শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কিনা জেনে নিন
আপনারা অনেকেই শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি বা শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে এসব বিষয়ে জানতে চান। যারা এ বিষয়ে জানতে চান তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্টটি। আজকে আমরা আলোচনা করব শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি বা শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে এসব বিষয়ে।
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নিই, শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি বা শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে এসব বিষয়ে।
সূচিপত্রঃ শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি - শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে
- শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি
- শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে
- শবে কদর
- শবে কদরের ইতিহাস
- শেষ কথাঃ শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি -শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে
শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি
ইসলামের শুরুর দিকে ইফতারের পর থেকে শুরু করে এশার নামাজ পর্যন্ত সকল ধরনের পানাহার এবং স্ত্রী সহবাস বৈধ ছিল। যদি এর আগেই কেউ শুয়ে পরতো। তবে ঘুম আসলে স্ত্রী সম্ভগ এবং খাওয়া সব কিছু হারাম হয়ে যেত। যার কারণে সাহাবাগণ খুব পেয়েছিলেন। তারপর থেকে আল্লাহ তাআলা নাযিল করেছিলেন মাগরিব থেকে সুবহে সাদিক অর্থাৎ ইফতারের পর থেকে সেহরীর আগ পর্যন্ত এবং স্ত্রীর সম্ভোগের আদেশ প্রদান করেছিলেন।
আরো পড়ুনঃ রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে গোসলের নিয়ম
সে ক্ষেত্রে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন তোমরা তাড়াতাড়ি ইফতার করো এবং দেরি করে সেহরি করো। অর্থাৎ স্ত্রী সহবাসে কোন বাধা নেয়। শুধু নিয়মমাফিক চললেই হবে। সে ক্ষেত্রে শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি না এ বিষয়ে আর কোন সংশয় নেয়। স্ত্রী সহবাসে কোন নির্দিষ্ট নিষিদ্ধ সময় সীমা নেয়, সহীহ ও কুরআন সুন্নাহর আলোকে তা বলা হয়েছে। এর মধ্যে যে বিষয় গুলো আমরা শুনতে পায়, তার মধ্যে বেশিরভাগই কুসংস্কারে অন্তর্ভুক্ত।
যা ভিত্তিহীন অর্থাৎ ইসলামের যার কোন স্থান নায়। এমনকি দিনরাত স্বামী-স্ত্রীর সুযোগ যখনই হবে তখনই তাদের মধ্যে সহবাস বৈধ হবে। তারপর তারা যখন পবিত্র হয়ে যায়, তখন তাদের সাথে ঠিক সেই ভাবেই গমন করো, যেভাবে মহান আল্লাহ তায়ালা আদেশ দিয়েছিলেন তোমাদেরকে। আল্লাহ নিশ্চয়ই ক্ষমাপ্রার্থী দেরকে এবং যারা সবসময়ই পবিত্র থাকে, তাদেরকেই পছন্দ করেন।
শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে
রমজান মাসের রোজা সবার মনে প্রশ্ন আসে, রমজান মাসে শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে কিনা। কোরআন ও হাদিসের আলোকে আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের ভ্রান্ত ধারণা এবং কুসংস্কার চালু রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমরা মনে করে থাকি যে এসবগুলো কোরআন এবং হাদিসের কথা। অথচ কুরআন-হাদিসে এসব ভ্রান্ত ধারণা এবং কুসংস্কার কোনো অস্তিত্বই নেই। কিন্তু এই সব কোরআন এবং হাদিসের বিপক্ষে।
আরো পড়ুনঃ রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে করণীয়
এমনকি এধরণের ভ্রান্ত ধারণা এবং কুসংস্কার শিরকের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। জাহান্নাম যার ফলস্বরূপ। মানুষ জান্নাত পাবার আশায় ইসলাম ধর্ম পালন করতে চাই জাহান্নামের দিকে চলে যাচ্ছে। আর মানুষকে স্বামী স্ত্রীর সহবাসের আসল আনন্দ থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে। যা কখনোই উচিত নয়। বিবাহিত জীবনের প্রথম সারির চাহিদা হচ্ছে সহবাস।
অথচ এইসব আমাদের সমাজে বহুৎ ধারণা এবং কুসংস্কার লিপ্ত আছে। অথচ কোন বাঁধা ধরা নিয়ম নেয়। সহবাসের জন্য কোন দিন কেই নিষিদ্ধ করা হয়নি। শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে। তবে কিছু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে এই আর কি। সহবাসের পর ফরজ গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। তারপর স্বাভাবিক ভাবেই আপনি নামাজ রোজা সকল ইবাদত বন্দেগী করতে পারবেন। এতে কোন প্রকার গুনহা হবে না।
শবে কদর
শবে-কদর হল ফারসী এবং লাইলাতুল কদর আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে অতিশয় সম্মানিত এবং মহিমান্বিত রাত পবিত্র রজনী। ফার্সি ভাষায় শাব এবং আরবি ভাষায় লাইলাতুল যার অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী। আরেক দিকে কদর শব্দের অর্থ হচ্ছে মর্যাদা, সম্মান, মহাসম্মান। তাছাড়া কদর এর অন্য অর্থ হলো পরিমাণ, ভাগ্য অধির নির্ধারণ করা ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী এই রাতে ইসলাম ধর্মের প্রচারক হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর অনুসারীদেরকে সম্মান বানানো হয় এবং সমস্ত মানব জাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছিল।
আরো পড়ুনঃ রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম জেনে নিন
সেজন্য সকল মুসলমানদের কাছে শবে কদরের রাত অত্যান্ত মর্যাদা, পূণ্যময় এবং হিসেবে জনপ্রিয়। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনের বর্ণনা অনুসারে এই রাতকে অন্যান্য মর্যাদা দিয়েছেন এবং এই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদত এর চাইতেও অধিক সওয়াব অর্জন করার কথা বলেছিলেন। প্রতি রমজান মাসে এই সকল মুসলমানদের জন্য সৌভাগ্য নিয়ে আসে বলে সবাই বিশ্বাস করেন। শবে কদরের রাত প্রতিটা মুসলমানের কাছে গুনাহ মাফের একটা বিশেষ দিন, নেকী অর্জন এর রাত। তাই এই রাতের ইবাদত বন্দেগী করতে কেউ কুণ্ঠিত হয় না।
শবে কদরের ইতিহাস
শবে কদরের রাতে মক্কার নুর পর্বতের গুহায় ৬১০ সালে ধ্যানরত হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু এর কাছে সর্বপ্রথম কোরআন শরীফ নাযিল হয়েছিল। রমজান মাসের শেষের দশ দিনের যে কোন বিজোড় দিনে শবে কদরের রাত হিসেবে ধরা হয়। তবে আমরা সচরাচর রমজান মাসের ২৭ তারিখে শবে কদরের রাত হিসেবে ধরে থাকি। এই দিনে সবাই রাত জেগে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকে। সর্বপ্রথম সূরা আলাক্বের প্রথম পাঁচ আয়াত তার উপর নাযিল হয়েছিল। ফেরেশতা জিব্রাইল (আঃ) এর কাছে শবে কদরের রাতে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
এবং যাতে পরবর্তীতে ২৩ বছর ধরে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর কাছে তার প্রয়োজনীয়তা এবং ঘটনার আলোকে নাযিল করা হয়েছিল নির্দিষ্ট আয়াতে। সমস্ত মমিন মুসলমান জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হাদীস শরীফে এই রাত সম্পর্কে অসংখ্য বার বর্ণনা করা হয়েছে। এমন কি সূরা কদর নামে একটি পূর্ণ সূরা মুসলমানদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআনে নাযিল করা হয়েছে। শবে কদরের রাত কে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম বলে এই সূরায় উল্লেখ করা হয়েছে।
শেষ কথাঃ শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি -শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে
শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি বা শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে কি না এই সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোস্টটি পড়ুন। শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি বা শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে এ বিষয়ে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন। শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি বা শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে এ বিষয়ে আমাদের পুরো আর্টিকেলটি ভালভাবে পড়ুন, আশা করছি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
আজ আর নয়, শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি বা শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে সম্পর্কে যদি আপনার কোন কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করছি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দিব। তাহলে আমাদের আজকের এই শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি বা শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল নিয়ে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন, ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url