OrdinaryITPostAd

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি - জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস ৭ নভেম্বর

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি? এ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। আপনারা যারা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি? এই বিষয় সর্ম্পকে জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল। আমরা আর্টিকেলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি? তা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।

পেজ সূচিপত্রঃ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি - জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস ৭ নভেম্বর

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি - জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস ৭ নভেম্বরঃ উপস্থাপনা

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি? এ সম্পর্কে আমাদের জেনে থাকা উচিত কারণ এটি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে জড়িত। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই আর্টিকেলে আমরা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আরো পড়ুনঃ জাতীয় শোক দিবস অনুচ্ছেদ - জাতীয় শোক দিবস রচনা

আপনি যদি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি? তা জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন। তো চলুন আর দেরি না করে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি? ও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস ৭ নভেম্বর এই বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি?

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি? এ সম্পর্কে একজন বাঙালি হিসেবে অবশ্যই আমাদের জানতে হবে কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সাথে অতপ্রত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে এ দিবসটি। তাই এখন আমরা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি? বিস্তারিত ভাবে জানবো। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কিছু সেনা কর্মকর্তা দ্বারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হয়।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের তেইশ জন মন্ত্রী ২১ জনকে সাথে নিয়ে খন্দকার মোশতাক আহমেদ নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। কিন্তু খন্দকার মোশতাকের ক্ষমতার নেপথ্য ছিল ১৫ই আগস্টের ঘটনার মূল নায়কেরা। তিনি তার অনুগত সৈন্য বাহিনী নিয়ে ৩রা নভেম্বর মোশতাক সরকারের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থান ঘটান। অভ্যুত্থানটি প্রাথমিক ভাবে সফল হয়।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি - তার এই নীতির জন্য তাহের সেনাবাহিনীর সাধারণ সৈনিকদের মাঝেও দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন। কর্নেল তাহের বিশ্বাস করতেন জিয়াও তারই আদর্শের লোক। জিয়া তার বাসভবনে বন্দী হয়ে থাকেন। খালেদ মোশারফের নির্দেশে তাকে বন্দী করে রাখেন তরুণ ক্যাপ্টেন হাফিজুল্লাহ। এই সময় জিয়াউর রহমানের বাড়ির টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি - এই সময় তার সফর সঙ্গী ছিল শত শত জাসদ কর্মী। কর্নেল তাহেরের এই পাল্টা অভ্যুত্থান সফল হয় ৭ই নভেম্বর। কর্নেল তাহের জিয়াউর রহমানকে বন্দী দশা থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসেন। ঐ দিনই পাল্টা অভ্যুত্থানে ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যরা জেনারেল খালেদ মোশাররফকে হত্যা করে।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি - জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের করে আনা হবে। তারপর জাসদের অফিসে তাকে এনে তাহেরদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হবে। পরে সিপাহী জনতার এক সমাবেশ হবে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন জিয়া আর তাহের। কিন্তু মুক্ত হওয়ার পরে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। জিয়া ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হতে সম্মত হন না।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি - ঊর্ধ্বতন সামরিক অফিসাররা তাকে পরামর্শ দিতে থাকেন। তাহের জিয়াকে ভাষণ দিতে বলেন। জিয়া ভাষণ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তাহের বুঝতে পারেন জিয়া তাদের সাথে আর থাকছেন না। তিনি পুনরায় সংগঠিত হতে থাকেন। জিয়াউর রহমান এটা ভালোভাবে বুঝতে পারে যে ক্ষমতায় টিকতে হলে তাহেরসহ জাসদকে সরাতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস রচনা - ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবসের কবিতা

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি - সেই অনুযায়ী গ্রেফতার হতে থাকেন জাসদের সব নেতারা। তাহেরও গ্রেফতার হন। শুরু হয় এক প্রহসনের এক বিচার। গোপন আদালতে চলতে থাকে সেই বিচার ১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই কর্নেল তাহেরের ফাঁসি হয়। অন্যান্য নেতাদের বিভিন্ন মেয়াদের জেল হয়।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি - ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের কারিগর ছিলেন তাহের। আর তার ফলে ক্ষমতায় বসেন জিয়া। সে দিনটিকে স্মরণ করে বর্তমানে বিএনপি প্রতিবছর ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করে থাকে। এবং আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস পালন করে থাকে।

তথ্যঃ উইকিপিডিয়া

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে

বাংলাদেশের প্রতি বছর ৭ নভেম্বর তার একটি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এ দিবসটি আরো একটি নাম রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস হিসেবে প্রতিবছর পালন করা হয়। কারণ ১৯৭৫ সালের এই দিনে সংগঠিত সিপাহী ও জনতার বিপ্লব এর স্মরণে বিপ্লব ও সংহতি দিবসটি পালন করা হয়।

ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস প্রতিবছর ৭ নভেম্বর পালন করা হয়। ১৯৭৫ সালের শেষ দিকে দ্রুত রাজনৈতিক রক্তাক্ত উত্থান-পতনের এর মধ্য দিয়ে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতা সংহত করে তিনি স্থিতিশীলতার সূচনা করেন। বিএনপি এ দিনটিকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এবং আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।

এই দিনে সিপাহী-জনতা সকলেই তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে সেনানিবাসের বন্দীদশা থেকে মুক্ত করেন। তাই বিএনপি এই দিনটিকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে। এই দিনটি উপলক্ষে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন রকম আচার-অনুষ্ঠান পালন করে থাকে।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস ৭ নভেম্বর - ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস

আমরা যারা বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানি তারা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কত তারিখে সম্পর্কে ধারণা রাখেন। বিশেষ করে যারা রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে তারা প্রতিবছর ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। বিশেষ করে বিএনপি'র জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন।

১৯৭৫ সালের সৈনিক জনতা অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতিবছর বিএনপির নেতাকর্মীরা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করে থাকে। আজকের এই দিনে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে সৈনিক মিলে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে ঢাকার সেনানিবাসের বন্দীদশা থেকে মুক্ত করেন। যা তাকে পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছিল।

প্রথমে সৈনিক জনতা সবাই মিলে জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের করে আনা হবে। তারপর জাসদের অফিসে তাকে এনে তাহেরদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হবে। পরে সিপাহী জনতার এক সমাবেশ হবে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন জিয়া আর তাহের। কিন্তু মুক্ত হওয়ার পরে পরিস্থিতি পাল্টে যায়।

আরো পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস এর রচনা

ঊর্ধ্বতন সামরিক অফিসাররা তাকে পরামর্শ দিতে থাকেন। তাহের জিয়াকে ভাষণ দিতে বলেন। জিয়া ভাষণ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তাহের বুঝতে পারেন জিয়া তাদের সাথে আর থাকছেন না। তিনি পুনরায় সংগঠিত হতে থাকেন। কিন্তু জিয়া বুঝতে পারেন ক্ষমতায় টিকতে হলে তাহেরসহ জাসদকে সরাতে হবে। সেই অনুযায়ী গ্রেফতার হতে থাকেন জাসদের সব নেতারা।

শুরু হয় এক প্রহসনের এক বিচার। গোপন আদালতে চলতে থাকে সেই বিচার ১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই কর্নেল তাহেরের ফাঁসি দেওয়া হয়। অন্যান্য নেতাকর্মীদের জেল হয়। ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের কারিগর ছিলেন তাহের। আর তার ফলে ক্ষমতায় বসেন জিয়া। বর্তমানে প্রতিবছর ৭ নভেম্বর বিএনপি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস ছবি

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি? এ সম্পর্কে আলোচনা করছি ইতিমধ্যে আমরা উক্ত বিষয় সম্পর্কে অনেকগুলো তথ্য জেনেছি। যারা রাজনীতি করে বিশেষ করে বিএনপি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে অনেকেই জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস ছবি দেখে থাকেন তাঁদের জন্য নিচে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস ছবি দেওয়া হল।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি - জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস ৭ নভেম্বরঃ শেষ কথা

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কি? জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস ৭ নভেম্বর এছাড়া জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস সম্পর্কে আরো অনেকগুলো তথ্য উপরে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি আজকের এই আর্টিকেল থেকে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url