অনলাইনে বা ফেসবুকে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম
মনে প্রশ্ন জাগছে কিভাবে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করব, ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসার জন্য কি প্রয়োজন।পাশাপাশি মনে প্রশ্ন জাগছে কাপড়ের ব্যবসার আইডিয়া ঠিক হচ্ছে কিনা। আর যদি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন তাহলে কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে শুরু করব এবং কাপড়ের ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়ার গল্পটা কি আপনার জীবনের ঘটতে যাচ্ছে কিনা এসব নিয়ে চিন্তিত? এই পোস্টে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম সহ সকল তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম সংক্রান্ত পোস্টটি পড়ুন এবং আমাদের সাথে থাকুন।
করোনার পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে ছোট বড় সবাই অনলাইনের কেনা কাটার উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। এসব দেখে আপনার মনে চিন্তা আসছে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করবেন। কিন্তু আপনি অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম জানেন না।ঘরে বসে কেনাকাটা করতে কার ই না ভালো লাগে ।
সবাই চায় নিজের শ্রম এবং সময় বাঁচিয়ে পছন্দের পণ্য কিনতে। আর এই চিন্তা থেকেই জন্ম নিয়েছে ই-কমার্স নামন একটি বিজনেস প্ল্যাটফর্ম। যেখানে অনলাইনে ব্যবসা করেন ব্যবসায়ীরা যা মানুষের পছন্দের পণ্যটি কোন ঝামেলা ছাড়াই তার বাসায় পৌছে দিতে সাহায্য করে। আর এরকম একটি ব্যবসার অংশীদার যদি আপনি নিজে হতে চান তাহলে তো আর কথাই নেই।
জ্বি হ্যাঁ। আপনি যদি পোস্টটি পড়তে পড়তে ভাবতে থাকেন আপনার ও এই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটির সাথে যুক্ত হওয়া উচিত তাহলে এখুন এই পোস্টটি পড়ুন এবং আমাদের অর্ডিনারি আইটি ওয়েবসাইটে একবার ঘুরে আসুন। কারণ সেখানে আপনি অনলাইনে টাকা আয় করার আরো অনেক রকমের আইডিয়া খুজে পাবেন। অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে নজর বুলিয়ে নিন কি কি থাকছে তার উপরঃ
অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসাঃ
বর্তমানে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে। তাই অনেকে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার চিন্তা করছেন। অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম জানতে হবে আগে আপনাকে। অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার জন্য কি কি লাগবে তা অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম অনুসরণ করে মেনে চলতে হবে।
অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম - অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে করব - কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে শুরু করব
যারা অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করেন তাঁদের প্রায় কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। যারা নতুন করে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করবেন ভবছেন তাঁদের অনেক প্রশ্ন জাগে এবং এটা স্বাভাবিক। আপনি ভাবছেন অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে করব ? অনলাইন কাপড়ের ব্যবসায়ীর কাছে প্রশ্ন করছেন অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে শুরু করব? তাহলে নিম্নের অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়মগুলো কি কি তা দেখে নিইঃ
স্প্রেডশিট তৈরিঃ
আপনাকে একটি স্প্রেডশিট তৈরি করতে হবে যেখানে আপনার অনলাইন কাপড়ের ব্যবসায় যেসব বিক্রয় হয়েছে তাঁদের লিস্ট থাকবে এবং পাশাপাশি ক্রেতার সকল তথ্য থাকবে যাতে করে এটি আপনি আবার আপশেল হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন। আপশেল হচ্ছে আপনি যখন আপনার অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসাতে নতুন পণ্য আনবেন তখন সে পণ্যটি সম্পর্কে আপনার পুরাতন কাস্টমারদেরকে অবগত করা। এতে করে আপনার নতুন কাস্টমার পণ্যটি কিনবে পাশাপাশি আপনার অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসার পুরাতন কাস্টমার ও পণ্যটি কিনবেন। এতে করে আপনার ব্যবসার পাব্লিসিটি এবং বিক্রি দুইটি হয়ে গেলো।
ট্রেড লাইসেন্সঃ
ট্রেড লাইসেন্স হচ্ছে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার জন্য সরকার কতৃক অনুমতি পাওয়া। আপনি যে ব্যবসা ই করেন না কেন সবসময় চেষ্টা করবেন ট্রেড লাইসেন্স বানিয়ে নেয়ার। ট্রেড লাইসেন্স করতে একেক জায়াগায় একেক রকম ফি দিতে হয়। অনেক সময় অনেক ঝামেলা থাকায় অনেকে ট্রেড লাইসেন্সটি করতে চান না। কিন্তু এই ট্রেড লাইসেন্স আপনাকেয়াপনার অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার জন্য বুস্ট আপ দিবে আপনাকে। তাই দেরি না করে আপনি আপনার অনলাইন কাপড়ের ব্যবসা করার জন্য এখুনি একটি ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করে নিন।
ডেলিভারি পার্টনারঃ
এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন একটি ব্যাপার। আপনি যদি নিজেই কাস্টমার দের সাথে ডিল করেন আবার নিজেই ডেলিভারি দিতে যান তাহলে আপনার অনেক সময় আপচয় হবে। এতে করে আপনি আপনার অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা এর প্রতি মনোযোগ দিতে পারবেন না। তাই আপনার উচিত হবে একজন ডেলিভারি পার্টনারের সাথে চুক্তি করা। ডেলিভারি পার্টনার আপনার পণ্যটি আপনার থেকে নিয়ে আপনার কাস্টমারকে পৌছে দিবে। এতে করে আপনার সময় বাঁচল এবং ডেলিভারি ম্যানের ও একটি কাজের ব্যবস্থা হয়ে গেলো।
ডিজিটাল মার্কেটিংঃ
অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়মগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি কাপড়ের ব্যবসা করে কোটিপতি হয়ে উঠতে পারবেন নিমিষেই । অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসায় লাভ কেমন তা নির্ভর করবেন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং কেমন করছেন তার উপর। আপনি যখন আপনার অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা সংক্রান্ত কোন পোস্ট অথবা ভিডিও শেয়ার করবেন তখন আপনি সাথে সাথে সেসব পোস্টের কমেন্টের রিপ্লাই দেয়ার চেষ্টা করবেন।যখনই পোস্ট আপলোড করবেন তখনি সাথে সাথে ফেসবুকটি বেশি বেশি শেয়ার করার চেষ্টা করবেন।
কমিউনিটিঃ
আপনি আপনার অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা সম্পর্কিত একটি পেজ খুলার থেকে গ্রুপ খুললে বেশি লাভবান হবেন। কারণ পেজ একতরফা এবং পেজে লাইক পাওয়া গ্রুপে মেম্বার বাড়ানোর থেকে কঠিন। একটি অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা সংক্রান্ত একটি গ্রুপ খুলবেন যেখানে আপনি ছাড়া আরো মেম্বার থাকবেন যারা অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করেন। এতে করে আপনার গ্রুপে এনগেজমেন্ট বাড়বেন এবং আপনার অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা লাভজনক হয়ে উঠবে।
ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসা - কাপড়ের ব্যবসার আইডিয়া - অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম
ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ে অনেকে উদ্বিগ্ন । কাপড়ের ব্যবসার আইডিয়া কি ভালো হবে নাকি মন্দ হবে তা নিয়ে দ্বিধা বোধ করেন। যারা দ্বিধা বোধ করছেন তাঁদের বলছি অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম অনুসরণ করে আপনি অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করলে একদিন অনেক লাভবান হতে পারবেন।
কাপড়ের ব্যবসা করে কোটিপতি - কাপড়ের ব্যবসা করে লাভ কেমন - অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম
কাপড়ের ব্যবসা করে লাভ কেমন এরকম প্রশ্ন প্রায়ই দেখা যায়। কাপড়ের ব্যবসা করে কোটিপতি কথাটি কি সত্যি। এরকম হাবিজাবি অনেক প্রশ্ন। এসব উত্ত্র আপনি তখনি বুঝতে পারবেন যখন আপনি নিজে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করবেন। অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম মেনে চলে কাপড়ের ব্যবসা করে কোটিপতি আপনি হতে পারবেন। আর তখন আপনার মাথা থেকে কাপড়ের ব্যবসা করে লাভ কেমন এই প্রশ্ন যাবে।
আশা করি অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে শুরু করব এবং অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম সংক্রান্ত সকল প্রশ্নের উত্তর আপনারা পেয়েছেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url