OrdinaryITPostAd

সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব - সশস্ত্র বাহিনী দিবসের উপর আলোকপাত

সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। বাংলাদেশের জাতীয় দিবস গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস। কারণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্রবাহিনী দিবস গুরুত্ব রয়েছে সর্বাধিক। তাই আপনাদের সুবিধার্থে সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন তো চলুন। আর কথা না বাড়িয়ে সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব - সশস্ত্র বাহিনী দিবসের উপর আলোকপাত

সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব - সশস্ত্র বাহিনী দিবসের উপর আলোকপাতঃ ভূমিকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব রয়েছে অনেক। তাই প্রতিবছর অনেক আনন্দের সাথে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়। আমরা অনেকেই সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে কোন ধারণা রাখিনা। আজকের এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস কি?

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী সম্মিলিতভাবে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ করে। এরপরে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর নিয়ে গড়া মিত্র বাহিনীর কাছে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। এবং পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল।

আরো পড়ুনঃ মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা

তাই বলা হয় যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে সশস্ত্রবাহিনীর অন্যতম অবদান রয়েছে। তার জন্যই প্রতিবছর নভেম্বর মাসের ২১ তারিখ সারা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে সম্মান জানানো হয় এবং তাদেরকে স্মরণ করা হয়। সশস্ত্র বাহিনী দিবস কি? আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে পালিত হয়?

বাংলাদেশের জাতীয় দিবস রয়েছে অনেকগুলো কিন্তু আমরা অনেকেই বিভিন্ন রকম দিবস সম্পর্কে জানিনা। কিন্তু একজন প্রকৃত বাঙালি হিসেবে আমাদের অবশ্যই বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানা উচিত। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব সহ সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে বিভিন্ন রকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করছি।

প্রতিবছর ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়। কারণ ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশের নৌ সেনা এবং বিমানবাহিনী সম্মিলিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ এর সূচনা করেছিল। সাধারণত সেইজন্য প্রতি বছর এই দিনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়।

১৯৭১ সালে ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস গঠন হওয়ার পরে একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর ভারত-বাংলাদেশ যৌথ মিলিত হয়ে মিত্র বাহিনীর গঠন করে এবং মিত্র বাহিনীর কাছে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করেছিল। সশস্ত্র বাহিনীর সম্মান এবং তাদের স্মরণ করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী দিবস প্রতিবছর ২১ নভেম্বর পালন করা হয়।

সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা সশস্ত্র বাহিনী দিবসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করছি। ইতিমধ্যে আমরা সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে এবং সশস্ত্র বাহিনী দিবস সম্পর্কে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব রয়েছে অনেক। কিন্তু আমরা অনেকেই এ বিষয়ে কোনো ধারণা রাখিনা। বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা

সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্বঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে বাংলাদেশের জনগণের অর্থাৎ সাধারণ মানুষের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। তার সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পিছনে কয়েকটি দিবসের গুরুত্বের মধ্যে অন্যতম একটি দিবস হল সশস্ত্র বাহিনী দিবস। এ দিবসকে বলা হয় যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের চালিকাশক্তি ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং এ বাহিনীর নেতৃত্বেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে বিদ্রোহ করা সুপ্রশিক্ষিত বাঙালি সদস্যের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ শুরু।

সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্বঃ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় সেনাবাহিনীর ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রথমে পাঁচটি ও পরবর্তীতে নতুন তিনটি ব্যাটালিয়নই প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তারা ছিল মূল শক্তি তাই শুরু থেকেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধে এককভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিল। গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে শত্রুকে আত্মসমর্পণ করার উদ্দেশ্য এবং এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিয়মিত যুদ্ধ শুরু করা হয়।

সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্বঃ প্রতিবছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়ে থাকে। তার কারণ ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনীর সাথে নৌ ও বিমানবাহিনী সম্মিলিতভাবে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের শুরু করে। বাংলাদেশ ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস। সাধারণত এই দিনে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ভারতের সেনাবাহিনীর সাহায্য নিয়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ শুরু করেছিল।

সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্বঃ বাংলাদেশকে স্বাধীন করার পেছনে এই সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব রয়েছে অনেক। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিনটিকে স্মরণ রেখে ১৯৮৬ সালে প্রথমবার ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়। তারপরে থেকে প্রতিবছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্রবাহিনীকে সম্মান জানিয়ে এবং তাদেরকে স্মরণ করে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হয়ে আসছে। কারণ বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের মতো তারাও বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল তাই তাদের স্মরণ করে দিনটি পালন করা হয়।

সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্বঃ ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী গঠন হওয়ার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভারতের সেনাবাহিনীর সহযোগিতা পাওয়ার পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে আক্রমণ করেছিল। অল্প সময়ের মধ্যেই ভারত ও বাংলাদেশের সম্মিলিত যৌথ বাহিনী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়। তাই প্রতিবছর ২১ নভেম্বর এই দিনটি পালনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় যেসব মুক্তিযোদ্ধা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে মারা গিয়েছে তাঁদের স্মরণ করা হয়। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান।

সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্বঃ বাংলার মানুষ পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে পরাধীন বাংলাকে মুক্ত করার জন্য। মুক্তিযুদ্ধে অগণিত মানুষ তাদের প্রাণ বিসর্জন দেয় দেশকে পাকিস্তান থেকে মুক্ত করার জন্য। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক রাজনৈতিক নেতা-কর্মী সবার প্রাণের বিনিময়ে আমাদের বাংলাদেশে অর্জিত হয়েছে। সর্বপ্রথমে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ বুনে দিয়েছিলেন।

সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্বঃ ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হওয়ার পরে তারা ভারতের সেনাবাহিনীর সাহায্য-সহযোগিতা ই শক্তিশালী হয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ করেছিল যার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল। তাই একটু আলোচনা থেকে বলা যায় যে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব রয়েছে অনেক।

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের উপর আলোকপাত

প্রিয় বন্ধুরা উপরের আলোচনায় আমরা সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এখন আমরা সশস্ত্র বাহিনী দিবসের উপর আলোকপাত নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করব। কারণ আমাদের মধ্যে অনেকের সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব এবং আলোকপাত নিয়ে কোনো ধরনের ধারণা নেই।

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২১ নভেম্বর পালন করা হয়। এর কারণ হলো ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর এই দিনে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী একসঙ্গে হয়ে মুক্তি যুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ করেছিল। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ভারতের সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়েছিল।

আরো পড়ুনঃ ১৯৭২ সালের সংবিধানের মূলনীতি কি -  বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি কি কি

এরপরে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায় তখন এক বছরের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এবং ভারতের সেনাবাহিনী নিয়ে গঠিত মিত্র বাহিনীর কাছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে। এর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল।

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল বিশ্ববাসীর কাছে। সাধারণত এইজন্যই প্রতিবছর ২১ নভেম্বর দিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ এই দিন অনেক আনন্দের সাথে পালন করে থাকে। প্রতিবছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।

সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব - সশস্ত্র বাহিনী দিবসের উপর আলোকপাতঃ উপসংহার

সশস্ত্রবাহিনী দিবসের গুরুত্ব, সশস্ত্র বাহিনী দিবস কি? সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে পালন করা হয়? সশস্ত্র বাহিনী দিবসের উপর আলোকপাত সহ আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনিও উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। আপনাকেও বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।২০৮৭৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url