আখেরি চাহার সোম্বা কি সরকারি ছুটি ২০২৩ জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা আখেরি চাহার সোম্বা কি সরকারি ছুটি সেই বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করব। আখেরি চাহার সোম্বা মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনের তাৎপর্য রয়েছে। তাই অনেকেই আখেরি চাহার সোম্বা কি সরকারি ছুটির দিন এ বিষয়ে জানতে চাই।
আপনি যদি আখেরি চাহার সোম্বা কি সরকারি ছুটি তা জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন দেরি না করে আখেরি চাহার সোম্বা কি সরকারি ছুটি কিনা সে সম্পর্কে জেনে নেই।
পেজ সূচিপত্রঃ আখেরি চাহার সোম্বা কি সরকারি ছুটি
- আখেরি চাহার সোম্বা কি
- আখেরি চাহার সোম্বা কখন
- আখেরি চাহার সোম্বা কেন পালন করা হয়
- আখেরি চাহার সোম্বা কি সরকারি ছুটি
- শেষ কথাঃ আখেরি চাহার সোম্বা কি সরকারি ছুটি
আখেরি চাহার সোম্বা কি?
আজকের এই পোস্টে আমরা বাংলাদেশে আখেরি চাহার সোম্বা কি সরকারি ছুটি? এ বিষয় নিয়ে জানব। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা আখেরি চাহার সোম্বা কি সে সম্পর্কে জানেনা। আখেরি চাহার সোম্বা কি সরকারি ছুটি দিন এই বিষয়েও কোনো ধারণা নেই। তাই আজকে আমরা আপনাদের জানাব আখেরি চাহার সোম্বা কি সরকারি ছুটি এই বিষয়টি। তাহলে চলুন আগে জেনে নেই আখেরি চাহার সোম্বা কি?
আরো পড়ুনঃ সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩
আখেরি চাহার সোম্বা হল আরবি এবং ফারসি ভাষা একটি মিশ্রণ। প্রথম শব্দ আখেরি যার অর্থ হচ্ছে শেষ। এবং ফারসি শব্দ পাহাড় শব্দের অর্থ হলো সফর মাস এবং সোম্বা শব্দের অর্থ হচ্ছে বুধবার। তাহলে আখেরি চাহার সোম্বা এর অর্থ হচ্ছে সফর মাসের শেষ বুধবার। এটি মুসলমান জাতির কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর আখেরি চাহার সোম্বা অর্থাৎ সফর মাসের শেষ বুধবারে সুস্থ হয়ে ওঠেন তাই এই দিনটি মুসলমানগন অতি আনন্দের সাথে এবং ইবাদত বন্দেগীর সাথে পালন করে থাকেন। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমান জাতি এদিনটি ইবাদতের সাথে পালন করে।
আখেরি চাহার সোম্বা কখন
আজকের এই পোস্টে আমরা আখেরি চাহার সোম্বা কি সরকারি ছুটি এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তার আগে অবশ্যই আপনাকে আখেরি চাহার সোম্বা কি এই বিষয়টি জেনে নিতে হবে। উপরে ইতিমধ্যে আমরা আখেরি চাহার সোম্বা কী বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। তা জানতে হলে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন আখেরি চাহার সোম্বা কখন পালন করা হবে তা জেনে নেই।
আমরা জানি যে আরবি মাস পুরোটাই চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। চাঁদ দেখা গেলে মাস গণনা শুরু হয়। যেহেতু বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে চাঁদ দেখা যায়। তাই সকল দেশে এটি একসাথে নাও হতে পারে। যেমন বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৪ হিজরী সনের পবিত্র সফর মাসের চাঁদ দেখা গেছে গত ১৮ আগস্ট রবিবারে। তাহলে ১৯ আগস্ট সোমবার থেকে সফর মাস গণনা শুরু হয়েছে তাহলে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা হবে।
রবিবার সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এটাই গবেষণা করেন এবং এতে দেখা যায় যে রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে তাহলে ২৯ আগস্ট সোমবার থেকে পবিত্র সফর মাস শুরু হয়েছে। এই হিসাব করলে ১১ সেপ্টেম্বর পবিত্র সফর মাসের শেষ বুধবার আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা হবে।
আখেরি চাহার সোম্বা কেন পালন করা হয়
অনেকেই জানেনা আখেরি চাহার সোম্বা কেন পালন করা হয়? একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো কেন পালন করা হয় তার জন্য থাকা উচিত। তাহলে চলুন একজন মুমিন হিসেবে আখেরি চাহার সোম্বা কেন পালন করা হয় তা জেনে নেই। ১১ হিজরী শুরুতে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে তিনি নামাজের ইমামতি করতে পারেন না।
আরো পড়ুনঃ রোজার ঈদ ২০২৩ কত তারিখ
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর পবিত্র সফর মাসের ২৮ তারিখ বুধবার নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সুস্থ হয়ে ওঠেন। এই তিনটি ছিল সফর মাসের শেষ বুধবার। তাই সফর মাসের শেষ বুধবার আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা হয়। আমাদের প্রিয় নবী এই দিনে একটু অসুস্থ হওয়ার কারণে তিনি গোসল করেন। এই গোসল ছিল প্রিয় নবীর শেষ গোসল। এরপর তিনি শেষবারের মতো নামাজের ইমামতি ও করেন।
আমাদের প্রিয় নবী কে ভালোবাসার মানুষগুলো মদিনাবাসী এই খবর শুনে অনেক আনন্দিত হয় এবং নবীজি (সাঃ) খেয়ে একটু দেখার জন্য আসেন। এই দিন মদীনাবাসী এতই খুশি হয়েছিল যে তারা শুকরিয়া নামাজ পড়েন তা সমাপ্ত করে দেন অর্থ বা উঠ দান করে দেন। এই দিন সুস্থ থাকার পর আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সফর মাসের ২৯ তারিখ আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরে ১২ রবিউল আউয়াল আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ইন্তেকাল করেন।
আখেরি চাহার সোম্বা অর্থাৎ সফর মাসের শেষ বুধবারে আমাদের প্রিয় নবী অসুস্থতা থেকে সুস্থ হয়েছিলেন তাই এই দিন মুসলিম জাতি অনেক আনন্দের সাথে এবং আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করেন। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমান এই দিনটি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া এবং ইবাদতের সাথে পালন করে থাকেন।
আখেরি চাহার সোম্বা কি সরকারি ছুটি
অনেকেই আছে যারা আখেরি চাহার সোম্বা কি সরকারি ছুটি তা জানেনা। বাংলাদেশ সহ সারা মুসলিম দেশগুলো অনেক আনন্দের সাথে আখেরি চাহার সোম্বা পালন করে থাকেন। এই দিনে আল্লাহ তাআলার ইবাদত এবং শুকরিয়া আদায় করে থাকেন। তাই এই দিনটি বাংলাদেশের সরকারি ছুটির তালিকা রয়েছে। এই দিনে সরকারি সব কার্যক্রম বন্ধ থাকে বাংলাদেশের সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল কলেজ সবকিছু বন্ধ থাকে। তাহলে আমরা জানলাম যে আখেরি চাহার সোম্বা সরকারি ছুটির দিন।
আরো পড়ুনঃ ২০২৩ সালের রমজানের ক্যালেন্ডার
শেষ কথাঃ আখেরি চাহার সোম্বা কি সরকারি ছুটি
আপনারা যারা আখেরি চাহার সোম্বা কি সরকারি ছুটি তা জানতে চেয়ে ছিলেন তাদের জন্য উপরে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আখেরি চাহার সোম্বা কি এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এটি একটি পবিত্রতম দিন মুসলমান জাতির কাছে। এই দিনে ইবাদত-বন্দেগির সাথে পালন করতে হয়। সেই জন্য এই দিনটি বাংলাদেশের সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হয়।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই রকম পোস্ট আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। ১৬৮৩০
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url