OrdinaryITPostAd

প্রেশার লো হলে করনীয় ১৫টি কাজ - প্রেশার লো এর ১৬ লক্ষণ

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ - প্রেসার লো হওয়ার কারণ নিয়ে আলোচনা করব। উচ্চ রক্তচাপ যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর ঠিক তেমনি নিম্ন রক্তচাপ ও শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যা আমাদের মারাত্মক রোগের দিকে নিয়ে যায়। তাই আজকে আমরা প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ ও প্রেসার লো হলে করণীয় গুলো জানব।

আপনি যদি প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ গুলো জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন দেরি না করে প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ - প্রেসার লো হওয়ার কারণ - প্রেসার লো হলে করণীয় সম্পর্কে জেনে নেই।

পেজ সূচিপত্রঃ প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ | প্রেসার লো হওয়ার কারণ | প্রেসার লো হলে করণীয়

প্রেসার লো হওয়ার কারণ | প্রেসার লো হওয়ার কারণ কি | প্রেসার লো কেন হয়?

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে আমরা সকলেই অনেক কথা বলি বা সচেতন থাকি কিন্তু নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে আমরা তেমন কোন কথা বলি না সতর্ক থাকি না। উচ্চ রক্তচাপ যেমন মারাত্মক সমস্যা এনে দিতে পারে ঠিক তেমনি নিম্ন রক্তচাপ হলে মানবদেহের বিভিন্ন রকম ক্ষতিসাধন হয়। রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ এর আশেপাশে থাকে তাহলে তাকে নিম্ন রক্তচাপ বলা হয়। তাহলে চলুন লো প্রেসার হওয়ার কারণসমূহ জেনে নেই।

আরো পড়ুনঃ কিসমিস খাওয়ার ৩০ কি উপকারিতা ও অপকারিতা

শরীরে পানিশূন্যতা কারণেঃ

বিশেষ করে গরমের সময় অতিরিক্ত ঘামের ফলে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায়। তখন শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেই। পানিশূন্যতার কারণে লো প্রেসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

অতিরিক্ত পরিশ্রম করার ফলেঃ

লো প্রেসার হওয়ার অন্যতম একটি কারণ অতিরিক্ত পরিশ্রম করা। অনেকে আছে যারা নিজের সাধ্যের বাইরে গিয়ে পরিশ্রম করার চেষ্টা করে। যা শরীর সহ্য করতে পারেনা। তখন লো প্রেসার দেখা দেয়।

খাবারের চাহিদা না মেটানোঃ

আমাদের শারীরিক অনেক কিছু খাবারের ওপর নির্ভর করে। সুস্থ থাকা অনেকটাই খাবারের উপর নির্ভরশীল। সুস্থ থাকতে হলে শরীরের কিছু পুষ্টি উপাদান পূরণ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। খাবারের চাহিদা পূরণ না হওয়ার কারণে লো প্রেসার হতে পারে।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাঃ

প্রেসার লো হওয়ার অন্যতম আরেকটি কারণ হলো অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা। মানসিক অস্বস্তি, দুশ্চিন্তা কোন কিছুর ভয় এসব কারণে প্রেসার লো হতে পারে।

ঘুমের অভাবঃ

পর্যাপ্ত পরিমানে না ঘুমালে শরীর খারাপ হয় আমরা সকলেই জানি। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে প্রেসার লো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দিনে অত্যন্ত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।

অপুষ্টিজনিত সমস্যাঃ

শরীরে পুষ্টি জনিত সমস্যা থাকলে প্রেসার লো হতে পারে। আমরা সকলেই জানি যে ভালো থাকার জন্য শরীরে পুষ্টি উপাদান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

রক্তশূন্যতাঃ

শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত না থাকলে প্রেসার লো হতে পারে। শরীরে রক্ত না থাকায় এটি একটি অন্যতম কারণ।

প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ | প্রেসার লো সিম্পটমস

উচ্চ রক্তচাপ যেমন সমস্যার কারণ ঠিক তেমন প্রেসার লো হলে অনেক সমস্যা হতে পারে। রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে সাধারণত যেসব লক্ষণগুলো দেখা যায় এখন আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ গুলো জেনে আসি।

প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণঃ

  • শরীর সব সময় দুর্বল অনুভব হওয়া।
  • মাথা ঝিমঝিম করা। মাথা ঘোরানো প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ।
  • স্বাভাবিকের চাইতে দ্রুত গতিতে হৃদস্পন্দন চলা।
  • হঠাৎ করে দাঁড়ানোর ফলে শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ।
  • চোখে ঘোলা দেখা এবং মাঝে মধ্যে অন্ধকার দেখা।
  • পিপাসা বেশি লাগা।
  • হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া লো প্রেসার এর লক্ষণ।
  • হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।

প্রেসার লো হলে করণীয়

আমাদের মধ্যে অনেকের রক্তচাপ হাই থাকে তাদের রক্তচাপ লো করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আবার অনেকের রক্তচাপ অনেক লো থাকে তাদের রক্তচাপ হাই করা কঠিন হয়ে পড়ে। যদি রক্তচাপ হাই হয় সেটাও শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং রক্তচাপ যদি লো হয় সেটিও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের সব সময় স্বাভাবিক রক্তচাপ রাখতে হবে। যদি প্রেসার লো হয় তাহলে আমাদের করণীয় কি সেগুলো আমরা এখন জানব। তাহলে চলুন প্রেসার লো হলে করণীয় সম্পর্কে জেনে নেই।

আরো পড়ুনঃ খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রেসার লো হলে করণীয়ঃ

  • যারা উচ্চ রক্তচাপ এর ওষুধ খাচ্ছেন তারা অনেক সময় লো রক্তচাপ হওয়ার কারণে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। এটা উচিত নয়। দরকার হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করতে হবে।
  • সমস্যার কারণ চিহ্নিত করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। নিজে নিজে কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না। পরে এটি অনেক বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
  • কারণ রক্ত চাপ খুব বেশি কমে গেলে মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃদপিণ্ড নানা রকম জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এই সময় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রেসার লো হলে কি কি সমস্যা হয়

আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ আছে যারা হাই প্রেসার নিয়ে বেশি মাতামাতি করে কিন্তু লো প্রেসার তেমন গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু হাই প্রেসার যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর ঠিক তেমনি লো প্রেসার ও শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই রক্তচাপ সব সময় স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে চেষ্টা করতে হবে। এখন আমরা প্রেসার লো হলে কি কি সমস্যা হয় এগুলো সম্পর্কে জানব। 

  • প্রেসার লো হলে নাড়ির গতি বা পালস স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক দ্রুত গতি হয়।
  • রোগীর হাত পা ঠান্ডা হতে থাকে।
  • ডায়রিয়া বমি রক্তক্ষরণ, রক্তশূন্যতা, পানিশূন্যতা এসব সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • চোখে ঝাপসা দেখা।
  • শরীর অতিরিক্ত দুর্বল অনুভূত হওয়া।
  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
  • শারীরিক ও মানসিক অবসাদ
  • ঘন ঘন শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া

প্রেসার লো হলে কি খেতে হবে

আমরা ইতিমধ্যেই জেনে এসেছি যে লো প্রেসার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। শরীরের বিভিন্ন রকম ক্ষতি করে থাকে। তাই আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে যেন প্রেসার অতিরিক্ত বেড়ে না যায় আবার অতিরিক্ত কমে না যায়। তাহলে চলুন প্রেসার লো হলে কি খেতে হবে সেটা জেনে নেই।

  • খাবার স্যালাইনঃ প্রেসার লো হলে অবশ্যই খাবার স্যালাইন খাবেন। এটি শরীরে পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করবে তাই প্রেসার লো হলে খাবার স্যালাইন খুবই কার্যকরী।
  • গ্লুকোজঃ নিম্ন রক্তচাপ দেখা দিলে গ্লুকোজ খেলে ভাল ফলাফল পাবেন।
  • দুধ ও ডিমঃ আমরা সকলেই জানি যে দুধ ও ডিম পুষ্টিকর খাবার। প্রেসার লো হলে অবশ্য পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। কারণ পুষ্টিকর খাবারের অভাবে প্রেসার লো হয়ে থাকে।
  • কিসমিসঃ এক কাপ কিশমিশ সারারাত ভিজিয়ে সকালবেলা উঠে খালি পেটে সেগুলো খাবেন এটি লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
  • মধু ও বাদামঃ প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে মধু ও বাদাম বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
  • নিয়মিত শরীরচর্চাঃ প্রেসার স্বাভাবিক রাখতে বেশ কার্যকরী হলো নিয়মিত শরীরচর্চা করা। হার্টে রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
  • তাজা শাকসবজি খাবেনঃ আমরা সকলেই জানি যে শাকসবজি আমাদের পুষ্টি উপাদান এর একটি অন্যতম উৎস। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে তাজা শাকসবজি খাবেন।
  • লবণ জাতীয় খাবার খাবেনঃ সোডিয়াম রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই লো প্রেসার হলে অবশ্যই লবণজাতীয় খাবার খাবেন এতে তাড়াতাড়ি প্রেসার বৃদ্ধি পাবে।

শেষ কথাঃ প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ | প্রেসার লো হওয়ার কারণ | প্রেসার লো হলে করণীয়

আপনারা যারা প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ - প্রেসার লো হওয়ার কারণ - প্রেসার লো হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য ওপরে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি লো প্রেসারে ভোগে থাকেন তাহলে অবশ্যই উপরের করণীয় গুলো লক্ষ্য করুন। ইনশাআল্লাহ আপনার সমস্যাগুলো সমাধান পেয়ে যাবেন।

এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url