OrdinaryITPostAd

রবিউল আউয়াল মাসের ১২টি ফজিলত ও আমলের বিস্তারিত

আপনি কি রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা অনেকেই অবগত আছি যে এখন হিজরী বছরের রবিউল আউয়াল মাস চলছে। এই মাসের অনেক ফজিলত এবং গুরুত্ব রয়েছে তাই আজকে আমরা রবিউল আউয়াল মাসের আমল সম্পর্কে জানব।

আপনি যদি রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্ট জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন দেরি না করে রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জেনে নেই।

পেজ সূচিপত্রঃ রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত ও আমল

মিলাদুন্নবী কখন

আপনারা অনেকেই অবগত আছেন যে এখন হিজরি বর্ষের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল মাস চলছে। রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয়। তাই অনেকেই আছে যারা মিলাদুন্নবী কখন পালিত হবে এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চাই। আজকের এই পোস্টে আমরা মূল আলোচনার বিষয় হলো রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জানা। তার আগে চলুন মিলাদুন্নবী কখন অনুষ্ঠিত হবে তা জেনে নেই।

আরো পড়ুনঃ ইনশাআল্লাহ শব্দের অর্থ কি

ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৯ অক্টোবর, রোজ রবিবার ১২ রবিউল আউয়াল অর্থাৎ ঈদে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠিত হবে। তাহলে মিলাদুন্নবী কখন অনুষ্ঠিত হবে আশা করি তা বুঝতে পেরেছেন। তাহলে চলুন এখন আমরা রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জেনে নেই।

১২ই রবিউল আউয়াল ও ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে আরও কিছু পোস্ট

রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি যদি রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্ট জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত সম্পর্কে জেনে নেই। আমরা অনেকেই এটা জানি যে রবিউল আউয়াল মাস হল হিজরী বর্ষের তৃতীয় মাস। হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্ম এর কারণে এই মাসের মর্যাদা আরো বেশি।

আল্লাহতালাকে ভালোবাসার ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা সূরা আল ইমরান এর ৩১ নাম্বার আয়াতে বলেছেন, " হে নবী আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো তাহলে আমাকে অনুসরণ করো যাতে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসেন এবং তোমাদেরকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেয়। আল্লাহ হলেন ক্ষমাশীল দয়ালু"।

প্রকৃত মুসলিম হিসেবে বাঁচতে হলে আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালবাসতে হবে এবং তার দেখানো পথ এবং জীবন-যাপন আমাদের অনুসরণ করতে হবে। এ ব্যাপারে ইমাম বুখারী রহঃ তাঁর কিতাবে লিখেছেন" নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভালোবাসা ঈমানের অঙ্গ"।

একজন বিশিষ্ট সাহাবী আনাস রাঃ হতে বর্ণিত, " রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ওই সত্তার শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ, তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ আমি তার নিকট নিজ পিতা মাতা সন্তান এবং সকল আত্মীয়-স্বজন সফল মানুষ হতে প্রিয় না হব।"

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের জনপ্রিয় ৪০ জন আলেম

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের জন্য রয়েছে শিক্ষণীয় বিষয়। আল্লাহ তা'আলা বলেন, " তোমাদের মধ্য থেকে যারা পরকালে আল্লাহর সাক্ষাতের আশা রাখে আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মাঝে রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ"। আমাদের প্রিয় নবীর জন্মদিন স্মরণ করে রাখার জন্য এবং তার আদর্শ অনুযায়ী জীবন গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি মুসলমান ১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী বা ইবাদত বন্দেগীর সাথে পালন করে থাকে।

আমাদের উচিত আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের এই মাসকে কেন্দ্র করে আরো বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগী করা। আল্লাহর কাছে বেশি দোয়া করা বেশি বেশি নামাজ পড়া কোরআন তেলাওয়াত করা। বেশী বেশী দরুদ পাঠ করা। বেশি বেশি সালাম দেওয়া এবং আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর আদর্শ নিজের জীবন গড়ে তোলা।

মা খাদিজাতুল কুবরা রাঃ এর সঙ্গে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিণয় হয়েছিল ১০ রবিউল আউয়াল মাসের। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম হিজরতের উদ্দেশ্যে ১ রবিউল আউয়াল সূচনা করেছিলেন। তিনি ১২ রবিউল আউয়াল মদিনায় গিয়ে পৌঁছে ছিলেন।

রবিউল আউয়াল মাসের আমল

প্রিয় পাঠকগণ আমরা রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে আলোচনা করছি। ইতিমধ্যে আমরা রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত সম্পর্কে জেনে গিয়েছি। এখন আমরা রবিউল আউয়াল মাসের আমল সম্পর্কে জানব। আমরা সকলেই জানি যে রবিউল আউয়াল মাস হলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি মাস। তাহলে চলুন রবিউল আউয়াল মাসের আমল গুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

রবিউল আউয়াল মাসের প্রথম তারিখের রাত্রি ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এড়াতে মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। অপরদিকে হযরত আলী রাঃ শত্রুদের কে বিস্মিত করার লক্ষ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিছানাতে শুয়ে ছিলেন। তখন তার সম্পর্কে সূরা বাকারা ২০৭ নম্বর আয়াত নাযিল হয়েছিল। তাই আওয়াল মাসের প্রথম দিন রোজা রাখা হচ্ছে মুস্তাহাব।

৯ রবিউল আউয়ালঃ

এই দিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। উত্তর দিনে আল্লাহতালার শুকরিয়া আদায় করা এবং মুসলিমদের পোশাক এবং খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে মুস্তাহাব। কারণ এই দিনে হযরত ইমাম মাহাদী আঃ এর ইমামতের প্রথম দিন।

১০ই রবিউল আউয়ালঃ

ইসলামের ইতিহাসে এই দিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। কারণ এই দিনে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর সাথে হযরত খাদিজাতুল কুবরা রাঃ এর বিবাহ সংঘটিত হয়েছিল। তাই দিনটি বিশেষ ভাবে মর্যাদাপূর্ণ দিন।

১২ রবিউল আউয়ালঃ

এই দিনে হযরত মুহাম্মদ সাঃ মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করে এই দিনে পৌঁছেছিলেন। তাই বিশেষ করে এই দিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে বিশেষ কিছু আমল রয়েছে যেমন রোজা রাখা। দুই রাকাত নামাজ আদায় করা যার প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার পর তিনবার সূরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার পরে সূরা ইখলাস করতে হবে।

রোজা রাখাঃ ইমাম আঃ হতে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্মদিনে যে ব্যক্তি রোজা রাখবে আল্লাহ তাআলা তাকে এক বছর রোজা রাখার সমপরিমাণ সওয়াব প্রদান করবেন। দান সদকা করতে হবে। মুসলমান ভাই বোনদের উপহার দিতে হবে অথবা খাওয়াতে হবে। বেশি বেশি নবীর উপর দরুদ পাঠ করতে হবে। বেশি বেশি হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে সালাম পেশ করতে হবে।

রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব

প্রিয় পাঠক আমরা ইতিমধ্যে রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জেনে গিয়েছি। আমরা সকলেই জানি যে রবিউল আউয়াল মাস একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ মাস। হিজরী বর্ষের তৃতীয় মাস হল রবিউল আউয়াল মাস। হিজরী বর্ষের প্রায় প্রতিটি মাস আল্লাহ তাআলার কাছে প্রিয় এবং সবগুলোর কিছু-না-কিছু ফজিলত এবং গুরুত্ব রয়েছে। ঠিক তেমন রবিউল আউয়াল মাসের আরো বেশি গুরুত্ব রয়েছে কারণ এই মাসে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন।

আরো পড়ুনঃ আলহামদুলিল্লাহ শব্দের বাংলা অর্থ কি

এই কথাটা আপনি বুঝতে পারছেন যে রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব কত বেশি। প্রকৃত মুসলিম হিসেবে বাঁচতে হলে আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালবাসতে হবে এবং তার দেখানো পথ এবং জীবন-যাপন আমাদের অনুসরণ করতে হবে। এ ব্যাপারে ইমাম বুখারী রহঃ তাঁর কিতাবে লিখেছেন" নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভালোবাসা ঈমানের অঙ্গ।"

উক্ত কথা থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে আমাদের প্রিয় নবী কে আমাদের জীবনের থেকেও বেশি ভালবাসতে হবে। আপনি যদি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে ভালবাসতে পারেন তাহলে আল্লাহ তাআলা আপনাকে ভালবাসবেন এবং আপনার সকল পাপ এবং অপকর্ম ক্ষমা করে দেবেন ইনশাআল্লাহ। তাই এই মাসে আমরা উক্ত আমলগুলো করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

শেষ কথাঃ রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত ও আমল

আজকে আমাদের এই পোষ্টের মূল আলোচনার বিষয় ছিল রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত ও আমল নিয়ে। যা আমরা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছি। আপনি যদি রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব এবং ফজিলত সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ একজন মুসলিম হিসেবে আপনার অবশ্যই রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জেনে থাকা উচিত।

এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url