ইসলামে ধনী হওয়ার ২০টি উপায় - ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায়
ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় সম্পর্কে হাদিসের বিবরণ রয়েছে। কোরআন এবং হাদিস থেকে ধনী হওয়ার উপায় গুলো জেনে রাখা উচিত। ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায় সম্পর্কিত হাদিস গুলো সহ আরও বিভিন্ন তথ্য নিচে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হবে।
পেজ সূচিপত্র: ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় - ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায়
- ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় - ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায়: উপস্থাপনা
- ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় - ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায়: ইসলামসম্মত ২০ টি উপায়
- ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় - ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায়: ৬টি আমল
- ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় - ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায়: ১০টি ব্যাবসা
- ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় - ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায়: আরো কিছু ব্যবসা
ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় - ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায়: উপস্থাপনা
ধনী হওয়ার জন্য অনেকেই অনেক ধরনের চেষ্টা করে থাকে কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে তাদের চেষ্টায় ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। কেননা তারা সঠিক উপায় টাকা উপার্জন করার চেষ্টা করেনি তাই তাদের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটেছে।
সুতরাং আপনি যদি প্রকৃতপক্ষে ধনী হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় বা ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। চলুন দেখে নেয়া যাক ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় বা ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।
ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় - ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায়: ইসলামসম্মত ২০ টি উপায়
অনেকেই অবৈধ পন্থায় টাকা উপার্জন করে কোটিপতি হয়ে থাকে। টাকা উপার্জন করতে গিয়ে কেউ যদি অসৎ পন্থা অবলম্বন করে তাহলে তার সেই টাকা উপার্জনের মধ্যে কোন সার্থকতা নেই এবং সেই টাকা তার কোনো উপকারে আসবে না বরঞ্চ সেই টাকার জন্য তাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। তাই টাকা উপার্জনের উপায় হিসেবে অবৈধ-পন্থা কে অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
পক্ষান্তরে আপনি যদি হালাল ভাবে ব্যবসা করার মাধ্যমে ধনী হতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই। কেননা ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায় অনেক সাহাবী(রাঃ) অনেক ধনী ছিলেন। তাই ধনী হওয়া খারাপ কিছু নয়। তবে অবৈধ পথ অবলম্বন করা অবশ্যই নিকৃষ্ট কাজ। নিচে ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় বা ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় - ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায়: ৬টি আমল
'আল্লাহুম্মাকফীনী বি-হালালিকা আন-হারামিকা ওয়াআগনিণী বি-ফাদলিকা আম্মান সিওয়াক' এই দোয়া পাঠ করা। উপরোল্লিখিত দোয়াটি নিয়মিত পাঠ করলে ধনী হওয়া যায় বলে মিরকাত শরীফে বর্ণনা করা হয়েছে।
ধনী হওয়ার দোয়া পাঠ করা। নিয়মিত “সুবাহানাল্লহী ওয়া বিহামদীহি সুবাহানাল্লহীল আজীমী ওয়া বিহামদীহি আসতাগফিরুল্লাহ ” এই দোয়া পাঠ করলে ধনী হওয়া যায় বলে বর্ণিত রয়েছে। তবে এই দোয়াটি কতটুক সঠিক তা আমি নিজেই যাচাই করে দেখিনি।
বিবাহ করা। বিবাহ করলে ধনী হওয়া যায় এটি ছিল বাস্তব কথা এবং কুরআন ও হাদীসে এ ব্যাপারে বর্ণনায রয়েছে। তাই আপনি যদি গরিব হয়ে থাকেন এবং ধনী হওয়ার ইচ্ছা থেকে থাকে তাহলে আপনার উচিত হবে বিবাহ করা।
সব সময় ওজু অবস্থায় থাকা। আপনি যদি সব সময় পাক পবিত্র অবস্থায় থাকেন তাহলে আপনি ধনী হতে পারবেন সব সময় ওযু অবস্থায় থাকা ধনী হওয়ার অন্যতম একটি উপায় সুতরাং সহজেই আমলটি করার মাধ্যমে আপনি ধনী হয়ে যেতে পারেন।
আল্লাহর রাস্তায় দান। বাহ্যিক দৃষ্টিতে আপনার কাছে মনে হতে পারে যে দান করলে সম্পদ কমে যায়। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর রাস্তায় দান করলে সম্পদ কখনোই কমে না বরং বৃদ্ধি পায়। তাই আপনি যদি ধনী হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে আল্লাহর রাস্তায় বেশী বেশী দান করা।
হজ্জ্ব করা। ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান হলো হজ। আপনি যদি হজ করেন তাহলে আপনার সম্পদ বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি ধনী হয়ে যাবেন। সুতরাং ধনী হওয়ার অন্যতম আরেকটি উপায় হল হজ করা।আপনি যদি ধনী হতে চান তাহলে হজ্ব করুন।
ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় - ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায়: ১০টি ব্যাবসা
আতর, টুপি ও তসবির দোকান। আপনি যদি আতর, টুপি ও তসবির দোকান দিতে পারেন তাহলে সেই ব্যবসা করে ধনী হতে পারবেন। বিশেষ করে আতরের দোকান যদি মসজিদের সংলগ্ন হয় তাহলে আরো ভালো হয়। আতর, টুপি ও তসবির দোকান দিয়ে খুব সহজেই ধনী হতে পারবেন।
বেকারির ব্যবসা। বেকারী সামগ্রী খুবই চলমান একটি পণ্য তাই আপনি যদি দেখা করতে পারেন তাহলে সেই ব্যবস্থার মাধ্যমে ধনী হতে পারবেন। বেকারির ব্যবসা করার জন্য আপনার তেমন পুঁজির প্রয়োজন নেই। অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করেই শুরু করা যায় বেকারির ব্যবসা।
ফলের দোকান। রাস্তার মোড়ে, বাস স্টান্ড বা জনসমাগম হয় এমন ব্যস্ত কোন জায়গায় যদি আপনি ফলের দোকান দিতে পারেনা তাহলে এই ফলের দোকানের মাধ্যমে খুব সহজে আপনি ধনী হতে পারবেন। বর্তমানে ফলের ব্যবসার খবর লাভজনক একটি ব্যবসা।
চা স্টল। চায়ের স্টলে মানুষ সবসময় ভিড় করে থাকে, তাই আপনি যদি চান চা স্টল দিতে পারেন। চায়ের স্টল থেকে প্রতিদিন ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এবং সঠিক ভাবে যদি আপনি ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন তাহলে চা স্টলের মাধ্যমে আপনি ধনী হতে পারবেন।
কাঁচামালের ব্যবসা। কাঁচামালের ব্যবসা করে খুব সহজেই ধনী হওয়া যায়। কেননা এটি এমন একটি পণ্য যা প্রতিদিন সকলকে ক্রয় করতে হয়। তাই আপনি যদি ভাল কোন জায়গায় কাঁচামালের ব্যবসা করতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেখান থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কফি হাউস। ধনী হওয়ার অন্যতম মাধ্যম হতে পারে কফি হাউজ। কেননা কফি হাউজ ব্যবসা খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা আপনি অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করে কবে অবস্থাকে প্রতিদিন ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কফি হাউস বর্তমান সময়ের জন্য পারফেক্ট একটি ব্যবসা।
মুদিখানার দোকান। মুদিখানার দোকান যেখানে প্রয়োজনীয় প্রায় সব জিনিষই পাওয়া যায়। তাই এই দোকানগুলো খুবই চলে। আপনি যদি বেশ কিছু টাকা ইনভেস্ট করে মোটামুটি বড়সড় একটি মুদিখানার দোকান দিতে পারেন, তাহলে সেই দোকানের মাধ্যমেই আপনি হয়ে যেতে পারবেন।
ফুড কার্ট ব্যবসা। পার্ক জনসমাগমের স্থানে বা এধরনের কোন জায়গায় যদি আপনি ফাস্টফুডের দোকান দিতে পারেন, তাহলে সেই এর দোকান থেকে খুব সহজেই অবনীর প্রতিদিন প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর ফাস্ট ফুডের ব্যবসা করেই ধনী হয়ে যেতে পারবেন।
কাঁচা বাজার হোম ডেলিভারি ব্যবসা। বর্তমানে অনেকেই বাজার থেকে কাঁচাবাজার ক্রয় করতে অপছন্দ করে। বিশেষ করে যে সকল বাড়িতে পুরুষ থাকে না সেই বাড়িগুলো থেকে সাধারণত বাজারে কাঁচা বাজার করতে যেতে চায় না। তাই আপনি যদি ভ্রাম্যমাণ কাঁচা বাজারের দোকান তাদের দোরগোড়ায় নিয়ে যান তাহলে তারা সেখান থেকে ক্রয় করবে এর ফলে অধিক লাভবান হতে পারবেন।
ক্রোকারিজ ব্যবসা। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসা বরাবরই লাভজনক। এর মধ্যে অন্যতম হলো ক্রোকারিজের ব্যবসা। আপনি যদি ক্রোকারিজের দোকান দিতে পারেন তাহলে সেই দোকান থেকে প্রতিমাসে ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ক্রোকারিজ এর ব্যবসা হতে পারে আপনার ধনী হওয়ার অন্যতম একটি মাধ্যম।
ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় - ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায়: আরো কিছু ব্যবসা
রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করে অনেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। চাইলে আপনিও রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করে ধনী হতে পারেন। তবে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে রান্না সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। অথবা ভালো মানের রাধুনী নিয়োগ করতে হবে।
বিরিয়ানির ব্যবসা। আপনি চাইলে শুধুমাত্র বিরিয়ানির ব্যবসা করেও প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন। কেননা বিরিয়ানির চাহিদা বাজারে অনেক বেশি। বিশেষ করে বিভিন্ন জন্মদিন বা বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানের অর্ডার যদি আপনি পেয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই বহন করে ধনী হতে পারবেন।
বইয়ের দোকান। বিভিন্ন ধরনের বইয়ের দোকান দিয়ে আপনি খুব সহজেই ভাল প্রফিট করতে পারবেন। বিশেষ করে স্কুল কলেজের বই যথেষ্ট পরিমাণে বিক্রি হয়ে থাকে। তাই বইয়ের দোকান হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ একটি ব্যবসা।
প্রিন্ট ও ফটোকপি। স্কুল-কলেজের সামনে বা ব্যস্ত কোন জায়গায় যদি আপনি প্রিণ্ট ও ফটোকপির দোকান দিতে পারেন তাহলে সেই দোকানের মাধ্যমে প্রতি মাসে মোটামুটি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাই সুযোগ থাকলে এখনি প্রিন্ট ও ফটোকপির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
জুতার দোকান ব্যবসা। জুতার ব্যবসা খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। কেননা অল্প দামে জুতো কিনে গ্রাহকের কাছে ভালো লাভে বিক্রি করা যায়। তাই আপনি যদি জুতার দোকান দিতে পারেন তাহলে সেই দোকানের মাধ্যমে খুব সহজেই ধনী হয়ে যেতে পারবে। ১৬৪১৩
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url