কিভাবে মেয়েদের প্রশংসা করতে হয় সেটার সঠিক ভাবে না জানার কারণে অনেকের সম্পর্ক হতে হতেও হচ্ছে না। তাই কিভাবে মেয়েদের impress করা যায় সেটা জানলে যেমন আপনার প্রিয়জনের কাছে নিজের মনের ভাব দূর করতে পারবেন ঠিক তেমনি কিভাবে মেয়ে পটাতে হয় তাও বুঝতে পারবেন। 

আর আপনাদের এই সমস্যা দূর করার জন্য আমাদের আজকের পোস্টে আপনাদের জন্য রাখা হয়েছে মেয়েদের ইমপ্রেস করার উক্তি, মেয়েদের প্রশংসা করার উক্তি আর মেয়েদের প্রশংসা করার কবিতা। তাই আপনি যদি আপনার সম্পর্কের ব্যাপারে খুব বেশী সেনসিটিভ হয়ে থাকেন তবেমেয়েদের প্রশংসা করার এসএমএস আপনাদের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। চলুন জেনে নিই কিভাবে মেয়েদের impress করা যায় বা মেয়েদের প্রশংসা কিভাবে করতে হয়? কিভাবে মেয়েদের প্রশংসা করলে তারা খুশি হয়?

মানুষ স্বতন্ত্র জীব। সেই হিসেবে প্রতিটি নারীর আলাদা আলাদা পছন্দ রয়েছে। তবে কিছু কমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা প্রতিটি নারীই চান তার পছন্দের মানুষটি যেন এই রকম হয়। মেয়েরা কেমন মানুষ পছন্দ করে সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে অনেকের ক্ষেত্রে দেখা গেছে সাধারণত যত্নশীল পুরুষদেরই মহিলারা একটু বেশি পছন্দ করেন।

বিশ্বাস এবং বিশ্বস্ততা সম্পর্ককে আরও গভীর করতে দেয়। সর্বোপরি, আপনাকে আপনার প্রিয়তমাকে এটি জানাতে এবং বুঝাতে হবে যে, যদি একটি সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদী হয়, সে তার পছন্দের মানুষটির উপর নির্ভর করতে সক্ষম হবে যেমন সে কোন দুশ্চিন্তা ছাড়াই মা-বাবার উপর নির্ভর করতে সক্ষম হয়। যখন একজন পুরুষ এরকম সৎ এবং বিশ্বাসযোগ্য হয়, তখনই তিনি একজন মেয়ের কাছে আরও আবেদনময়ী এবং পছন্দসই হয়ে যান। যদি সে নির্ভরযোগ্য, সত্যবাদী, খাঁটি, এবং হৃদয় থেকে কথা বলে, তখন সে এমন একজন লোক যাকে প্রথম পছন্দ না করে থাকা যায় না, কারণ মানুষ তাকে তার কথায় বিশ্বাস এবং গ্রহণ করতে পারে। 

নারীরা এমন একজন পুরুষের আকাঙ্ক্ষা করে যিনি আবেগগতভাবে সৎ এবং স্পষ্টবাদী একজন পুরুষ নন বরং যিনি বন্ধুত্বপূর্ণ এবং আবেগগতভাবে ম্যাচিওর ও একজন সঠিক নির্দেশক। যদিও সম্পূর্ণ এবং খোলাখুলিভাবে অনুভূতি প্রকাশ করা প্রথমে অদ্ভুত বা অস্বস্তিকর মনে হতে পারে কিন্তু একটি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য নিজের একটি দুর্বল, আবেগপূর্ণ এবং মানবিক দিক দেখাতে সক্ষম হওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে ধারণা করা হয়।

মেয়েরা এমন একজন পুরুষকে পছন্দ করেন যিনি তাদের সত্যিকারের অনুভূতি দেখাতে এবং তাদের সাথে খোলাখুলি আলোচনা করতে ভয় পান না, এমন একজন পুরুষ হবেন তিনি যিনি তার ভিতরে সবকিছু তার প্রিয়তম সাথে বন্ধু ভেবে খোলাখুলিভাবে আলোচনা করবেন এবং একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখেন। এবং হ্যাঁ বলে রাখা ভালো, কখনও কখনও এর অর্থ এই নয় যে আপনাকে আপনার গোপন সমস্ত পূর্ববর্তী সম্পর্কের কথা বলা এবং আপনার অতীতের অংশ ভাগ করা লাগবেই। সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য কিছু কথা কিছু সময় হাইড করাও প্রয়োজন।

একজন নারী একজন পুরুষের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হবে যে তার প্রতি যত্ন আচরণ দেখায় এবং তাকে তার প্রাপ্য সম্মান দেয়। একটি সুস্থ, সুখী এবং সফল সম্পর্ক রাখার জন্য, উভয় অংশীদারকে একে অপরের সাথে শ্রদ্ধার সাথে আচরণ করতে হবে। যদি একজন নারীর মনে হয় যে, একজন পুরুষের দ্বারা গ্রহণযোগ্য, বিতরণযোগ্য বা খারাপ আচরণ করা হয়, তাহলে সম্ভবত তিনি একটি কষ্ট পাবেন ভেবে উক্ত ব্যক্তিকে এড়ানোর জন্য সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে দ্বিধাবোধ করবেন না। যখন একজন ব্যক্তিকে অসম্মানিত বা পৃষ্ঠপোষকতা বোধ করা হয়, তখন সম্পর্কটি দীর্ঘমেয়াদী হওয়ার বদলে অল্প সময়ের মধ্যেই তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

একজন মহিলা কেবল তার প্রতি নয়, অন্যদেরও, বিশেষ করে তার বন্ধু এবং পরিবারের প্রতি সম্মান দেখানোর আপনার ক্ষমতার প্রতি মনোযোগ দেয়। একজন মানুষ যে অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে পারেন সে সার্বিক দিক থেকে একজন ভালো জীবনসঙ্গী বন্ধু পাশাপাশি চলার সাথী হিসেবেও সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। আর বাস্তবিক থেকো এরকম মানুষের সাথেই সবাই থাকতে চাই। নারীরা মূলত চাই একটা নিশ্চিত ভবিষ্যত নিশ্চিত জীবন এবং নিশ্চিত নিরাপত্তা। তাই আপনি যদি তার বিশ্বাসযোগ্য একজন ব্যক্তি হয়ে উঠতে পারেন তবে তার কাছে আপনি হীরার থেকেও দামি।

আবার একজন মহিলার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আপনাকে একজন স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান বা কমেডি লেখক হওয়ার দরকার নেই, তবে বোকা বানানোর ক্ষমতা, রসিকতা করা এবং হাস্যরসের অনুভূতি থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। আপনি যদি আপনার প্রিয়তমাকে আমাকে হাসাতে পারেন তবে আপনার মধ্যে যথেষ্ট হিউমার কোয়ালিটির রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। সম্পর্কের একঘেয়েমি দূর করার জন্য অবশ্যই আপনাকে হাস্যরসাত্মক গুণ সম্পন্ন হতে হবে। সেজন্য আপনার সঙ্গকে উপভোগ কর সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি।

হাস্যরস এবং রোম্যান্সের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, একজন পুরুষ যতবার হাস্যকর হওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং তার চেয়ে বেশি বার একজন মহিলা তার রসিকতায় হাসতেন, ততই তিনি রোমান্টিকভাবে তার বিষয়ে ভাবতে আগ্রহী হতেন। যে ব্যক্তি পৃথিবীতে একটি সুখী, হাসিখুশি মন এবং ইতিবাচক শক্তি বহন করে সে একজন নারীকে তার চারপাশের জগতে হাসিখুশি রাখতে সক্ষম হয়।

আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই সমস্ত গুণাবলী আপনার মধ্যে আপনার বয়সের পরিপক্কতার সাথে সাথেই উপস্থিত হবে। যেকোনো সমস্যায় আপনি যুক্তিযুক্তভাবে চিন্তা করে, অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া না করে এবং সাবধানে আলোচনার পরে সমস্যাগুলি একসাথে সমাধান করে এটি দেখাতে পারেন। এর অর্থ এই নয় যে আপনি মজা করতে পারবেন না এবং একসাথে মূর্খ হতে পারবেন না, কারণ নিজের দুর্বল দিকটি না দেখানো নিজের পরিপক্কতার লক্ষণ।

আপনি যদি কোনো নারীর ব্যাপারে প্রশংসা করতে চান বা কিভাবে মেয়েদের প্রশংসা করতে হয় এ বিষয়ে সঠিক ধারণা পেতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে আগে কোনো নারীর সাথে মিশতে হবে। আজকাল বেশিরভাগ দেখা যায় প্রেম ভালোবাসায় ব্যর্থতা, বিশ্বাসঘাতকতা এবং বিভিন্ন প্রতারণার কারণে একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ অনেকটাই কমে গেছে। তবে বাস্তবে দুনিয়াতেও এরকম ঘটনা ঘটছে বলেই মানুষের চিন্তা ধারার পরিবর্তন চলে এসেছে এবং একাকী জীবন ধারণের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু মানুষ সামাজিক জীব হিসেবে কখনোই একা থাকতে পারে না তারা অবশ্যই কাউকে না কাউকে প্রয়োজন হয়।

আর একসাথে থাকতে গেলে অবশ্যই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রশংসা করতে হয়। এতে করে যেমন সম্পর্ক ভালো থাকে তেমন একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, মমতা, ভালবাসা বৃদ্ধি পায়। তাই মেয়েদের প্রশংসা করার এসএমএস জানাটা জরুরী। আপনি যদি আপনার সঙ্গিনীকে বিভিন্নভাবে ইমপ্রেস করতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে শুরুতেই তার প্রশংসা করতে হবে। আমরা সবাই জানি প্রতিটি মানুষের মধ্যেই কিছু না কিছু ভালো গুন অবশ্যই থাকে। সবদিক বিবেচনা করে খারাপ বলাটা উচিত নয়। ঠিক তেমনি আপনি আপনার পছন্দের মানুষটি প্রশংসার সার্বিকভাবেই করতে পারেন।

মেয়েরা সর্বদাই প্রশংসা শুনতে ভালোবাসে তাই আপনি তার শুধুমাত্র মুখের কথা দিয়ে না বলে কবিদের ভাষা দিয়েও প্রশংসা করতে পারেন। আপনি তাকে কে শোনাতে পারেন আমাদের সকলের ভালোবাসার কবি, কবি কাজী নজরুল ইসলামের আলগা করো গো খোপার বাঁধন,

অথবা তার জন্য আপনি গাইতে পারেন রোমান্টিক কবি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আমি চিনি গো চিনি তোমারে ওগো বিদেশিনী,

"আমিচিনি গো চিনি তোমারে ওগো বিদেশিনী।

আমিচিনি গো চিনি তোমারে ওগো বিদেশিনী।

তুমিথাক সিন্ধুপারে

তুমিথাক সিন্ধুপারে ওগো বিদেশিনী॥

ওগো বিদেশিনী...

দেখেছি শারদপ্রাতে, তোমায়দেখেছি মাধবী রাতে,

তোমায় দেখেছি শারদপ্রাতে, তোমায়দেখেছি মাধবী রাতে,

তোমায় দেখেছি হৃদি- মাঝারে

তোমায় দেখেছি হৃদি- মাঝারে ওগো বিদেশিনী।

আমিআকাশে পাতিয়া কানশুনেছিশুনেছি তোমারি গান,

আমিআকাশে পাতিয়া কানশুনেছিশুনেছি তোমারি গান,

আমিতোমারে সঁপেছি প্রাণওগো বিদেশিনী।

আমিতোমারে সঁপেছি প্রাণওগো বিদেশিনী।

ভুবন ভ্রমিয়া শেষে আমিএসেছি নূতন দেশে,

ভুবন ভ্রমিয়া শেষে আমিএসেছি নূতন দেশে,

আমিঅতিথি তোমারি দ্বারে ওগো বিদেশিনী॥

আমিঅতিথি তোমারি দ্বারে ওগো বিদেশিনী॥

ওগো বিদেশিনী...

ওগো বিদেশিনী...

ওগো বিদেশিনী...

ওগো বিদেশিনী...।"

অথবা তাকে বলতে পারেন,

"শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী

পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারি

আপন অন্তর হতে। বসি কবিগণ

সোনার উপমাসূত্রে বুনিছে বসন।

সঁপিয়া তোমার 'পরে নূতন মহিমা

অমর করিছে শিল্পী তোমার প্রতিমা।

কত বর্ণ কত গন্ধ ভূষণ কত-না,

সিন্ধু হতে মুক্তা আসে খনি হতে সোনা,

বসন্তের বন হতে আসে পুষ্পভার,

চরণ রাঙাতে কীট দেয় প্রাণ তার।

লজ্জা দিয়ে, সজ্জা দিয়ে, দিয়ে আবরণ,

তোমারে দুর্লভ করি করেছে গোপন।

পড়েছে তোমার 'পরে প্রদীপ্ত বাসনা

অর্ধেক মানবী তুমি অর্ধেক কল্পনা।

আঙিনাতে যে আছে অপেক্ষা করে

তার পরনে ঢাকাই শাড়ি, কপালে সিঁদুর।"

"সেই এলোকেশে বক্ষে জড়ায়ে গোপনে যেতাম চুমি!

তোমার কেশের সুরভি লইয়া দিয়াছি ফুলের বুকে

আঁচল ছুইয়া মূর্ছিত হয়ে পড়েছি পরম সুখে!

অথবা আপনি যদি আপনার প্রেওশি কি আপনার মনের কথা বলতে চান তবে আপনি মেয়েদের প্রশংসা করার কবিতা হিসেবে কবি ইমদাদ হাসান ইয়ামিনের লেখা "নারীপ্রেম" কবিতাটি বলে দিতে পারেন,

"নারী তুমি প্রেমে,

নারী তুমি মনে,

নারী তুমি বিরহের ছন্দে,

নারী তুমি কবিতায়,

নারী তুমি প্রেমিকের বেদনায়,

নারী তুমি ছলনায়,

নারী তুমি প্রেমের ভাবধারায়,

নারী তুমি দেবী,

নারী তুসি মাতৃ রুপে,

তুমি জান্নাত সন্তানের তরে,

নারী তুমি সৌন্দর্য নিয়েছ সব,

চারদিকে শুধু তোমারি কলরব,

তোমার প্রেমে বিশ্ব শান্ত,

প্রেমিকের মন আজ অশান্ত,

শুধু একটু ভালবাসার লাগি,

নারী তুমি কামনায়,

নারী তুমি প্রেমের বাসনায়,

নারী তুমি আপন লজ্জায়,

দিয়েছ প্রেম ভালবাসার মুগ্ধতায়

আপন স্পর্শের ছোয়ায়,

যৌবনের জাদুর ছোয়ায়,

নারী তুমি কবির তৃষ্ণায়।

নারী তুমি স্বর্গ এনেছ ধরাতে,

এনেছ পাপ করে নরকের স্পর্শ,

নারী তুমি পাপ শিখিয়ে,

ছলনার মায়ার ঝালে রেখেছ ভুলিয়ে

নারী তুমি ললনা,

প্রেম শিখিয়ে করেছ ছলনা,

কেন প্রেম শেখালে বলনা?

নারী তুমি ছন্দ,

নারী তুমি সুর,

নারী তুমি প্রাণের স্বাদে মধুর,

নারী তুমি সিক্ত কামনায়,,

নারী তুমি ছলনাময়ী তিক্ত,

নারী তুমি প্রেমে, বেদনায়,

নারী তুমি এ পৃথিবীর অহংকার,,

নারী তুমি মন কেড়েছ সবার,

নারী তুমি এ পৃথিবীর তরে,

দিয়েছ যা মন প্রাণ উজার করে

তা কি কেও পারে?

জিঙ্গাসে দেখো মানবেরে, ফেরেস্তারে,

তোমার সমান কে হতে পারে।

নারী তুমি জীবনে দিয়েছ সুর,

পৃথিবীকে করেছ মধুর,

নারী তুমি কবিতার ভাষা,

কবির একটা কবিতার আঁশা,

কবিকে দিলে ছন্দময় ভাষা,

নারী তুমি পৃথিবীতে,

নারী তুমি থেকো জান্নাতে,

অপ্সরী হয়ে থেকো স্বর্গে,

ভালবাসা যেমন বিলিয়েছ ভূলোকে,

নারী তুমি রাক্ষসী,

নারী তুমি পূজার দেবী,

তোমার প্রেমিক হয়েছে কবি,

তুমি তো পৃথিবীর প্রকৃত ছবি।

নারী তুমি কি দিয়ে, কি নিয়েছ,

সেই হিসাব আজ থাক,

সেই হিসাব থাকুক পুরোনো খাতাতে।

নারী তুমি আমার মহত্ম,

নারী তুমি মোর প্রাণের অস্তিত্ব,

নারী তুমি সৃষ্টির সত্য,

নারী তুমি প্রাণের প্রথম আবেগ,

নারী তুমি জাগিয়েছ বিবেক।

নারী তুমি পতিতা,

নারী তুমি কবিতা,

নারী তুমি সবিতা,

তুমি মধুসূদনের বনলতা,

নারী তুমি গানের কথা,

নারী তুমি বুকের ব্যাথা,

আমার সকল স্বপ্ন জুরে তুমি

আমার সকল ভাবনা জুরে তুমি

আমার সকল আঁশাতে তুমি

তুমি যে মোর জাগরণের গান।

নারী তুমি,

আমাকে দিয়েছ কষ্ট,

করেছ মোরে নষ্ট,

এই বুকে কি আছে জানো কি?

নারী তুমি চিন্তার শেষ প্রান্ত,

তোমার রুপে কবি হল শান্ত,

পৃথিবীর সব হল ভ্রান্ত,

নারী তুমি অজানা কৌতুহল,

নারী তুমি জানা ভ্রান্ত কাহিনি,

নারী তুমি হলে ধন্য,

তোমার প্রেমিক হল বন্য,

এ পৃথিবী শুধু তোমার জন্য

নারী তুমি ভ্রান্ত ধারনা ,

একটা শান্ত প্রতারণা,

একটা প্রেমের শেষ সীমানা।

একটা ভ্রান্ত কল্পনা,

একটা অস্বাভাবিক আচরণ,"

নারীজাতিকে সর্বদা সৃষ্টিকর্তা কোমল হৃদয় দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। তাই তাদের ধৈর্য্য ও সহ্য শক্তি একজন পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি। তাই তাদেরকে তাদের প্রাপ্য সম্মান দিতে শিখুন। এই নারী কখনো আপনার মা, কখনো আপনার বউ, কখনো আপনার বোন, আবার কখনো আপনার কন্যা। তাই নারী যে রূপেই থাকুক না কেন, সে সর্বদা সুন্দর।