবন্ধুকে সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুযখন তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে ১৫ আগস্ট নিহত হন তখন তিনিই ছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ১৯৭৯ সালের ৪ঠা এপ্রিল সংসদ অনুমোদিত শোকপ্রস্তাবে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদলের কারনেই তাকে নিহত হতে হয়। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ রাজনৈতিক অঙ্গনের একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হারাল কিন্তু সংসদে বিএনপির তৎকালীন জ্যেষ্ঠ নেতা ও মন্ত্রী মশিউর রহমান জাদু মিয়াঁর মৃত্যুতে তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে।

তাকে নিঃস্বার্থ ও ত্যাগী নেতা বলে সম্বোধন করা হয়। সেই শোক প্রস্তাবে জাতীয় চার নেতা, বঙ্গবন্ধুর পরিবার বা ১৫ আগস্ট নিহত অন্যান্য দের ব্যাপারে কোন কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। অধিবেশন শুরু হবার আগে আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান খান ও তৎকালীন বিরোধীদলের নেতা, স্পিকারের সাথে দেখা করে বঙ্গবন্ধুকে যথাযথ সম্মান জানিয়ে শোক প্রস্তাব আনতে অনুরোধ করেন

সংগৃহীত

সিপাহি বিপ্লব বাংলাদেশ - সিপাহি বিপ্লব কবে সংঘটিত হয়ঃ শেষ কথা

সিপাহি বিপ্লব বাংলাদেশ, সিপাহি বিপ্লব কবে সংঘটিত হয়? জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এছাড়া আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি উত্তর বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে প্রতিনিয়ত আমাদের হিসাব ফলো করুন।১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url