OrdinaryITPostAd

রবিউল আউয়াল মাসের বয়ান - রবিউল আউয়াল মাসের খুতবা

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা রবিউল আউয়াল মাসের বয়ান সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা অনেকেই অবগত আছি কে এখন হিজরী মাসের রবিউল আউয়াল মাস চলছে। এই মাসের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য অনেক। তাই অনেকে রবিউল আউয়াল মাসের খুতবা সম্পর্কে জানতে চাই। আজকে আমরা রবিউল আউয়াল মাসের বয়ান সম্পর্কে আপনাদের জানাবো

আপনি যদি রবিউল আউয়াল মাসের বয়ান সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্ট জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন দেরি না করে রবিউল আউয়াল মাসের বয়ান - রবিউল আউয়াল মাসের খুতবা সম্পর্কে জেনে নেই।

পেজ সূচিপত্রঃ রবিউল আউয়াল মাসের বয়ান - রবিউল আউয়াল মাসের খুতবা

১২ রবিউল আউয়াল কখন

আসসালামু আলাইকুম সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তাআলার। যিনি আমাদের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা। আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টটি পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই রবিউল আউয়াল মাসের সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে ধৈর্য ধরে আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। আশা করি আপনি রবিউল আউয়াল মাসের বয়ান সম্পর্কে জানতে পারবেন। তার আগে চলুন ১২ রবিউল আউয়াল কখন এই সম্পর্কে জেনে নেই।

আরো পড়ুনঃ রোজার ঈদ ২০২৩ কত তারিখে

ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১২ রবিউল আউয়াল হবে অক্টোবর মাসের ৯ তারিখ রবিবার। এই তিনটি হলো হিজরী রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ অর্থাৎ আমাদের সকলের কাঙ্খিত ১২ রবিউল আউয়াল। এই দিনের তাৎপর্য এবং গুরুত্ব রয়েছে। আপনি জানতে পারলেন যে ১২ রবিউল আউয়াল কখন পালিত হবে।

১২ই রবিউল আউয়াল ও ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে আরও কিছু পোস্ট

ঈদে মিলাদুন্নবী কত তারিখে ২০২২

আমরা ইতিমধ্যে ১২ রবিউল আউয়াল কখন এ সম্পর্কে জেনে এসেছি। আপনি যদি ওপরে ভালোমতো করে থাকেন তাহলে ইতিমধ্যে আপনি এ সম্পর্কে জেনে গিয়েছেন। তবুও আপনাদের জন্য ঈদে মিলাদুন্নবী কত তারিখে ২০২২ তা নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন ঈদে মিলাদুন্নবী কত তারিখে ২০২২ তা জেনে নেই।

হিজরী বছর অনুযায়ী এখন চলছে রবিউল আউয়াল মাস। রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ পালিত হয় ঈদে মিলাদুন্নবী। ইংরেজি সাল অনুযায়ী ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হবে অক্টোবর মাসের ৯ তারিখ রোজ রবিবার। এই দিনে বাংলাদেশ ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হবে।

রবিউল আউয়াল মাসের বয়ান

সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তাআলার। তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই পোস্টটি আমরা রবিউল আউয়াল মাসের বয়ান সম্পর্কে আলোচনা করব। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা রবিউল আউয়াল মাসের ও গুরুত্ব এবং তাৎপর্য সম্পর্কে জানে। তাই রবিউল আউয়াল মাসের বয়ান সম্পর্কে জানতে চাই। আজকের এই পোস্টটি শুধুমাত্র তাদের জন্য। তাহলে চলুন রবিউল আউয়াল মাসের বয়ান সম্পর্কে জেনে নেই। এরপরে আমরা রবিউল আউয়াল মাসের খুতবা সম্পর্কে জানব।

আমরা সকলেই জানি যে আমাদের সবার প্রানের থেকে প্রিয় হলো আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ। তিনি আমাদের প্রাণের থেকেও প্রিয়। যাকে মানুষ সবসময় শ্রদ্ধাভরে মন থেকে স্মরণ করে। আমলের দিক দিয়ে মানুষের মধ্যে যতই কমতি থাকুক না কেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ভালবাসার কোন কমতি নেই। যার প্রাণে আল্লাহ তাআলার ভালবাসা এবং ভয় রয়েছে তার প্রাণে নবীজির ভালবাসা থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

আল্লাহ তা'আলা বলেন, " যারা ঈমানদার তাদের মহব্বত গভীর হওয়া স্বাভাবিক"। আল্লাহতালা আবার বলেন, " হে রাসুল! আপনি বলে দিন যে যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবেসে থাকো, তাহলে আমার অনুকরণ করো, তাহলে আল্লাহ তা'আলা তোমাদের ভালোবাসবেন"। এ থেকে বোঝা যায় যে একজন মুমিন ব্যক্তি এক মাত্র আল্লাহ তাআলাকে ভালবাসবেন এবং আল্লাহ তালাকে ভালোবাসার একমাত্র পথ হচ্ছে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

আরো পড়ুনঃ ঈদুল আযাহা ২০২৩ কত তারিখে

আল্লাহ তাআলা পিতা-মাতা ভাই-বোন স্ত্রী-পুত্র সকলকে ভালোবাসা বক্তব্য বলেছেন কিন্তু সকলের ভালোবাসা যেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর থেকে বেশি না হয়। রাসুলুল্লাহ সাঃ এর জন্য ভালোবাসা বোঝার সবথেকে সহজ উপায় হল অন্য কোন মানুষের প্রতি ভালবাসার দাবি পূরণ করতে গিয়ে যদি আমাদের প্রিয় নবীর নাফরমানী করা হয় তাহলে বুঝতে হবে রাসূলের প্রতি ভালোবাসা অন্যদের তুলনায় কম।

একজন মুমিনের মনের ভেতরে রাসূলের প্রতি যে ভালোবাসা প্রবাহিত হয় রবিউল আউয়াল মাসে তা অনেক বেশি বেড়ে যায়। সীরাতুন্নবী এত চর্চা আর অন্য কোন মাসে কখনো হয়না। এ সময় মাহফিল, ইসলামিক অনুষ্ঠান মসজিদে বাড়িতে সব জায়গাতে আয়োজন করা হয় এবং আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনের শিক্ষনীয় বিষয় গুলো ইসলামিক চিন্তাবিদ এবং ওলামাকেরাম আলোচনা করেন।

এই মাসে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি প্রচুর পরিমাণে দুরুদ এবং সালাম পেশ করা হয়। হিজরী বছরের রবিউল আউয়াল মাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ১২ রবিউল আউয়াল মুসলিমদের ঘরে ঘরে দোয়া মাহফিল এবং দুরুদ পাঠ করা হয়। তবে মুসলমানের সব কাজে একমাত্র আল্লাহ তাআলা এবং নবীজির শেখানো তরিকা অনুযায়ী করতে হবে।

১২ রবিউল আউয়াল বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়। অথচ তিনি এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন কিন্তু এই দিনে মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয় না। আমরা দেখতে পাই যে মহৎ ব্যক্তিদের জন্মদিন এবং মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন আমাদের বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যু দিবস কেন পালন করা হয় না?

আপনি যদি চান তাহলে মিলাদুন্নবী পালন করতে পারেন কিন্তু আপনাকে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে মিলাদুন্নবী পালন করতে গিয়ে আপনি কোন হারাম কাজে লিপ্ত না হয়ে যান। যেমন নারী-পুরুষের একসাথে চলাফেরা করা গান-বাজনা করা ইত্যাদি এসব কখনও যুক্ত হওয়া যাবে না। আপনি এই দিনে এবাদত করতে পারেন যেমন আল্লাহ তায়ালার জিকির করতে পারেন নবীজীর প্রতি দরুদ পড়তে পারেন। নবীজিকে সালাম পৌছাতে পারেন ইত্যাদি আরো অনেক ভালো কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি করতে পারেন।

রবিউল আউয়াল মাসের খুতবা

প্রিয় পাঠকগণ আমরা ইতিমধ্যে রবিউল আউয়াল মাসের বয়ান সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনারা হয়তো সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। তাহলে চলুন এখন আমরা রবিউল আউয়াল মাসের খুতবা সম্পর্কে জেনে নেই। আমরা অনেকেই জানি যে রবিউল আউয়াল মাস হল হিজরী বছরের তৃতীয় মাস। রবিউল আউয়াল মাসের অনেক ফজিলত এবং গুরুত্ব রয়েছে। এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলো এই মাসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছিলেন।

এছাড়াও এই তিনের আরো অনেক গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু আমরা মুসলমানরা একটু বেশি আবেগী হওয়ার কারণে এই দিনটিকে আমরা বিভিন্ন রকম আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করে থাকি। এর মূল কারণ হলো এই দিনে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এই পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা এই দিনটি ঈদের মতো করে পালন করে। তাই এই দিনটিকে ঈদে মিলাদুন্নবী বলা হয়।

কিছু লোক রয়েছে যারা এই দিনটি গান-বাজনা এবং অনেক আনন্দ উল্লাস এর সাথে পালন করে থাকেন। বড় কথা হচ্ছে যে ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে কোনো হাদিস পাওয়া যায়নি। যদি পাওয়া যেত তাহলে বড় বড় সাহাবীগণ অবশ্যই এটি উল্লেখ করতেন। কারণ আমাদের থেকে কয়েক শ গুণ বেশি সাহাবীগণ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসতেন। তারা আমাদের প্রিয় নবীর জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত ছিলেন।

আরো পড়ুনঃ বাংলা ইংরেজি আরবি মাসের কত তারিখ আজ

আমাদের নবী বেঁচে থাকার সময় অথবা ইন্তেকাল করার পর ও এরকম কখনো আচার-অনুষ্ঠান এর পালন করা হয়নি। কারণ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মদিন পালন করতে নিষেধ করেছেন। যদিও ধরা হয় ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করতে পারেন তাহলে আপনাকে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে কোনো রকম খারাপ কাজে না জড়িত হওয়া যায়। যেমন এখন দেখা যায় যে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করতে গিয়ে গান বাজনা নারী পুরুষ একসাথে হওয়া আরো অনেক খারাপ কাজ সংঘটিত হয়।

আমাদের প্রিয়নবী তো আমাদের এই শিক্ষা দিয়ে যাননি। তাই আপনি যদি একান্তই ভাবে নবীজির জন্ম দিন পালন করতে চান তাহলে এই দিনে আপনি অনেকগুলো আমল রয়েছে যেগুলো করতে পারেন। এতে করে আপনার গুনহা হলো না এবং আপনি এর থেকেও বেশি সওয়াব অর্জন করলেন। যেমন আপনি এই দিনে বেশি বেশি দোয়া করতে পারেন। এই দিনে বেশি নবীজির উপর দুরুদ করতে পারেন। আমাদের নবীজি সাঃ কে সালাম পেশ করতে পারেন। আরো অনেক কাজ রয়েছে।

শেষ কথাঃ রবিউল আউয়াল মাসের বয়ান - রবিউল আউয়াল মাসের খুতবা

আপনারা যারা রবিউল আউয়াল মাসের বয়ান সম্পর্কে জানতে চেয়ে ছিলেন তাদের জন্য ওপরে এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি রবিউল আউয়াল মাসের বয়ান সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনাকে সম্পূর্ন পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি রবিউল আউয়াল মাসের খুতবা সম্পর্কে জানতে পারবেন। একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমাদের এই সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।

আপনাদের জন্য আজকের এই পোস্ট টি তৈরি করা। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url