মুক্তিযোদ্ধা দিবস কত তারিখ - বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা দিবস- ০১ ডিসেম্বর
১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেন? এই প্রশ্নটিই অনেক শোনা যায়। আজকের এই আর্টিকেলে ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেন? এ প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। আমরা জানি যে বাংলাদেশের বিজয় দিবস ডিসেম্বর মাসে এসেছে। ডিসেম্বর মাসে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস রয়েছে তা হলো মুক্তিযোদ্ধা দিবস। ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেন? আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেন? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তো চলুন ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেন? তা জেনে নেওয়া যাক।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেন
- ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেনঃ ভূমিকা
- ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস
- ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেন
- ১ ডিসেম্বর ইতিহাসের এই দিনে
- ১ ডিসেম্বর ১৯৭১
- ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেনঃ উপসংহার
১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেনঃ ভূমিকা
বাংলাদেশের অনেকগুলো জাতীয় দিবস রয়েছে যদিও মুক্তিযোদ্ধা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয় না তবুও এটির অনেক গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিবছর বেসরকারিভাবে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেন? এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেন? এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস
আমাদের বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান সবথেকে বেশি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে মুক্তিযোদ্ধারা সবথেকে বেশি আত্মত্যাগ করেছে। সাধারণত ১ ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করা হয় না। বেসরকারিভাবে এ দিনটিকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করার প্রস্তাব দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়।
আরো পড়ুনঃ সশস্ত্র বাহিনীর পটভূমি - সশস্ত্র বাহিনী দিবস কত তারিখ বাংলাদেশ
মুক্তিযোদ্ধারা সারা জীবন বেঁচে থাকবে না। তাই পরের প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধাদের মনে রাখবে কিভাবে? সে কথা চিন্তা করে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস এবং মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্ব জানানোর জন্য সরকারিভাবে এ দিবসটি পালনের ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে। ১ ডিসেম্বরকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে ঘোষণার সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণায় স্থান ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত অন্যান্য স্থানগুলোকে সংরক্ষণের গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শাহজাহান খান সাংবাদিকদের জানান, সরকারি ঘোষণা না থাকলেও ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করা হয়।
১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেন?
ডিসেম্বর মাস হল আমাদের বিজয়ের মাস। দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করার পরে ডিসেম্বর মাসের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে। আমরা জানি যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের আত্মত্যাগের কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
তাদের মনে রাখার জন্য এবং আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার জন্য ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করা হয়। যদিও সরকারিভাবে এখনো ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করা হয় না। কিন্তু বেসরকারিভাবে এ দিনটিকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। অনেকেই আছে যারা ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেন? এ ধরনের প্রশ্ন করে থাকে।
আশা করি আপনি উপরের আলোচনা থেকে উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। মুক্তিযোদ্ধারা সারা জীবন বেঁচে থাকবে না। একসময় সকল মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুবরণ করবে তখন আমাদের আগামী প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে কোন ধরনের তথ্য পাবে না তাই ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালিত হলে তারা বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারবে।
সাধারণত আমাদের আগামী প্রজন্মকে এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করার জন্য বিজয়ের মাসে অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিনে মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করা হয়ে থাকে। আশা করি আপনি ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেন এই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গিয়েছেন।
১ ডিসেম্বর ইতিহাসের এই দিনে
প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেন? এ সম্পর্কে আলোচনা করেছি আপনি যদি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন। এখন আমরা ১ ডিসেম্বর ইতিহাসের এই দিনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে জানব। তো চলুন ইতিহাসে ঘটে যাওয়া ১ ডিসেম্বর এদিনের কিছু ঘটনা জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের গুরুত্ব - সশস্ত্র বাহিনী দিবসের উপর আলোকপাত
১। ১৮২১ সালের এই দিনে স্পেনের কবর মুক্ত হয়ে সান ডেমিঙ্গো প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
২। ৬৩১ খ্রিস্টাব্দে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর তাবুক অভিযান শুরু হয়েছিল।
৩। ১৪২০ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের চতুর্থ হেনরি প্যারিসে প্রবেশ করেন।
৪। ১৬২৬ জেরুজালেমের শাসক পাশা মুহাম্মদ ইবনে ফারুক ক্ষমতাচ্যুত হন।
৫। ১৭৬৮ দাস বহনকারী একটি জাহাজ ডুবে যায়।
৬। ১৮৩৪ সালে কেপ উপনিবেশ থেকে দাসত্ব রদ অ্যাক্ট ১৮৩৩ অনুযায়ী দাসত্ব বিপ্লব করা হয়।
৭। ১৮৫২ সালে নেদারল্যান্ডে টেলিগ্রাফ কোম্পানি চালু হয়।
৮। ১৯১৮ সালে আইসল্যান্ড ডেনমার্কের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
৯। ১৯১৯ প্রথম মহিলা সংসদ সদস্য হিসেবে লেডি অ্যাস্টর যুক্তরাজ্যের হাউস অফ কমান্সে তাঁর আসন গ্রহণ করেন
১০। ১৯৪৮ ইউনিয়ন অব বার্মা গঠিত হয়।
১১। ১৯৫৮ মধ্য আমেরিকা প্রজাতন্ত্র ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীন লাভ করে।
১২। ১৯৫৯ একটি মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র বসানো ক্যামেরা দিয়ে মহাশূন্য থেকে প্রথম পৃথিবীর রঙিন ছবি তোলা হয়েছিল।
১৩। ১৯৭১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের কাছে থেকে কাশ্মীর পুনরুদ্ধার করেন।
১৪। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে প্রথম রঙিন টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু হয়।
১৫। ২০২২ সালে বাংলাদেশের গাইবান্ধা যাকাতের কাপড় এর জন্য হুড়োহুড়িতে প্রায়ই ৫০ জন মৃত্যুবরণ করেন।
১ ডিসেম্বর ১৯৭১
প্রিয় পাঠক আমরা ইতিমধ্যে ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেন এই সম্পর্কে জেনেছি। এ দিনটিতে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছিল। এখন আমরা উক্ত ঘটনাগুলো সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। ১ ডিসেম্বর পাকিস্তান পিপলস পার্টি কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল। ঘটনাটি খুব সকালে হওয়ার কারণে কার্যালয় তেমন কেউ উপস্থিত ছিল না দুইজন আহত হয়েছিল।
১ ডিসেম্বর পাকিস্থানেঃ
এই দিনে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সরকার এর এক মুখপাত্র বলেন নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার এখনো শেষ হয়নি। বাংলাদেশ যে চাপ অর্থাৎ আক্রমণ সৃষ্টি হয়েছিল তা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
১ ডিসেম্বর বাংলাদেশঃ
এই দিনে গাজীপুরের কালীগঞ্জে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামে ন্যাশনাল জুট মিলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর পৈশাচিক গণহত্যা চালায়। এ গণহত্যায় শহীদ হয়েছিলেন ১৩৬ জন।
আরো পড়ুনঃ নূর হোসেন দিবস ২০২২ - নূর হোসেন দিবস কবে
এই দিনে দিনাজপুরের ময়দান দিঘির কাছে অবস্থানরত মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর সম্মিলিতভাবে পাক হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে মুক্তিবাহিনীর পাঁচজনের ভারতীয় বাহিনী ৫০ জন আহত হয়েছিলেন।
১ কুষ্টিয়া অঞ্চলের মুক্তিবাহিনী স্থানীয় গেরিলা বাহিনী ও জনগণ রেলস্টেশনটি পুড়িয়ে দেই। পরে ব্রিজ ধ্বংস করে দেয় যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। ১ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটি মিশনে ঢুকে হানাদার বাহিনী ধর্মযাজক চার্লস আর হাউজারসহ অনেকগুলো বাঙালিকে হত্যা করেছিল।
সূত্রঃ দ্য ডেইলি স্টার বাংলা
১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেনঃ উপসংহার
১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেন? ১ ডিসেম্বর ইতিহাসের এই দিনে এছাড়া আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনি আমাদের এই আর্টিকেল থেকে উপকৃত হয়েছেন। আপনাকে উক্ত বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা সত্যি অনেক আনন্দিত। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।২০৮৭৬
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url