OrdinaryITPostAd

১৭ মার্চ কি সরকারি ছুটি? ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নাকি শিশু দিবস?

আপনি ১৭ মার্চ কি সরকারি ছুটি, ১৭ মার্চ কি দিবস, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস কবে জানতে চান? তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। আজ আমরা আলোচনা করব ১৭ মার্চ কি সরকারি ছুটি, ১৭ মার্চ কি দিবস, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস কবে।
১৭ মার্চ সরকারি ছুটি কি না তা আমরা অনেকেই জানি না। চলুন আর দেরি না করে জেনে নেই ১৭ মার্চ কি সরকারি ছুটি, ১৭ মার্চ কি দিবস, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস কবে?

পেজ সূচিপত্রঃ ১৭ মার্চ কি সরকারি ছুটি - ১৭ মার্চ কি দিবস

১৭ মার্চ কি সরকারি ছুটি - ১৭ মার্চ কি দিবস

১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশে এই দিনটি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়। ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু্ জন্মের ১০০ বছরপূর্তি হিসেবে মুজিববর্ষ উদযাপন করার জন্য সরকার ১৭ মার্চকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস কবে? | ১৭ মার্চ কি সরকারি ছুটি

বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই ছুটি 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী' ​​নামেও পরিচিত। এই দিনটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনকে স্মরণ করে, যিনি বাংলাদেশের জাতির পিতা হিসাবে ও বঙ্গবন্ধু বা ("বাংলার বন্ধু") নামে পরিচিতি লাভ করেছেন। দিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালন করা হয়।

শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের ইতিহাস | ১৭ মার্চ কি সরকারি ছুটি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর পিতা-মাতার চার মেয়ে ও দুই ছেলে- শেখ লুৎফুর রহমান ও সায়রা খাতুনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ছিলেন তৃতীয়।

ছাত্র কালীন অবস্থা থেকেই, শেখ মুজিবুর রহমান মুসলিম লীগে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হয়ে রাজনীতির প্রতি আগ্রহ গড়ে তোলেন, যা ভারত থেকে একটি পৃথক ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ছিল।

শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে, সামগ্রিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগ, কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অনিচ্ছুক ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকরা। যার ফলে ক্ষমতার লড়াইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং স্বাধীনতার যুদ্ধের শুরু করেন। ১৯৭০ সালের নভেম্বর মাসে, ভারত পূর্ব পাকিস্তানকে সমর্থন করে যুদ্ধে প্রবেশ করে। যা ১৯৭০ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানকে বিজয়ের দিকে পরিচালিত করে।
১১ এপ্রিল ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হন। তিনি ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের চতুর্থ রাষ্ট্রপতি হয়ে একদলীয় সমাজতান্ত্রিক শাসনের শুরু করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারকে বিদ্রোহী সেনা অফিসারদের দ্বারা একটি অভ্যুত্থানের সময় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু তারিখ বাংলাদেশে সরকারি ছুটি, জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এদিন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিকে শ্রদ্ধা জানান পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ।

১৭ই মার্চকে কেন জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়? | ১৭ মার্চ কি সরকারি ছুটি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চ । এই দিনটিকে জাতীয়ভাবে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর শিশুদের প্রতি ভালোবাসার কারণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার (১৯৯৬-২০০১) খ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে ১৭ মার্চকে প্রথম মেয়াদে জাতীয় দিবস ঘোষণা করে। প্রথমে এই দিনটিকে সাধারণ ছুটি হিসেবে ঘোষণা না করলেও পরবর্তীতে এই দিনটিকে সাধারণ ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

শিশুদের সচেতনতা সৃষ্টি ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য বছরে একাধিকবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে  বিভিন্ন নামে শিশু দিবস পালন হয়। এছাড়াও পাশাপাশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলো জাতীয় শিশু দিবস নিজেদের মতো করে পালন করে। অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ পালন হয়। ২০ নভেম্বর জাতিসংষের ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্ব শিশু দিবস পালন হয়। এছাড়াও ১ জুন আন্তর্জাতিক শিশু দিবস পালিত হয়। এবং সারা বিশ্বে ১১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালন করা হয়। 

এরকম আরও কয়েকটি দিবস রয়েছে শিশুদের জন্য। এর বাইরেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলো জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করে তাদের গুরুত্বপূর্ণ কোন দিনকে কেন্দ্র করে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রে শিশু দিবস জুনের দ্বিতীয় রবিবার পালন করা হয়। আবার পাকিস্তানে ১ জুলাই শিশু দিবস পালন করা হয়, চিনে ৪ এপ্রিল শিশু দিবস উদযাপিত হয়। আবার অন্যদিকে ৩০ অগাস্ট ব্রিটেনে শিশু দিবস পালন করা হয়,  জাপানে পালন করা হয় ৫ মে, ২০ সেপ্টেম্বর পশ্চিম জার্মানিতে শিশু দিবস পালন করা হয়। কিন্তু শিশু দিবস পালনের উদ্দেশ্য সব দেশে একটাই, দেশের শিশুদের অধিকার ও তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা দেওয়া।

১৪ নভেম্বর ভারতে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৬৭ সাল থেকে দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী  পণ্ডিত জওহরলাল ও শিশুদের প্রিয় চাচা নেহেরুর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে ১৪ নভেম্বরকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

বাংলাদেশে বিশ্ব বা আন্তর্জাতিক শিশু দিবস পালন করা হলেও জাতীয় শিশু দিবস আগে ছিল না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত রাষ্ট্রীয় দিবস হিসেবে ১৯৯৬ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ই মার্চকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করে তখনকার মন্ত্রিসভা এবং ১৯৯৭ সাল থেকেই পালন করা শুরু হয় দিবসটি। এ দিনটিকে সাধারণ ছুটি হিসেবেও ঘোষণা করা হয়।

শিশু দিবস হিসেবে ১৭ মার্চকে ঘোষণার কারণ, বঙ্গবন্ধুর শিশুদের প্রতি দরদ ছিল অপরিসীম। তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে, জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ২০০১ সালের নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হারানোর পর তৎকালীন বিএনপি সরকার শিশু দিবসে সরকারি ছুটি বাতিল করে। যার ফলে ২০০২ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত শিশু দিবসটি পালন করা হয়নি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মদিন ১৯ জানুয়ারিকে বিএনপি সরকার শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়। পরবর্তীতে আবার নবম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়ে আবারও প্রতিবছরের ন্যায় জাতীয় পর্যায়ে বড় আয়োজনের সাথেই এ দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

শেষ কথাঃ ১৭ মার্চ কি সরকারি ছুটি - ১৭ মার্চ কি দিবস

বন্ধুরা আজ আমরা ১৭ মার্চ কি সরকারি ছুটি, ১৭ মার্চ কি দিবস, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস কিনা তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের ১৭ মার্চ কি সরকারি ছুটি - ১৭ মার্চ কি দিবস পোস্টটিতে সকল তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আমাদের এই ১৭ মার্চ কি সরকারি ছুটি, ১৭ মার্চ কি দিবস, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url