OrdinaryITPostAd

ঈদে মিলাদুন্নবী কেন পালন করা হয়? রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন

ঈদে মিলাদুন্নবী কেন পালন করা হয়? রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয়ে থাকে। ঈদে মিলাদুন্নবী কেন পালন করা হয়? এবং কোন কোন দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয় সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হবে। চলুন দেখে নেয়া যাক ঈদে মিলাদুন্নবী কেন পালন করা হয়? 

পেজ সূচিপত্র: ঈদে মিলাদুন্নবী কেন পালন করা হয়? - রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন

ঈদে মিলাদুন্নবী কেন পালন করা হয়? - রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন: ভূমিকা

যারা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে তারা মনে করে যে ১২ই রবিউল আওয়ালে রাসুল (সাঃ) জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আর এ কারণেই তারা এই দিবসটি কি আনন্দের দিন হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। যদিও এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠানের কোরআন হাদিসের কথা উল্লেখই নেই।  তারপরেও এই অনুষ্ঠানটি অনেকে পালন করে থাকে। যাই হোক চলুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয় এবং ঈদে মিলাদুন্নবী কেন পালন করা হয়?

১২ই রবিউল আউয়াল ও ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে আরও কিছু পোস্ট

একটি বিষয় সবসময় আমাদের মনে রাখতে হবে, তা হলো কখনোই আমাদেরকে বিজাতিদের কালচার গ্রহণ করা যাবেনা। জন্মদিন সহ যে কোন দিবস পালন করা মুসলমানদের কাজ নয়। তা অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীদের কাজ তাই যা ইসলাম অনুমোদন করে না তা কখনো আমাদেরকে অনুসরণ করা যাবে না। 

যা ইসলামে গন্ডির ভিতর নেই এমন কোন কাজ যদি আপনি সওয়াব এর উদ্দেশ্যে করে থাকেন তাহলে সেটা বিদাআত হবেআর যারা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে তারা মূলত এই অনুষ্ঠানটিকে বা এই দিবসটিকে ঈদ হিসেবে বিবেচনা করে এবং তারা মনে করে এই ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করলে তারা অনেক সওয়াবের অধিকারী হবে যেহেতু এই ধরনের কোন রীতি রেওয়াজ ইসলামের যুগে ছিল না সুতরাং এটি অবশ্যই একটি বেদাআত কাজ যা আমাদেরকে পরিহার করতে হবে। 

ঈদে মিলাদুন্নবী কেন পালন করা হয়?

তথাকথিত সুন্নিরা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে থাকে, রাসূল (সাঃ) এর জন্মদিন উপলক্ষে। যদিও রাসুল সাঃ রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কিনা সে ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়েছে।কিছু কিছু বিশেষজ্ঞের মতে রাসুল সাঃ বিলাবল মাসের ৯ তারিখে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যাইহোক যদি ১২ তারিখ জন্মদিন হয়ে থাকে তাহলে কি তা পালন করা যাবে? ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কি? চলুন দেখে নেয়া যাক, ঈদে মিলাদুন্নবী কেন পালন করা হয়? এবং কেন ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা উচিত নয়।

জন্মদিন পালন করা মুসলমানদের রীতিবিরুদ্ধ। রাসূল (সাঃ) কখনো জন্মদিন পালন করেননি এবং তিনি জন্মদিন পালন করার কথা কাউকে বলেননি। এবং এই জন্মদিন পালন করা হলো খ্রিস্টান হিন্দুসহ মুসলিমদের কাজ আর অমুসলিমদের রীতি নীতি গ্রহণ করা কখনই উচিত নয়। বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কৃতি এবং রেওয়াজ, রসমের বিপরীতে ইসলামে রয়েছে সুস্থধারার সংস্কৃতি। 
ইসলাম একমাত্র ধর্ম যেখানে অবিকৃত এবং কিয়ামত পর্যন্ত অবিকৃত অবস্থায় থাকবে এবং ইসলাম হচ্ছে পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা এখানে কোন কিছু নতুন ঘরে প্রবেশ করানোর কোনো সুযোগ নেই এবং এখান থেকে কোন কিছু বাদ দেওয়ারও উপায় নেই। অর্থাৎ পবিত্র কুরআন ও হাদীসে রয়েছে সেগুলি আমাদেরকে পালন করতে হবে।

রাসূল(সাঃ)সাল্লাল্লাহু সালামের সাহাবীগণ সবচেয়ে বেশি ভালবাসতেন, অথচ তারা কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর প্রতি ভালবাসার দোহাই দিয়ে কখনই তার জন্মদিন পালন করেননি। যা অনুমোদন করে নাই সাহাবীগণ পালন করেননি সেটি আপনি কিভাবে করতে পারেন? 

তাই যে কোনো ধরণের আমল করার পূর্বে অবশ্যই আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে এবং যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে যে তা ইসলাম অনুমোদন করে কিনা? কেননা না-জেনে যদি আপনি কোন আমল করেন তাহলে তাতে পাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবী কেন পালন করা হয়? আশা করি এই প্রশ্নের উত্তর আপনি পেয়েছেন। 

কোন কোন দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয়? 

ঈদে মিলাদুন্নবী কেন পালন করা হয়? তা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয়ে থাকে। যে সকল দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে তার মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হল বাংলাদেশ বাংলাদেশেও রাষ্ট্রীয়ভাবে এই অনুষ্ঠানটি পালন করা হয়। এবং ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সরকারি ছুটি প্রদান করা হয়। যে সকল দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয় সেই দেশগুলোর তালিকা নিচে প্রদান করা হলো। 
আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, বাহরাইন, বাংলাদেশ, বেনিন, ব্রুনাই, বুরকিনা ফাসো, চাদ, মিশর, গাম্বিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, জর্দান, কুয়েত, লেবানন, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মৌরিতানিয়া, মরক্কো, নাইজার, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, সেনেগাল, সোমালিয়া, সুদান, তিউনিসিয়া এবং ইয়েমেনে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে উৎযাপিত হয়।

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে কেন ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয় না?: একটি বিশ্লেষণ

যে সকল রাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয় সেই দেশগুলোর তালিকা থেকে যদি আপনি ভালোভাবে তাকান তাহলে দেখতে পাবেন সেখানে মূলত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর নাম নেই। এখন প্রশ্ন হল যে কেন সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর নাম এই তালিকাটি নেই? তারা কি ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করেনা? যদি তারা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে না থাকে তাহলে কেন ঈদে মিলাদুন্নবী কেন পালন করা হয়? 

প্রথম কথা হলো পবিত্র কোরআন এবং হাদিস সমূহের কোথাও ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করার ব্যাপারে কোন কিছু উল্লেখ করা হয়নি। যা কোরআন এবং হাদীসে নেই তা পালন করার কোন মানে হয় না। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আরবি ভাষাভাষী দেশ তারা কুরআন এবং হাদীসের ব্যাখ্যা অন্যান্যদের এর চেয়ে অনেক বেশি ভালো বুঝতে পারে, তাই খুব সহজে তাদেরকে ধোঁকা দিয়ে এ ধরনের বেদাতী অনুষ্ঠানে যোগদান করা সম্ভব হয় না। বিশ্বের সকল দেশের সাধারন মানুষও কুরআন হাদিস সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখে। তাই খুব সহজে তাদেরকে ধোকা দেয়া সম্ভব নয়।

পক্ষান্তরে যে সকল সাধারণ মুসলিম আরবি সম্পর্কে ধারণা রাখে না এবং ইসলামের প্রতি যাদের ভালোবাসা রয়েছে, তাদেরকে ইসলামের কথা বলে খুব সহজেই প্রভাবিত করা যায়। আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তথাকথিত সুন্নিরা। ইসলামের বুলি আওড়িয়ে সাধারণ মানুষদেরকে বোকা বানিয়ে এ ধরনের বেদাতী অনুষ্ঠান পালন করার জন্য পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। 

নবীর প্রেমের কথা বলে জনসাধারণকে বোকা বানাচ্ছে এবং এমন কিছু কর্মকান্ড করছে যার কারণে সাধারণ মুসলমান ঈমানের দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই অবশ্যই আপনাকে ইসলামের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে কেউ কোনো কিছু বললেই সাথে সাথে সাথে বিশ্বাস করা যাবেনা।

বিষয়টির কুরআন ও হাদীসে রয়েছে কিনা? বা সেটা সঠিক কিনা? তা অবশ্যই আপনাকে যাচাই করতে হবে। যদি নিজে যাচাই করতে না পারেন তাহলে অবশ্যই মুলধারার ভালো কোন আলেমের কাছে আপনাকে পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। ।

ঈদে মিলাদুন্নবী কেন পালন করা হয়? - রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন: উপসংহার

আপনি যদি প্রকৃতপক্ষে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুসারী হয়ে থাকেন তাহলে তার নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। কোরআন হাদিসের বাইরে কোনো আমল করা কখনোই নবীপ্রেমিকদের কাজ হতে পারে না। তাই আপনি যদি রাসূলের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে চান তাহলে তার কথা অনুসরণ করুন। তিনি যা করতে বলেছেন তা করুন এবং যা করতে নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকুন। 
তার আদর্শে আদর্শিত হয়ে নিজ আদর্শবান হন এবং আপনার আশেপাশে যারা রয়েছে তাদের কোন নবীর আদর্শ আদর্শিত করুন ইসলামের বিধি-বিধান মেনে চলুন সব ধরনের পাপ এড়িয়ে চলুন এবং সর্বোপরি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর প্রতি ভালোবাসার নামে যে সকল বেদাত প্রচলিত রয়েছে সেগুলো পরিহার করুন। ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url