সশস্ত্র বাহিনীর পটভূমি - সশস্ত্র বাহিনী দিবস কত তারিখ বাংলাদেশ
সশস্ত্র বাহিনীর পটভূমি সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। আমরা জানি যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের গুরুত্ব রয়েছে অনেক। কিন্তু সশস্ত্র বাহিনীর পটভূমি সম্পর্কে আমাদের অনেকের জানা নেই। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে সশস্ত্র বাহিনীর পটভূমি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে সশস্ত্র বাহিনীর পটভূমি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে সশস্ত্র বাহিনীর পটভূমি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ সশস্ত্র বাহিনীর পটভূমি
- সশস্ত্র বাহিনীর পটভূমিঃ ভূমিকা
- সশস্ত্র বাহিনী দিবস কত তারিখ
- সশস্ত্র বাহিনী দিবস বাংলাদেশ
- সশস্ত্র বাহিনীর পটভূমি
- সশস্ত্র বাহিনীর পটভূমিঃ উপসংহার
সশস্ত্র বাহিনীর পটভূমিঃ ভূমিকা
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু সশস্ত্রবাহিনীর পটভূমি সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জেনে থাকা উচিত। তাই আজকের এই আর্টিকেলে সম্পূর্ণ সশস্ত্র বাহিনীর পটভূমি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস কত তারিখ
বাংলাদেশে অনেকগুলো জাতীয় দিবস রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস। সাধারণত বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে স্মরণ করার জন্য এবং তাদের যথাযথ সম্মান দেওয়ার জন্য প্রতিবছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়। কারণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের গুরুত্ব মনে রাখার মত।
আরো পড়ুনঃ ১৯৭২ সালের সংবিধানের মূলনীতি কি - বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি কি কি
১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশের নৌ বাহিনী সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনী মিলে সশস্ত্র বাহিনী গঠিত করে। এবং তারা সর্বপ্রথম পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণের সূচনা করেছিল। যার মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জন হয়। তাই প্রতিবছর ২১ নভেম্বর সারা বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস বাংলাদেশ
প্রিয় বন্ধুরা বাংলাদেশের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দিবস রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো সশস্ত্র বাহিনী দিবস। বাংলাদেশের জাতীয় দিবস গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। প্রতিবছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের গুরুত্ব রয়েছে অনেক। তারা ভারতের সেনাবাহিনীর সাহায্য নিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিহত করেছিল।
১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সর্বপ্রথম বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয় এবং পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণের সূচনা করেছিল তারা। তখন ভারতের সেনাবাহিনীর বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছিল। যেহেতু বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনের সশস্ত্র বাহিনী অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল তাই প্রতিবছর সশস্ত্র বাহিনী গঠনের দিনে এ দিবস পালন করা হয়।
আরো পড়ুনঃ জাতীয় ৪ নেতার নাম - জাতীয় চার নেতার নাম ও পদবী
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ২১ নভেম্বর বিভিন্ন রকম কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি তাদের নিজেদের বক্তব্য দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সম্মান জানানো হয়। এবং তাদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ করা হয়।
সশস্ত্র বাহিনীর পটভূমি
বাংলাদেশের স্বাধীনতার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী হচ্ছে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী যথা সেনাবাহিনী নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর উক্ত সদস্যদের নিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয়েছিল।
এর পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডসহ উন্নয়ন ও আধাসামরিক বাহিনী সাধারণত সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনী অধীনে পরিচালিত হয়। সশস্ত্রবাহিনীর প্রতিষ্ঠাকাল হল ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর। আজ থেকে 50 বছর আগে।
সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান কার্যালয় হল ঢাকা সেনানিবাসে। সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী অর্থাৎ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ২০২১-২০২২ বছরের বাজেট প্রায় ৪.৩ বিলিয়ন।
সশস্ত্রবাহিনীর সামরিক নীতিমালা এবং কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর একটি উপদেষ্টা কমিটি রয়েছে যেখানে সদস্য সংখ্যা ৬ জন। এই উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা হলেন বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর অন্তর্গত তিন বাহিনীর প্রধান অর্থাৎ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান।
আরো পড়ুনঃ মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা
এছাড়া এনএসআই, ডিজিএফআই এবং বিজিবি এর সাধারণ পরিচালকগণ উপদেষ্টা কমিটির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমরা সকলেই জানি যে পাকিস্তান বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালানোর জন্য বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মিলে এবং ভারতের সহযোগিতায় ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয়েছিল।
সশস্ত্র বাহিনীর পটভূমিঃ উপসংহার
সশস্ত্র বাহিনীর পটভূমি সহ আজকেরে আর্টিকেলে আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশাকরি আপনি অন্য বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনাকে বাংলাদেশের ইতিহাস ও সশস্ত্র বাহিনীর পটভূমি সম্পর্কে জানাতে পেরে আমরা সত্যিই অনেক আনন্দিত। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।২০৮৭৬
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url