OrdinaryITPostAd

স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন কে - স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন কে

আপনি কি স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন কে ও স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন কে তা জানতে চান? তাহলে আজকের এই পোষ্ট টি আপনার জন্য। আজকে আমরা আলোচনা করব স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন কে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন কে তা নিয়ে।

তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নিই স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন কে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন কে এ বিষয়ে।

সূচিপত্রঃ স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন কে-স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন কে

স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন কে

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এ ঘোষণা প্রবাসী মুজিবনগর সরকার পরিচালনার সময়কালে সংবিধান হিসেবে কার্যকর হয়। এমনকি ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান গঠন হওয়ার আগ পর্যন্ত এ ঘোষণায় দেশের সংবিধান হিসেবে কার্যকর থাকবে। এখন আমরা জানবো স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন কে ও স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন কে। একটি কঠিন সংকটময় অবস্থার মোকাবেলায় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করা হয়েছিল। 

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র টি প্রথমে প্রচার করা হয়েছিল ১০ এপ্রিল মুজিবনগর থেকে। এরপর আবার ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী স্থান বৈদ্যনাথ তলা যার পরবর্তী নাম মুজিবনগর এর এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে গণপরিষদের সদস্য অধ্যাপক ইউসুফ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে সামরিক বাহিনীর আক্রমণের অব্যবহিতর আগে এবং পাকিস্তান বাহিনী দ্বারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেফতারের সময় তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

আরো পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধু কখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা এরকম টাই ছিল, এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। বাংলাদেশের জনগণের কাছে আমার আহ্বান, আপনারা যে যেখানেই থাকুন এবং আপনাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করুন। এতদিন পাক হানাদার বাহিনীর শিল্পী বাংলাদেশের মাটি থেকে বিতাড়িত না হয় এবং যতদিন আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হয় ততোদিন সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন।

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র

শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার খবরটি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের ট্রান্সমিটার এর মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের প্রচারের জন্য মাঝরাতের একটু পরেই চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। মার্চ মাসের ২৬ ও ২৭ তারিখে বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতার আরো দুটি ঘোষণা প্রচার করা হয় চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে। এর মধ্যে একটা প্রচারিত হয়েছিল চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ. হান্নান এবং অন্যটি মেজর জিয়াউর রহমান এর কাছে।

আরো পড়ুনঃ মার্চ মাসের সরকারি ছুটি ২০২২

পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ঢাকা ও দেশের অন্যান্য অংশের জনগণের ওপর ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ আক্রমণ চালানোর সময় উর্দ্ধতন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব বৃন্দ, গণপরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য সীমান্ত পার করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ৩০ শে মার্চের মধ্যে তাদের কলকাতায় একটা সমবেত হয়েছিলেন। গণপরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের যে সকল সদস্যরা 10 এপ্রিলের মধ্যে কলকাতায় মিলিত হয়েছিল তারা একটি প্রবাসী আইন পরিষদ সেবা গঠন করে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করেছিল। স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করার মাধ্যমে নবগঠিত আইন পরিষদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করেন অধ্যাপক এম ইউসুফ আলী।

স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন কে

স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন কে এখন এ বিষয়ে আলোচনা করব। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিভিন্ন অত্যাচারে বাঙ্গালীদের মনে সৃষ্টি হয় স্বাধীনতার স্বপ্ন। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাই মুক্তিকামী বাংলাদেশ ফুঁসে উঠে মার্চ মাস থেকেই। ইয়াহিয়া হলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। তিনি ৩ মার্চ ঢাকায় একটি পার্লামেন্টারি পার্টিগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে একটি গোলটেবিলের আহ্বান করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাবটি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বিকালে পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশাল জনসভা, ছাত্রলীগ সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে। বঙ্গবন্ধুর সামনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ। সেই ইশতেহারে বলা হয়েছিল ৫৪ হাজার ৫০৬ বর্গ মাইল বিস্তৃত একটি ভৌগোলিক এলাকার সাত কোটি মানুষের জন্য আবাসভূমি হিসেবে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাম বাংলাদেশ।

আরো পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা ২০২২

সেই ইশতেহার টি ঘোষণার সাথে সাথে প্রস্তাব গৃহীত হলে প্রচন্ড করতালির মধ্যে পল্টন ও পার্শ্ববর্তী এলাকা 'জয় বাংলা' স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। ছাত্রলীগের তৎকালীন দপ্তর সম্পাদক এম এ রশিদ এই প্রস্তাবটি লিখেছিলেন। এই জনসভা থেকে মার্চ মাসের ৩ তারিখে ঘোষণা আসে সেই ঐতিহাসিক জনসভা ৭ মার্চের রেসকোর্স(যার পরবর্তী নাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান), যেখান থেকে বাঙালির জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

শেষ কথাঃ স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন কে-স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন কে

বন্ধুরা আজ আমরা স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন কে ও স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন কে তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন কে ও স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন কে পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে। স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন কে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন কে এবিষয়ে যদি আপনার কোন কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করছি আমরা সেখানে আপনার উত্তরটি দিয়ে দিব।

আজ আর নয়, স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন কে ও স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন কে পোস্টটি আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন কে ও স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন কে পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে শেয়ার করে দিতে পারেন, ধন্যবাদ।

আপনার জন্য এই ধরণের আরো কিছু পোস্ট

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url