বেগম রোকেয়ার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি - বেগম রোকেয়া জীবনী
বেগম রোকেয়ার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি? এই বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেল পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই বেগম রোকেয়া সম্পর্কে জানেন। তাই আমরা আজ জানব বেগম রোকেয়ার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি? বেগম রোকেয়া ছিলেন একজন নারীবাদী তিনি নারী শিক্ষা জাগরণের অগ্রদূত ছিলেন। এছাড়া তিনি সাহিত্য রচনা করতেন তাই আজকে বেগম রোকেয়ার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি? সেই সম্পর্কে জানব।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে বেগম রোকেয়ার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি? এই বিষয় সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে বেগম রোকেয়ার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি? সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ বেগম রোকেয়ার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি - বেগম রোকেয়া জীবনী
- বেগম রোকেয়ার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি - বেগম রোকেয়া জীবনীঃ ভূমিকা
- বেগম রোকেয়া এত বিখ্যাত কেন
- বেগম রোকেয়ার শিক্ষা জীবন
- বেগম রোকেয়ার উপাধি
- বেগম রোকেয়ার কর্মজীবন
- বেগম রোকেয়ার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি
- বেগম রোকেয়া জীবনী
- বেগম রোকেয়ার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি - বেগম রোকেয়া জীবনীঃ উপসংহার
বেগম রোকেয়ার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি - বেগম রোকেয়া জীবনীঃ ভূমিকা
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন একজন বাঙালি চিন্তাবিদ সাহিত্যিক এবং একজন নারীবাদী। তিনি বাঙালি মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত এবং প্রথম বাঙালি নারীবাদী ছিলেন। তিনি তার জীবনের অনেকগুলো বই রচনা করেছেন। আজকেরে আর্টিকেলে আমরা বেগম রোকেয়ার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি? এই বিষয় সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন আমাদের মূল আলোচনায় চলে যাই।
বেগম রোকেয়া এত বিখ্যাত কেন?
আমরা যারা পড়াশোনা করি তাদের মধ্যে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে চেনে না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আজ নারীরা সমাজে পড়াশোনা করতে পারছে তার একমাত্র কারণ বলা যায় বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। তিনি প্রথম নারীদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন। কারণ তিনি যখন জন্মগ্রহণ করেছিলেন তখন নারীরা কোন ধরনের শিক্ষার অধিকার পেত না।
আরো পড়ুনঃ বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস কবে পালিত হয় - বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস ২০২২
বেগম রোকেয়া একজন বাংলার নারী জাগরণের অগ্রদূত ছিলেন। তিনি যখন জন্মগ্রহণ করেছিলেন তখন নারীরা শুধু বাড়ির ভেতরে থাকতো কোন ধরনের পড়াশোনা করত না শুধু কোরআন শরীফ পড়ার সুযোগ ছিল তাদের। তাই তিনি চিন্তা করলেন যে সমাজের নারীরা শিক্ষিত না সে সমাজ কখনো এগিয়ে যেতে পারে না। সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই তিনি নারী শিক্ষার প্রতি বেশি মনোনিবেশ করেন।
বেগম রোকেয়া জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর যেহেতু তখন নারীরা শিক্ষার অধিকার পেত না তাই তিনি কোন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করেননি তিনি তার বড় ভাই এবং বোনের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। তার বড় ভাই এবং বোন তার বাবা রাতে ঘুমিয়ে যাওয়ার পরে তাকে পড়াশোনা করাতে লুকিয়ে লুকিয়ে। এরপরে বেগম রোকেয়া হয় ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সাথে।
বিবাহের কয়েক বছর পর বেগম রোকেয়ার স্বামী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন মৃত্যুবরণ করেন তখন তিনি তার স্বামীর নাম অনুসারে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন যার নাম ছিল সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল। এরপরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কিছু জটিলতার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। পরে তিনি কলকাতায় চলে আসেন কলকাতায় আসার পরে তিনি আবার একই নামে আরও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেন সেখান থেকেই নারীশিক্ষার আস্তে আস্তে প্রসার ঘটে। সাধারণত এই কারণেই আজও মানুষ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে মনে রেখেছেন।
বেগম রোকেয়ার শিক্ষা জীবন
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তেমন কোন ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ পাননি এবং তার শিক্ষাজীবন তেমন কিছু অর্জন নেই। এর অন্যতম কারণ হলো তিনি যখন জন্মগ্রহণ করেছিলেন তখন নারী শিক্ষার তেমন প্রসার ছিল না। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে পড়াশোনা করার জন্য লড়াই করতে হয়েছে।
তার বাবা একজন শিক্ষিত ব্যক্তি এবং বিভিন্ন ভাষায় পন্ডিত ছিলেন তার পরও তিনি নারীদের শিক্ষার প্রতি উদাসীন ছিলেন। কারণ তখনকার সমাজ নারীদের শিক্ষার ব্যাপারে খুবই উদাসীন ছিলেন। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এর শিক্ষার প্রতি আগ্রহ দেখে তার বড় ভাই এবং বোন তাকে শিক্ষা দিয়েছিলেন।
তখনকার মেয়েদের শুধু কোরআন শরীফ ছাড়া অন্য কিছু পড়তে দেওয়া হতো না ঠিক তেমন বেগম রোকেয়া ও শুধু কোরআন শরীফ শিক্ষা নিতেন। শিক্ষার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেতেও শুধু পুরুষেরা। কলকাতায় থাকাকালীন অবস্থায় একজন মেম শিক্ষিকার নিকট তিনি কিছুদিন লেখাপড়া করার সুযোগ পান কিন্তু সমাজের আত্মীয়-স্বজনদের কটুক্তি করায় সেটাও বন্ধ হয়ে যায়।
তখনকার সমাজ এবং তার পিতার উদাসীনতা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি তিনি তার বড় ভাই এবং বোনের কাছে থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে গিয়েছেন। তিনি রাতে লুকিয়ে লুকিয়ে তার বড় ভাই এবং বোনের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করতেন। এরপরে তার স্বামী তাকে সাহিত্যচর্চার দিকে বেশি মনোনিবেশ করতে বলেন এবং তার পাশে সবসময় সাপোর্ট করে গিয়েছেন।
বেগম রোকেয়ার উপাধি
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা জানেন যে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন একজন নারীবাদী। তিনি যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন নারীরা কোন ধরনের শিক্ষার অধিকার পেত না। সেখান থেকে তিনি চিন্তা করলেন যদি নারীরা শিক্ষার অধিকার না পায় তাহলে সে সমাজ কখনো এগিয়ে যেতে পারে না। তাই তিনি তার জীবনে অসংখ্য বই লিখেছে নারীদের ওপর।
আরো পড়ুনঃ বিশ্ব এইডস দিবস কবে - ১ ডিসেম্বর কি এইডস দিবস?
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন কে উপাধি দেওয়া হয় মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত। এটি বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এর উপাধি ছিল।
বেগম রোকেয়ার কর্মজীবন
বেগম রোকেয়া সারাজীবন নারীদের জন্য লড়াই করে গিয়েছেন তিনি নারীশিক্ষাকে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। তিনি একাধারে ছিলেন সাহিত্যিক এছাড়া তিনি অনেকগুলো বই রচনা করেছেন। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তেমন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করেননি কারণ তিনি সে সুযোগ পাননি। তার স্বামীর মৃত্যুবরণ করার পরে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তার স্বামীর অনুপ্রেরণা কে বুকে ধারণ করে নিজেকে নারী শিক্ষার বিস্তার ও সমাজ সেবায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন।
স্বামী মৃত্যুবরণ করার পরে তিনি স্বামীর দেওয়া অর্থে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে প্রথম স্কুলে ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫ জন। স্কুলের নাম ছিল সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল। স্কুল প্রতিষ্ঠিত করার পরে সম্পত্তি নিয়ে কিছু ঝামেলা হওয়ায় তিনি স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য হন। কলকাতায় চলে আসেন স্বামীর ভালোবাসা বুকে ধারণ করে তিনি আবার স্কুলটি পুনরায় চালু করেন। সেই সময়ে স্কুলে ছাত্রীর সংখ্যা হয়েছিল ৮ জন। আস্তে আস্তে স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়তে থাকে।
বেগম রোকেয়ার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি
রোকেয়া তার নারীবাদী চিন্তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন মতিচূর প্রবন্ধসংগ্রহের প্রথম (১৯০৪) ও দ্বিতীয় খণ্ডে (১৯২২)। সুলতানার স্বপ্ন (১৯০৫) পদ্মরাগ (১৯২৪) অবরোধবাসিনী (১৯৩১) ইত্যাদি তার সৃজনশীল রচনা। তার সুলতানার স্বপ্ন কে বিশ্বের নারীবাদ সাহিত্যে একটি মাইলফলক ধরা হয়। গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হবার আগে তার লেখাগুলো নবনূর সওগাত মোহাম্মদ ইত্যাদি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
প্রিয় বন্ধুরা আজকেরে আর্টিকেলে আমরা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। উপরে আমরা বেগম রোকেয়ার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি সম্পর্কেও জেনেছি।
বেগম রোকেয়া জীবনী
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বাংলার মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত। কিন্তু তিনি কোন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পাননি কারণ তখন নারীদের শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন যদি জন্মগ্রহণ না করতো তাহলে নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণের সম্ভব হতো কিনা সন্দেহ আছে। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন একজন চিন্তাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক।
জন্ম ও পরিবারঃ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন একটি জমিদার পরিবারে। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের পিতার নাম ছিল জহীরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের এবং বেগম রোকেয়ার মায়ের নাম ছিল রাহাতুন্নেসা সাবেরা। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের পিতা আরবি ও ফারসি ভাষায় পন্ডিত ছিলেন। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের দুই বোন এবং তিন ভাই ছিল যাদের মধ্যে একজন ছোট তে মারা যায়।
শিক্ষাজীবনঃ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন কোন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পায়নি। কারণ তিনি যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন নারীদের শিক্ষা কোন অবকাশ ছিল না। তিনি শিক্ষার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। তার বাবা একজন শিক্ষিত ব্যক্তি এবং বিভিন্ন ভাষায় পন্ডিত হওয়ার পরও তিনি নারীদের শিক্ষার ব্যাপারে উদাসীন ছিলেন। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের শিক্ষার পেছনে সবথেকে বড় অবদান রাখে তার বড় ভাই এবং বোন।
বেগম রোকেয়ার পরিবার থেকে নারীদের কোরআন শরীফ ছাড়া অন্য কিছু পড়তে দেওয়া হতো না। শিক্ষার অধিকার দেওয়া হতো শুধু পুরুষদের। কলকাতায় থাকাকালীন অবস্থায় একজন মেম শিক্ষিকার নিকট তিনি কিছুদিন লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু সমাজ এবং আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে কটুক্তি সহ্য করতে না পেরে তাও বন্ধ হয়ে যায়।
যেহেতু শিক্ষার কোনো সুযোগ ছিল না তাই তিনি লুকিয়ে লুকিয়ে তার বড় ভাই এবং বোনের কাছে শিক্ষা অর্জন করেছিলেন। রোকেয়া দিনের বেলায় পড়াশোনা করার সুযোগ পেতেন না তাই রাতের বেলায় সবাই ঘুমিয়ে গেলে বড় ভাই এবং বোনের কাছে পড়তে এবং লিখতে শিখে ছিলেন।
আরো পড়ুনঃ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের গুরুত্ব - সশস্ত্র বাহিনী দিবসের উপর আলোকপাত
বৈবাহিক ও সন্তান জীবনঃ বেগম রোকেয়ার ১৮৯৮ সালে ভাগলপুরের সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিবাহ হয়েছিল। বেগম রোকেয়ার স্বামী ছিলেন একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। বিবাহের আগে বেগম রোকেয়া শিক্ষার বিষয়ে অনেক কষ্ট করলেও বিবাহের পরে তার স্বামী তার পাশে ছিলেন। কারণ তার স্বামীর কাছে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়।
তার স্বামী তাকে সাহিত্য চর্চা এবং সাহিত্যিক হওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়ে ছিলেন। ১৯০৯ সালে বেগম রোকেয়া স্বামী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন মৃত্যুবরণ করেন তার আগে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের দুইটি কন্যা সন্তান মৃত্যুবরণ করেছিলেন সবমিলিয়ে তিনি নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন।
কর্মজীবনঃ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তেমন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অধিকার পাননি। কিন্তু তিনি যথেষ্ট পরিমাণে শিক্ষিত ছিলেন। তার স্বামী মারা যাওয়ার পর বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তার স্বামীর অনুপ্রেরণা কে বুকে ধারণ করে নিজেকে নারী শিক্ষার বিস্তার ও সমাজ সেবায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন। স্বামী মৃত্যুবরণ করার পরে তিনি স্বামীর দেওয়া অর্থে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে প্রথম স্কুলে ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫ জন। স্কুলের নাম ছিল সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল।
স্কুল প্রতিষ্ঠিত করার পরে সম্পত্তি নিয়ে কিছু ঝামেলা হওয়ায় তিনি স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য হন। তিনি কলকাতায় চলে আসেন স্বামীর ভালোবাসা বুকে ধারণ করে তিনি আবার স্কুলটি পুনরায় চালু করেন। সেই সময়ে স্কুলে ছাত্রীর সংখ্যা হয়েছিল ৮ জন। ৪ বছরের ব্যবধানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০০ জনে।
মৃত্যুঃ নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের অনেক অবদান ছিল। তাকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ তিনি নারী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি এই পদক্ষেপ গ্রহণ করলে হয়তো বা নারীরা এত দূরে এগোতে পারত না। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ৫২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর কলকাতায় তার মৃত্যু হয়।
বেগম রোকেয়ার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি - বেগম রোকেয়া জীবনীঃ উপসংহার
বেগম রোকেয়ার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি, বেগম রোকেয়া জীবনী সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলের বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আজকের এই আর্টিকেলে আপনি উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনাকেও বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা সত্যিই অনেক আনন্দিত। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।২০৮৭৬
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url