OrdinaryITPostAd

১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য - ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ

১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ কিভাবে দিতে হয়? বা কোন কোন পয়েন্ট তুলে ধরতে হয়? সেই বিষয় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। পুরো আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ সম্পর্কে ধারণা পাবেন। 

পেজ সূচিপত্রঃ ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য - ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ

১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য - ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণঃ উপস্থাপনা

বিশেষ করে যারা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ রয়েছেন তাদেরকে শোকের মাস আগস্ট এর বিভিন্ন জায়গায় ভাষণ দিতে হয়।কিন্তু অনেকেই ১৫ ই আগস্ট সম্পর্কে ভাষণ দিতে গিয়ে ১৫ ই আগস্ট এর মূল কথাগুলোই তুলে ধরতেই ভুলে যান। তো আপনি কিভাবে ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ আরো সুন্দর করে দিতে পারেন সে ব্যাপারে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস নিয়ে আরো পোস্ট


আবার অনেক সময় দেখা যায় স্কুল কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছাত্রদেরকে ১৫ ই আগস্ট সম্পর্কে বক্তব্য দিতে বলা হয়। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী ১৫ ই আগস্ট সম্পর্কে ভালোভাবে না জানার কারণে সুন্দর ভাবে বক্তব্য প্রদান করতে পারে না। আপনি যদি এরকম একজন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়লে ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ প্রদান করতে সক্ষম হবেন। 

১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য - ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ এর নমুনাঃ ১

আসসালামুয়ালাইকুম আমি সর্বপ্রথম কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এই মহতি অনুষ্ঠান এর উদ্যোগতাদেরকে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এবং সময় অর্থ ব্যয় করে সুন্দর মনোরম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।এবং আমাকে মহতি অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করার সুযোগ করে দিয়েছেন।

তবে দুঃখের বিষয় হলো আমি আজকে আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি তা খুবই মর্মান্তিক এবং হৃদয় বিদারক একটি ঘটনা, যা কিনা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে জঘন্যতম ও নিস্রংস একটি ঘটনা। আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে আমি কোন বিষয় নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি। 

সুধীবৃন্দ,
হ্যাঁ আমি কথা বলতে চাচ্ছি ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ব্যাপারে। আসলে এই ব্যাপারে কথা বলা খুবই দুষ্কর ব্যাপার এবং এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বর্ণনা করার সময় নিজেকে ধরে রাখা খুবই কঠিন ব্যাপার। 
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের কে বিপথগামী কিছু সেনা সদস্য নিঃসংশ ভাবে হত্যা করে। শুধু তাই নয় হত্যাকারীরা এতটা নির্দয় ছিল যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্ব কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল তারা হত্যা করে ফেলেছে। কতটা নির্দয় নির্মম হলে একজন শিশুকে পর্যন্ত হত্যা করতে পারে তা কল্পনাতীত!

তারা শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করার মাধ্যমে বাংলাদেশে বিশৃংখল একটি পরিবেশে তৈরি করে এবং যারা ক্ষমতা দখল করে নেয় এরপরে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে টালমাটাল অবস্থার মধ্যে পড়ে যায়। এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকান্ডের ব্যাপারটি রাজনৈতিকভাবে দমিয়ে রাখা হয়।

এমনকি যারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করে তাদেরকে সরকারি চাকরি প্রদান করা হয় অর্থাৎ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে তাদেরকে চাকরি দেয়া হয় এবং তাদেরকে সাধারন ভাবে ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। আর এ কারণেই বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকান্ডের বিচার হতে ৩৫ বছর সময় লাগে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার সুষ্ঠুভাবে করা হয়।

সুধীবৃন্দ,
বাংলাদেশের স্বাধীনতার অগ্রনায়ক এবং যিনি বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যার শক্তিশালী নেতৃত্তের হলে বাঙালি জাতি একত্রিত হয় স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল সেই স্বাধীনতার মহানায়ক কে কেনা স্বাধীন বাংলাদেশে কিভাবে হত্যা করা হলো। এই লজ্জা জাতির, এই লজ্জা দেশের, এই লজ্জা বাঙালির। 

যে স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে অসংখ্য মা-বোনকে তাদের ইজ্জত কে হারাতে হয়েছে এবং অসংখ্য মানুষকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে সেই স্বাধীনতা অর্জন করার পর কিভাবে স্বাধীনতার অগ্রনায়ক শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারকে হত্যা করতে পারে বোধগম্য নয়।

যাইহোক সময় যত কম তার বিস্তারিত বক্তব্য দেয়া সম্ভব নয় এই সুখের এই মাসে আমরা প্রতিজ্ঞা করি বাংলাদেশকে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। বাংলাদেশের উত্তরোত্তর মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এখানেই শেষ করছি। সকলকে ধন্যবাদ।

১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য - ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ এর নমুনাঃ ২ 

সালামুআলাইকুম, 
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি অনুষ্ঠানের সভাপতি ,পরিচালক অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে শোকের এই মাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে আমাকে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দান করার জন্য আরেকবার কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

আমাদের পিছনে যে ব্যানার রয়েছে, তা দেখে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে আজকে আমাদের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন এর কারণ কি? বা কেন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আপনারা সকলেই জানেন যে, বাঙালি জাতির অস্তিত্ব যখন সংকটের পথে, যখন বাঙালি জাতি নির্যাতিত নিষ্পেষিত ও উপেক্ষার শিকার হচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে বাঙালি জাতির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এবং তিনি শক্তিশালী নেতৃত্তের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল শ্রেণী-পেশার জনগণকে একত্রিত করতে পেরেছিলেন এবং পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীদের থেকে দেশকে রক্ষা করে স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি দেশে রূপান্তরিত করতে পেরেছিলেন।

সম্মানিত সুধিবৃন্দ,
কিন্তু দুর্ভাগ্য এই বাঙালি জাতির জন্য যারা কিনা স্বাধীন এই দেশে স্বাধীনতার অগ্রদূত কে নিভাবে সপরিবারে হত্যা করল। মূলত প্রত্যেক দেশেই প্রত্যেক জাতির মধ্যেই গাদ্দার বা মুনাফিক থাকে বাঙালি জাতীও আলাদা কিছু ছিল না অর্থাৎ বাঙ্গালীদের মধ্যে এমন কিছু পাকিস্তানের দোসর ছিল যারা কিনা উপরে উপরে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্যশীল থাকলেও মূলত তারা ছিল পাকিস্তানের চর।

বিপথগামী পাকিস্তানপন্থি এইসকল সেনাবাহিনীর অফিসারেরা নিশংস ভাবে শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারকে একই সাথে হত্যা করে। হত্যাকারীরা এতটাই নিষ্ঠুর ছিল যে তারা শেখ রাসেল যেকিনা নিতান্তই একজন শিশু ছিল তাকে পর্যন্ত ছুটি দেয়নি তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

শোকের এই মাসে আমাদেরকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে আমরা এইসব কে শক্তিতে পরিনত করব এবং বাংলাদেশের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল ও সমৃদ্ধি সাধন করার জন্য যা যা করা দরকার সেগুলো আমরা করব।বাংলাদেশ থেকে, দুর্নীতি ,অন্যায়, ও অবিচার উৎখাত করে সোনার বাংলায় পরিণত করবো। এই আশা ব্যক্ত করে আমি আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এখানেই শেষ করছি সকলকে ধন্যবাদ।

১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য - ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণঃ উপসংহার

১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ এর যে নমুনা উপরে তুলে ধরা হল আপনি যদি এগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করেন তাহলে খুব সহজেই সুন্দরভাবে ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ প্রদান করতে সক্ষম হবেন।

উপরোল্লেখিত আলোচনায় সংক্ষিপ্তভাবে ১৫ আগস্টের ইতিহাস ও ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে। তাই আপনি যদি উপরে উল্লেখিত বক্তব্য টি অনুসরণ করেন তাহলে, ১৫ ই আগস্ট এর ব্যাপারে যথাযথ বক্তব্য প্রদান করতে সক্ষম হবেন। 
পক্ষান্তরে আপনি যদি ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ প্রদানের পূর্বে প্রস্তুতি গ্রহণ না করেন এবং নমুনা বক্তব্য গ্রহ ভালোভাবে অনুসরণ না করেন, সেক্ষেত্রে বক্তব্য দেয়ার সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন। তাই ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ প্রদান করার পূর্বে আপনার উচিত হবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url