বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক সম্পর্কে বিস্তারিত
কর্মভিত্তিক শিক্ষার কারণে পলিটেকনিক শিক্ষা ব্যবস্থার বাংলাদেশে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। অনেকেই পলিটেকনিকে অধ্যায়ন করতে চান। কিন্তু প্রশ্ন হল বাংলাদেশের কোন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সেরা? বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট দেখুন।
পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ০১
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ০২
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ০৩
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ০৪
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ০৫
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ০৬
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ০৭
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ০৮
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ০৯
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১০
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১১
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১২
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১৩
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১৪
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১৫
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১৬
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১৭
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১৮
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১৯
- বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ২০
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
বাংলাদেশে বহু সরকারি পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও, সবগুলো প্রতিষ্ঠানের মান সমান নয়।তাই সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশোনার ক্ষেত্রে শিক্ষার মানকে অনেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর তালিকা ও সংক্ষিপ্ত পরিচিতি নিচে প্রদান করা হবে। এই তালিকা থেকে আপনি আপনার পছন্দের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটটি পছন্দ করে নিতে পারবেন। চলুন দেখে নেয়া যাক বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ০১
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নামাস্তে সর্বপ্রথম ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নাম চলে আসে। কেননা শিক্ষার মনের দিক থেকে অনেক এগিয়ে এবং এটি অনেক প্রাচীন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
১৯৫৫ সালে আমেরিকার ফোর্ড ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়।সেই সময়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর নাম ছিল "ইস্ট বেঙ্গল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট"।পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটির নাম পরিবর্তন করে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রাখা হয়।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদসমূহঃ
- সিভিল
- কম্পিউটার
- ইলেকট্রিক্যাল
- আর্কিটেকচার
- মেকানিক্যাল
- কেমিক্যাল
- অটোমোবাইল
- রেফ্রিজারেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং
- ফুড
- পাওয়ার
- এনভায়রনমেন্ট
- ইলেকট্রনিক্স।
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ০২
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর পরেই যে প্রতিষ্ঠান নাম চলে আসে সেটা হচ্ছে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এটিও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে ১৯৬২ প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সময়ে মোট সাতটি বিভাগ নিয়ে শুরু হয় চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পথ চলা।
বাংলাদেশে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরির ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অবদান অনস্বীকার্য। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৫% শিক্ষার্থী সরকারি ভাতা পায়। এছাড়া কিছু শিক্ষার্থী বিশ্ব ব্যাংক থেকেও বৃত্তি পেয়ে থাকে।
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদসমূহঃ
- পুরকৌশল অনুষদ (১০০ টি আসন)
- কম্পিউটার অনুষদ
- পরিবেশ অনুষদ
- তড়িৎ প্রকৌশল অনুষদ
- ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল অনুষদ
- যন্ত্রকৌশল অনুষদ
- শক্তি প্রকৌশল অনুষদ
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ০৩
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর মধ্যে তিন নাম্বার অবস্থানে রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি ও চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাথে একই বছরে প্রতিষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বর্তমানে ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটির অনন্য একটি বৈশিষ্ট্য হলো এটি কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি বাংলা ইংরেজি বিজ্ঞান অর্থাৎ পদার্থ রসায়ন গণিতসহ সামাজিক বিজ্ঞান পরিবেশ বিদ্যা ইত্যাদিও প্রদান করে থাকে, আর এ সকল ও কারিগরি সাবজেক্ট এর জন্য একটি NonTech শিক্ষা বিভাগ রয়েছে।
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদসমূহঃ
- সিভিল
- ইলেক্ট্রিক্যাল
- মেকানিক্যাল
- পাওয়ার
- ইলেকট্রনিক্স
- কম্পিউটার ।
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ০৪
বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম একটি সরকারি পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯৬২ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি ফোর্ড ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্নে এই প্রতিষ্ঠানটি মাত্র তিনটি অনুষদ নিয়ে যাত্রা শুরু করে।
কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানটিতে আবশ্যিকভাবে পাঠ্য বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থ, রসায়ন, ব্যবস্থাপনা, সমাজ বিজ্ঞান, শারীরিক শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে পাঠদানের জন্য একটি অকারিগরি শিক্ষা বিভাগ রয়েছে। ১৯৯৫ সালে বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয় জাতীয় পুরস্কার লাভ করে।
বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদসমূহঃ
- কম্পিউটার প্রকৌশল অনুষদ
- পুরকৌশল (সিভিল) অনুষদ
- ইলেকট্রিক্যাল প্রকৌশল অনুষদ
- ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল অনুষদ
- যন্ত্র প্রকৌশল অনুষদ
- শক্তি প্রকৌশল অনুষদ
- ইলেক্ট্রোমেডিকেল প্রকৌশল অনুষদ
- ট্যুরিজম এ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট অনুষদ
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ০৫
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউ। এই প্রতিষ্ঠানটিও ১৯৫৫ সালে ফোর্ড ফাউন্ডেশন এর অর্থায়নে স্থাপিত হয়। এই প্রতিষ্ঠান নকশাকার ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত স্থপতি শিল্পী মাজহারুল ইসলাম এবং স্ট্যানলি টাইগারম্যান। এই প্রতিষ্ঠানটি শুরুলগ্নে পাঁচটি অনুষদ নিয়ে পথ চলা শুরু করে। বর্তমানে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ৭টি বিভাগ চলমান রয়েছে।
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদসমূহঃ
- পাওয়ার
- সিভিল
- কম্পিউটার
- ইলেকট্রনিক্স
- ইলেকট্রিক্যাল
- মেকানিক্যাল
- ইলেকট্রোমেডিক্যাল
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ০৬
পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। তৎকালীন তাড়াশের জামিদার শ্রী বনমালী রায় ১৯২৪ সালে নিজ অর্থায়নে পাবনা শহরে বিএল ইলিইয়ট নামে একটি টেকনিক্যাল স্কুল নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বিএল ইলিইয়ট স্কুলটিকে "পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট" নাম দিয়ে, পলিটেকনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা হয়।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খুবই সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছে।এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি সেরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। বর্তমানে বেশ কয়েকটি অনুষদ রয়েছে এই সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটটিতে।
পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদসমূহঃ
- কম্পিউটার প্রকৌশল
- তড়িৎ প্রকৌশল
- যন্ত্রকৌশল
- পুরকৌশল
- পরিবেশগত
- নির্মাণ
- পাওয়ার
- কম্পিউটার
- ইলেকট্রনিক্স
- রেফ্রিঃ ও এয়ারকন্ডিশন
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ০৭
বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মধ্যে একটি স্বনামধন্য ও বৃহৎ কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটিও ১৯৬২ ফোর্ড ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটির পাঠ্যক্রমানুসারে ৩ বছর মেয়াদি কোর্স পড়ানো হতো। বর্তমানে সেখানে চার বছর মেয়াদি কোর্স সমূহ চলমান রয়েছে।
বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদ সমূহঃ
- পুরকৌশল
- তড়িৎ প্রকৌশল
- যন্ত্রকৌশল
- পাওয়ার
- ইলেকট্রনিক্স
- কম্পিউটার
- রেফ্রিজারেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ০৮
রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা একটি কারিগরি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের সাথে ইতিহাস জড়িত রয়েছে। ১৮৮২ সালে "বেইলী ব্রীজ গোবিন্দ লাল টেকনিক্যাল স্কুল" নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয় দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনশক্তি তৈরি করার লক্ষ্যে। এবং তখন থেকেই এটি শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছে।
পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক গৃহীত ৭ ধাপের কর্মসূচির আওতায় "রংপুর টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট" নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এরপর ১৯৬৮ সালে নাম পরিবর্তন করে "রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট" নামকরণ করা হয়। এবং পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ১৯৯২ সালে, ২০০২ সালে, ও ২০০৬ সালে অনুষদ সংযোজন করে সম্প্রসারিত করা হয়।
রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদ সমূহঃ
- কম্পিউটার প্রকৌশল
- তড়িৎ বিদ্যা
- তড়িৎ প্রকৌশল
- যন্ত্রকৌশল
- পুরকৌশল
- শক্তি প্রকৌশল
- ইলেকট্রোমেডিক্যাল প্রকৌশল
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ০৯
বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। বিখ্যাত কাপ্তাই হ্রদের তীরে অবস্থিত বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তৎকালীন পাকিস্তানের সরকার ও সুইডিশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অত্যন্ত সুনামের সহিত তখন থেকে অদ্যাবধি প্রতিষ্ঠানটি নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। এবং এটি রাজনীতিমুক্ত ও শান্ত পরিবেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হিসেবেও পরিচিত।
বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদ সমূহঃ
- কম্পিউটার টেকনোলজি
- ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি
- কন্সট্রাকশন টেকনোলজি
- মেকানিক্যাল টেকনোলজি
- সিভিল (উড) টেকনোলজি
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১০
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। বাংলাদেশের অন্যতম কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে রাজশাহীর সপুরাতে ১৯৬৩ রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সময়ে এই প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়। তাই এই প্রতিষ্ঠানটি আয়তনে সুবিশাল, এবং শিক্ষাক্ষেত্রেও এগিয়ে।
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদ সমূহঃ
- ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল বিভাগ
- কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগ
- পুরকৌশল (সিভিল) বিভাগ
- তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগ
- যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগ
- শক্তি প্রকৌশল বিভাগ
- মেকাট্রনিক্স প্রকৌশল বিভাগ
- ইলেক্ট্রোমেডিকেল প্রকৌশল বিভাগ
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১১
ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। বাংলাদেশের প্রাচীন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অন্যতম একটি। এটি ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বর্তমানে বিভিন্ন কোর্সে অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে চার বছর মেয়াদি সনদ প্রদান করা হয়। এটি ফরিদপুরের সর্বপ্রথম এবং স্বনামধন্য একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদ সমূহঃ
- রেফ্রিজারেশন ও এয়ারকন্ডিশনিং
- ইলেকট্রিক্যাল
- যন্ত্রকৌশল
- সিভিল
- কম্পিউটার
- পাওয়ার (অটোডিজেল)
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১২
খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ একটি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হল খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এই প্রতিষ্ঠানটিতে চার হাজারের অধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ১৯৬৩ সালে এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের অন্যতম এই কারিগরি প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ৯ অনুষদ রয়েছে।
খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদ সমূহঃ
- কম্পিউটার প্রযুক্তি
- সিভিল প্রযুক্তি
- ইলেকট্রিক্যাল প্রযুক্তি
- পাওয়ার প্রযুক্তি
- মেকানিক্যাল প্রযুক্তি
- ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি
- আইপিসিটি প্রযুক্তি
- ইএনভিটি
- আরএসি
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১৩
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১২০ জন ছাত্র নিয়ে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে অত্র প্রতিষ্ঠানে চার বছর মেয়াদী এই কোর্সে ৭টি টেকনোলজি চলমান রয়েছে।
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদ সমূহঃ
- ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি
- মেকানিক্যাল টেকনোলজি
- সিভিল টেকনোলজি
- কম্পিউটার টেকনোলজি
- ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি
- ইলেক্ট্রো-মেডিকেল টেকনোলজি
- পাওয়ার টেকনোলজি
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১৪
দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। ১৯৬৪ সালে দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। উত্তরবঙ্গের মধ্যে এটি অন্যতম সেরা একটি কারিগরী প্রতিষ্ঠান। অত্যন্ত সুনামের সহিত এই প্রতিষ্ঠানটি সূচনা লগ্ন থেকেই পরিচিত হয়ে আসছে।
দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদ সমূহঃ
- সিভিল
- পাওয়ার
- মেকানিক্যাল
- ইলেকট্রিক্যাল
- কম্পিউটার
- আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিওর ডিজাইন
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১৫
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। সিভিল ও মেকানিক্যাল টেকনোলজি দিয়ে ১৯৬৪ সালের ২৯ শে ফেব্রুয়ারি ফেনী টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭২, ১৯৭৮, ২০০২, ২০০৬ সালে বিভিন্ন অনুষদ সংযোজনের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটি পরিপূর্ণতা লাভ করে। এবং সুনামের সহিত পরিচালিত হতে থাকে।
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদ সমূহঃ
- ইলেকট্রিক্যাল
- সিভিল
- মেকানিক্যাল
- পাওয়ার
- কম্পিউটার
- এ.আই.ডি.টি
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১৬
যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। সিভিল ও পাওয়ার এই দুইটি অনুষদ নিয়ে হাজার ১৯৬৪ সালে ১৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। পরবর্তীতে ইলেক্ট্রনিক টেলিকমিউনিকেশন ইলেকট্রিক্যাল সহ আরো বিভিন্ন অনুষদ সংযোজনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।
যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদ সমূহঃ
- কম্পিউটার প্রকৌশল
- টেলিকমিউনিকেশন প্রকৌশল
- সিভিল টেকনোলজি
- পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং
- যন্ত্র প্রকৌশল
- ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি।
- ইলেকট্রিক্যাল প্রযুক্তি
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১৭
কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বর্তমানে প্রায় ২৫০০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে। শুরুর দিকে অল্প কয়েকটি অনুষদ নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বিভিন্ন সময়ে অনুষদ সংযোজন করা হয়েছে। ফলে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কুষ্টিয়া শহরের অন্যতম একটি বিদ্যাপীঠে পরিণত হয়েছে।
কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদ সমূহঃ
- কম্পিউটার
- ইলেকট্রনিক্স
- ইলেকট্রিক্যাল
- মেকানিক্যাল
- সিভিল
- পাওয়ার
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১৮
ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। বিশেষভাবে নারীদেরকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য ১৯৮৫ ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর যাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকে মাত্র দুইটি অনুষ্ঠানই এই প্রতিষ্ঠানটি পথ চলা শুরু করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির পাঁচটি অনুষদ রয়েছে।
ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদ সমূহঃ
- কম্পিউটার
- ইলেকট্রনিক্স
- ইন্সট্রুমেন্টেশন এন্ড প্রসেস কন্ট্রোল
- ইলেকট্রোমেডিক্যাল
- আর্কিটেকচার
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ১৯
পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। ১৯৮৯ সালে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। শুরুর দিকে আসাম সংখ্যাও অনেক কম থাকলেও বর্তমানে এটি অনেক সমৃদ্ধ।
ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদ সমূহঃ
- কম্পিউটার বিভাগ
- সিভিল বিভাগ
- ইলেকট্রনিক্স বিভাগ
- আরএসি বিভাগ
- ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ
বাংলাদেশের সেরা ২০ সরকারি পলিটেকনিক - ২০
টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। ১৯৯১ সালে কারিগরি এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় মাত্র ৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী শুরু করলেও, বর্তমানে বিভিন্ন অনুষদের আওতায় হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুষদ সমূহঃ
- ইলেকট্রিক্যাল,
- ইলেকট্রনিক্স,
- কম্পিউটার,
- টেলিকমিউনিকেশন,
- কন্সট্রাকশন,
- মেকানিক্যাল
- সিভিল
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url