OrdinaryITPostAd

ঘূর্ণিঝড় কেন সৃষ্টি হয় - ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন কিভাবে উৎপত্তি হয়

ঘূর্ণিঝড় কেন সৃষ্টি হয়? তা কি আপনি জানেন ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় সমুদ্র থেকে। সমুদ্রের বায়ুচাপ কমে যাওয়ার কারণে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়। আজকের এ আর্টিকেল এ আমরা ঘূর্ণিঝড় কেন সৃষ্টি হয় এই বিষয় সর্ম্পকে বিস্তারিত ভাবে জানবো। এ আর্টিকেলে ঘূর্ণিঝড় কিভাবে উৎপত্তি হয়নি এই বিষয় সর্ম্পকে আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন ঘূর্ণিঝড় কেন সৃষ্টি হয় এবং ঘূর্ণিঝড় কিভাবে সৃষ্টি হয় তা জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ ঘূর্ণিঝড় কেন সৃষ্টি হয় - ঘূর্ণিঝড় কিভাবে উৎপত্তি হয়

ঘূর্ণিঝড় কেন সৃষ্টি হয় - ঘূর্ণিঝড় কিভাবে উৎপত্তি হয়ঃ উপস্থাপনা

সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণ পানির কারণে বায়ু উত্তপ্ত হয়ে হঠাৎ করেই ঝড়ের সৃষ্টি করে। এভাবেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। আজকের এই পোস্টে আমরা ঘূর্ণিঝড় কেন সৃষ্টি হয় এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। এর সাথে ঘূর্ণিঝড় কিভাবে উৎপত্তি হয়?

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কিভাবে হয় এ সকল বিষয় সম্পর্কে আজকে আলোচনা করা হবে। চলুন ঘূর্ণিঝড় কেন সৃষ্টি হয় এ বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ঘূর্ণিঝড় কেন সৃষ্টি হয়?

সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বাতাস হালকা হয়ে উপরের দিকে উঠে যায়। এবং ওপরে থাকা ঠান্ডা বাতাস নিচের দিকে নেমে আসে। এভাবে নিচের বায়ুমণ্ডলের বায়ুচাপ কমে যায়। যার কারণে আশেপাশের বায়ু ফাঁকা জায়গার বায়ুচাপ পূরণ করার জন্য প্রচন্ড গতিতে এগিয়ে আসে।

আরো পড়ুনঃ ঘূর্ণিঝড় সিএাং কখন কোন এলাকা দিয়ে অতিক্রম করবে ২০২২

এভাবে এ প্রক্রিয়া চলতে থাকে। আবার বায়ুমণ্ডলের বায়ুচাপ কমে যাওয়ার ফলে সেখানকার বাতাসের চাপ সমান করতে আশেপাশের এলাকা থেকে প্রবল গতিতে বাতাস গুলো ছুটে আসে। সাধারণত এই কারণেই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে এ বাতাস ভূমির দিকে এগিয়ে আসে যার ফলে ভূমিধস জলোচ্ছ্বাস বন্যা ইত্যাদির সৃষ্টি হয়।

ঘূর্ণিঝড় কিভাবে সৃষ্টি হয় - ঘূর্ণিঝড় কিভাবে তৈরি হয়?

ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে জানার আগে আপনাকে অবশ্যই ঘূর্ণিঝড় কিভাবে সৃষ্টি হয় এই বিষয় সর্ম্পকে জানতে হবে। কারণ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার একটি প্রক্রিয়া আছে যা বায়ুশূন্য তার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ঘূর্ণিঝড় কেন সৃষ্টি হয় এবং ঘূর্ণিঝড় কিভাবে উৎপত্তি হয় এই বিষয় সর্ম্পকে আলোচনা করব। প্রচলন এখন ঘূর্ণিঝড় কিভাবে সৃষ্টি হয় তা জেনে নেই।

ঘূর্ণিঝড় কিভাবে সৃষ্টি হয় - 

সমুদ্রপৃষ্ঠের কোন স্থানে বায়ুর তাপ বৃদ্ধি পেলে সেখানকার বায়ু উপরে উঠে যায়। যার ফলে বায়ুচাপ ব্যাপকভাবে কমে যায়। এধরনের অবস্থাকে নিম্নচাপ বলে। যার ফলে নিম্নচাপ অঞ্চলে বায়ুর উষ্ণতা দেই। ওই স্থানে বায়ুশূন্য অবস্থায় থাকে বলে আশেপাশের অঞ্চল থেকে প্রবল বেগে ঘুরতে ঘুরতে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে ছুটে আসে। নিম্নচাপ কেন্দ্রমুখী বল ঘূর্ণি বায়ুপ্রবাহকে ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন বলা হয়।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ ও ভারতের ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা সম্পর্কে জেনে নিন

এক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়ের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে মহাসাগরের উষ্ণ ও আদ্র বাতাস। এর কারণ হলো তাপমাত্রার ফলে বাতাস উষ্ণ হয়ে উপরের দিকে উঠে যায়। ঘূর্ণিঝড়ের পাকের গতি যত বেশি বাড়ে এর কেন্দ্রে চোখ উৎপন্ন হয়। যেহেতু ঘূর্ণিঝড়ের জ্বালানি হিসেবে সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা কাজ করে তাই এই ঘূর্ণিঝড় ভূমিতে গিয়ে তার জ্বালানি শক্তি পায় না।

যার ফলে ভূমিতে আসার পর ঘূর্ণিঝড় কম শক্তিশালী হয়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড়ের ব্যক্তি এবং এর গতির উপর নির্ভর করে ভূমিতে এসে ঘূর্ণিঝড় প্রচুর পরিমাণে তাণ্ডব চালায়। সাধারণত ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার মূল কারণ হলো বায়ু শূন্যতা।

ঘূর্ণিঝড় কিভাবে উৎপত্তি হয়

বিষুবীয় অঞ্চলে আদ্র এবং উষ্ণ বাতাস মহাসাগরের পৃষ্ঠ থেকে স্বাভাবিকভাবে উপরের দিকে উঠতে থাকে। এভাবে বাতাস উপরের দিকে উঠে যাওয়ার ফলে মহাসাগরে কম বায়ু চাপের সৃষ্টি হয়। তখন চারপাশ থেকে তুলনামূলক উচ্চ বায়ুচাপ গুলো বাতাস কম বায়ুচাপের এলাকায় প্রবেশ করে। এভাবে প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এভাবে একটি চক্রের সৃষ্টি হয়।

এই বাতাসগুলো ওপরে উঠে ঠান্ডা হওয়ার ফলে বাতাসে অণুগুলো জমাট বেঁধে মেঘের সৃষ্টি করে। ক্রমাগত উষ্ণ এবং আদ্র বাতাস উপরে উঠার ফলে একটি পাকের সৃষ্টি হয়। এই পাক উষ্ণ এবং বাতাস কে সাথে নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে আরো শক্তি সঞ্চয় করে। যার ফলে ঘূর্ণিঝড় ধীরে ধীরে আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সাধারণত এভাবেই ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়।

সমুদ্রের পানি ৮০ ডিগ্রী ফারেনহাইট এর বেশি গরম হয়ে গেলে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা কমপক্ষে ২৬-২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকতে হবে। একটি নির্দিষ্ট গভীরতা পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকতে হয় এজন্যই গ্রীষ্মকালের শেষে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কিভাবে হয়

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে আবহাওয়া সংস্থা। ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করার একটি প্রক্রিয়া রয়েছে যা অনুসরণ করে ঘূর্ণিঝড় এর নামকরণ করা হয়। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা আঞ্চলিক কমিটি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে। ভারত মহাসাগরের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে কয়টি দেশ মিলে একটি সংস্থা।

আরো পড়ুনঃ ঘূর্ণিঝড়ের আপডেট খবর ২০২২ - সিএাং ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ২০২২

যে দেশগুলো ভারত মহাসাগরের নামকরণ করে থাকে সেগুলো হলোঃ

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ওমান এই আটটি দেশ মিলে ভারত মহাসাগরে উৎপত্তি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে। সংস্থার নাম হল WMO/ESCAP। নামকরণ প্রক্রিয়া চালু হওয়ার আগে ঘূর্ণিঝড় কে বিভিন্ন রকম নাম্বার দিয়ে শনাক্ত করা হতো। কিন্তু নাম্বার মানুষের জন্য মনে রাখা একটু কষ্ট সাধ্য তাই নামকরণ পদ্ধতি চালু করা হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ পদ্ধতি চালু করা হয় ২০০৪ সালে। বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর এর উপকূলীয় দেশগুলোর ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু হয়। ওই সময়ে সংস্থার আটটি দেশ মিলে ৬৪ টি নাম প্রস্তাব করেন। যার মধ্যে থেকে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় এর নামকরণ করা হয়।

২০২০ সালে ১৩ টি দেশ মিলে ১৬৯ টি ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে যেসব ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হবে সেগুলোর নাম ইতালিকা থেকেই দেওয়া হবে। ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করার ফলে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান এবং এর শক্তিমত্তা সহজে নির্ণয় করা যায়। মানুষকে সহজেই এ সম্পর্কে সচেতন করা যায়।

ভারত মহাসাগরের ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় সেগুলো কে সাইক্লোন বলা হয়। এবং আটলান্টিক মহা সাগরের যেসব ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় সেগুলো কে হারিকেন বলা হয়।

শেষ কথাঃ ঘূর্ণিঝড় কেন সৃষ্টি হয় - ঘূর্ণিঝড় কিভাবে উৎপত্তি হয়

ঘূর্ণিঝড় কেন সৃষ্টি হয়? ঘূর্ণিঝড় কিভাবে উৎপত্তি হয় এ সকল বিষয় সম্পর্কে আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের আলোচনা করা হয়েছে। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে ঘূর্ণিঝড় কেন সৃষ্টি হয় এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url