১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানের ০৭টি প্রধান বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশের সংবিধান গঠিত হয়েছিল ১৯৭২ সালে। আপনি যদি ১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলে আমি ১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্যসহ সংবিধান কি,সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতিসহ আরও অনেক কিছু আলোচনা করবো।তাই ১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
নিচে সংবিধান কি,সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্যসহ সকল বিষয় ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে।আপনি এখান থেকে খুব সহজেই ১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।তাই দেরি না করে ১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে নিন।
পেজ সুচিপত্রঃ ১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য
সংবিধান কি
সংবিধান হচ্ছে একটি দেশের রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ আইন। একটি রাষ্ট্রের সরকারব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিষ্ঠিত নিয়মের একটি সংস্থা হচ্ছে সংবিধান। সংবিধানে রাষ্ট্রের আইন কানুন এবং নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে বলা থাকে। সংবিধান সরকারের কাঠামো এবং ক্ষমতার সাথে সম্পর্কিত।
সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস
আমাদের দেশের আজকের যে সংবিধান সেই সংবিধানটি হচ্ছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। বাংলাদেশের এই সংবিধানটি হুট করে এমনি এমনি তৈরি হয়নি। বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস রয়েছে। একজন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস জানা অবশ্যই জরুরি।
স্বাধীনতা যুদ্ধে জয় অর্জনের পর দেশকে পরিচালনার জন্য সংবিধান প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এবং সংবিধান প্রণয়নের জন্য ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি পদে ৩৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই বছর ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করেন এবং জনগণের মতামত সংগ্রহ করার চেষ্টা করেন। সংগৃহীত মতামত থাকে ৯৮ টি মতামত বা সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ স্বাধীনতার ঘোষণা ও ইশ্তেহার পাঠ করেন কে
সেই সময়ে আইনমন্ত্রী ডঃ কামাল হোসেন ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে খসড়া সংবিধান প্রণয়ন করেন।তারপর ১২ নভেম্বর ১৯৭২ সালে এই খসড়া সংবিধানটি গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের সংবিধানটি কার্যকর হয়।১৯৭২ সালের এই সংবিধানের কিছু বৈষিষ্ট্য রয়েছে।এখন তাহলে ১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানুন।
১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য
১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সমূহ হচ্ছে-
- বাংলাদেশের সংবিধান লিখিত সংবিধান
- বাংলাদেশের সংবিধান হচ্ছে দুষ্পরিবর্তনীয়
- প্রজাতন্ত্র
- সংসদীয় গণতন্ত্র
- ন্যায়পাল পদবী
- এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা
- সার্বজনীন ভোটাধিকার ইত্যাদি।
উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সমূহ। এসব বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান গঠিত হয়েছিল। আশা করি ১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আপনি অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন।
১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি
সংবিধান হচ্ছে একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। ১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রচিত সংবিধানের মূলনীতি হচ্ছে চারটি।১৯৭২ সালের সংবিধানের মূলনীতি কি এই বিষয়টি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের সকলের জানা প্রয়োজন। বর্তমান সংবিধানের মূলনীতি এবং ১৯৭২ সালের সংবিধানের মূলনীতি এর মধ্যে একটু পার্থক্য রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধু কখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন
১৯৭২ সালের সংবিধানের মূলনীতি ছিল জাতীয়তাবাদ,গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা। পরবর্তীতে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এ চারটি মূলনীতির কিছু সংযোজন করা হয় তা হচ্ছে-জাতীয়তাবাদ,সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি,গণতন্ত্র ও মানবাধিকার এবং ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা।
সংবিধান প্রণয়নের পদ্ধতি
আমাদের দেশের আজকের যে সংবিধান সেই সংবিধানটি হচ্ছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন।যে কোন দেশের সংবিধান এমনি এমনি প্রণয়ন সম্ভব নয়। সংবিধান প্রণয়নের কিছু পদ্ধতি রয়েছে। যেসব পদ্ধতি অনুযায়ী প্রায় প্রতিটা দেশের সংবিধান রচিত বা প্রণীত হয়েছে। ঠিক একইভাবে আমাদের বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের সবাই কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছে। সংবিধান প্রণয়নের পদ্ধতি গুলো হচ্ছে-
গণপরিষদের মাধ্যমে সংবিধান প্রণয়ন করা যায়। গণপরিষদের মাধ্যমে সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে একটি গণপরিষদ তৈরি করতে হয়। এই গণপরিষদের সদস্য একটি খসড়া সংবিধান প্রণয়ন করে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভোটে তা সংবিধান হিসেবে গৃহীত হয়। এছাড়াও ক্রমবিবর্তন পদ্ধতি, অনুমোদন পদ্ধতি, বিপ্লব ইত্যাদির মাধ্যমে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়।
প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য ছাড়াও এ আর্টিকেলে সংবিধান কি,সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাসসহ আরো অনেক কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন। আশা করি এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেশি বেশি জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন,21021.
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url