পলিটেকনিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট ট্রেনিং - ডিপ্লোমা ইন্টার্নি ২০২৩
পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ছাত্রছাত্রীদের ইন্টার্নি বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট ট্রেনিং এর নামে আমাদের দেশে যত ধোঁকাবাজির ব্যবসা চলছে তার সব কিছুর মুখোশ উন্মেচন করার জন্য আজকের এই পোস্ট। আজকের এই পোস্টে আরো জানতে পারবেন পলিটেকনিকের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট ট্রেনিং বা ইন্টার্নি কিভাবে এবং কোথায় করতে হয়।
ডিপ্লোমার ইন্টার্নি বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট কি - পলিটেকনিকের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট সম্পর্কে এ টু জেড বিস্তারিত
আমি কাউসার অর্ডিনারি আইটির পক্ষ থেকে স্বাগতম জানাচ্ছি আজকের এই পোস্টে। আপনি যদি পলিটেকনিকের স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি প্রথম থেকে সপ্তম সেমিস্টারের হয়ে থাকে তাহলে আপনি ইন্ড্রাস্টিয়াল এটাচমেন্ট নিয়ে অবশ্যই আগ্রহী।
জানতে চান যে ইন্ড্রাস্টিয়াল এটাচমেন্ট জিনিসটা কি , কিভাবে ইন্ড্রাস্টিয়াল এটাচমেন্ট করতে হয় ,যারা ইন্ডারস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট সম্পন্ন করেছেন তাঁদের অভিজ্ঞতা কি , কোথায় এবং কিভাবে করতে হবে , এখানে ধোঁকাবাজির কোনো উপায় রয়েছে কিনা , ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট এর কোন বিষয়টিকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিবেন, সরকারি চাকরী, বেসরকারী চাকরীর, সরকারীতে বিএসসি করা ,ডুয়েটে এডমিশন কোচিং এ যাওয়া , বেসরকারিতে বিএসসি করা বা ফ্রিল্যান্সিং শেখা , কি করবেন না করবেন এই সব পুরো ব্যপার নিয়ে কথা বলার জন্য আজকের এই পোস্টটি।
শুরু করার আগে আপনাদের সাথে কিছু গল্প শেয়ার করতে চায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট সম্পন্ন করা নিয়ে। এই গল্পগুলো আপনাদের সাথে এইজন্য শেয়ার করা হচ্ছে যাতে আপনারা বুঝতে পারেন আপনাদের কি করা উচিত।
পলিটেকনিকের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট সম্পন্ন করা নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার গল্প - ডিপ্লোমার ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট কোথায় করবেন
আজ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগের গল্প। যখন আমি পলিটেকনিকে সপ্তম সেমিষ্টারে পড়ি তখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের প্রতিষ্ঠানে মানে আমাদের পলিটেকনিকে মার্কেটিং এর জন্য বিভিন্ন লোকজন আসে।
আসার পরে তারা আমাদেরকে বিভিন্ন জিনিস বুঝায় যে আমরা চাচ্ছি আপনাদেরকে জব দিব বা অমুক জিনিস শিখাবো বা মার্কেটে যে কাজটা ভালো চলছে তা শিখাবো এরকমভাবে অনেক কিছু ভেল্কি বুঝিয়ে বা অনেক কিছু দেখিয়ে আমাদেরকে ইম্প্রেস করার চেষ্টা করে।
তাঁদের মধ্যে যারা সবচেয়ে বেশি লোভনীয় অফার দিয়েছিল আমরা সেখানে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেই। তারপর আমরা তাঁদের প্রতিষ্ঠান ভিজিট করতে যায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট শুরু করার পূর্বে।
সেখানে গেলে তারা আমাদের ভালো করে অ্যাপ্যায়ন করে। যেন আমরা তাঁদের প্রতিষ্ঠানের কোর্স করার জন্য আকৃষ্ট হয়। এভাবে আর কি তাঁদের সঙ্গে আমাদের ডিল হয়ে যায় যে আমরা কয়েকজন গিয়ে তাঁদের কাছে কোর্স করব ।
কোর্স করার পর তারা আমাদেরকে জব দিবে। মানে এইভাবে তারা আমাদেরকে আসলে ডিল করে আরকি। এগুলো আসলে শুরুতে আমরা সবকিছুই বিশ্বাস করে ফেলি।
তারপরে সেখানে গিয়ে যখন ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট কোর্সে যখন ভর্তি হয় তখন আমাদের আসলে আমাদের একটি মাত্র কোর্স করার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর তারা আমদের উপর আরো অনেকগুলো কোর্স চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল।
তো এই সময় থেকে আসলে আমাদের সন্দেহের বীজ মনের মধ্যে বপন করছে তারা কি আসলে আমাদেরকে জব দিবে নাকি আসলে কোর্স করিয়ে শুধুমাত্র টাকা ইনকাম করাটাই তাঁদের মেইন উদ্দেশ্য।
তখন থেকে আসলে এই ব্যাপারগুলো মনের মধ্যে মাঝে মধ্যে ভাবতাম আর কি। তো এইভাবে আমরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট কোর্স কমপ্লিট করে ফেললাম।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং কমপ্লিট করার পরে সেই প্রতিষ্ঠানে আমরা আমদের সিভি গুলো জমা দিলাম। জমা দেয়ার পরে সেখান থেকে আমাকে জবের জন্য অফার করে আর কি, আমি যেহেতু আমাদের ব্যাচের মধ্যে ফার্স্ট হয়েছিলাম । তো তারা আমাকে কল করে। এরপরে তারা আমাকে জানালো যে তারা আমাকে জব দিতে চায়।
শুরুতে আমাকে বেতন দিতে চেয়েছিল পাঁচ হাজার টাকা। আপনি একটু চিন্তা করেন ঢাকার মত একটা জায়গাতে আমাকে জব দিবে সেখানে যদি আমার বেতন হয় পাঁচ হাজার টাকা তাহলে তা দিয়ে কি আমার সংসার চলবে এটা নিশ্চয় আপনারা বুঝতে পারছেন।
এইছিল আসলে আমার পলিটেকনিকের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট প্রশিক্ষণের এর গল্প। ব্যাপারটা আপনারা হয়তো বুঝতেই পেরেছেন আমি মোটামুটি ধোঁকা খেয়েই এমন একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট এর কোর্স করেছি সেখান থেকে কোর্স করার পরে আমার তেমন কোন কাজে লাগে নাই বা আমি কোনো জব ও পাইও নাই। বা আমাকে যে টাকায় জব অফার করেছে সেটা আমার জন্য ফ্রুটফুল ছিল না।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট নিয়ে বন্ধুদের অভিজ্ঞতার গল্প
আমরা মাত্র কয়েকজন ঢাকায় গিয়েছিলাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট করার জন্য অন্য প্রতিষ্ঠানে এবং সেটা সারা বাংলাদেশের নামকরা যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম একটি। আমার অনেক বন্ধু বলতে বেশিরভাগ বন্ধুরা আসলে গাজীপুরে ডুয়েটে এডমিশন কোচিং করার জন্য গিয়েছিল।
আপনারা অলরেডি অনেকেই জানেন যে সিসি থেকে বা যেকোনো ডিপার্টমেন্ট থেকে মোটামুটি কমবেশি শ’খানেক সিট রয়েছে গাজীপুরে ডুয়েটে এবং সে শ’খানে সিটের বিপরীতে সারা বাংলাদেশের শত শত পলিটেকনিক থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়।
অনেকটা বিসিএস পরীক্ষা দেয়া মত। আমাদের যে বন্দুরা সেখানে গিয়েছিল ডুয়েট এডমিশন কোচিং করার জন্য সেখানে আসলে মাত্র হাতে গোনা দু একজন চান্স পেয়েছিল। আর যারা চান্স পেয়েছিল তারা শুধুমাত্র ডুয়েট এডমিশন কোচিং করেছে সেজন্য চান্স পেয়ছে ব্যাপারটা সেরকম না।
কেননা তারা আগ থেকে এক্সট্রা অরডিনারি স্টুডেন্ট ছিল । মনে হত যে এই স্টুডেন্ট গুলো চান্স পাবে যার কারণে তারা চান্স পেয়েছে।
আবার অনেক ভালো স্টুডেন্ট ছিল যারা আসলে চান্স পায় নাই। তারা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়েছে তখনো চান্স পায় নাই। তৃতীয়বার এডমিশন কোচিং করেছে তারপরেও চান্স পাই নাই (যদিও এখন দুইবারের বেশি পরীক্ষা দেওয়া যায় না)। এরকম বন্ধুও রয়েছে আমাদের মধ্যে।
আমাদের বন্ধুদের মধ্যে কেউ কেউ রয়েছে যারা তিন বছরধরে ডুয়েট এডমিশন কোচিং করার পরেও চান্স পাই নাই কিন্তু সে ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট ছিল। আসলে ভাগ্য মাঝেমাঝে ফেভারে থাকে না। সারা বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মেধাবী সেখানে কম্পিটিশনে যোগ দেয় বুঝতেই পারছেন কি অবস্থা।
জুনিয়রদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট প্রশিক্ষণ নিয়ে অভিজ্ঞতার গল্প
এবার শেয়ার করি আমাদের পরে আমাদের ছোট ভাইয়েরা যারা আরকি পলিটেকনিক পাশ করার সময় ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট কমপ্লিট করেছে তাঁদের কি অবস্থা। আমি যে পলিটেকনিক থেকে পাশ করেছি মানে রাজশাহি পলিটেকনিক থেকে গত বছরে এইখান থেকে ফার্স্ট শিফট আর সেকেন্ড শিফট মিলে প্রায় সবগুলোই স্টুডেন্ট একটা প্রতিষ্ঠানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট করার জন্য গিয়েছিল।
কেন গিয়েছিল? সেই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার তাঁদের কাছে এমন ভাবে মার্কেটিং করেছে মানে অনেক আশ্বাস দিয়েছে যার কারণে তারা সেখানে গিয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট কোর্স কমপ্লিট করেছে এবং সেখান থেকে তারা আল্টিমেটলি যা পাওয়ার জন্য সেখানে গিয়ে ভর্তি হয়েছে তার তেমন কিছুই পাই নাই।
আমি আপনাদের এই গল্পগুলো এইজন্যই বললাম যাতে করে আপনারা শিক্ষা নিতে পারেন । যদি কোন প্রতিষ্ঠান আপনাকে এসে বলে তাঁদের কাছে গেলে আপনি জব পাবেন শুরুতেই আপনি তাঁদের ইউটিউব চ্যানেল ভিজিট করে দেখবেন যে তাঁদের প্রতিষ্ঠানে কাজ শেখার পরে লোকজন আসলেই কাজ পাচ্ছে কিনা বা কাজ করতে পারছে কিনা বা তাঁদের আদৌ ফাংশনাল ওয়েবসাইট রয়েছে কিনা।
মনে করেন যে আপনি এমন একটি প্রতিষ্ঠানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট করার জন্য যেতে চাচ্ছেন যাদের কোন ইউটিউব চ্যানেল নাই , যাদের ভাল কোন ওয়েবসাইট নাই, যাদের ভালো কোন ফেসবুক পেইজ নাই তাহলে বুঝতে পারছেন তারা নিজেরাই এই লাইনেই সফল না বা তারা তাঁদের বিজিনেস্টা কে সফল্ভাবে পরিচালনা করতে পারছেনা বা তাঁদের বিজনেস পরিচালনা করে তেমন কোন আয় করতে পারেনা।
শুধু মাত্র কোর্স করিয়ে তারা তাঁদের সংসার চালায়। এছাড়া তাঁদের আর কোন যোগ্যতা নাই। তো এরকম প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট কোর্স করে সেটা আপনার আদৌ কোন কাজে লাগবে না।
এই যে আমি যে গল্পগুলো আপনাদের এতক্ষন বললাম সেগুলো বলার মাধ্যমে যা বুঝাতে চেয়েছি তা আপনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন বা আপনার বুঝার কথা। তো এখন যদি আপনি প্রশ্ন করেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট জিনিসট কি বা কিভাবে করতে হয় এখন সে ব্যাপারে আমি আপনাদেরকে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করিঃ
ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট ট্রেনিং কি - পলিটেকনিকের ইন্টার্নির নামে কি হচ্ছে?
ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট হচ্ছে পলিটেকনিক থেকে প্রথম থেকে সপ্তম সেমিষ্টার পর্যন্ত কমপ্লিট করা হয়ে গেলে অষ্টম সেমিষ্টারে গিয়ে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে গিয়ে বাস্তবমুখী আপনি যে প্রশিক্ষণ নেন সেটা, যে প্রশিক্ষণ নেয়ার পর আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জব করতে পারবেন বা অর্থ ইনকাম করতে পারবেন এরকম একটি জায়গায় গিয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া বা কাজ করাটাই ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট বা ইন্টার্নি। কিন্তু আমাদের দেশে এখন যেটা হচ্ছে সেটা হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোর্স করতে হচ্ছে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বলতে বিভিন্ন কোচিং টাইপের প্রতিষ্ঠান যাদের মেইন উদ্দেশ্য হচ্ছে কোর্স করিয়ে টাকা ইনকাম। এরকম প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আসলে বাংলাদেশের অনেক ছেলেমেয়ে ধোঁকা খেয়ে আসলে বোকা হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তো এই পোস্টটি এইজন্যই লিখতে বসেছি যাতে করে আপনারা সাবধান হতে পারেন।
এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট আপনার কোন প্রতিষ্ঠানে করা উচিত। এখানে দুইটা ভাগ হয়ে যায় । যথাঃ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট কোন প্রতিষ্ঠানে কোথায় করবেন এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্টকে গুরুত্ব দিবেন নাকি ডুয়েট এডমিশনে যাবেন।
পলিটেকনিক/ডিপ্লোমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট ট্রেনিং বনাম ডুয়েট এডমিশন কোচিং ২০২২
শুরুতে আমি আপনাদের একটি গল্প বলছিলামা যা আমার জীবনে ঘটেছিল। গল্পটা বলার মাধ্যমে হয়ত আপনারা বুঝতে পেরেছে ডুয়েট এডমিশন কোচিং তাঁদের জন্য যারা একেবারে এক্সট্রা অর্ডিনারী ছাত্রছাত্রী তাঁদের জন্য।
এছাড়া আপনি যদি হযবরল ছাত্রছাত্রী হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি ডুয়েট এডমিশন কোচিং করার চিন্তা করেন তাহলে সেটা আপনার কাজে লাগবে না। কারণ শতাধিক সিটের জন্য হাজার হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিবে। বুঝতেই পারছেন যে অনেক মেধাবী ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। সে স্রোতে যদি আপনি গা ভাসিয়ে দেন সেটা আপনার জন্য কতটুকু লাভবান হবে সেটা আপনাকেই বুঝতে হবে।
আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট বা ইন্টার্নি করবেন? আপনার এমন প্রতিষ্ঠানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট করা উচিত যেখান থেকে কাজ শেখার পরে আপনি কিছু একটা করতে পারবেন।
আচ্ছা আপনি পলিটেকনিকে কেন পড়তে এসেছেন? আপনি কি এটা কখনো ভেবেছেন? আপনার উদ্দেশ্য কি এটা যে পলিটেকনিক থেকে পাশ করার পরে আপনি গাজীপুরে যাবেন । তারপর ডুয়েট এডমিশন পরীক্ষা দিয়ে বি এস সি করবেন বা বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানে বি এস সি করবেন নাকি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে BSc করবেন এইটাই কি আপনার পলিটকেনিকে আসার উদ্দেশ্য ? মোটেই না।
পলিটেকনিকে আপনি এজন্য এসেছেন যাতে করে পলিটেকনিক থেকে পাশ করার পরে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে সাবলম্বী হতে পারেন। অর্থ ইনকাম করতে পারেন, জব মার্কেটে ঢুকতে পারেন। আপনি এইজন্য আসছেন পলিটেকনিকে। আপনার উদ্দেশ্য যদি হয় বি এস সি কমপ্লিট করা তাহলে আপনি পলিটেকিনিকে কেন আসছেন ? তাহলে তো আপনি ইন্টার পাশ করার পরে বি এস সি কমপ্লিট করতে পারতেন। সেক্ষেত্রে আপনার মাত্র ছয় বছর সময় লাগতো।
আপনি পলিটেকনিকে আসার পরে যদি বি এস সি কমপ্লিট করতে চান তাহলে আপনার আট বছর সময় লাগবে। তাহলে আপনার দুই বছর সময় লস হলোনা? আপনি পলিটেকনিকে এসেছেন যাতে এখান থেকে কারিগরি শিক্ষা নেয়ার পরে আপনি সাবলম্বী হতে পারেন, আপনি কোন কাজ করতে পারেন, আপনি কোন জব করতে পারেন অথবা আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
আচ্ছা আমি ২০১৬ সালে পলিটেকনিক থেকে পাশ করার পরে আমি কি বি এস সি কমপ্লিট করি নাই? হ্যা আমি ও বি এস সি কমপ্লিট করেছে । কিন্তু আমি পরিবার থেকে কোন টাকা নেই নাই। জব করে, ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের টাকাতেই বি এস সি কমপ্লিট করেছি।
সুতরাং আমার সাজেশন থাকবে আপনাকে যদি বি এস সি কমপ্লিট কতে হয় তাহলে আপনি জব করে অর্থ ইনকাম করবেন এবং আপনি আপনার টাকা দিয়ে বি এস সি কমপ্লিট করবেন এটা যেন আপনার পণ হয়। এই ইচ্ছা নিয়ে আসলে আপনার কাজ শিখে স্ক্রিল্ড হওয়া উচিত। তাহলে বুঝতেই পারছে পলিটেকনিকে আসার উদ্দেশ্য হচ্ছে বি এস সি করা না। পলিটেকনিকে আসার উদ্দেশ্য জব করা । প্রয়োজনে এরপর নিজের টাকায় বি এস সি করা।
পলিটেকনিক সংশ্লিষ্ট সবাই জানেন যে, ডিপ্লোমা পড়ার আসল উদ্দেশ্য এই না যে পলিটেকনিক পাশ করার পর সবাইকে ডুয়েটে পড়তে হবে, তা না হলে দেশে ডুয়েটের মত অনেক প্রতিষ্ঠান থাকতো। ডিপ্লোমা পড়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে, যারা ইন্টার পাশ করে অনার্স/বিএসসি করে তাদের আগেই যেন কর্মমূখী হওয়া যায়।
এবার আসল কথায় আসি।
সরকারী নিয়ম অনুযায়ী যে সময় পলিটেকনিক স্টুডেন্টদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট করার কথা প্র্যাকটিক্যাল স্কিল বৃদ্ধি করার জন্য সে সময় কিছু কোচিং ব্যবসায়ী ও তাদের দালালরা ছলে বলে কৌশলে অনেক স্টুডেন্টদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে DUET কোচিং এ ভর্তি করানোর চেষ্টা করে টাকা কামানোর জন্য। এটা কত টুকু নৈতিক কাজ?
"ডুয়েট আর সরকারি জব ছাড়া ডিপ্লোমাদের আর কোনো উপায় নেই" এসব বলে যারা সরকারী নিয়ম ভঙ্গ করে ইন্টার্নিচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের ব্যবসা ভারি করার জন্য কোচিং এ নিয়ে যায় তারা প্রতারক না?
আমি নিজেও তো সরকারি জব করি না। ডুয়েটে না হলেও তো বিএসসি করেছি। এবং সরকারি জবের কামলা খাটার থেকে অনেক সুখে ফ্রিল্যান্সিং করছি এই বিষয় নিয়ে।
ডুয়েট এডমিশন কোচিং বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট ট্রেনিং?
আপনি সরকারি জবের জন্য প্রস্ততি নেয়ার টার্গেট করে পড়াশুনা, কোচিং বা কোর্স করবেন কিনা? অনেকে ডুয়েটে এডমিশনে যাওয়ার পরে বা ডুয়েট এডমিশন কোচিং এ যাওয়ার পরে আসলে চান্স পায় না।
যারা ডুয়েটে এডমিশন কোচিং এ নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভেলকি বা ভাঁওতাবাজি কথাগুলো বলে তারা এভাবে বলে যে আপনি যদি ডুয়েটে চান্স নাও পান সেক্ষেত্রে সরকারি জব এর সমস্ত পড়াশুনা কমপ্লিট হয়ে যাবে।
এরপর আপনি যেকোনো জায়াগায় পরীক্ষা দিলে চান্স হয়ে যাবে এবং আপনার জব হয়ে যাবে। আসলে কি ব্যাপারটি এরকম? চলুন একটু যাচাই করে নিইঃ
আমার যেসকল বন্ধুরা গাজীপুরে গিয়েছিল ডুয়েট এডমিশন কোচিং করার জন্য যারা চান্স পাই নাই তারা বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষা দেয়ার পরে তারা কি সবাই জব পেয়েছে? না , তারা কিন্তু আসলে মোটেও তেমন কেউ জব পাই নাই।
যারা জব পাই নাই বা জব কেন পাই নাই তাঁদের কারণটা জিজ্ঞেস করার জন্য কিছু বন্ধুকে কল দিয়েছিলাম এবং জিজ্ঞেস করেছিলাম যে তোমরা ডুয়েট এডমিশন কোচিং থেকে যেসব বিষয় শিখেছ সেগুলো কি কমন এসেছিল? তাদের উত্তরটা শুনে আশাহতই হয়েছিলাম। কারণ তারা ডুয়েট এডমিশন কোচিং থেকে যা শিখেছে তার কোন কিছু কমন পড়ে নাই কোন চাকরির পরীক্ষাতেই।
তাহলে বুঝতে পারছেন বাস্তবতা আসলে কোন জায়গায় রয়েছে। যারা ভাবছেন যে ডুয়েটে চান্স না পাইলেও আমার সরকারি চাকরি হয়ে যাবে তাঁদের কি হবে তারা নিশ্চয় এই গল্পটা থেকে বুঝতে পেরেছেন।
বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজার হাজার ছেলেমেয়ে পলিটেকনিক পাশ করে বের হচ্ছে। সবার জন্য ডুয়েটে যেমন সিট নেই তেমনি সবার জন্য চাকরিতেও সিট নাই। তাহলে যারা ডুয়েটে চান্স পায় না বা সরকারী জবের টেকে না তাদের লাইফে কি হবে? এইটা নিয়ে কেউ আসলে চিন্তা করে না। কোচিং ব্যবসায়ীরা সবাই আসলে ব্যবসা করে যাওয়ার ধান্দা করে যাচ্ছে।
আমার কোন বন্ধুই কি সরকারি চাকরি পাই নাই? হ্যাঁ পেয়েছে। তাহলে তারা কিভাবে পেলো? তারা কাজ কাম শেখায় অনেক এক্সপার্ট ছিল। তারা বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিষয়ের কাজ জানত বিধায় তারা পরীক্ষা দেয়ার পর চান্স পেয়ে গেছে।
আপনি যদি ইঞ্জিনিয়ারিং এর টেকনিক্যাল বিষয়গুলো না জানেন এরপর যদি আপনি কোথাও গিয়ে আপনি ইঞ্জিনিয়ার হয়ে জব করতে চান তাহলে সেখানে সরকারি বেসরকারি কোনো জবই আপনার জুটবে না। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে আপনি যেহেতু একজন ইঞ্জিনিয়ারিং পদে কাজ করবেন সেক্ষেত্রে আপনি কেমন পড়াশুনা করেছেন, আপনার রেজাল্ট কত , আপনি ডিপ্লোমা করেছেন নাকি বি এস সি করেছে কিনা সেগুলো কোন বিষয় না। বিষয় হচ্ছে আপনি কাজ জানেন কিনা। আপনি যদি কাজ না জানেন তাহলে আপনাকে কাজ কে দিবে ভাই?
এ কথাগুলো এজন্য বলছি যাতে করে আপনি দক্ষ হতে পারেন ডিপ্লোমা কমপ্লিট করার পূর্বে বা জব মার্কেটে আপনাকে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে করে আপনি জব পান। এজন্য আপনাকে দক্ষ হতে হবে। আর দক্ষ হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথম থেকে সপ্তম সেমিষ্টার পর্যন্ত পড়াশুনা যাই করেছেন সমস্যা নাই কিন্তু অষ্টম সেমিস্টার থেকে আপনাকে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে যাতে করে আপনি জব মার্কেটে প্রবেশ করতে পারেন।
নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করবেন অর্থ ইনকাম করার জন্য - Polytechnic Industrial Attachment Training 2022
জব পাওয়ার জন্য আপনি নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করবেন চলুন এবার সে ব্যাপারে বলিঃ
যারা কম্পিউটার ডিপার্ট্মেন্টে পড়ছেন তাঁদের জন্য এই পোস্টটি এখন বেশ হেল্পফুল হবে। এছাড়া অন্য ডিপার্ট্মেন্ট হলেও সমস্যা নেই। আপনি কোন ডিপার্ট্মেন্ট থেকে এসেছেন কোথায় গিয়ে জব করবেন এটা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা। যাইহোক, যে ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলছিলাম সেটি নিয়ে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করি।
আপনি যদি এখন মনে করেন যে আপনার মেইন উদ্দেশ্য হলো আপনি পলিটেকনিক পাশ করার পরে আপনি নিজের পায়ে দাড়াবেন এবং আপনি নিজের টাকাতে বিএসসি করবেন এই রকম উদ্দেশ্য যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে এখন থেকে এই পোস্টটি পড়া শুরু করতে পারেন।
এরকম উদ্দেশ্য যদি আপনার না থেকে তাহলে আপনার এই পোস্টের পরবর্তী অংশ পড়ার কোন দরকার নেই। আর যদি এখন পোস্টটি পড়তে থাকেন তার মানে হচ্ছে আপনি পলিটেকনিক পাশ করার পরে নিজের পায়ে দাড়াতে চান , নিজের অর্থ ইনকাম করতে চান । তারপর পরিবারকে সাহায্য করতে চান। এরপর আপনি বি এস সি কমপ্লিট করতে চান নিজের টাকাতে। যদি এটা আসল উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে কিভাবে কাজ শিখবেন কোথায় গিয়ে কাজ শিখবেন , কোন কাজ শিখা প্রয়োজন হবে সেগুলো নিয়ে এখন কথা বলি।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসে আপনাকে অনেক লোভনীয় অফার দিবে তাঁদের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আপনি জব পাবেন, এই বিষয় শেখা উচিত, অমুক বিষয়ে মার্কেটে সব থেকে দাম বেশি, এটার জব মার্কেটের চাহিদা অনেক বেশি। এরকম অনেক কথা বলবে। এসব কথা বার্তায় শুরুতে আপনাকে পাগল হলে চলবেনা। এটা আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।
এই পোস্টটা লিখার উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনারা এমন একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করবেন পলিটেকনিক থেকে বের হওয়ার পর যেখানে আপনি অন্যদেরকে জব দিবেন এবং যেখানে আপনি বসে বসে টাকা আয় করতে পারবেন। এরকম একটি প্রতিষ্ঠান কিভাবে তৈরি করবেন সেটা বলার জন্য আজকের এই পোস্ট।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট করে অর্থ আয় - ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রাম
আমার নাম কাউসার, আমি অর্ডিনারির আইটি পরিচালনা করেছি এবং এখানে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে কাজ করছি। আমি ডিপ্লোমা কমপ্লিট করার পর বিএসসি কমপ্লিট করেছি একেবারেই নিজের টাকাতে। তাই আমিও চাই আপনারাও যেন সম্পূর্ণ নিজের টাকাতে বিএসসি কমপ্লিট করতে পারেন। হ্যাঁ, এখানে কিন্তু বিএসসি কমপ্লিট করাটা উদ্দেশ্য নয়, বরং নিজের উপার্জনে চলাটা মুখ্য।
এখন আপনারা বলতে পারেন যে বিএসসি পাশ করাটা জরুরি কিনা? আমি এখন একটা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছি, এখন কেউ জিজ্ঞেস করলে যদি বলি ডিপ্লোমা পাশ তাহলে মানুষজন আমাকে গুরুত্ব দিবেনা কেননা এই দেশে অল্প শিক্ষিত মানুষদের ছোট করে দেখা হয়। শুধুমাত্র এই কারণে আমি বিএসসি কমপ্লিট করেছি যাতে করে আমি বা আমার বাবা বা আমার শ্বশুর বলতে পারি যে আমি একজন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার। এর মানে এই না যে আমি অন্য কোন জব করতে চাই।
আপনাদের প্রতি আমার সাজেশন হল আপনি যে উদ্দেশ্যেই বিএসসি করুন না কেন তা যেন নিজের টাকাতে করতে পারেন। তো কাজ শেখার জন্য আপনাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে লোক এসে বলবে তাঁদের কাছে কাজ শিখতে বা বিভিন্ন প্রোগ্রামিং শিখতে বা অমুক ফ্রেমওয়ার্ক বা প্রোগ্রামিং শিখতে। তা কত টাকার জব পাবেন আপনি পলেটিকনিক থেকে পাশ করে কোন কাজ শিখে? আপনি স্টার্টিং অবস্থায় কোন প্রতিষ্ঠানে কখনোই ১০-১৫ হাজারের বেশি স্যালারি পাবেন না।
আমার কথা যদি বিশ্বাস না করেন তবে যারা পলিটেকনিক থেকে পড়ে বিভিন্ন জায়গায় জব করছে তাঁদের কি অবস্থা খোঁজ খবর নিন। আমি পলিটেকনিক থেকে বের হয়ে ৫ হাজার টাকায় জব লাইফ শুরু করি। তবে আমি সেই জব ছেড়ে দিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠান অর্ডিনারি আইটি গড়ে তোলা শুরু করি কয়েকজন বন্ধু মিলে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি - ডিজিটাল মার্কেটিং করে মাসে লাখ টাকা আয় করুন
এখন অর্ডিনারি আইটির মাধ্যমে আমরা কি কি করছি তা আপনাদের একটু জানিয়ে দিই। অর্ডিনারি আইটি হল সারাদেশে কন্টেন্ট রাইটিং এর যত প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম। আমি কাউসার, গুগল সার্টিফাইড একজন ডিজিটাল মার্কেটার। আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করি। আমি ঘরে বসেই মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করি। গত তিন বছর ধরে আমার গড়ে তোলা অর্ডিনারি আইটি ওয়েবসাইটটির এখন বাজার মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। যদি এই কথা বিশ্বাস না হয় যে এই ওয়েবসাইটের মূল্য ৫০লক্ষ টাকা এবং প্রতিমাসে আমি লক্ষাধিক টাকা কামাই, তবে এই লিংক এ চেক করুন অথবা আমাদের অফিসে সশরীরে এসে সত্যতা যাচাই করুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব - ডিজিটাল মার্কেটিং কী
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছি আমরা। আর এই মুহুর্তে সব থেকে ডিমান্ডিং যে কাজ রয়েছে মার্কেটে বা সব থেকে বেশি ইনকাম করা যায় অল্প সময়ের মধ্যে যে কাজ শিখে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। আমি ডিজিটাল মার্কেটিং করে প্রায় উনিশ রকম উপায়ে ইনকাম করি যে ব্যাপারগুলো আমি আসলে আপনাদের শেখাতে চাচ্ছি। আমাদের কাছ থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে সফল হয়েছে এরকম ব্যক্তির উদাহারণ অনেক রয়েছে। আপনি চাইলে এই লিংক এ একবার দেখতে পারেন।
আপনি চাইলে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ভিজিট করে সাকসেস স্টোরিগুলো দেখতে পারেন কত লোক আমাদের টিমে কাজ করছে তা দেখার জন্য। আপনি যদি মনে করেন যে আপনি এমন একটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজ শিখতে চান যেখান থেকে আপনি রিয়েলি জব পাবেন বা কাজ করতে পারবেন সেক্ষেত্রে আপনি নির্দ্বিধায় অর্ডিনারি আইটিতে চলে আসতে পারেন।
আপনি আমদের কাছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট এর কোর্স করার পরে জব করতে পারবেন। আপনারা যত জন আমাদের কাছে কাজ শিখতে আসবেন সবাইকে আমরা জব অফার করতে পারব যদি আপনি দক্ষ হয়ে থাকেন।
কিভাবে আপনাদের সবাইকে আমারা জব অফার করতে পারব যদি এই প্রশ্ন করেন তাহলে এর উত্তর হচ্ছে আমরা এমন সিস্টেমে কাজ করি যেখানে আপনি যখন কাজ করবেন সেখানে আপনার কাজ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম হলে সেখান থেকে আমরা আপনাকে ২০ হাজার টাকা দিব।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে টাকা আয় - ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরত্ব
অথবা ধরেন আপনি আমাদের এমন কাজ করে দিলেন যেখান থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম হবে সেখান থেকে আমরা আপনাকে ২৫ হাজার টাকা বেতন দিব। আমরা এই সিস্টেম এ কাজ করি। আমরা আমদের পকেট থেকে বেতন দিব এমন না । আমাদের এমন সিস্টেম রয়েছে যেখানে যত বেশি লোক কাজ করবে আমরা তত বেশি ইনোকাম করতে পারব। আমরা মূলত গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করি। যেহেতু কন্টেন্ট মার্কেটিং করি ব্যাপারাটা বুঝতেই পারছেন যত কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করব যত বেশি ভিউ হবে তত আমাদের ইনকাম বেশি হবে।
আপনি কোর্স কমপ্লিট মানে আমাদের অর্ডিনারি আইটিতে এসে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করার সঙ্গে সঙ্গে আপনি অর্ডিনারি আইটিতে ১৫ হাজার টাকা বেতনে জব পাবেন। এটা একদম গ্যারান্টেড।
আমাদের টিমে অনেকে কাজ করছেন। আপনি আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ভিজিট করে আমাদের সাকসেস স্টোরিগুলো জানতে পারবেন। আপনার যদি মনে হয় আপনি আমাদের টিমে কাজ করতে চান না সেক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই। আপনি চাইলে আমাদের মত একটি বিজনেস প্ল্যাটফরম চালু করতে পারবেন যেখানে আপনি বসে বসে ইনকাম করতে পারবেন যেমনটা আমরা করছি সেখানে আপনি অন্যদেরকে কাজ দিতে পারবেন।
এরকম একটি প্ল্যাটফরম কিভাবে তৈরি করতে হবে এই পুরো ব্যাপারগুলো আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স এর ভিতরে থাকবে। আমরা এমন কোন ব্যক্তি না যারা কোর্স করিয়ে ইনকাম করে থাকি। এরকম উদ্দেশ্য আমাদের না।
আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনারা যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ধোঁকা খাচ্ছেন তারা যেন রিয়েলি কিছু একটি করতে পারেন তার জন্য সঠিক একটি দিক নির্দেশনা দেয়াটাই হলো আজকের এই পোস্টের উদ্দেশ্য।
আমাদের কাছে কাজ শেখার পরে বা কোর্স করার পরে বা অন্য যেখানে কোর্স করেন আপনাকে অনেক বেশি এক্সপার্ট হতে হবে SEO এর ব্যাপারে। আপনি যদি একজন দক্ষ SEO এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে আপনি অর্ডিনারি আইটে এক লক্ষ টাকা মাসিক বেতনে জব করতে পারবেন। কিভাবে আপনি আমাদের টিমে এক লক্ষ টাকা বেতনে চাকরি পাবেন তা বিস্তারিরত জানতে এই লিংক এ ক্লিক করুন।
আপনি যদি একজন দক্ষ SEO এক্সপার্ট না হয়ে থাকেন বা আপনি যদি এই ব্যাপারে কাজ শিখতে চান সেক্ষেত্রে আমাদের কাছে কোর্স করতে পারেন নির্দ্বিধায়। আমাদের কাছে যারা কোর্স করে যারা ডেডিকেটেড ভাবে কাজ করেছে তারা সবাই সাকসেস হয়েছে। এরকম অনেকজনের সাকসেস স্টোরি আপনাদের আগেই বললাম ইউটিউব চ্যানেল ভিজিট করলে জানতে পারবেন।
Industrial Attachment এবং Industrial training কি - ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার
আমাদের আজকের এই পোস্টটি মূলত তৈরি করার আসল উদ্দেশ্য ছিল আপনারা যাতে করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট এর নামে বিভিন্ন নাম সর্বস্ব কোর্স করায় এই সকল প্রতিষ্ঠানে গিয়ে যাতে করে ধোকা খেয়ে বোকা না হন।
আমরা আপনাদেরকে সাজেশন দিচ্ছি বা উপদেশ দিচ্ছি বা অনুরোধ করছি আপনারা আমাদের প্রতিষ্ঠান অর্ডিনারি আইটি ভিজিট করে দেখতে পারেন যে আমরা কি কাজ করছি বা আপনাদেরকে কি শেখাতে পারব বা আপনি আমাদের ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল ভিজিট করে দেখতে পারেন আমরা বর্তমানে কোন কোন বিষোয়গুলো নিয়ে কাজ করছি ।
এতে করে আপনার উৎসাহ অনেক বেড়ে যাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য। ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সে কি কি শেখানো হবে বা এই কোর্সের মধ্যে কি রয়েছে না রয়েছে বা কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন এইসব ব্যাপারে যদি আপনি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই লিংকে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন এই ব্যাপারে কাজ করা উচিত হবে কিনা। যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হয়ে থাকে তাহলে আপনি অর্ডিনারি আইটির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এই লিংকে ক্লিক করে।
আপনাদের ফ্রিল্যান্সিং করার যাত্রা শুভ হোক এবং ইডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট অনেক ফ্রুটফুল হোক সে কামনা করে আজকে এই পোস্ট শেষ করছি। পোস্টটি আপনার কাছে উপকারী মনে হলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন নিচের শেয়ার বাটনগুলো তে ক্লিক করে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url