কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ - কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত
প্রিয় পাঠক এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ - কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত এই বিষয় নিয়ে। আমাদের সমাজে অনেকেই আছে যারা জানেনা কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ - কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত তাদের জন্য এই পোস্টটি। আমাদের ওলামায়ে কেরাম দেড় মাসেও মতবিভেদ রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করব।
আপনারা যারা জানেন না কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ - কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত তারা এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। তো চলুন জেনে আসি কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ - কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত।
পেজ সূচিপত্রঃ কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ - কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত
- কোরবানি অর্থ কি
- কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত
- কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ - কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার দলিল
- কোরবানি করা যাদের উপর ওয়াজিব
- শেষ কথাঃ কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ - কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত
কোরবানি অর্থ কি?
কোরবানি আরবী শব্দ এর অর্থ হচ্ছে নৈকট্য অর্জন করা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় যে কাজের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করতে পারে তাকেই কোরবানি বলা হয়। জিলহজ মাসের 10 তারিখ কোরবানি ঈদ পালন করা হয়। কোরবানির মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করেন।
আরো পড়ুনঃ জিলহজ মাসের ৫ আমল
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা জানেনা কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ - কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত তাদের জন্য আমরা এই পোস্টে আলোচনা করব কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ - কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত তো চলুন শুরু করা যাক।
কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত
আমাদের সমাজে এরকম অনেক মানুষ রয়েছে যারা জানেনা কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ - কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত। এমনকি অনেক ওলামায়ে কেরাম দের মাঝেও মতবিভেদ রয়েছে। আজকের এই পোস্টে আমরা কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ - কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত নিয়ে আলোচনা করব।
কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত এ নিয়ে ওলামায়ে কেরাম এর মাঝে মতবিভেদ রয়েছে। একদল ওলামায়ে কেরাম বলেন কোরবানি করা সুন্নত, অর্থাৎ সুন্নতে মুয়াক্কাদা আরেক দল ওলামায়ে কেরাম বলেন কোরবানি করা ওয়াজিব। বেশিরভাগ ওলামায়ে কেরাম বলেন কোরবানি করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। আর কিছু সংখ্যক ওলামায়ে কেরাম বলেন এটি ওয়াজিব। কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার কিছু শর্ত রয়েছে তা হলঃ
আরো পড়ুনঃ জিলহজ মাসে চুল নখ কাটা যাবে কিনা
- মুসলমান হতে হবে। অমুসলিম এর উপর কোরবানি বিধান নেই।
- বিবেক সম্পন্ন হতে হবে। অর্থাৎ মানসিকভাবে অসুস্থ এমন ব্যক্তির উপর কোরবানি ওয়াজিব হবে না।
- প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। অপ্রাপ্তবয়স্ক কারো উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে না।
- স্বাধীন ব্যক্তি হতে হবে। কোন দাসের উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে না
- যাকাত ফরয এরকম সম্পদের মালিক হতে হবে।
- কোন ব্যক্তির সাথে অপরের শর্তগুলো মিলে গেলে তার উপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ - কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার দলিল
আমরা এই পোস্টে আলোচনা করছি কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ - কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত। আপনারা যারা জানেন না কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ - কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত তারা এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আলেমদের মধ্যে দুই প্রকার মতবিরোধ রয়েছে। একজন আলেম বলে কোরবানি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা যার সংখ্যা বেশি। অন্যদল আলেম বলে কোরবানি করা ওয়াজিব।
যেসব আলেম বলেন কোরবানি করা ওয়াজিব তারা দুইটি শর্ত দিয়েছেন, একটি হলো ওই ব্যক্তির নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকতে হবে। এবং অন্যটি তাকে মুসাফির হওয়া যাবে না। এই দুইটির মধ্যে একটি যদি পূরণ করতে না পারে তাহলে তার উপর কোরবানি ওয়াজিব হবে না।
আরো পড়ুনঃ ৩০ টি কোরবানির মাসআলা
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন," তোমাদের মধ্যে যে ব্যাক্তি সামর্থ্য রাখে সে যেন কোরবানি করে" রাসুল (সাঃ) আরো বলেন," সামর্থ্য থাকার পরও যদি সে কোরবানি না করে তাহলে সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে"। এ হাদীসের আলোকে আলেমগণ কোরবানি করা ওয়াজিব বলেছেন।
কোরবানি করা যাদের উপর ওয়াজিব
কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রতি বছর কোরবানি করেছেন। নবীজি হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন," কোরবানির দিন কোরবানির চেয়ে উত্তম আমল নেই। কিয়ামতের দিন কোরবানির পশুকে সিং পশম ও খুর সহ পেশ করা হবে এবং কোরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহতালার কাছে তা কবুল হয়ে যায় তাই তোমরা আনন্দের সাথে কোরবানি করো"। যাদের উপর যাকাত ওয়াজিব তাদের ওপরই কোরবানি ওয়াজিব। কোরবানি কাদের উপর ওয়াজিব তারা হলঃ
আরো পড়ুনঃ কোরবানির গরু জবাই করার দোয়া
- প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন মুসলিম নরনারী যে কোরবানির দিনগুলোতে সাড়ে সাত ভরি সোনা সাড়ে 52 ভরি রুপা ওই পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তার উপর কোরবানি ওয়াজিব।
- সোনা রুপা কিংবা টাকাপয়সা এগুলো কোন একটি যদি পৃথকভাবে নিসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু সব মিলিয়ে সাড়ে 52 ঘড়ি রুপার সমপরিমাণ সম্পদ থাকে তাহলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে।
- একান্ন ভুক্ত পরিবারের মধ্যে একাধিক ব্যক্তির কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তাদের ওপর আলাদা আলাদা কোরবানি ওয়াজিব হবে।
- প্রত্যেক ব্যক্তির নিজের পক্ষ থেকে কোরবানি করা ওয়াজিব। পরিবারের অন্য সদস্য এর পক্ষ থেকে কুরবানী করা ওয়াজিব নয়।
- যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয় সে কোরবানির নিয়তে পশু ক্রয় করলে তার উপর কোরবানি ওয়াজিব হয়ে যায়।
- কোন পাগল ব্যক্তির কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলেও তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে না।
শেষ কথাঃ কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ - কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত
আপনারা যারা জানেন না কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ - কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত তাদের জন্য উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ - কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরো করতে নিয়মিত আমাদের ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট ফলো করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url