নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ - নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ রচনা
নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আমরা যারা মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনা করি তাদের বিভিন্ন সময়ে নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ লিখতে হয়। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ রচনা সম্পর্কে আলোচনা করব।
সূচিপত্রঃ নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ - নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ রচনা
- ভূমিকাঃ নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ - নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ রচনা
- নবান্ন উৎসব কি
- নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ - নবান্ন উৎসব বাংলা অনুচ্ছেদ
- নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ রচনা
- আমাদের শেষ কথাঃ নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ - নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ রচনা
ভূমিকাঃ নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ - নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ রচনা
বাঙ্গালীদের প্রধান উৎসব গুলোর মধ্যে নবান্ন উৎসব অন্যতম। কৃষি প্রধান দেশ গুলোতে সাধারণত বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নবান্ন উৎসব পালন করা হয়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য আজকেরে আর্টিকেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নবান্ন উৎসব কি?
বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী খাবারের একটি উৎসবকে নবান্ন উৎসব বলা হয়। বাংলাদেশ হলো কৃষিপ্রধান দেশ এই দেশে শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে সকল আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয় সেসকল অনুষ্ঠানের মধ্যে নবান্ন উৎসব অন্যতম।
আরো পড়ুনঃ বিশ্ব শিশু দিবস রচনা - বিশ্ব শিশু দিবস অনুচ্ছেদ - শিশু দিবস প্রতিপাদ্য
নবান্ন শব্দের অর্থ হলো নতুন অন্ন অর্থাৎ নতুন খাবার। কৃষিপ্রধান দেশ নবান্ন উৎসব হলো নতুন আমন ধান কাটার পর সে ধান থেকে প্রস্তুত করা চালের প্রথম রান্না করা খাবার খাওয়া উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব। সাধারণত কৃষকদের পরিবারে এই উৎসব বেশি দেখা যায়। নতুন উৎপাদিত ধানের রান্না করা বিভিন্ন রকম পিঠা সহ অন্যান্য খাবার নিয়ে উৎসব করা হয়।
এই উৎসবকে কেন্দ্র করে কৃষক পরিবার বিভিন্ন রকম পিঠা পায়েস তৈরি করে এবং পরিবারের ও প্রতিবেশীদের মাঝে দিয়ে আসে এছাড়া মেয়ের জামাইকে দাওয়াত দেওয়া হয় এবং বিভিন্ন রকম পিঠা খেতে দেওয়া হয়। সাধারণত এভাবেই নবান্ন উৎসব কে পালন করা হয়ে থাকে।
নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ - নবান্ন উৎসব বাংলা অনুচ্ছেদ
নবান্ন উৎসব কৃষকদের একটি প্রধান উৎসব। যেহেতু বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ তাই আজ থেকে কয়েক বছর আগে নবান্ন উৎসব ছিল গ্রামীণ জীবনে অর্থাৎ কৃষকদের জীবনের একটি অংশ। তবে সময় পরিবর্তন হওয়ার কারণে এই উৎসবের আমেজ অনেকটাই কমে এসেছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো কিছু কিছু এলাকায় শুধু ইরি ধান হয়। আমন ধান না হওয়ায় এসব অঞ্চলে নবান্ন উৎসব হয়না।
নবান্ন উৎসব বলা হয় সাধারণত হেমন্তকালে নতুন ধান কাটার পর কৃষক পরিবারগুলোতে উৎসব পালন করে তাকে। নবান্ন এর অর্থ হলো নতুন চাল অথবা ভাত। বাঙালির একটি ঐতিহ্য এবং ইতিহাস বলা হয় নবান্ন উৎসব কে। আগে হেমন্তকালের নতুন ধান কেটে ঘরে তোলার সময় প্রতিটি কৃষকের বাড়িতে উৎসব পালন করা হতো।
আরো পড়ুনঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২২ কবে - শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এর ছবি
তখন গ্রামের প্রতিটি মানুষ নতুন ধানের পিঠা পায়েস তৈরি করে এই উৎসব পালন করতো। নবান্ন উৎসব এর সাথে গ্রামের মানুষের আনন্দ হাসি কান্না জড়িত ছিল। তারা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একত্রিত হয়ে নবান্ন উৎসব পালন করতো। কারণ এটা একটি গ্রামীণ এবং বাঙ্গালীদের উৎসব এখানে ধর্ম-বর্ণের কোন ভেদাভেদ নেই।
কিন্তু এখন সময় এর পরিবর্তে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঋতু পরিবর্তনের কারণে নবান্ন উৎসব তেমন ভাবে দেখা যায় না। অধিকাংশ জায়গাতেই নবান্ন উৎসব প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এই উৎসব ধরে রাখতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নবান্ন উৎসব পালন করে থাকে। এ সময় তারা বিভিন্ন রকম পিঠা পায়েস এর প্রদর্শনী করে থাকে।
নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ রচনা
নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ রচনাঃ বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের কৃষক সমাজের মাঝে ঐতিহ্যবাহী একটি উৎসব হলো নবান্ন উৎসব। বাংলার কৃষি শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে সকল আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব পালিত হয় নবান্ন উৎসব তার মধ্যে অন্যতম। নবান্ন শব্দের অর্থ নতুন অন্ন। নবান্ন উৎসব পালন করা হয় সাধারণত নতুন আমন ধান কাটার পর সেই থেকে প্রস্তুতকৃত চালের প্রথম রান্না খাওয়ার জন্য।
সাধারণত হেমন্তকালে অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। নবান্ন উৎসবের নতুন সালের তৈরি খাদ্য সামগ্রী পরিবারের আত্মীয়স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী সবাইকে দেওয়া হয়। হেমন্ত যখন কাঁচা ধানের গন্ধে চাষীদের মন ভরে ওঠে তখনই শুরু হয় নবান্নের প্রস্তুতি। ধান ভাঙ্গার গান ভেসে বেড়ায় বাতাসে।
নবান্ন উৎসব এই দিনে ভরে নতুন ধানের নতুন চাল ঢেঁকিতে কোটা হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাদীর প্রবীণরা বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে এবং ছোট ছেলেদের নতুন জামা কাপড় পরিয়ে দেয়। পরে বীর বাষ্প তারপর একটি কলার খোসা চাল মাখা কলা ও নারিকেলের নাড়ু কাককে খেতে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাধারণত কেউ কোন ধরনের খাবার খায় না।
আরো পড়ুনঃ বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার - শিশু দিবসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
বর্তমানে নবান্ন উৎসবের আমেজ অনেকটাই কমে গিয়েছে। এমনভাবে আর কোথাও নবান্ন উৎসব পালন করতে দেখা যায় না। কিন্তু কিছু কিছু গ্রামে এখনো নবান্ন উৎসব পালন করা হয় তারা তাদের ঐতিহ্য ধরে রেখে এখনো উৎসবটি আনন্দের সাথে পালন করে আসছে।
আমাদের শেষ কথাঃ নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ - নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ রচনা
নবান্ন উৎসব অনুচ্ছেদ রচনা আরো কয়েকটি বিষয় আজকেরে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এ আর্টিকেল পড়ে থাকেন তাহলে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি না জেনে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন ধন্যবাদ।২০৭৯১
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url