মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা রয়েছে অনেক। আমরা যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে জানি তারা মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা সম্পর্কেও অবগত রয়েছি। কিন্তু যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ তাদের অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা সম্পর্কে জানা উচিত।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা
- মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকাঃ ভূমিকা
- মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা
- জাতীয় চার নেতার ছেলে - জাতীয় চার নেতার ছেলের নাম
- জাতীয় চার নেতার সমাধি
- জাতীয় চার নেতার নাম
- জাতীয় চার নেতার পরিচয়
- জাতীয় চার নেতার পরিবার
- মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকাঃ উপসংহার
মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকাঃ ভূমিকা
প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করব। বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতা ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অন্যতম সহযোগী। তারা শুরু থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সাথে রাজনীতিতে জড়িত ছিল। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা সম্পর্কে জানবো এর সাথে জাতীয় চার নেতার বিস্তারিত সম্পর্কে জানব।
মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম মহানায়ক হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিভিন্ন রকম কাজে যারা সহযোগিতা করেছিল তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাদের মধ্যে অন্যতম আমরা চারজন জাতীয় নেতার সম্পর্কে জানি। তাই চলুন মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য - স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য
১। বাংলাদেশের ইতিহাসের অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান হলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে উজ্জ্বল নক্ষত্র। বাংলাদেশের ইতিহাসে তাদের অন্যতম এক মর্যাদার স্থানে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের চারজন নেতা ছাড়া স্বাধীনতার ইতিহাস লেখা কখনো সম্ভব নয়।
২। সৈয়দ নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অত্যন্ত বিশ্বস্ত একজন সহযোগী ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তারা।
৩। তাজউদ্দিন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার অর্থাৎ মুজিবনগর সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তাজউদ্দিন আহমেদ। তাজউদ্দিন আহমেদ ও ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
৪। মনসুর আলী বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতার অন্যতম একজন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তার। তিনি বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার অর্থাৎ মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেছিলেন। স্বাধীনতার পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন রকম দায়িত্ব পালন করেন।
৫। এএইচএম কামরুজ্জামান ছিলেন পারিবারিকভাবে রাজনীতিবিদ। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনৈতিক প্রতি আকর্ষিত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে তার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম ভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া দায়িত্ব পালন করেন। যেমন তিনি মুজিবনগর সরকার অর্থাৎ বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
জাতীয় চার নেতার ছেলে - জাতীয় চার নেতার ছেলের নাম
যদিও বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয় তবে তাদের পরে তাদের নামকে এখনো বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরিচিত করছে তাদের উত্তরসূরী তাদের ছেলেরা। তাদের মতো তাদের ছেলেরাও বাংলাদেশের মানুষের কাছে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। জাতীয় চার নেতার মৃত্যুর পর তাদের পরিবারের সদস্যরাই দেশের রাজনীতির হাল ধরেন।
১। সৈয়দ নজরুল ইসলাম এর ছেলের নাম - সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, সৈয়দ শরিফুল ইসলাম ও সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম।
২। এম মনসুর আলীর ছেলের নাম - মোহাম্মদ নাছিম, মোহাম্মদ সেলিম
৩। তাজউদ্দিন আহমেদ এর ছেলের নাম - সোহেল তাজ ও মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি
৪। এবং এএইচএম কামরুজ্জামান এর ছেলের নাম - খায়রুজ্জামান লিটন, এএইচএম এহসানুজ্জামান স্বপন,
জাতীয় চার নেতার সমাধি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অন্যতম প্রধান সহযোগী ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতা। মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা ছিল অনেক বেশি। স্বাধীনতাবিরোধীরা প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে এরপর বাংলাদেশের রাজনৈতিক একেবারে শূন্য করে দেওয়ার চিন্তা করে তারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয় এরপরে তাদেরকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে কবর দেওয়া হয়। জাতীয় চার নেতার সমাধি ঢাকার বনানী কবরস্থানে অবস্থিত।
জাতীয় চার নেতার নাম
প্রিয় বন্ধুরা আমরা ইতিমধ্যে মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা সহ আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে আজকে আর্টিকেলে জানতে পেরেছি। এখন আমরা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জাতীয় চার নেতার নাম সম্পর্কে জানব। একজন প্রকৃত বাঙালি হিসেবে জাতীয় চার নেতার নাম সম্পর্কে জানা আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজন।
আরো পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা হয় কেন - স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া?
- সৈয়দ নজরুল ইসলাম
- তাজউদ্দিন আহমেদ
- ক্যাপ্টেন মনসুর আলী
- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হায়াত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
জাতীয় চার নেতার পরিচয়
প্রিয় বন্ধুরা এখন আমরা বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতার পরিচয় সম্পর্কে জানব। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতার অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি এখন বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতার পরিচয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদঃ
জন্ম - ১৯২৫ সালে গাজীপুরের জেলারকাপাসিয়া থানার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষাজীবন - তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেছিলেন ১৯৫৩ সালে। তিনি ১৯৬৪ সালে কারাবন্দি অবস্থায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আইন শাস্ত্রের ডিগ্রি লাভ করেছিলেন।
রাজনীতি জীবন - ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি অন্যতম একজন সদস্য ছিলেন এবং সেখানে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। তিনি ১৯৫৩ - ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা জেলার আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মৃত্যু - ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় তিন নেতার সাথে তাজউদ্দিন আহমেদকে নির্মমভাবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়েছিল।
সাবেক উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামঃ
জন্ম - তিনি ১৯২৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
শিক্ষাজীবন - তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৪৭ সালে সৈয়দ নজরুল ইসলাম এম এ অর্জন করেছিলেন এবং ১৯৫৩ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।
রাজনীতি জীবন - সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৫৭ সালে তার নিজস্ব জেলা ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি ধীরে ধীরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আরও বিশ্বস্ত হওয়ার ফলে ১৯৬৬-৬৯ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।এরপরে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরে তিনি বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মৃত্যু - ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় তিন নেতার সাথে সৈয়দ নজরুল ইসলাম কেও হত্যা করেছিলেন।
ক্যাপ্টেন মনসুর আলী
জন্ম - ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ১৯১৯ সালে সিরাজগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
শিক্ষাজীবন - ১৯৪৫ সালে ক্যাপ্টেন মনসুর আলী অর্থনীতি থেকে এমএ পাস করেন। এর পরে তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে আস্তে আস্তে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
রাজনীতি জীবন - ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত তিনি পাবনা জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং নির্বাচনে পাবনা-১ আসনের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাথে লড়াই করেন। এতে ক্যাপ্টেন মনসুর আলী জয়লাভ করেছিলেন।
মৃত্যু - বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসের অন্যান্য হত্যা করা হয়েছিল।
বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হায়াত মোহাম্মদ কামরুজ্জামানঃ
জন্ম - আবুল হায়াত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এর জন্ম ১৯২৩ সালে বাংলাদেশের নাটোর জেলা।
শিক্ষাজীবন - কামরুজ্জামান বাংলাদেশের রাজশাহী শহরের কলেজিয়েট স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৪৪ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি কলকাতায় উচ্চশিক্ষার জন্য চলে যান সেখানে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯৪৬ সালে অর্থনীতিতে অনার্স পাস করেন।
রাজনৈতিক জীবন - ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি মুসলিম ছাত্রলীগের রাজশাহী জেলা শাখার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৪৩-১৯৪৫ সাল পর্যন্ত তিনি মুসলিম ছাত্রলীগের নির্বাচিত সভাপতি হন। ১৯৫৬ সালে আবুল হায়াত কামরুজ্জামান আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।১৯৭২-১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কামরুজ্জামান।
মৃত্যু - ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশের অন্যান্য ৩ জন এর সাথে কামরুজ্জামান কে হত্যা করা হয়েছিল।
জাতীয় চার নেতার পরিবার
প্রিয় বন্ধুরা আমরা ইতিমধ্যেই মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা সহ আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি। একজন প্রকৃত বাঙালি হিসেবে অবশ্যই আমাদের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে থাকা প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস হল এক ঐতিহাসিক ইতিহাস। জাতীয় চার নেতার পরিবার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হয় - মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং
সৈয়দ নজরুল ইসলাম পরিবারঃ
বাংলাদেশের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলামের ৫ সন্তান তাদের মধ্যে একমাত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম রাজনীতির সাথে এখন পর্যন্ত যুক্ত রয়েছেন। এবং বাকি চারজন সন্তান এর মধ্যে কেউ রাজনীতির সাথে যুক্ত হননি। অন্যান্য সন্তান গুলোর নাম হল মেজর জেনারেল সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম, সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, এছাড়া দুইজন কন্যা সন্তান রয়েছে।
তাজউদ্দিন আহমেদ এর পরিবারঃ
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ। তিনি বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার পরিবারের মধ্যে তার স্ত্রী তার মেয়ে এবং একজন ছেলে সরাসরি রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে। তাজউদ্দিন আহমেদের অন্য দুই মেয়ে রয়েছে যারা রাজনীতির সাথে কখনো নিজেদের জড়াননি।
মনসুর আলী পরিবারঃ
বঙ্গবন্ধুর অন্যতম একজন সহযোগী ছিলেন মনসুর আলী। তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তাঁর দুই ছেলে এবং একজন নাতি সরাসরি রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে। মনসুর আলীর তিনজন ছেলে রয়েছে তারা তার মধ্যে দুইজন মোহাম্মদ নাসিম, মোহাম্মদ সেলিম রাজনীতিতে জড়িত রয়েছে।
এএইচএম কামরুজ্জামান পরিবারঃ
বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন এএইচএম কামরুজ্জামান। এএইচএম কামরুজ্জামান এর ৬ জন সন্তান রয়েছে তাদের মধ্যে শুধুমাত্র খায়রুজ্জামান লিটন রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে। এবং কামরুজ্জামান এর ছেলের মেয়ে অর্থাৎ খায়রুজ্জামানের মেয়ে আনিকা সাদিয়া অর্ণা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকাঃ উপসংহার
প্রিয় বন্ধুরা মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা সহ জাতীয় চার নেতা সম্পর্কে আরো অনেকগুলো তথ্য আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরেছি। আশা করি আপনি আমাদের এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের উপরে তথ্যগুলো জানাতে পেরে আমরা আসলেই খুবই আনন্দিত। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।২০৮৭৬
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url