OrdinaryITPostAd

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে 2023 - সশস্ত্রবাহিনী দিবস কবে

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে? আপনি কি তা জানেন? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে? তা জানতে পারবেন। বাংলাদেশের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দিন হল সশস্ত্র বাহিনী দিবস। চলুন আজকের এই আর্টিকেল থেকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে তা জেনে নেই।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে? সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আর কথা না বাড়িয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে? তা জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে - সশস্ত্রবাহিনী দিবস কবে

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে - সশস্ত্রবাহিনী দিবস কবেঃ ভূমিকা

আমাদের বাংলাদেশের অনেকগুলো দিবস রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। বাংলাদেশের বিভাগ গুলোর মধ্যে সশস্ত্র বাহিনী দিবস অন্যতম একটি। কিন্তু আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে? এ সম্পর্কে জানিনা। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে? তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে - সশস্ত্রবাহিনী দিবস কবে

বাংলাদেশে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর এই দিনে বাংলাদেশের সেনা নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করে। এরপরে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশ ভারত সেনাবাহিনী নিয়োগ বাহিনীর কাছে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করেন।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের সংবিধান দিবস কবে - বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় কবে

যেহেতু বাংলাদেশে সর্বপ্রথম এই দিনে সেনা নৌ এবং বিমান বাহিনীর সম্মিলিত ভাবে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করেছিল তাই এই দিনটিকে স্মরণ করার জন্য প্রতিবছর ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়। আশা করি বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে এই বিষয় সর্ম্পকে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন।

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কর্মসূচি

বাংলাদেশের প্রতি বছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়। ঢাকা সেনাবাহিনীতে অবস্থিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী ও তিন বাহিনীর প্রধানদের পুষ্পস্তবক এর মাধ্যমে দিবসটি শুরু করা হয়। সেনানিবাস নৌ বিমান ঘাঁটিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বাংলাদেশ বেতার ও বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে অনির্বাণ নামের বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়।

আরো পড়ুনঃ জাতীয় ৪ নেতার নাম - জাতীয় চার নেতার নাম ও পদবী

সশস্ত্র বাহিনী দিবস অত্যন্ত মর্যাদা ও উৎসাহ এবং উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। দেশের সকল সেনানিবাস বিমান বাহিনী এবং মসজিদসমূহে দেশের জন্য শান্তি কামনা করা হয় এবং ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত এর মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু করা হয়। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী হচ্ছে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী সেনা নৌ এবং বিমান বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। এর পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সহ অন্যান্য আধাসামরিক বাহিনীর গুলো সাধারণত সময়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকে। তবে যুদ্ধকালীন সময়ে তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধীনে পরিচালিত হয়।

আজকে আমরা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে? এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করছি। ১৯৭১ সালের ২১ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়। তাদের স্মরণে প্রতি বছর এই দিনটিকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীই বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সামরিক নীতিমালা এবং কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর একটি ছয় সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি রয়েছে। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী গঠিত হয়। সাধারণত এই কারণেই এ দিনটিকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

আরো পড়ুনঃ মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা

১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর এই দিনে বঙ্গভবন এবং সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরসহ ঢাকা সেনানিবাস এবং দেশের প্রতিটি সামরিক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে তা জানতে পেরেছেন।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে - সশস্ত্রবাহিনী দিবস কবেঃ উপসংহার

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে? সশস্ত্রবাহিনী দিবস কর্মসূচি সহ আরো অনেকগুলো বিষয় আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশাকরি আপনি আজকের এই আর্টিকেল থেকে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাকে উত্তর বিষয়গুলো সম্পর্কে জানাতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।২০৮৭৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url