OrdinaryITPostAd

ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখ ২০২৩ - আবদুল কাদের জিলানী জীবন কাহিনী

ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখ ২০২৩? এবছর ফাতেহা ই ইয়াজদাহম অনুষ্ঠিত হবে নভেম্বর মাসের ৭ তারিখ রোজ সোমবার। ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখ ২০২৩ এবং ফাতেহা ই ইয়াজদাহম পালন করা যাবে কিনা? সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। চলুন দেখে নেয়া যাক ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখ ২০২৩ এবং ফাতেহা ই ইয়াজদাহম  কেন পালন করা হয়? 

পেজ সূচিপত্র: ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখ ২০২৩

ফাতেহা ই ইয়াজদাহম সম্পর্কে বিস্তারিত: উপস্থাপনা 

বড় পীর খ্যাত জগদ্বিখ্যাত বুজুর্গ আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) ৫৬১ হিজরী সনের রবিউস সানি মাসের ১১ তারিখে পরলোকগমন করেন। আব্দুল কাদের জিলানীর (রহ.) মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফাতেহা ই  ইয়াজদাহম পালন করা হয়। সাধারনত পীর পন্থীগন ফাতেহা ই ইয়াজদাহম পালন করে থাকে। ফাতেহা ই ইয়াজদাহম পালন করা যাবে কিনা সে ব্যাপারে আলেমদের মাঝে ব্যাপক মতপার্থক্য রয়েছে। 

ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখ ২০২৩ এবং ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কেন পালন করা হয় সে বিষয়ে সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। আপনি যদি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত এই আর্টিকেলটি অধ্যয়ন করেন, তাহলে ফাতেহা ই ইয়াজদাহম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখ ২০২৩ এবং ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে ধৈর্যসহকারে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। 

ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখ ২০২৩

ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখ ২০২৩ তা নিচে তুলে ধরা হবে। প্রতিবছর হিজরি সনের রবিউস সানি মাসের ১১ তারিখে ফাতিহা ই ইয়াজদাহম পালন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এই বছরেও ফাতেহা ই ইয়াজদাহম পালন করা হবে। যেহেতু আরবি সন চাঁদ এর সাথে সম্পর্কিত এবং হিজরী সনের সাথে খ্রিস্টাব্দের অনেক পার্থক্য রয়েছে, তাই প্রতিবছর ইংরেজি মাসের একই দিনে ফাতিহায়ে ই ইয়াযদাহম পালন করা সম্ভব নয়। 
ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কবে পালন করা হবে, তা চাঁদ দেখা চাওয়ার উপর নির্ভর করে। এ বছর ফাতেহা ই ইয়াজদাহম পালন করা হবে নভেম্বর মাসের ৭ তারিখ রোজ সোমবারে। ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখ ২০২৩ আশা করি এই প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। নিচে ফাতেহা ই ইয়াজদাহম পালন করার বিধি-বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। নিম্নবর্ণিত আলোচনা থেকে খুব সহজেই আপনি অনুধাবন করতে পারবেন যে, ফাতেহা ই ইয়াজদাহম পালন করা যাবে কিনা? 

ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কেন পালন করা হয়?

ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কেন পালন করা হয় তা জানার পূর্বে আপনাকে জানতে হবে যে ফাতেহা ই ইয়াজদাহম বাক্যটির অর্থ কি? ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম এই বাক্যটি মূলত ফার্সি ভাষা থেকে আগত।এখানে দুইটি শব্দ রয়েছে একটি হলো ফাতেহা আর অপরটি হল ইয়াজদাহম। ফাতেহা মানে হলো: ফাতেহা পাঠ করা। যা সাধারণত মৃত ব্যক্তির জন্য পাঠ করা হয়ে থাকে। আর ইয়াযদাহম শব্দের বাংলা অর্থ অর্থ হলো: এগারো। 

অর্থাৎ ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম বাক্যটির অর্থ হলো ১১ তারিখে পঠিতব্য ফাতিহা। প্রতিবছর হিজরি সনের রবিউস সানি মাসের ১১ তারিখে আব্দুল কাদের জিলানী(রহ.) এর মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে ফাতিহা পাঠ করার উদ্দেশ্যে যে দিবস পালন করা হয় সেটাই হলো ফাতেহা ই ইয়াজদাহম। প্রতিবছর বিভিন্ন দেশে ফাতিহায়ে ই ইয়াযদাহম পালন করা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এই দিবসটি পালন করা হয়।সুফীবাদী এবং পীর পন্থী যারা রয়েছে তারা ঘটা করে এই দিবসটি পালন করে থাকে। 

ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম উপলক্ষে বড় বড় জসনে জুলুসের অনুষ্ঠান করা হয়। সেখানে বিভিন্ন ধরনের আলোকসজ্জাসহ ভুরি ভোজের আয়োজন করা হয়। কিছু কিছু অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র সহ গান-বাজনারও ব্যবস্থা করা হয়। ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম এর দিনে বিভিন্ন মাজারে বিশেষ আয়োজন করা হয়। সেখানে নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে বিশেষ রেওয়াজ রসম পালন করেন। 
ফাতেহা ই ইয়াজদাহম পালন করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে যে, নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে, বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে এ ধরনের অনুষ্ঠান পালন করার ব্যাপারে ইসলামের বিধান কি। কেননা আপনি যদি না জেনে এধরনের কাজ করেন তাহলে আপনার গুনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ফাতিহায়ে ই ইয়াযদাহম পালন করার বিধান কি? ইসলামে এই ধরণের দিবস পালন করা কতটুকু বৈধ? সেই বিষয় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখ ২০২৩ এ প্রশ্নের উত্তর ইতোমধ্যেই উপরে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। 

ফাতেহা ই ইয়াজদাহম পালন করার বিধান কি?

ইসলামের দৃষ্টিতে দিবস সর্বস্ব কোন অনুষ্ঠান বৈধ নয়। সেটা হতে পারে জন্মদিবস, মৃত্যুদিবস কিংবা অন্য কোন দিবস। কোন ব্যক্তি যদি মৃত্যুবরণ করে তাহলে তার পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষী যারা রয়েছে তাদের উচিত, প্রতিদিন সেই মৃত ব্যক্তির জন্য রুহের মাগফেরাত কামনা করা। এবং তার জন্য বিশেষভাবে দোয়া করা। কিন্তু আপনি যদি এই নিয়মের বাইরে গিয়ে বছরে শুধুমাত্র একদিন দিবস সর্বস্ব অনুষ্ঠান করেন তাহলে সেটা হবে সুন্নত বিরোধী কাজ। 

যা ইসলাম কখনই অনুমোদন করে না। জন্মদিবস, মৃত্যুদিবস বা যে কোন দিবস পালন করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। সেটা সকলের ক্ষেত্রে সমান ভাবে প্রযোজ্য। তাই আপনি যদি আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) এর মৃত্যু দিবস উপলক্ষে ফাতেহা ই ইয়াজদাহম পালন করেন, তাহলে সেটা কুরআন এবং হাদিস পরিপন্থী কাজ হবে। আর আপনি যদি কুরআন এবং হাদীসের পরিপন্থী কোনো কাজ করেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই কাজের জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট জবাবদিহিতা করতে হবে।

তাই যেকোনো ধরনের কাজ বা আমল করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে সাবধান থাকতে হবেকোনভাবেই আপনার কাজ বা আমল যেন ইসলাম এর বিধানের পরিপন্থী না হয় সে ব্যাপারে আপনাকে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। কেননা আপনার কোন আমল বা কাজ ইসলামের বিধান এর পরিপন্থী হলে আপনি গোনাহগার হবেন। একটি বিষয় মনে রাখবেন, যার মৃত্যু বার্ষিকী নিয়ে এধরনের গর্হিত কর্ম কান্ড করা হচ্ছে তিনি কিন্তু নিতান্তই একজন ভালো মানুষ ছিলেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) একজন পরহেজগার ও জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন। 

আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) ছিলেন একজন বিখ্যাত ধর্মপ্রচারক। তিনি সারাজীবন ইসলাম প্রচার করেছেন। পবিত্র কুরআন-হাদীস ও ফিকাহ শাস্ত্রে তার জ্ঞান ছিল খুবই গভীর। তিনি ইসলাম প্রচারের পাশাপাশি তার শিষ্যদের কে কুরআন হাদিস শিক্ষা দান করতেন। ধর্ম প্রচারক হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিল বিশ্বজোড়া। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তার শিক্ষার্থী ছিল। 
ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তিনি বহু বই পুস্তক রচনা করেন। সাহিত্য, কাব্য,  ইতিহাস, দর্শন ও ভূগোল সম্পর্কেও তার জ্ঞান ছিল প্রগাঢ়। তার অনেকগুলো বিখ্যাত গ্রন্থ রয়েছে। ইসলামিক বইয়ের পাশাপাশি তিনি আরো বিভিন্ন বিষয়ের উপরে বই রচনা করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলো: কিতাব সিরর আল-আসরার ওয়া মাযহার আল-আনওয়ার, গুনিয়াতুত তালেবীন, কিবরিয়াত এ আহমার ও আল-ফুয়ুদাত আল-রব্বানিয়া । 

এছাড়াও তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ হলো ক্বসীদায়ে গাউসিয়া। আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) সারাজীবন ধরে ইসলামের খেদমত করে গিয়েছেন। অথচ সেই মানুষটির মৃত্যুর পরে তাকে নিয়ে বিদাতিরা বাড়াবাড়ি শুরু করে দেয়। আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) এর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী নিয়ে এমন কিছু রেওয়াজ-রসম পালন করে যা ইসলাম ধর্ম অনুমোদন করে না। 

আপনাকে অবশ্যই এধরনের ইসলাম বহির্ভূত বেদাতি কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে। নিজেকে এসকল ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত রাখতে হবে এবং আপনার আশেপাশের লোকদেরকে এহেন ধর্মবিরোধী কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে। 

ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখ ২০২৩: উপসংহার

ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখ ২০২৩ এই প্রশ্নের উত্তর ইতোমধ্যেই উপরে  তুলে ধরা হয়েছে।এছাড়া ফাতেহা ই ইয়াজদাহম পালনের বিধান সম্পর্কেও এই আর্টিকেলটিতে তথ্যবহুল আলোচনা করা হয়েছে।আশাকরি উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো আপনার ভালো লেগেছে এবং আর্টিকেলটি অধ্যয়ন করার মাধ্যমে ফাতেহা ই দোয়াজ দহম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url