জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ - ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবসের স্লোগান, ভাষণ
জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি পড়ুন। আমরা জানি ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস। জাতীয় শিশু দিবস অনুচ্ছেদ, শিশু দিবস কেন পালন করা হয়, শিশু দিবস নিয়ে কিছু কথা, শিশু দিবসের স্লোগান, শিশু দিবসের বক্তব্য, শিশু দিবসের ভাষণ এ সবকিছুই থাকছে এই পোস্টে।
জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ শিশুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। শিশুদের মৌলিক চাহিদা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস এ। শিশুদের সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করাই ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস এর মূল প্রতিপাদ্য।
পেজ সুচিপত্রঃ
সরকার প্রধান যেভাবে জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন করবেঃ
১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছরের মত এই বছর ও রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র পক্ষে ঐদিন গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র পক্ষে ঐদিন গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। যদিও করোনা মহামারীর জন্য বিগত ২ বছর সব কর্মসূচী যথাযথ পালন করা হয় নাই।
এ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করবেন। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধ প্রাঙ্গণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
সারা দেশব্যপি ভাবে জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপিত হবেঃ
জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উপলক্ষে জেলা, উপজেলা সদরে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনাসভা, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এ দিবস উপলক্ষে জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, জেলা, উপজেলা সদরে সপ্তাহব্যাপী বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, জনবহুল স্থানে পোস্টার প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এর পাশাপাশি ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জ্বা করা হবে। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, কমিউনিটি রেডিও এবং এফএম রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এছাড়া রয়েছে শিশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা, পুষ্টি ও খাদ্য সম্পর্কে বিশেষ আলোচনা।
জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে আলোচনা সভাঃ
আগামী ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি ২০২২) বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে দিবসটি জাতীয়ভাবে উদযাপন উপলক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিশু দিবসের মূল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করবেন ও অনলাইনে শিশুদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। অনুষ্ঠানটি দেশের সকল জেলায় একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হবে বলে জানানো হয়। অনুষ্ঠিত হবে কাব্য নৃত্য গীতি আলেখ্যানুষ্ঠান ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ,অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরি, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীনসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবছর জাতির পিতার জন্মদিবস ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ এ বছর ও উদযাপিত হবে।
আরো পড়ুনঃ জাতীয় পরিচয় পত্র আসল না নকল যাচাই করুন
জাতীয় শিশু দিবস অনুচ্ছেদঃ
বাংলাদেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দের দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু একজনই জন্মেছিলেন। যার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। এজন্য ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত আদর করতেন, ভালোবাসতেন। শিশুদের সাথে গল্প করতেন, খেলা করতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন আজকের শিশুরাই আগামীদিনে দেশ গড়ার নেতৃত্ব দিবে। তরুণ প্রজন্ম এই মহান নেতার আদর্শ থেকেই দেশ গড়ার অনুপ্রেরণা লাভ করে। যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে তাদের মাঝেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকবেন জন্ম থেকে জন্মান্তরে।
জাতীয় শিশু দিবস অনুচ্ছেদ থেকে আমরা অল্প কিছু কারন জানতে পারলাম ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস করার।
শিশু দিবস কেন পালন করা হয়ঃ
শিশু দিবস কেন পালন করা হয় সেটি বুঝবার আগে বোঝা যাক শিশু কাকে বলে? শিশু হলো জন্মের পর থেকে পনেরো বছরের বালক-বালিকারা (আমি যদি কিছু ভুল না করে থাকি)। এই সব শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ তাই এই সব ভবিষ্যৎ নাগরীকদের সুরক্ষার এবং সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে স্মরন করবার জন্যেই শিশুদিবস পালন করা হয়ে থাকে। তবে সে ভাবে দেখতে গেলে, শিশুদের কিন্তু প্রত্যেক দিনই যত্ন করা দরকার যেমন একটি গাছের চারা লাগালেই হয় না তাকে প্রতি নিয়ত রক্ষা করতে হয়, করতে হয় পরিচর্যাও। আমরা জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ ১৭ মার্চ পালন করা হবে।
১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস কেনপালন করা হয়-
বঞ্চিত শিশুদের জীবনোন্নয়নের জন্য শিশু দিবস পালন করা হয়।দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে শিশুদের গুরুত্বকে মনে করেই এই দিনটি পালিত হয়। এছাড়াও,এই দিনে শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সব মানুষকে আরও সচেতন করার চেষ্টা করা হয়। শিশুরা যাতে সঠিক শিক্ষা পায়, দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে শিক্ষা পায় সে ব্যাপারেও প্রচার করা হয় এই দিনটিকে উপলক্ষ করে।
শিশু দিবস নিয়ে কিছু কথাঃ
১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। জাতীয়ভাবে দিনটিতে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার কারণেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম মেয়াদে (১৯৯৬-২০০১) খ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করে। প্রথমে দিনটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা না করলেও পরবর্তীতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
আশা করা যায় এবার জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ পরিকল্পনা অনুযায়ী পালন করা যাবে।
শিশু দিবসের স্লোগান ও শিশু দিবসের বক্তব্যঃ
জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ এর মূল প্রতিপাদ্য" বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন শিশুর জীবন হোক রঙিন"।সৈয়দ শামসুল হকের ভাষায়- যেখানে ঘুমিয়ে আছো, শুয়ে থাকো বাঙালির মহান জনক তোমার সৌরভ দাও, দাও শুধু প্রিয়কণ্ঠ শৌর্য আর অমিত সাহস টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে আমাদের গ্রামগুলো তোমার সাহস নেবে নেবে ফের বিপ্লবের দুরন্ত প্রেরণা।
শিশু দিবসের ভাষণঃ
জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ এর মূল প্রতিপাদ্য আমরা জেনেছি। আমরা এখন শিশু দিবসের ভাষণ সম্পর্কে জানবঃ
দেখুন, শিশুদিবস এসেছে
বাচ্চাদের জন্য সুখ এনে দিয়েছে।
আসুন সবাই মিলে এটি উদযাপন করি,
শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সবাইকে জানাই।
প্রত্যেককে এই বার্তা প্রেরণ করি,
দেশকে আরও সুখী করি।
এই জাতীয় শিশু দিবস অনুচ্ছেদ থেকে জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ সম্পর্কে জানলাম। আমরা আরও জানলাম ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস কেন উদযাপিত হয়। আপনাদের সুনির্দিষ্ট মতামত আমাদের কাম্য।
ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url