গুগল আমার বিয়ে কবে হবে - আপনার বিয়ে কার সঙ্গে হবে
আমরা অনেকেই আছি যাদের সময়মত বিয়ে হচ্ছে না। তারা বিভিন্ন সময় গুগল আমার বিয়ে কবে হবে বা আমার বিয়ে কার সঙ্গে হবে এসব লিখে গুগলে সার্চ দেয়। আজ আমরা বিয়ে না হলে কি করা উচিত বা আমার বিয়ে হচ্ছে না কেন তা নিয়ে একটি পোস্ট লিখব।
চলুন আর দেরি না করে গুগল আমার বিয়ে কবে হবে, আমার বিয়ে কার সঙ্গে হবে, আমার বিয়ে হচ্ছে না কেন, বিয়ে না হলে কি করা উচিত, ৪০ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল, সাত দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল, ছেলেদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল, মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল ও তিন দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল সম্পর্কে জেনে নেই।
পেজ সূচিপত্রঃ গুগল আমার বিয়ে কবে হবে - আমার বিয়ে কার সঙ্গে হবে
গুগল আমার বিয়ে কবে হবে | আমার বিয়ে কার সঙ্গে হবে | আমার বিয়ে হচ্ছে না কেন
আমাদের সকলের জীবনেই বিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ন একটি অধ্যায়। মহান আল্লাহ্ তায়ালা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই বিয়ে ফরজ করেছেন। কিন্তু আপনার বা আমার বিয়ে কবে, কখন, কার সাথে হবে তা মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিন ছাড়া আর কেউ জানে না। কথায় আছে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে সবই মহান আল্লাহ্ তায়ালার হাতে।
বিয়ে না হলে কি করা উচিত | গুগল আমার বিয়ে কবে হবে
যদি আপনার বিবাহ যোগ্য মেয়ে থাকে কিন্তু তাদের কোন কারণে বিয়ে হচ্ছে না। বার বার বিয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে। তাহলে সেই মেয়ের বাবা-মাকে নিম্নক্তো আমল গুলো নিয়মিত করতে হবে-
যদি কোন মেয়ের বিয়ে না হয় তাহলে সেই মেয়ের পিতা-মাতা যেকোন একজনকে মেয়ের বিয়ের নিয়ত করে ২ রাকাত নফল নামাজ পড়তে হবে এবং নামাজ শেষে "يَا لَطِيْفُ ( ইয়া লাতীফু, অর্থঃ- হে সুক্ষ্মদর্শক।)" ১০০ বার পাঠ করতে হবে। আবার ছেলে- মেয়ে উভয়ই "يَا لَطِيْفُ ইয়া লাতীফু" ৫০০ বার প্রতিদিন পাঠ করবে।
৪০ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল | গুগল আমার বিয়ে কবে হবে
যেসকল ছেলে-মেয়ে দের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ে হচ্ছে না। ছেলে পক্ষ বা মেয়ে পক্ষ এসে ফিরে যাচ্ছে। তারা প্রত্যেক ফজরের নামাজের পর সূর্যোদয়ের আগে ৪০ বার করে ৪০ দিন পর্যন্ত ছেলেরা ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কব্জি চেপে ধরে ও মেয়েরা বাম হাত দিয়ে ডান হাতের কব্জি চেপে ধরে "ইয়া ফাত্তাহু" পাঠ করবে।
"ইয়া ফাত্তাহু" আল্লাহর পবিত্র নাম যার অর্থ উন্মুক্তকারী বা প্রস্তুতকারী। বিবাহ ছাড়াও "ইয়া ফাত্তাহু" ফজরের নামাজের পর দুই হাত বুকের উপর রেখে ৭১ বার পাঠ করলে ইনশাল্লাহ অভাব দূর হবে, মনোবল বৃদ্ধি হবে ও সকল কাজ সহজ হবে।
সাত দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল | গুগল আমার বিয়ে কবে হবে
জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে সবই মহান আল্লাহ্ তায়ালার হাতে, মহান আল্লাহ্ তায়ালা যার যখন চাইবে তার তখন বিয়ে হবে। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে- বিয়ের ফুল ফুটলে বিয়ে হবে। অনেক ছেলে মেয়ে আছে যাদের খুব দ্রুত বিয়ের বয়স হওয়ার সাথে সাথেই বিয়ে হয়ে যায়। আবার অনেকে আছে যাদের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ে হচ্ছে না। যাদের বিয়ে বয়স পার হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ে হচ্ছে না তাদের জন্য রয়েছে দ্রুত বা সাত দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল। এই ৭টি আমল এর মধ্যে যেকোন একটি আমল করলেই ইনশাল্লাহ আপনার বিয়ে খুব দ্রুত হয়ে যাবে। আমল গুলো হল-
বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়া- যে ব্যাক্তি সব সময় বেশি বেশি জাবানে ইস্তেগফার জারি রাখে সে মুসতাজেবুদ হয়ে যায়। যার দোয়া মহান আল্লাহ্ পাক কখনও ফেরত দেন না।
اَسْتَغْفِرُ الله – اَسْتَغْفِرُ الله
উচ্চারণ : আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ।
اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لَا اِلَهَ اِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَ اَتُوْبُ اِلَيْهِ
উচ্চারণ : ‘আসতাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।’
আরও পড়ুনঃ বৈশাখ মাসের বিয়ের তারিখ ১৪২৯
সূরা আদ-দোহা ও সূরা কাসাসের ২৪ নং আয়াত পাঠ করা -
যদি কোন ছেলে সূরা কাসাসের ২৪ নং আয়াতটি ১০০ বার পড়ে তাহলে মহান আল্লাহ্ তায়ালা খুব তাড়াতাড়ি তাকএ বিয়ের ব্যাবস্থা করে দিবেন। আয়াতটি হল -
فَسَقَى لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّى إِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
উচ্চারণ : ‘ফাসাক্বা লাহুমা ছুম্মা তাওয়াল্লা ইলাজজিল্লি ফাক্বালা রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খায়রিং ফাক্বির।’
হযরত মূসা (আঃ) যখন একাকি অনুভব করত তখন এই দূয়াটি বেশি বেশি করে পাঠ করতেন।
আর যদি মেয়েরা সূরা-দোহা নিয়মিত ১১ বার তেলাওয়াত করে তাহলে মহান আল্লাহ্ তায়ালা তাকে উত্তম পাত্রের ব্যাবস্থা করে দিবেন।
সূরা ইয়াসিন পাঠ করা-
যাদের বিয়ের প্রস্তাব আসে কিন্তু বিয়ে হয় না তাদের জন্য সূরা ইয়াসিন পাঠ করা একটি কার্যকরী আমল। সূরা ইয়াসিনে মুবিন আছে ৭টি। রোজ সকালে সূর্য যখন পূর্ব আকাশে লাল হয়ে উঠবে তখন পশ্চিম দিকে মুখ করে সূরা ইয়াসিন পাঠ করতে হবে। আর "মুবিন" শব্দ তেলাওয়াত করা হবে তখন শাহাদাতের আঙ্গুল দিয়ে সূর্যের দিকে ঈশারা করতে হবে।
সূরা তাওবার ১২৯ নং আয়াতটি পাঠ করা-
যাদের দিয়ে হয় না, তারা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর (ছেলে-মেয়ে উভয়) সূরা তাওবার ১২৯ নং আয়াতটি পাঠ করবে। ১৯ বার বিসমিল্লাহ, ১১০০ বার সূরা তাওবার ১২৯ নং আয়াত, ১০০ বার দূরুদ শরীফ, ও শেষে আবার ১৯ বার বিসমিল্লাহ পাঠ করবে। আয়াতটি হল-
فَإِن تَوَلَّوْاْ فَقُلْ حَسْبِيَ اللّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ : ফাইং তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম।’
সূরা মুজাম্মিল পাঠ করা-
যদি কোন ছেলে বা মেয়ের বিয়ের বয়স হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ের প্রস্তাব না আসে তাহলে সেই ছেলে বা মেয়ের বাবা অথবা মা শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ২ রাকাত নফল নামাজ পড়ে ২১ বার সূরা মুজাম্মিল পাঠ করতে হবে।
তাসবিহে ফাতেমি পাঠ করা-
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর নিয়মিত তাসবিহে ফাতেমি পাঠ করা। তাসবিহে ফাতেমি হল-
- سُبْحَانَ الله : আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার পড়া।
- اَلْحَمْدُ لِلّه : আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার পড়া।
- اَللهُ اَكْبَر : আলহামদুলিল্লাহ ৩৩/৩৪ বার পড়া।
তাসবিহে ফাতেমি পাঠ করার আগে কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও দূরূদ শরীফ পাঠ করে নেওয়া উচিত।
সূরা মরিয়ম পাঠ করা-
যদি কোন ছেলে বা মেয়ের বিয়ে না হয় তাহলে যেকোন এক ওয়াক্তের নামাজ আদায়ের পর সূরা মরিয়ম পাঠ করতে হবে। এই আমলটি পাত্র- পাত্রী বা তাদের বাবা-মা ও করতে পারে।
তিন দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল | গুগল আমার বিয়ে কবে হবে
যেসব ছেলে-মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না। তাদের ছোট ভাই বোনদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আপনার বয়স বিয়ের বয়স পার হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ে হচ্ছে না তাদের জন্য একটি পরিক্ষীত আমল। যা করলে এবং মহান আল্লাহ্ পাক চাইলে ৩ দিনের মধ্যে আপনার বিয়ে হয়ে যাবে। ফরজ নামাজের পর এই আমলটি করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ আষাঢ় মাসের বিয়ের তারিখ ১৪২৯
ফজরের নামাজের পর দূরূদে ইব্রাহিম বা অন্য যেই দূরূদ শরীফ আপনি জানেন সেই দূরূদ শরীফ ৩ বার, ৭বার অথবা ১১ বার পাঠ করতে হবে। তারপর সূরা ইয়াসিন ৪১ বার এবং শেষে আবার ৩, ৭, বা ১১ বার দূরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে। কিন্তু যদি আপনি একদিনে সূরা ইয়াসিন ৪১ বার পড়তে না পারেন, তাহলে ৩ দিনে ভাগ করে আপনি এই আমলটি করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে ১৫ বার , দ্বিতীয় দিন ১৫ বার ও তৃতীয় দিন ১১ বার সূরা ইয়াসিন পাঠ করতে হবে এবং সূরা ইয়াসিন পড়ার আগে অবশ্যই দূরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে।
ছেলেদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল | মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল
ছেলেদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল ও মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল উভয়েরই বিয়ে করার আমল একই। আলাদা করে কোন আমল নেই। ছেলেদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল ও মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল যেহেতু একই তাই উভয়েরই ৩ দিনের, ৭ দিনের অথবা ৪০ দিনের মধ্যে থেকে যেকোন একটি আমল করতে পারেন। ছেলে-মেয়েদের অতি দ্রুত বিয়ের আমলগুলো উপরে সুন্দর ভাবে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
শেষ কথাঃ গুগল আমার বিয়ে কবে হবে - আমার বিয়ে কার সঙ্গে হবে
বন্ধুরা, আজ আমরা আজ গুগল আমার বিয়ে কবে হবে - আমার বিয়ে কার সঙ্গে হবে তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের এই পোস্টে গুগল আমার বিয়ে কবে হবে, আমার বিয়ে কার সঙ্গে হবে, আমার বিয়ে হচ্ছে না কেন, বিয়ে না হলে কি করা উচিত, ৪০ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল, সাত দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল, ছেলেদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল, মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল ও তিন দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আশা করি, আমাদের এই গুগল আমার বিয়ে কবে হবে - আমার বিয়ে কার সঙ্গে হবে পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে, ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url