OrdinaryITPostAd

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ - ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা দৈনন্দিন জীবনে আমরা  সকলেই যাতায়াতের জন্য কোন কোন যানবাহন ব্যবহার করে থাকি, হতে পারে সেটা মোটরসাইকেল অথবা নিজস্ব কার।


বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত এসকল যানবাহন ড্রাইভিং করা আইনত দণ্ডনীয়। চলুন জেনে নেয়া যাক, ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ - ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম।

পেজ সূচিপত্রঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ - ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম

brta.gov.bd ড্রাইভিং লাইসেন্স - ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয় কোন সংস্থা

প্রথমে আমাদেরকে জানতে হবে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয় কোন সংস্থা বা brta.gov.bd ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে করতে হয়। নিচে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয় কোন সংস্থা বা brta.gov.bd ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে করতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করা হলো।

বাংলাদেশের সকল প্রকার যানবাহন এর লাইসেন্স দেয় বিআরটি (brta) এ সংস্থা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএ বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান যেটা সকল প্রকারের যানবাহনের ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে থাকে। মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ (সংশোধনী ১৯৮৭) এর অধ্যায় ২ অনুযায়ী বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ১৯৮৮ সাল থেকে এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

সুতরাং ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয় কোন সংস্থা এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তর হল বিআরটিএ নামক সংস্থা। ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয় কোন সংস্থা বা brta.gov.bd ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে করতে হয় আশা করি সে বিষয়টি আপনি ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন। 

ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বশর্ত

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ - অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করার পূর্বে আমাদের জানা উচিত ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বশর্ত গুলো।  ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। আপনি যদি সে শর্তগুলো পূরণ করতে সমর্থ হন কেবলমাত্র তখনই ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পারেন। অন্যথায় কর্তৃপক্ষ আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স নাও দিতে পারে।ড্রাইভিং লাইসেন্স সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে।

পেশাদার ও অপেশাদার। প্রথমেই আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনি কোন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চান পেশাদার নাকি অপেশাদার। আপনার যদি নিজস্ব কোন বাহন থাকে, এবং সেটি আপনি নিজেই ড্রাইভিং করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।

আর যদি আপনি ড্রাইভিংকে পেশা হিসেবে নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে পেশাদার লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। পেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম প্রায় একই। নিচে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ - অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম। এর পূর্বশর্তগুলো উল্লেখ করা হলোঃ

  • ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার প্রথম ও প্রধান পূর্ব শর্ত হল লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া।
  • আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে।
  • অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নূন্যতম বয়স ১৮ বছর। এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নূন্যতম বয়স ২১ বছর।
  • মানসিক ও শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে হবে। 

পেশাদার ও অপেশাদার লাইসেন্স এর মধ্যকার পার্থক্য

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমাদেরকে প্রথমেই জানতে হবে পেশাদার এবং অপেশাদার লাইসেন্স এর পার্থক্য কি ?
  • অপেশাদার লাইসেন্স।
অপেশাদার ও লাইসেন্স এর মধ্যে মৌলিক পরিবর্তন রয়েছে। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে আমরা যে লাইসেন্স নিয়ে থাকি, অর্থাৎ যে লাইসেন্স দিয়ে আমরা পেশাগতভাবে গাড়ি চালাব না সেটাকেই অপেশাদার লাইসেন্স বলা হয়। 
  • পেশাদার লাইসেন্স
আমরা যদি ড্রাইভিংকে পেশা হিসেবে বেছে নেই তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই পেশাদার লাইসেন্স করতে হবে। অর্থাৎ প্রফেশনাল ড্রাইভার দের কে পেশাদার লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয়।

পেশাদার লাইসেন্স এর প্রকার সমূহ

আমরা অনেকেই মনে করি যে পেশাদার লাইসেন্স করলেই ভারী যানবাহনের লাইসেন্স পাওয়া যায়। এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কেননা পেশাদার লাইসেন্স করলেই প্রথমে ভারী যানবাহনের লাইসেন্স দেয়া হয় না। 

প্রথমে হালকা এরপর মধ্যম এবং সবশেষে ভারী যানবাহনের লাইসেন্স দেয়া হয়। অর্থাৎ ভারী যানবাহন এর ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ধারীকে আরও দুটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। নিচে হালকা, মধ্যম ও ভারী যানবাহনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
  • পেশাদার হালকা।
যে সকল  যানবাহনের ওজন ২৫০০ কেজির নিচে সে সকল যানবাহন কে হালকা যানবাহন বলা হয়। এই যানবাহনের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে অর্থাৎ পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে প্রার্থীর বয়স সর্বনিম্ন ২০ বছর হতে হবে।

  • পেশাদার মধ্যম।
যে সকল যানবাহন এর ওজন ২৫০০ - ৬৫০০ কেজির মধ্যে, সে সকল যানবাহন কে মধ্যম যানবাহন হিসেবে ধরা হয়। এসকল যানবাহনের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে অর্থাৎ পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে প্রার্থীর বয়স সর্বনিম্ন ২৩ বছর হতে হবে। এবং পেশাদার হালকা যানবাহন চালানোর সর্বনিম্ন ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

  • পেশাদার ভারী।
যে সকল যানবাহন এর ওজন ৬৫০০ কেজির বেশি, সে সকল যানবাহনকে ভারী যানবাহন বলা হয়ে থাকে। এই সকল যানবাহন চালানোর জন্য লাইসেন্স করতে হলে, অর্থাৎ পেশাদার ভারী লাইসেন্স করতে হলে প্রার্থীর বয়স সর্বনিম্ন ২৬ বছর হতে হবে। এবং মধ্যম যানবাহন চালানোর সর্বনিম্ন ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ - ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম  ধাপ ১

শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আপনাকে এই লিঙ্কে প্রবেশ করে যাবতীয় তথ্য যথাযথভাবে পূরণ করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করার পর শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স টি ইস্যু হবে, এবং আপনি সেটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করেতে পারবেন। এরপর দুই থেকে তিন মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার পর নির্ধারিত দিনে আপনাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
কোথায়, কখন লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে তা আপনাকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সময় অবশ্যই আপনাকে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মূলকপি সঙ্গে আনতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই ফর্মে একজন প্রশিক্ষক এর তথ্য আপনাকে দিতে হবে।

সেখানে আপনার পরিচিত কোন ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীর নাম ব্যবহার করতে পারেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ বা অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনযোগ দিয়ে পড়ুন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ - ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম ধাপ ২

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ - লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার জন্য বেশকিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়বে, যে সমস্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে সেগুলোর তালিকা নিম্নে দেওয়া হলঃ
  • আবেদন ফরম। আবেদন ফরম টি পেতে এখানে ক্লিক করুন। 
  • আবেদনকারীর সদ্য তোলা ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি।ছবির সাইজ সর্বোচ্চ ১৫০ কেবি এবং ছবির পরিমাপ সর্বোচ্চ ৩০০ ✕ ৩০০ পিক্সেল হতে হবে। 
  • রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সনদ। ( সাইজ সর্বোচ্চ ৬০০কেবি ) । মেডিকেল সার্টিফিকেট এর ফর্ম টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের স্ক্যান কপি।  ( সাইজ সর্বোচ্চ ৬০০ কেবি )
  • ইউটিলিটি বিল ( বিদ্যুৎ বিল ) এর স্ক্যান কপি। এক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা যদি বর্তমান ঠিকানার সাথে মিল না থাকে, তাহলে বর্তমান ঠিকানার ইউটিলিটি বিল সংযুক্ত করতে হবে।
  • নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে। ক্যাটাগরি ১ এর ফিঃ ৩৪৫ টাকা এবং ক্যাটাগরি ২ এর ফিঃ ৫১৮ টাকা। 

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ - ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম ধাপ ৩

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সটি আপনি সর্বোচ্চ তিন মাস ব্যবহার করতে পারবেন এরপর আর সেটি ব্যবহার করতে পারবেন না। এর মধ্যেই আপনার লিখিত, ফিল্ড টেস্ট এবং মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। যদি আপনি লিখিত, ফিল্ড টেস্ট এবং মৌখিক পরীক্ষায় সফলভাবে কৃতকার্য হাতে পারেন, তারপর আপনাকে মূল লাইসেন্স তথা স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে।

সেটার মেয়াদ হবে ১০ বছর।  সেজন্য আপনাকে পুনরায় বিআরটিএর সংশ্লিষ্ট সার্কেলে আবেদন করতে হবে। যেহেতু এটি স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স তাই এই লাইসেন্স পেতে হলে বিটিআরসির সার্কেল অফিসে গিয়ে আপনাকে বায়োমেট্রিক ( আঙ্গুলের ছাপ, ডিজিটাল স্বাক্ষর, ছবি )  তথ্য দিতে হবে। 
এ পর্যায়ে আপনাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নির্বাচন হবে,  আর সেটা হলো আপনি কোন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চাচ্ছেন অপেশাদার না পেশাদার। পেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মধ্যকার পার্থক্য ইতোপূর্বেই আলোচনা করা হয়েছে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম গুলো ভালোভাবে দেখে নিয়ে এরপর ড্রাইভিং লাইসেন্সের এর জন্য আবেদন করা উচিত। তা না হলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ - ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম ধাপ ৪

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করার এ পর্যায়ে আমরা স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে আলোচনা করব। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করার জন্য আপনার নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। কি কি কাগজ প্রয়োজন হবে সেগুলো নিচে দেওয়া হলঃ
  • নির্ধারিত আবেদন ফরম। আবেদন ফরম টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন
  • রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সনদ। মেডিকেল সার্টিফিকেট এর ফর্ম টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন
  • ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত কপি।
  • নির্ধারিত ফি  রশিদ। ( অপেশাদার ২৫৪২ টাকা এবং পেশাদার ১৬৭৯ টাকা। ) বিআরটিএ'র নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দানের পর রশিদ সংগ্রহ করতে হবে।
  • পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন। ( শুধুমাত্র পেশাদার লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)
  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ১ কপি।
উপরোক্ত তথ্যাদি প্রদানের পর আপনার স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স ইস্যু করা হবে। যখন আপনার স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স টি সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত হয়ে যাবে এবং প্রিন্ট হয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসে আসবে তখন এসএমএসের মাধ্যমে আপনাকে জানানো হবে।অতঃপর আপনি সেটি সংগ্রহ করতে পারবেন। 

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ - নবায়ন প্রক্রিয়া

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ বা অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সংক্রান্ত আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া। কিভাবে আমরা আমাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে পারি সঠিক উপায়ে সে বিষয় নিয়েই এখানে আলোচনা করা হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার ক্ষেত্রে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। নিচে আলোচনা করা হলো: 

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম ২০২৩

বিআরটিএ কতৃক নির্ধারিত ফি জমাদান পূর্বক প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সহ সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিস আবেদন করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করলে ২৪২৭ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার সময় ১৫ দিন পার হয়ে গেল, প্রতি বছরের জন্য ২৩০ টাকা হারে জরিমানা সহ ফী প্রদান করতে হবে। 

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঠিক পাওয়া গেলে একই দিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক তথ্যাদি ( ডিজিটাল স্বাক্ষর, ছবি এবং আঙ্গুলের ছাপ) সংগ্রহ করা হয়। অতঃপর উক্ত প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়ে গেলে, স্মার্ট কার্ড লাইসেন্সটি পুনরায় প্রিন্টিং এর জন্য প্রস্তুত করা হয়। 

স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স টি প্রিন্ট হওয়ার পর বিআরটিএ সংশ্লিষ্ট সার্কেল থেকে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হয়। এবং সেখান থেকে সদ্য নবায়নকৃত স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সটি সংগ্রহ করতে পারে।

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম ২০২৩

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ - ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম এর নীতিমালা অন্যতম একটি বিষয় হচ্ছে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে পুনরায় একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। উক্ত পরীক্ষায় সফলভাবে কৃতকার্য হলে সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ সার্কেল নির্ধারিত ফি জমাদান পূর্বক প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সহ আবেদন করতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করলে ১৫৬৫ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের সময় ১৫ দিন পার হয়ে গেল, প্রতি বছরের জন্য ২৩০ টাকা হারে জরিমানা সহ ফী প্রদান করতে হবে।
অতঃপর আবেদনকারীর সমস্ত কাগজপত্র সঠিক বলে প্রমাণিত হলে, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক ( আঙ্গুলের ছাপ, ডিজিটাল স্বাক্ষর এবং ছবি ) তথ্যাদি সংগ্রহ করবে। এরপর পুনরায় ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্টিং এর জন্য প্রস্তুত করা হবে, এবং সেটি প্রিন্ট হয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীকে অবহিত করবে। আবেদনকারী সদ্য নবায়নকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্সটি সেখান থেকে সংগ্রহ করতে পারবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য যে সমস্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে সেগুলো নিচে দেওয়া হল:
  • নির্ধারিত আবেদন ফরম আবেদন।
  • রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সনদ।
  • ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র।
  • নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদ।
  • সদ্যতোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি।
  • পুলিশি তদন্ত ভেরিফিকেশন ( পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে )

ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৩ - মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৩

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ এর নিয়ম অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৩ - মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৩ নিয়ে এ পর্যায়ে আলোচনা করা হবে। সকল ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি একই নয়, ভিন্ন ভিন্ন ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ভিন্ন নির্ধারণ করেছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। যেমনঃ আপনি যদি লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তাহলে আপনাকে এক ধরনের ফি প্রদান করতে হবে, আবার স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ফি হবে ভিন্ন। তো চলুন দেখে নেয়া যাক, ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৩ - মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৩ ।

  • লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৩ বা মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৩ঃ  
(ক) ক্যাটাগরি "১" এর লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফিঃ ৩৪৫ টাকা। শুধুমাত্র মোটরসাইকেল অথবা যেকোনো এক ধরনের হালকা মোটরযান ক্যাটাগরি "১" এর অন্তর্ভুক্ত।
(খ) ক্যাটাগরি "২" এর লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফিঃ ৫১৮ টাকা। মোটরসাইকেলের সাথে অন্য আরেকটি হালকা মোটরযান। অর্থাৎ মোটরসাইকেল এবং এর সাথে আরেকটি হালকা মোটরযান যুক্ত হলে এটি ক্যাটাগরি "২" এর অন্তর্ভুক্ত হয়।

  • স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৩ বা মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৩ঃ
(ক) পেশাদার স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফিঃ ১৬৮০ টাকা। ( ৫ বছরের নবায়ন ফি সহ)।
(ক) অপেশাদার স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফিঃ ২৫৪২ টাকা। ( ১০ বছরের নবায়ন ফি সহ)। 

  • নবায়ন ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৩ বা মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৩ঃ
(ক) পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফিঃ মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ১৫৬৫ টাকা।
(খ) অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফিঃ মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ২৪২৭ টাকা।
(গ) পেশাদার ও অপেশাদার অভয় লাইসেন্সের ক্ষেত্রেই মেয়াদ উত্তীর্ণের ১৫ দিন পার হলে প্রতি বছরের জন্য ২৩০ টাকা হারে জরিমানা প্রদান করতে হবে।
(ঘ) ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার সময় ২৩০ টাকা বিআরটিএ কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাংকে জমা দিতে হবে। 

ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ বা অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অবশ্যই ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কেও আলোচনা করা জরুরি।কেননা আমরা অনেকেই বিদেশ ভ্রমণ করি তাই এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম জানার আগে  আপনাকে আপনার জানা উচিত হবে যে,  বিআরটিএ কতৃক ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হয়না। ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশ অটোমোবাইল এসোসিয়েশন থেকেই তা গ্রহণ করতে হবে। চলুন জেনে নেই ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম।
  • নির্ধারিত ফরমে আবেদন। ফরম টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন
  • সদ্যতোলা চার কপি ছবি।  ( ১ কপি পাসপোর্ট এবং ৩ কপি স্ট্যাম্প সাইজ )
  • বিআরটিএ কতৃক প্রদানকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সত্যায়িত কপি।
  • পাসপোর্ট এর ফটোকপি
  • এবং আবেদন ফি। ( ২৫০০ টাকা )
উপরোক্ত বিষয়গুলো যথাযথভাবে পূরণ করে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে নিয়ে সকাল ১০:৩০ থেকে বিকেল ৩:৩০ এর মধ্যে বাংলাদেশ অটোমোবাইল এ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে আবেদনটি জমা দিতে হবে। পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে তা বাংলাদেশ অটোমোবাইল এসোসিয়েশন থেকে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে। 

অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক - লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক 

লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার বা অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার দুইটি পদ্ধতি রয়েছে।একটি হল এসএমএসের মাধ্যমে আর অপরটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ এর মাধ্যমে। দুটি মাধ্যমের যেকোনো একটি মাধ্যমে আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে নিতে পারেন আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি প্রস্তুত হয়েছে কিনা বা কোন অবস্থায় রয়েছে। চলুন আলোচনা করা যাক, অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক নিয়ে।

এসএমএসের মাধ্যমে অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক 

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ - ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম সংক্রান্ত আলোচনায় এ পর্যায়ে আমরা দেখব কিভাবে এসএমএসের মাধ্যমে অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যায়? এসএমএসের মাধ্যমে অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে  মোবাইল ফোনের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে DL < Space> Reference no লিখে মেসেজ পাঠিয়ে দিন এই ২৬৯৬৯ নাম্বারে।( Reference no আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরমে উল্লেখ করা থাকবে)।

অথবা DL < স্পেস > Driving License Number লিখে 01552146222 নাম্বারে পাঠিয়ে দিন। ৫ মিনিটের মধ্যে আপনি পেয়ে যাবেন একটি ফিরতি এসএমএস আর সেখানেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ এর মাধ্যমে অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ এর মাধ্যমে অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে চান, সর্বপ্রথম আপনাকে যেতে হবে প্লে স্টোরে গিয়ে সার্চ অপশনে গিয়ে DL Checker লিখে সার্চ দিলেই, অ্যাপটি আপনার সামনে চলে আসবে। সেখান থেকে ডাউনলোড করে আপনি আপনার অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারেন। 

ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড

ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার আগে ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করার প্রয়োজন হয়। চলুন দেখে নেই  কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করতে হয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করতে হলে আপনাকে অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক কিভাবে করতে হয় সেটা ভালোভাবে জানতে হবে। 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ এর মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম ইতোপূর্বে বর্ণনা করা হয়েছে সেই অনুযায়ী আপনি DL Checker অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিন। এরপর আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার দিয়ে স্ক্রল করুন একটি কিউআর কোড পাবেন বা ডাউনলোড/প্রিন্ট করার অপশন পাবেন, সেখান থেকে আপনি অনায়াসেই ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করতে পারবেন।

যদি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার না থাকে সে ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করার সময় আপনাকে যে কপিটি দেওয়া হয়েছিল সেখানে একটি রেফারেন্স নাম্বার দেয়া রয়েছে, সেই নাম্বারটি দিয়ে এপ্লাই করে ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করতে পারবেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম

কখনো কখনো ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার প্রয়োজন পড়ে আমাদের। আর এ কারণেই আমাদের কে ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ একবার অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করলে তার মেয়াদ ১০ বছর, এই দীর্ঘ সময়ে আমরা অনেক সময় এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ট্রান্সফার হয়ে যাই। তখন পূর্বের জেলা তে গিয়ে আমাদের ড্রাইভিং লাইসেন্সটি  রিনিউ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। তো চলুন দেখে নেয়া যাক ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমত আপনাকে একটি ফরম পূরণ করে আপনি যেই জেলায় আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করতে চান সেই জেলার বিআরটিএ অফিস বরাবর জমা দিতে হবে। ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। উক্ত লিংকে দুইটি ফরম রয়েছে। আপনাকে প্রথম ফরমটি পূরণ করতে হবে। 

আর দ্বিতীয় ফরমটি মূলত ছাড়পত্র ফরম, যেটি আপনি পূর্বের যে জেলা থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স টি করেছিলেন সেই জেলার বিআরটিএ অফিস থেকে ছাড়পত্র নেয়ার জন্য ব্যবহার করা করতে পারেন। ছাড়পত্র নেয়া বাধ্যতামূলক নয় তবে এটা নিতে পারলে আপনার কাজটি অনেক সহজ হয়ে যাবে।
তারপর বিআরটিএ কতৃক নির্ধারিত যে কোন ব্যাংকে ২৩০ টাকা (মোটরসাইকেলের জন্য) জমা দিয়ে রিসিভটি  সংগ্রহ করুন।এরপর আবেদন ফরম এবং টাকা জমাদানের রেসিপি নিয়ে আপনার পছন্দের জেলার বিআরটিএ অফিসে গিয়ে জমা দিন।বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদনটি যাচাই পূর্বক আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার দিবে। এই ছিল মোটামুটি ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ বা অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম নিয়ে তথ্যবহুল একটি আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে। এরপরেও যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থেকে থাকে কমেন্টে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। 

মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম - বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম 

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম বা বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করতে হয়। কেননা সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ব্যক্তিগত যানবাহন হলো মোটরসাইকেল। চলুন জেনে নেই মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম বা বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম। 

মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম বা বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম অন্যান্য যানবাহন লাইসেন্স করার মতই। সে ক্ষেত্রে তেমন কোন পার্থক্য নেই। ইতোপূর্বে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, সেটাই মূলত মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম বা বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

ড্রাইভিং লাইসেন্স কবে পাবো

আমরা যারা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছি তাদের মনে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায়, সেটা হল ড্রাইভিং লাইসেন্স কবে পাবো ? ড্রাইভিং লাইসেন্স কবে পাবো এই প্রশ্ন যদি আপনার মনেও থেকে থাকে তাহলে মনোযোগ দিয়ে এই প্যারা টি পড়ুন। 

ড্রাইভিং লাইসেন্স কবে পাবো এর নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। আপনার সকল কাগজপত্র যদি সঠিক হয়, এবং সঠিকভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন তাহলে সাধারণত তিন মাসের মধ্যেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স আপনি পেতে পারেন। নির্দিষ্ট সময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স না পেলে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন। ড্রাইভিং লাইসেন্স কবে পাবো আশা করি এই প্রশ্নটির উত্তর পেয়েছেন। 

ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২৩

ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে অবশ্যই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২৩ সম্পর্কে জানা আবশ্যক। গুরুত্বপূর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২৩ ও উত্তর সমূহ নিচে তুলে ধরা হলো।

  • ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২৩ লিখিত
ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করার পর আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি। নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে আপনাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষার জন্য  ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। নির্ধারিত ২০ মিনিটের মধ্যে বৃষ্টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২৩ এর নমুনা নিচে আলোচনা করা হবে। 

  • ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২৩ মৌখিক
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর আপনাকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য সময় দেওয়া হবে, নির্দিষ্ট সময়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এখানে মূলত বিভিন্ন রোড সাইন সম্পর্কিত প্রশ্নগুলো করা হয়। নিচে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২৩ এর প্রশ্ন লিস্টে বিভিন্ন রোড সাইন সম্পর্কিত প্রশ্ন দেওয়া আছে। 

  • ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২৩ ব্যবহারিক
লিখিত পরীক্ষায় এবং মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে হয়, ব্যবহারিক পরীক্ষা অর্থাৎ ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় মূলত আপনাকে যানবাহন চালাতে হবে। এখানে কর্তৃপক্ষ দেখবে আপনি যানবাহন পরিচালনায় কতটা দক্ষ। 

ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২৩ চূড়ান্ত সাজেশন

প্রশ্নঃ যানবাহন বা মোটরযান কাকে বলে?
উত্তরঃ যানবাহন হলো এমন একটি বাহন যার চালিকা শক্তি বা জ্বালানি ভিতরের বা বাইরের কোন উৎস থাকে সরবরাহ হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ মোটরযান রক্ষণাবেক্ষণ বা মেনটেইন্যান্স বলতে কী বোঝানো হয়?
উত্তরঃ যানবাহন নিয়ে রাস্তাঘাটে চলার সময় যেন কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়, গাড়ি চালানোর পূর্বেই সে বিষয়টি নিশ্চিত করা।

প্রশ্নঃ গাড়ি চালানোর পূর্বের কোন বিষয়গুলো নিশ্চিত হতে হয়?
উত্তরঃ প্রথমে দেখতে হবে গাড়ির জ্বালানি ঠিকঠাকভাবে আছে কিনা এবং গাড়িতে কোন সমস্যা আছে কিনা। যদি থেকে থাকে তাহলে সে সমস্যাটি দূরীভূত করা।

প্রশ্নঃ গাড়ি চালানোর পূর্বে কোন বিষয়গুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ থাকতে হবে?
উত্তরঃ গাড়ি চালানোর পূর্বে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং গাড়ির বীমা রয়েছে কিনা সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। গাড়িটি হতে হবে বৈধ এবং এর রুট পারমিট থাকতে হবে। 

প্রশ্নঃ কোন কোন ব্যক্তি রাস্তা আটকে আপনার গাড়ির কাগজপত্র চেক করতে পারে?
উত্তরঃ মোটরযান পরিদর্শকসহ বিআরটিএর কর্মকর্তাগন। মোবাইলকোর্টে নিয়োজিত যে কোনো কর্মকর্তা। সার্জেন্ট, সাব-ইনসপেক্ট এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগন।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা কত?
উত্তরঃ ৭০ কিলমিটার। 

প্রশ্নঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়সসীমা কত?
উত্তরঃ ১৮ বছর। 

প্রশ্নঃ ভারী মোটরযান কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল যানবাহন এর ওজন ৬৫০০ কেজির বেশি, সে সকল যানবাহনকে ভারী যানবাহন বলা হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ নীল বৃত্তাকার চিহ্ন টি দ্বারা কি বোঝানো হয়?
উত্তরঃ অর্থাৎ অবশ্যই পালন করতে হবে।

প্রশ্নঃ ট্রাফিক সিগন্যাল কত প্রকার?
উত্তরঃ ৩ প্রকার।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url