মসুর ডালের ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো নিয়ে। সব জিনিসেরই কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। যারা মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন এবং জানতে চান মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো তাদের জন্য এই পোস্টটি খুবই উপকারী।
কারণ আমরা আলোচনা করব মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো নিয়ে। মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক, মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, মসুর ডাল দিয়ে রূপচর্চা, ইত্যাদি এসব বিষয় সম্পর্কে জানব।
পেজ সূচিপত্রঃ মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
- মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা
- মসুর ডালের উপকারিতা
- মসুর ডালের অপকারিতা
- মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক
- মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
- মসুর ডাল দিয়ে রূপচর্চা
- মসুর ডাল খেলে কি মোটা হয়
- প্রতিদিন মসুর ডাল খেলে কি হয়?
- মসুর ডালের ফেসপ্যাক
- মসুর ডালের পুষ্টিগুণ
- চুলের যত্নে মসুর ডাল
- শেষ কথাঃ মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা
মসুর ডাল শরীরের জন্য খুবই উপকারী খাদ্য। এবং এটি দিয়ে মুখের বিভিন্ন রকম দাগ উঠানো যায়। আমরা এই পোস্টে জানবো মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো সম্পর্কে। মসুর ডাল না হলে ভাত খেতে পারেন না বাংলাদেশে এমন মানুষ অনেকেই আছে। কিন্তু তারা জানে না যে এই মুসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি?
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের জাম খাওয়ার উপকারিতা
তাদের জানানোর সুবিধার্থে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করব মসুর ডাল খেলে কি উপকারিতা পাওয়া যায়। ও কোন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়। চলুন দেরি না করে মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো জেনে আসি।
মসুর ডালের উপকারিতা
বাংলাদেশের মানুষের ভাতের সাথে ডাল না হলে চলে না। বাংলাদেশের মানুষ মসুর ডাল বেশি খেয়ে থাকেন। কিন্তু তারা জানেনা মসুর ডালের উপকারিতা গুলো। তাদের সুবিধার্থে মসুর ডালের উপকারিতা গুলো নিচে তুলে ধরছি। মসুর ডাল শুধু বাংলাদেশের নয় পুরো বিশ্বের এ ডাল জনপ্রিয়। এ ডাল দিয়ে বিভিন্ন রকম খাবার তৈরি করা হয়।
মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ রয়েছে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। একসাথে আয়রন ও ফলেড দুইটি একসাথে পাওয়া যায়। গর্ভবতী মায়েদের জন্য মসুর ডাল খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। মসুর ডালের ফাইবারে আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে এটা শরীরে চিনির পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সম্পূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরো পড়ুনঃ আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
বাড়তি ওজন কমাতে চাইলে ভারতের পরিমাণ কমিয়ে ডাল বেশি বেশি খেতে হবে। এতে ক্ষুধা কমে যাওয়া থেকে শুরু করে ভরা পেটে অনুভূতি থাকবে অনেকক্ষণ। মসুর ডাল খেলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের পরিমাণ কমে যায়।
মসুর ডালের অপকারিতা
মসুর ডালের যেমন কিছু উপকারিতা রয়েছে তেমন অপকারিতা রয়েছে। মসুর ডাল খেলে শরীরের কি কি ক্ষতি হয় সেগুলো সম্পর্কে জানব। আমাদের শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে ডাল। মসুর ডাল দামে কিছুটা সস্তা হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ প্রতিদিন ডাল খেয়ে থাকে। প্রতিদিনের আমিষের 20 থেকে 25 ভাগ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম মসুর ডাল। এদেশের মাত্র 5 থেকে 7 শতাংশ কৃষি জমিতে এইডার উৎপাদন হয়ে থাকে তাই চাহিদা পূরণের জন্য নিতে হয় আমদানি সাহায্য।
প্রতি বছর দুই হাজার কটি টাকার ডাল আমদানি হয় ভারত কানাডা অস্ট্রেলিয়া তুরস্ক ও নেপাল থেকে।অন্যান্য ডালকে বিভিন্ন রকম ভেজাল মিশিয়ে মুসুর ডাল হিসেবে বিক্রি করায় এদিকে মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন রকম ক্ষতি হচ্ছে। সাধারণত ভেজাল মেশানোর কারণেই
মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক
উপরে আমরা মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো জানলাম। মসুর ডাল খেলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় এবং কিভাবে শরীরের অপকারিতা হয়। এবার আমরা জানবো মসুর ডালের কিছু ক্ষতিকারক দিক। যা আমাদের অজান্তেই আমাদের শরীরের ক্ষতি করে আসছে। তো চলুন মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক গুলো জেনে আসি।
আরো পড়ুনঃ কাঁঠালের দশটি উপকারিতা ও অপকারিতা
ডালের ক্রমবর্ধমান অবস্থা দেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ডালে বিভিন্ন রকম রাসায়নিক দ্রব্য মিসায়। ওজন বৃদ্ধির জন্য ডালে জল মিশিয়ে বিক্রি করে। কাপড়ের ক্ষতিকর রং মিশিয়ে কলাইয়ের ডাল মসুর ডাল বানিয়ে বিক্রি করে। কেজিতে একটু বেশি লাভ পাওয়ার আশায় কলাই ডাল কে ছোট করে মসুর ডাল বানিয়ে বিক্রি করে থাকে।
মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
উপরে আমরা জানলাম মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা আরও জানলাম মসুর ডালের কিছু ক্ষতিকারক দিক। এবার আমরা জানবো মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়। মসুর ডাল যেমন শরীরের পুষ্টি উপাদান বজায় রাখে তেমনি রূপচর্চা বা ফর্সা হতে সাহায্য করে। মসুর ডালের অনেকগুলো পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের ও আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।
মসুর ডালের পুষ্টি উপাদানগুলো আমাদের ত্বকের উপর ময়লা তুলতে সাহায্য করে। যদি আপনি মসুর ডাল পিষে আপনার পুরো শরীরে এবং মুখে ব্যবহার করেন তাহলে যেসব উপকারিতা পাবেন তা হলঃ
- আপনার মুখের বিভিন্ন রকম ময়লা-আবর্জনা ডাক সার্কেল
- ব্রণের দাগ বিভিন্ন রকম দাগ তুলতে সাহায্য করবে।
- সারাদিনের ময়লা-আবর্জনা মসুর ডাল ত্বকের গভীরে গিয়ে বের করে আনতে সাহায্য করে।
- এবং আপনার ত্বককে ফর্সা হতে সাহায্য করবে
এতে আপনাকে প্রতিদিন রাত্রে শোয়ার আগে মসুর ডাল এতে লেবু মিশিয়ে মধু দিয়ে আপনার মুখে বা পুরো শরীরে ব্যবহার করবেন। দেখবেন আপনার তো আগের থেকে অনেক ফর্সা হয়ে গেছে।
মসুর ডাল দিয়ে রূপচর্চা
মসুর ডাল দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে মসুর ডাল কে পিছে মিহি করে নিতে হবে। এবং দুই চামচ পরিমাণ মসুর ডালের গুঁড়া নিতে হবে। এবং আপনাকে এক চামচ পরিমাণ লেবুর রস মসুর ডালের গুরাই মিশেতে হবে। তারপর মিশ্রণ তাকে বানাতে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে ভালোভাবে গুলি নিতে হবে। আপনি চাইলে লেবুর রস এর বদলে গোলাপজল বা মধু দিতে পারেন।
এবং মসুর ডালের ফেসপ্যাক বানিয়ে এগুলো নিজের শরীরে লাগাতে হবে। এভাবে মসুর ডাল কে কাজে লাগিয়ে রূপচর্চা করা যায়। এভাবে আপনারাও আপনাদের রূপচর্চা করতে মুসুর ডাল ব্যবহার করুন।
মসুর ডাল খেলে কি মোটা হয়?
মসুর ডালে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা আমাদের শরীরের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ রয়েছে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। একসাথে আয়রন ও ফলেড দুইটি একসাথে পাওয়া যায়। ক্ষুধা কমে যাওয়া থেকে শুরু করে ভরা পেটে অনুভূতি থাকবে অনেকক্ষণ।বাড়তি ওজন কমাতে চাইলে ভারতের পরিমাণ কমিয়ে ডাল বেশি বেশি খেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ জাম খাওয়ার দশটি উপকারিতা ও অপকারিতা
এতে বুঝা যায় মুসুর ডাল খেলে মোটা হয় না আর শরীরের ওজন কমাতে মসুর ডাল সাহায্য করে। যাদের অতিরিক্ত ওজন এবং ওজন কমাতে চান তারা নিয়মিত মুসুর ডাল খান। এতে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে।
প্রতিদিন মসুর ডাল খেলে কি হয়?
মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। দামে সস্তা ও একাধিক পুষ্টি উপাদান থাকার ফলে এটি একটি খুবই উপকারী খাবার। এবং ডাল ভাতের সাথে খেতে ভালো লাগে। যদি আপনি নিয়মিত মসুর ডাল খান তাহলে আপনার শরীরে সকল ধরনের পুষ্টি উপাদান চাহিদা পূরণ করবে। মসুর ডালে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হলঃ
- জলীয় অংশ
- খনিজ পদার্থ
- আস
- খাদ্যশক্তি
- আমিষ
- চর্বি
- ক্যালসিয়াম
- লোহা
- ভিটামিন বি 2
- শর্করা
উপরের পুষ্টি উপাদানগুলো রয়েছে আপনি যদি প্রতিদিন মুসুর ডাল খান তাহলে আপনার শরীরের পুষ্টি উপাদানের চাহিদা অনেক অংশে পূরণ করে মসুর ডাল। এবং আপনার শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে বিভিন্ন রকম রোগ যেমন হার্ট অ্যাটাক স্ট্রোক থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত মসুর ডাল খাওয়ার পরামর্শ থাকলো।
মসুর ডালের ফেসপ্যাক
অনেকেই আছে মসুর ডাল দিয়ে রূপচর্চা বা ফর্সা হতে চাই। তারা বিভিন্ন রকম ফেসপ্যাক সম্পর্কে জানতে চাই আজকে আমরা মসুর ডালের ফেসপ্যাক সম্পর্কে জানব। কিভাবে এটি বানাতে হয় সে সম্পর্কেও বিস্তারিত জানাবো।
মসুর ডালের ফেসপ্যাক বানাতে হলে আপনাকে আগে মসুর ডাল ভিজিয়ে রেখে এটিকে বিলিনডারে পিসে মসুর ডাল এর পেস্ট করে নিতে হবে। এবং আরো লাগবে টক দই এবং মধুর এ তিনটি উপাদান দিয়ে ফেসপ্যাক বানাতে হবে।
- প্রথমে নিতে হবে 2 চামচ মসুর ডালের পেস্ট।
- এক চামচ পরিমাণ টক দই
- এবং এক চামচ পরিমাণ মধু
এরপর থেকে ভালোভাবে নাড়িয়ে নিতে হবে। এবং ফেসপ্যাক তৈরি হয়ে যাবে।
মসুর ডালের পুষ্টিগুণ
মসুর ডালের অনেকগুলো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম রোগ থেকে মুক্তি দেয়। ও শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। মসুর ডাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনেছি এখন মসুর ডালের পুষ্টি উপাদানগুলো জেনে নি।
আরো পড়ুনঃ লিচু খাওয়ার পাঁচটি উপকারিতা ও অপকারিতা
মসুর ডালে রয়েছে বিভিন্ন রকম পুষ্টি উপাদান যেমন খনিজ পদার্থ, আস, আমিষ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি 2 ও শর্করা ইত্যাদি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে মসুর ডাল নিয়মিত খেলে হার্টের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। মসুর ডাল ফলেট এবং ম্যাগনেসিয়াম এর বিশাল উৎস। যা হার্টকে আরো বেশি সতেজ রাখতে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম শরীরের সকল অংশে পুষ্টি উপাদান ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।
প্রতি 100 গ্রাম মসুর ডালের পুষ্টি উপাদান থাকে
- জলীয় অংশ (১২.৪ গ্রাম)
- খনিজ পদার্থ (২.১ গ্রাম)
- আস ( ৬০ গ্রাম)
- খাদ্যশক্তি (৩৪৩ কিলোক্যালরি)
- আমিষ (২৫.১ গ্রাম)
- চর্বি( ৬০ গ্রাম)
- ক্যালসিয়াম(৬৯ মিলিগ্রাম)
- লোহা(৪.৮ মিলিগ্রাম)
- ভিটামিন বি 2(৪৯ মিলিগ্রাম)
- শর্করা(৫৯.০ মিলিগ্রাম)
চুলের যত্নে মসুর ডাল
উপরে আমরা মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। আরো জেনেছি মসুর ডাল দিয়ে কিভাবে রূপচর্চা করতে হয় মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার নিয়ম সবকিছুই জেনেছি। এবার জানবো চুলের যত্নে মসুর ডাল কিভাবে ব্যবহৃত হয়। চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের ব্যবহার করতে পারেন। যেমন মাথায় অতিরিক্ত খুশকি এই সমস্যা সমাধানে মসুর ডাল ব্যবহার করতে পারেন।
মাথায় অতিরিক্ত খুশকি এ সমস্যা সমাধানের জন্য মসুর ডালের পানি। মসুর ডাল কে ভিজিয়ে রেখে মসুর ডাল থেকে যে পানি পাওয়া যাবে সেটি নিজের মাথায় ব্যবহার করুন। এটি আপনার মাথার অতিরিক্ত খুশকি তাড়াতে সাহায্য করবে। চুলকে সিল্কি করতে ও চুল পড়া বন্ধ করতে মসুর ডালের পানি বা মসুর ডাল মিহি করে পিষে সেটি মাথায় ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুল সিল্কি হবে।
শেষ কথাঃ মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
উপরে আমরা মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। কিভাবে মুসুর ডাল রূপচর্চার সাহায্য করে। কিভাবে মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়া যায় মসুর ডাল দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়া যায়। সবকিছুর উপরে জেনেছি আপনি আপনার ইচ্ছামত সমস্যার সমাধান এখান থেকে নিতে পারেন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও করতে আমাদের ফেসবুক পেজ ও ওয়েব সাইট নিয়মিত ফলো করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url