ঘূর্ণিঝড়ের ১১টি সংকেত - ঘূর্ণিঝড়ের সময় ১২টি করণীয় - ঘূর্ণিঝড়ের দোয়া
ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত সমূহ নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল সাজানো হয়েছে। আমরা ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঘূর্ণিঝড়ের এক নম্বর সংকেত দুই নম্বর সংকেত এগুলো শুনে থাকি কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত সমূহ সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত সমূহ এর সাথে ঘূর্ণিঝড়ের সময় করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করব।
আপনি যদি ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত সমূহ এবং ঘূর্ণিঝড়ের সময় দোয়া সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্ট জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
পেজ সূচিপত্রঃ ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত সমূহ - ঘূর্ণিঝড়ের সময় করণীয় - ঘূর্ণিঝড়ের সময় দোয়া
- ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত সমূহ - ঘূর্ণিঝড়ের সময় করণীয়ঃ উপস্থাপনা
- ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত সমূহ
- ঘূর্ণিঝড়ের সময় করণীয়
- ঘূর্ণিঝড়ের সময় দোয়া
- শেষ কথাঃ ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত সমূহ - ঘূর্ণিঝড়ের সময় করণীয়
ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত সমূহ - ঘূর্ণিঝড়ের সময় করণীয়ঃ উপস্থাপনা
ঘূর্ণিঝড় একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এখানকার মানুষের প্রাণের ঝুঁকি বেশি থাকে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলীয় অঞ্চল গুলোতে সংকেত দেওয়া হয়। এখন আমরা ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত সমূহ নিয়ে আলোচনা করব এর সাথে ঘূর্ণিঝড়ের সময় দোয়া কোনটি পড়বেন সে সম্পর্কে জানাবো। যেহেতু ঘূর্ণিঝড় একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আল্লাহতালার সৃষ্টি তাই আমাদের আল্লাহতালার কাছে দোয়া করতে হবে। সেজন্য ঘূর্ণিঝড়ের সময় দোয়া সম্পর্কে জানতে হবে।
ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত সমূহ
ঘূর্ণিঝড়ের অস্তিত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সতর্ক সংকেত জারি করা হয়। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রশাসন মাইকের মাধ্যমে সতর্ক সংকেত গুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেই। সমুদ্রবন্দরে ১১টি সতর্ক সংকেতকে বিপদের মাত্রায় ৭ ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো -
আরো পড়ুনঃ মেঘ কিভাবে বৃষ্টি তে পরিণত হয় - মেঘ থেকে কিভাবে বৃষ্টি হয়
- দূরবর্তী সতর্ক সংকেত
- দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত
- স্থানীয় সতর্কতা সংকেত
- স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত
- বিপৎ সংকেত
- মহাবিপদ সংকেত
- যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত
ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত সমূহ ১১ টি তার নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত -
সমুদ্র বন্দর থেকে জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে। দূরবর্তী কোনো এলাকায় একটি ঝড়োহাওয়ার অঞ্চল রয়েছে সেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৬১ কিলোমিটার। এর ফলে সামুদ্রিক ঝড়ের সৃষ্টি হতে পারে।
২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত -
গভীর সাগরে একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে সেখানে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার। সমুদ্র বন্দর এখনই ঝড়ে কবলিত হবে না তবে যে জাহাজগুলো সমুদ্র বন্দর ত্যাগ করেছে সেগুলো বিপদের মুখে পড়তে পারে।
৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত -
সমুদ্র বন্দর এবং সমুদ্র বন্দরে রাখা জাহাজগুলো দুর্যোগ কবলিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণি বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত -
সমুদ্র বন্দর ঘূর্ণিঝড় কবলিত। সেখানকার বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় প্রায় ৫১-৬১ কিলোমিটার। তবে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার মতো বিপদজনক সময় এখনো হয়নি।
৫ নম্বর বিপদ সংকেত -
সমুদ্র বন্দর ছোট কিংবা মাঝারি এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়বে। ঝরে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এই ঝড় টি সমুদ্রবন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
৬ নম্বর বিপদ সংকেত -
সমুদ্র বন্দর অথবা মাজহারী এক সামূদ্রিক ঘূণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার হতে পারে। এ ঘূর্ণিঝড় বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
৭ নম্বর বিপদ সংকেত -
সমুদ্র বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামূদ্রিক ঘূণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘন্টায় প্রায়ই ৬২-৮৮ কিলোমিটার থাকবে। ঝড় টি বন্দরের ওপর এর নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত -
সমুদ্র বন্দর প্রচন্ড সর্বোচ্চ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। এ ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসে সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৮৯ কিলোমিটার অথবা এর বেশি হতে পারে। এই ঝড় টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত -
সমুদ্র বন্দর প্রচন্ড সর্বোচ্চ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। এ ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসে সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৮৯ কিলোমিটার অথবা এর বেশি হতে পারে। এই ঝড় টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত -
সমুদ্র বন্দর প্রচন্ড সর্বোচ্চ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। এ ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসে সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৮৯ কিলোমিটার অথবা এর বেশি হতে পারে।
১১ নম্বর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত -
আবহাওয়ার বিপদ সংকেত প্রদানকারীর কেন্দ্রের সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় আবহাওয়া কর্মকর্তা পরিস্থিতির দুর্যোগপূর্ণ বলে মনে করেন।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় করণীয়
ঘূর্ণিঝড় একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের বেশি প্রভাব দেখা যায়। কারণ ঘূর্ণিঝড় টি বঙ্গোপসাগর থেকে সৃষ্টি হয়ে আসে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের বেশি প্রভাব পড়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল গুলোতে। আমরা ঘূর্ণিঝড় কখনো মোকাবেলা করতে পারবো না কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের সময় আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে যেগুলো মেনে চললে অবশ্যই আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। তাই এখন আমরা ঘূর্ণিঝড়ের সময় করণীয় গুলো জানব।
আরো পড়ুনঃ হাতের লেখা সুন্দর করার ৯ টি উপায় - হাতের লেখা সুন্দর করার উপায়
ঘূর্ণিঝড়ের আগে করণীয় -
১। যেহেতু আমরা এখন অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সময় কাটায় তাই সেখানে বিভিন্ন রকম পোস্ট দেখে আতঙ্কিত না হওয়া।
২। আপনার প্রয়োজনীয় ডিভাইস গুলো যেমন মোবাইল ফোন ল্যাপটপ টর্চ লাইট পাওয়ার ব্যাংক ইত্যাদি ফুল চার্জ করে রাখতে হবে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের পরে তাৎক্ষণিকভাবে কখনোই বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না।
৩। যেহেতু ঘূর্ণিঝড় একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাই এখান থেকে পানিবাহিত রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। পানিবাহিত রোগ বলতে যেমন ডায়রিয়া জ্বর ইত্যাদি এর জন্য আপনাকে অবশ্যই স্যালাইন এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ গুলো নিজের সংগ্রহে রাখতে হবে।
৪। আপনার বাসায় যদি নিচে হয় এবং টিনের তৈরি হয় তাহলে আপনার কাজ হবে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো এমন জায়গায় রাখা যেখানে কখনো পানি ঢুকতে না পারে।
৫। আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার রাখতে হবে কারণ এই সময় বিদ্যুৎ গ্যাস পানি ইত্যাদি সবকিছু বন্ধ থাকতে পারে। তাই নিরাপত্তার জন্য আপনাকে শুকনো খাবার রাখতে হবে।
ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সময় করণীয় -
১। আপনি যদি বাইরে থাকেন এবং ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় তাহলে কখনো খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকবেন না কোন বড় বিল্ডিং এ গিয়ে আশ্রয় নিন যেমন কোন মার্কেট অথবা মসজিদ ইত্যাদি জায়গাতে।
২। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে আপনার বাড়ির সকল ধরনের বৈদ্যুতিক লাইন এবং গ্যাসের লাইন বন্ধ করে দিন।
৩। আপনার ঘরের সকল ধরনের দরজা-জানালা বন্ধ করে দিন যেন বাইরে থেকে কোন ধরনের ময়লা আবর্জনা আপনার ঘরে প্রবেশ করতে না পারে।
৪। যদি জ্যামের মধ্যে কখনো ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় তাহলে গাড়ির দরজা পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন যাতে খুব তাড়াতাড়ি গাড়ির দরজা খোলা যায়।
৫। আপনি যদি বাড়ির নিচতলায় থাকেন অথবা টিনশেড বাসায় থাকেন। আপনার যদি এই বাসা নিরাপদ মনে না হয় তাহলে আপনার নিকটস্থ কোনো আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নিন।
৬। ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন অবস্থায় আপনি কখনো পানি সরাসরি খাবেন না পানি খাওয়ার সময় অবশ্যই পানি ফুটিয়ে খাবেন।
৭। আপনার যদি খুব বেশি প্রয়োজন না হয় তাহলে ঘূর্ণিঝড়ের পর কখনো রাস্তায় যাবেন না কারণ তখন রাস্তাতে ইলেকট্রিক তার ছিঁড়ে পড়ে থাকতে পারে সেখান থেকে আপনার শক খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় দোয়া
ঘূর্ণিঝড় হল প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখানে মানুষের কোন ধরনের হাত নেই। এটা আমাদের মহান আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি। আমাদের ঘূর্ণিঝড় প্রতিহত করার কোনো ক্ষমতা নেই যদি আল্লাহ তাআলা আমাদের উপর রহম না করেন। ঘূর্ণিঝড়ের সময় দোয়া করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঝড় বৃষ্টি হলে দোয়া পড়তেন।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার ১৮ টি উপায়
হযরত আয়েশা রাঃ বলেন, যখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতো এবং ঝড়ো বাতাস বইতে তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেহারায় চিন্তার রেখা ফুটে উঠত। এ অবস্থায় তিনি এদিক-ওদিক পায়চারি করতে থাকতেন এবং নিচের দোয়াটি পড়তেন।
আরবিঃ اَللَّهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ مِنْ خَيْرِ هَذِهِ الرِّيْحِ وَ خَيْرِ مَا فَيْهَا وَ خَيْرِمَا أُمِرَتْ بِهِ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ هَذِهِ الرِّيْحِ وَ شَرِّ مَا فَيْهَا وَ شَرِّ مَا أُمِرَتْ بِهِ
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরি মা ফিহা ওয়া খাইরি মা উমিরাত বিহি, ওয়া নাউজুবিকা মিন শাররি হাজিহির রিহি ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উমিরাত বিহি’ (তিরমিজি, মিশকাত)।
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এ বৃষ্টির কল্যাণ গুলো কামনা করছি এই বৃষ্টিতে যেসব কল্যাণ রয়েছে সেগুলো কামনা করছি এবং এই বৃষ্টির মাধ্যমে প্রেরিত করলেন প্রার্থনা করছি। আর এ বৃষ্টি ও বৃষ্টির মাধ্যমে প্রেরিত সব রকম অকল্যাণ এবং বিপদ থেকে পরিত্রান চাই।
শেষ কথাঃ ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত সমূহ - ঘূর্ণিঝড়ের সময় করণীয়
ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত সমূহ, ঘূর্ণিঝড়ের সময় করণীয় এবং ঘূর্ণিঝড়ের আগে করণীয়, ঘূর্ণিঝড়ের সময় দোয়া কি করতে হবে এসকল বিষয় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল আলোচনা করেছি। আশা করি আপনাকে উক্ত বিষয়গুলো জানতে আমাদের এই আর্টিকেল সাহায্য করবে। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও করতে নিয়মিত আমাদের ফলো করুন।১৬৮৩০
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url