OrdinaryITPostAd

রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম কী জেনে নিন

রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম জানা খুব জরুরী। কারণ অনেকেরই রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ বা বিভিন্ন কারণে নাপাক হয়ে যায়। এরূপ কোন কারণ হলে তখন ফরজ গোসল করা উচিত। রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম বা কিভাবে ফরজ গোসল করবেন তা জেনে নেওয়া উচিত।

চলুন আর দেরি না করে জেনে নেই রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম কি?

পেজ সূচিপত্রঃ রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম

রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম

বিভিন্ন কারণে রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসল করার প্রয়োজন হয়। দিনের বেলায় নারী-পুরুষ উভয়েরই অনেক সময় স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে। কিন্তু এতে রোজার কোন ক্ষতি হয় না। তাই রোজা ভাঙ্গার প্রয়োজন নেই। শুধু মাত্র ফরজ গোসল করে পাক-পবিত্র হলেই হবে।

আরও পড়ুনঃ আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাস শায়তানির রাজিম অর্থ কি

এছাড়াও বিভিন্ন কারণে শরীর নাপাক হতে পারে। সেক্ষেত্রেও ফরজ গোসল আদায় করলেই হবে। রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম রয়েছে তা সধারন ফরজ গোসলের মতোই শুধু গড়গড়াসহ কুলি করা ও নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌছানোর চেষ্টা করার কোন প্রয়োজন নেই।

ফরজ গোসলের ফরজ কয়টি? | রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম

ফরজ গোসলের ফরজ সমূহ হলো-

গোসলের ফরজ হল মোট ৩টি। এই ৩টির মধ্যে যেকোনো ১টি বাদ পড়লে ফরজ গোসল আদায় করা হবে না। তাই ফরজ গোসলের সময় এই ৩টি কাজ খুব সাবধানে- সর্তকতার সাথে আদায় করে নিতে হবে।

১. গড়গড়ার সাথে কুলি করতে হবে, (কিন্তু রোজা রাখা অবস্থায় গড়গড়া করা যাবে না এতে গলায় পানি ঢুকে যাবে তাই সাধারণ কুলি করতে হবে)।

২. নাকে পানি দিয়ে নাকের নরম অংশ আঙ্গুল দারা ভিজানো, (কিন্তু রোজা অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে নাকে পানি দেওয়া যাতে নাকের নরম অংশে পানি না যায়, এতে রোজা ভেঙ্গে যেতে পারে)।

৩. এরপর পুরো শরীরে পানি ঢালা ও ভালোভাবে গোসল করা (নাভীর ভেতর আঙ্গুল দিয়ে ভেজানো, আর নারীরা লজ্জাস্থান সুন্দরভাবে ধৌত করা)।

ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম কি? | রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম

ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম হল নিম্নরূপঃ 
১. ফরজ গোসলের জন্য মনে মনে নিয়্যাত করে নিতে হবে (মুখে কোন আরবি শব্দ উচ্চারণ করে নিয়্যাত করা বিদ’আত)।

২. দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধৌত করতে হবে।

৩. তারপর ডানহাতে পানি নিয়ে বামহাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধৌত করতে হবে। শরীরের অন্য কোন জায়গায় নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধুয়ে নিতে হবে।

৪. এবার বামহাতকে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

৫. এবার সঠিকভাবে ওজু করে নিতে হবে, তবে দুই পা ধৌত করা যাবে না।

৬. ওজু শেষ হলে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।

৭. এবার সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ডানে ৩ বার তারপরে বামে ৩ বার পানি ঢেলে ভালোভাবে শরীর ধুতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশ বা লোম পর্যন্ত শুকনো না থাকে। (নাভি, বগল ও লজ্জাস্থান পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে)।

৮. সবার শেষে একটু সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে ওজুর মতো করে ধুতে হবে।

বিঃ দ্রঃ পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজাতে হবে। এবং এই নিয়মে গোসল করলে যদি ওজু না ভাঙ্গে তাহলে আর নতুন করে আর ওজু করার দরকার নাই।

ফরজ গোসল ছাড়া রোজা রাখা যাবে কি? | রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম

ফরজ গোসল ছাড়া রোজা হবে কিন্তু সেক্ষেত্রে ফজরের নামাজ কাযা হয়ে যাবে যা কবিরা গুনাহর কারণ। তাই উচিত ফজরের পূর্বে ফরজ গোসল করে ফজরের নামাজ আদায় করা। রমজান মাসে অন্ত্যত ফজরের নামাজের পূর্বেই গরজ গোসল করে নিতে হবে। রমজান মাসে সওয়াবের কাজ করলে যেমন বেশী সওয়াব পাবেন তেমন গোনাহের কাজ করলেও কঠোর শাস্তি পেতে হবে। তাই ফরজ নামাজের মত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতে গাফিলতি করা যাবে না।

রাসূলের সহধর্মিণী উম্মুল মোমেনীন আয়েশা (রা) ও রাসূলের অপর স্ত্রী উম্মুল মোমেনীন উম্মে সালমা (রাঃ) বলেছেন- 

পবিত্র রমজান মাসে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) স্বপ্নদোষ ব্যাতীত সহবাস ও নাপাকি অবস্থায় সুবহে সাদিক অতিক্রম করতেন, তারপর ফরজ গোসল আদায় করতেন এবং রোজা রাখতেন।

শেষ কথাঃ রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম

বন্ধুরা, আজ আমরা রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম কি তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের এই রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম পোস্টে সকল বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম এর অর্থ কি

আশাকরি, আমাদের এই রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url