৩২টি ইউটিউবে ভিডিও বানানোর সেরা কন্টেন্ট আইডিয়া
ইউটিউবে কি কি বিষয় নিয়ে কাজ করা যায় ও ইউটিউবে ভিডিও বানানোর আইডিয়া জেনে নিন। ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে এবং ইউটিউব কন্টেন্ট আইডিয়া দেখুন।
ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে এই নিয়ে আমাদের সকলের মাঝে তাকে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনা। নিজের চিন্তাশীল দৃষ্টিভঙ্গি এবং সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউবে ভিডিও বানানোর আইডিয়াকে নানা ভাবে ব্যবহার করা যায়।
আর ঠিক সেই জন্যই ইউটিউবে কি কি বিষয় নিয়ে কাজ করা যায় বা ইউটিউবে ভিডিও বানানোর আইডিয়া সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাতে আজকে আমাদের এই পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও আপনি আরো জানতে পারবেন ইউটিউব কন্টেন্ট আইডিয়াও। তাই দেরি না করে আমাদের পোষ্টে এখনি পড়তে থাকুন আর জেনে নিন ইউটিউবে কি কি ভিডিও তৈরি করলে ভালো হবে।
ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে | ইউটিউব এর জনপ্রিয় কিছু ভিডিওর বিষয় | ইউটিউবে কি কি বিষয় নিয়ে কাজ করা যায়
ইউটিউবে আমরা প্রায়ই কমবেশি সবাই বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখে থাকি। এসব ভিডিও একদিকে যেমন আমাদের জন্য শিক্ষামূলক তেমনি অনেক অ্যাডভেঞ্চারাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের বিষয়ের উপর প্রামাণ্য চিত্র পাওয়া যায়। তাই অল্প সময়ের মধ্যেই পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আর এর পাশাপাশি ইউটিউব থেকে ইনকাম এর জন্য তরুণ সমাজ থেকে শুরু করে অনেকেই আজ ইউটিউব এর দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এমনকি তাদের ক্যারিয়ারের একটা দিক হিসেবে ইউটিউব কে তারা বেছে নিচ্ছে।
তবে আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে চান এবং কিছু নির্দিষ্ট দিকে উল্লেখ করে ভিডিও বানান তবে ভিডিওর কোয়ালিটি এবং ক্যাটাগরি অবশ্যই আকর্ষণীয় হতে হবে। তাই আজকে ইউটিউব এ কি কি বিষয়ে ভিডিও তৈরি করলে ভালো হবে ইউটিউব থেকে আপনি কিভাবে একজন সফল ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠতে পারেন সেই সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদেরকে যাবতীয় ধারণা দিব।
এখন প্রশ্ন হলো ইউটিউবে কি কি বিষয় নিয়ে কাজ করা যায়? তবে প্রশ্নের উত্তরের জন্য সবার প্রথমে আমাদের দেখতে হবে আমরা ইউটিউবে সচরাচর কতগুলো ক্যাটাগরির ভিডিও দেখে থাকি? চলুন সেগুলো কে আগে আইডেন্টিফাই করার চেষ্টা করি। আমার নিজস্ব দেখা যতগুলো টাইপের ভিডিও আজ পর্যন্ত পেয়েছি ততগুলো আমি আপনাদেরকে উল্লেখ করার চেষ্টা করছি। ইউটিউবে ভিডিও বানানোর আইডিয়া গুলো হচ্ছেঃ
১. সিনেমাটোগ্রাফি
২. ফটোগ্রাফি
৩. টেকনোলজি রিলেটেড
৫. কার্টুন ভিডিও
৬. সচেতনতামূলক ভিডিও
৭. পলিটিকাল ভিউ
৮. এনিমেটেড
৯. মোটিভেশনাল ও শিক্ষামূলক ভিডিও
১০. সমাধানমূলক ভিডিও
১১. গান বা সংগীত ভিডিও
১২. ক্রাফট ওয়ার্ক ভিডিও
১৩. প্রতিবেদন মূলক ভিডিও
১৪. খাবারের উপর তৈরি করা ভিডিও
১৫. ট্যুরিজম বা দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের ভিডিও
১৬. বিনোদনমূলক ভিডিও
১৭. লাইভ ভিডিও
১৮. টেকনিক্যাল ভিডিও
১৯. ধর্মীয় ভিডিও
২০. বিভিন্ন প্রোগ্রামের ভিডিও
২১. লাইফ হ্যাকস এর ভিডিও
২২. রান্নাবান্না সম্পর্কিত ভিডিও
২৩. মুভি ও মুভি ট্রেলার
২৪. দেশ বিদেশের খবর
২৫. নাটক, টেলিফিল্ম ও শর্ট ভিডিও
২৬. অলৌকিক ভিডিও
২৭. রহস্য মূলক ভিডিও
২৮. স্টাডি রিলেটেড ভিডিও
২৯. রিভিউ ভিডিও
৩০. বিজ্ঞান সম্পর্কিত
৩১. বিভিন্ন ভিডিও ,
৩২. খেলাধুলা সম্পর্কিত ইত্যাদি
এইগুলো স্বাভাবিকভাবে আমরা সব সময় ইউটিউবে দেখে থাকি। অর্থাৎ প্রচলিত অর্থে এসমস্ত ভিডিও থেকে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তাই আপনি আপনি যদি ভাবেন ইউটিউবে কি কি বিষয় নিয়ে কাজ করা যায় তবে আপনার চিন্তা-চেতনাকে এইরকম কিছু জনপ্রিয় দিকগুলোতে তুলে ধরতে পারেন। আর এভাবেই আপনার চ্যানেল থেকে আপনি খুব সহজে আপনার ক্যারিয়ারকে ডেভেলপ করে ফেলতে পারবেন।
ইউটিউবে ভিডিও বানানোর আইডিয়া | ইউটিউবে কি কি বিষয় নিয়ে কাজ করা যায় | ভিডিও তৈরিতে আইডিয়ার কেন প্রয়োজন?
আমরা যখন বিগিনার বা প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তখন আমাদের উক্ত বিষয় সম্পর্কে অনেক কিছুতে জ্ঞান কম থাকে। আবার দেখা যায় এই জ্ঞান কম থাকার কারণে আমাদের চেষ্টা সফল ভাবে হয় না। যার জন্য আমাদেরকে নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। অন্যদিকে টেকনোলজি বা ডিজিটাল বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা অভাবে আমাদের কে বর্তমানে অনেক বেশি আপডেট হতে হচ্ছে। আরে সাথে সাথে পরিবর্তন হচ্ছে বিভিন্ন সাইটের দিক নির্দেশনা এবং টার্মস এন্ড কন্ডিশন।
তাই বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই আপডেট হওয়ার জন্য রিসার্চ এবং আইডিয়া নেওয়ার প্রয়োজন। ঠিক সেভাবে আপনি যদি ইউটিউবে আপনার চ্যানেল খুলতে যান এবং কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর আপনার চ্যানেলকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তবে আপনাকে অবশেষে বিষয় সম্পর্কে যাবতীয় ধারণা ও জ্ঞান রাখতে হবে। না হলে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না।
অন্যদিকে ইউটিউবে ভিডিও বানানোর আইডিয়া বিভিন্ন রকমের হতে পারে। আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে- ধরুন আপনি একজন ফুডি মানুষ। আপনি খেতে খুব ভালোবাসেন তাই আপনি ঠিক করলেন আপনি বিভিন্ন শহরের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে, স্ট্রিটফুড এবং আরো অন্যান্য জায়গার খাবার টেস্ট করবেন। আপনি এটাও ভাবলেন আপনি আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন এবং সেখানে আপনার নিজস্ব ব্লগ তৈরি করবেন। এসব ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে যেমন-
১. আপনাকে শুরুতে একটি চ্যানেল বানাতে হবে এবং চ্যানেলটির নাম অবশ্যই আপনার ভিডিও রিলেটেড করতে হবে। কেননা আপনি যদি ফুড সম্পর্কিত ভিডিও আপলোড করেন আর আপনার চ্যানেলের নাম যদি এদিকে টেকনোলজি রিলেটেড দিয়ে রাখেন তাহলে অবশেষে চ্যানেলটা আর আপনার ভিডিওর মধ্যে কোন সঙ্গতি থাকবে না যার কারণে আপনার চ্যানেলের প্রবলেম হতে পারে এমনকি আপনি ভিউয়ার্সও পাবেন না।
২. আপনি কি আপনার ভিডিও আপলোড এর উপর যত্নশীল হতে হবে। ভিডিও কোয়ালিটি, উপস্থাপনা, সঠিকভাবে বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে শেয়ার করা (ভিউয়ার্স বানানোর জন্য) সহ আরো বিষয়টির উপর নজর রাখা।
৩. প্রথমের দিকে হয়তো আপনার ভিডিও কোয়ালিটি কিছুটা খারাপ হতে পারে যেহেতু একদম বিগিনার্স। তবে প্রচুর পরিমাণে রিসোর্স এবং টপ চ্যানেলে থাকা মানুষদের ভিডিও ফলো করলে আপনিও ধীরে ধীরে আপনার কন্টাক্ট কোয়ালিটিকে ডেভলপ করতে পারবেন।
একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে, ইউটিউবে প্রতি মিনিটে ৫০০ ঘণ্টার ভিডিও আপলোড করা হয়। যার জন্য ইউটিউব প্লাটফর্মে কম্পিটিশন অনেক বেশি দেখা যায়। তবে এই জন্য আপনাকে অবশ্যই এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সিলেক্ট করতে হবে যেখানে আপনি আপনার নিজস্ব সৃষ্টিশীলতাকে সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারেন। শুধুমাত্র ডিমান্ড আছে বলেই নিজের ক্রিটিভিটি না থাকা সত্ত্বেও সেই বিষয়ে ভিডিও তৈরি করতে যে আর্টিফিশিয়াল ভাবে নিজের প্রতিভাকে বিকৃত করার কোন মানে হয় না। তাই আপনি যে বিষয়ে ভালো সেই বিষয়ের উপরই নিজের দক্ষতার পরিচয় দিন।
ইউটিউবে ভিডিও বানানোর আইডিয়া | ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে | ইউটিউবে কি কি বিষয় নিয়ে কাজ করা যায়
এতক্ষণ আমরা জানছিলাম কিভাবে চ্যানেলের শুরু থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয়াদি ঠিক করা যায় এখন আমরা দেখব কোন ধরনের চ্যানেলে আপনি কিভাবে ইফোর্ট দিবেন। এর জন্য আপনাকে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে যাবেনা চ্যানেলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং উপযোগী হতে পারে।
১. দৈনন্দিন জীবনের সহজ সাধারণ বিষয় এর উপর কন্টেন্ট রেডি করা করাঃ
আপনি যদি স্বাভাবিকভাবে আপনার চ্যানেলকে আপডেট করতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে এমন সাধারণ একটি বিশেষ সিলেক্ট করতে হবে যে বিষয়ে মানুষ তার চেয়ে অনেক বেশি, আর যার চাহিদা দৈনন্দিন জীবনে আমরা দেখে থাকি। যেমন আপনি যদি ফুড রিলেটেড ভিডিও করেন অথবা আপনি যদি ভিডিও কে দৈনন্দিন জীবনের ছোটখাট সমস্যার সমাধান এদিকে বাজে সমস্ত বিষয়ের উপর চাহিদা রয়েছে সেগুলোর উপর রেডি করেন তবে আপনার কনটেন্ট এর ভিউয়ার্স সবচেয়ে বেশি হবে।
২. মোটিভেশনাল এবং শিক্ষামূলক ভিডিওঃ ইউটিউবে ভিডিও বানানোর আইডিয়া
শিক্ষনীয় এবং মোটিভেশনাল ভিডিও আজকাল অনেক চাহিদা দেখা দিচ্ছে। কেননা করণা মহামারীর সময় আমাদের শিক্ষার্থী সমাজ প্রায় পুরোটাই আজ ঘরে বসে। তাছাড়া চারিদিকের ডিপ্রেশন ফাস্টেশন থেকে মুক্তি লাভের জন্য ছাত্রছাত্রীরা আজকাল প্রায়ই সুইসাইডের মতো বিভিন্ন ধরনের ভয়ঙ্কর কাজের সম্মুখীন হচ্ছে। যেটি খুবই মর্মান্তিক। এরকম একটি মহামারী চলাকালীন সময়ে মানুষকে উৎসাহ দেওয়া এবং তাদের কর্মস্পৃহা সহ উদ্দীপনা ও সঠিক দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য মোটিভেশনাল ভিডিওর কোন বিকল্প নেই।
তাই আপনি চাইলে আপনার ক্রিটিভিটি কে কাজে লাগিয়ে এইদিকে সুন্দর সুন্দর ভিডিও উপস্থাপন করে আমাদের বর্তমান তরুণ সমাজ সহ সকলকে সঠিক দিকনির্দেশনা নির্দেশিত করতে পারেন
৩. মিডিয়া মার্কেটিং বা ভিউয়ার্স বাড়ানোর প্রচেষ্টাঃ
আপনি যে টাইপেরই ভিডিও বানানো কেন আপনার চ্যানেলের পরিচিতি বানানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার জানালেন সঠিক প্রচারণা করতে হবে। না হলে সবাই জানতে পারবে না আপনার নির্দিষ্ট চ্যানেল রয়েছে। ফেসবুকে বিভিন্ন বন্ধুদেরকে ইনভাইট পাঠানোর মাধ্যমে আপনি এই প্রচারণার কাজ শুরু করতে পারেন।
আবার ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, রেডিট, লিংকড ইন অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। তবে নির্দিষ্ট রাখবেন কারণ আপনার চ্যানেলের জন্য সেটি আবার শুরু হয়ে দাঁড়াতে পারে এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে উচ্চারণ সহ ডিজেবল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অবশ্যই সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর পূর্বে শেয়ারের বিষয়টিতে জোর দিন।
৪. রেগুলার হওয়া বা সময় মেইনটেইনঃ ইউটিউবে ভিডিও বানানোর আইডিয়া
আপনি যদি আপনার চ্যানেলকে দিয়ে ক্যারিয়ারের একটা বড় অংশ তৈরি করতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে সেই চ্যানেলে পেছনে সময় ব্যয় করতে হবে। আর শুধু সময় ব্যয় করলে হবেনা আপনাকে আপনার ভিডিওর পেছনে যথেষ্ট ইফোর্ট দিতে হবে। এর পাশাপাশি আপনাকে নির্দিষ্ট স্ময় মেনে ভিডিও রেগুলার আপলোড করতে হবে।
ধীরে ধীরে ভিডিও কোয়ালিটি আপডেটসহ আপনাকে সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিনটি করে ভিডিও আপলোড দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে এতে করে হবে কি আপনার রেগুলারই মেন্টেন হবে এবং সাথে সাথে পপুলারিটি বাড়বে। আর পপুলারিটি ধীরে ধীরে বাড়ার সাথে সাথে আপনার চ্যানেলের রেসপন্স রেট এবং সাবস্ক্রাইব বাড়বে। আপনি আপনার চ্যানেলটা থেকে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ আশা করতে পারেন।
৫. অল্প সময়ে বেশি পপুলারিটি বা ইনকামের আশা না করাঃ
আমরা যারা অনলাইন কাজ করি বা অনলাইন জগতের সাথে পরিচিত তারা হয়তো সবাই জানি অনলাইন থেকে ইনকাম করাটা বাস্তবিক পক্ষে যতটা সহজ বলে মনে করা হয় আসলে ততটা সহজ নয়। বরং অনেক বেশি চেষ্টা ও ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। এছাড়া একটি চ্যানেল ওয়েবসাইটকে প্রতিষ্ঠা করতে কতটা নিষ্ঠার প্রয়োজন হয় সেটা একমাত্র তারাই জানে যারা আজ পর্যন্ত সফল হতে পেরেছেন।
আবার এমনও দেখা গেছে তিলে তিলে গড়ে তোলা ওয়েবসাইটকে সামান্য কিছু ভুলের কারণে সম্পূর্ণরূপে ডিজাইন পাবেন হয়ে যেতে। তখন অনুভূতি কেমন হয় যেন নিজের সন্তানকে হারিয়ে ফেলেছি। তাই যথেষ্ট সতর্কতা এবং যত্নের সাথে একটি সন্তানের মতোই নিজের চ্যানেল বা ওয়েবসাইটকে গড়ে তুলতে হয়। কোন প্রকার তাড়াহুড়া করতে গেলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরো পড়ুনঃ উইন্ডোজ ১১ সেটআপ দেওয়ার নিয়ম
আমরা সচরাচর জেনে থাকি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওর মাঝখানে যে সমস্ত অ্যাডভার্টাইজমেন্ট গুলো দেখানো হয় তার মাধ্যম থেকে পারসেন্টেন্স হিসেবে কোম্পানি থেকে চ্যানেলের মালিক ইনকাম করে থাকেন। আবার আমরা অনেকেই এটা জানি যে ইউটিউব ভিউয়ার্স বা সাবস্ক্রাইবের মাধ্যমে আয় করা যায়। এরকম ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ইউটিউবের মনিটাইজেশন পারমিশন পেতে হবে। অর্থাৎ আপনার চ্যানেলের ভিডিওতে এক বছরের মধ্যে 4000 ঘন্টা ভিডিও দেখার সময় এবং কমপক্ষে 1000 সাবস্ক্রাইবার হতে হবে।
একমাত্র এরকম অবস্থা আপনি যদি এক বছরের মধ্যে আপনার চ্যানেল এ তৈরি করতে পারেন তবে আপনি মনিটাইজেশনের আবেদনের জন্য গ্রহণযোগ্যতা পাবেন। নিশ্চয়ই বুঝতেই পারছেন আপনাকে কি পরিমান পরিশ্রম এবং ধৈর্যের সাথে রেগুলার ভিডিও আপলোড করে যেতে হবে! আর সাথে তো মার্কেটিং থাকছেই।
৬. কপিরাইট ফ্রি ভিডিও হওয়াঃ ইউটিউবে ভিডিও বানানোর আইডিয়া
নিজস্ব চ্যানেল ভিডিও পাবলিশ করার অন্যতম একটি শর্ত হলো আপনার ভিডিওটি ইউনিক হতে হবে। অর্থাৎ অবশ্যই আপনাকে এটি দেখতে হবে যে আপনার ভিডিওতে যেন অন্য কোন চ্যানেলের বা অন্য কোন মুভি বা নাটক এর অংশ সরাসরি কপি করা না হয়ে থাকে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন মিউজিক - অডিও, ভিডিও বা ইমেজ কোন কিছুই অন্যর সাথে হুবহু মিলে যাওয়া যাবে না। এছাড়া অনলাইনে বেশ কিছু ফ্রি ওয়েবসাইট আছে যাদের থেকে আপনি অনায়াসে অডিও-ভিডিও ফাইলের সংগ্রহ করতে পারবেন।
ভাই আপনার ভিডিওটি বা আপনার কনটেন্টটি আপনি ইউনিক রাখার জন্য আপনাকে এই সমস্ত ওয়েবসাইটের সাহায্য নিতে পারেন কেননা ইউটিউব কপিরাইট এর ব্যাপারে খুবই সচেতন। তাই আপনার চ্যানেলের নামে যদি অন্য কেউ ক্লেইম করে আর সেক্ষেত্রে আপনার অ্যাকাউন্ট এর ভিডিও বা কন্টেন্ট যদি সত্যি কপিরাইট হয় তবে আপনার চ্যানেলটি চিরতরে ডিজেবল করে দিব। এক্ষেত্রে আপনি সাপোর্টে কথাগুলো আপনার চ্যানেলটিকে আর ফেরত পাবেন না। তাই খুব সাবধানে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি আপনি ব্যবহার করবেন।
৭. অন্যান্য ক্যাটাগরির ভিডিওঃ ইউটিউবে ভিডিও বানানোর আইডিয়া
আপনি আপনার মত করে যে কোন ধরনের ভিডিও বানাতে পারেন। এই ভিডিও যদি আপনার সৃষ্টি চিন্তাভাবনাকে সুন্দর ভাবে প্রকাশ করতে পারে তবে অবশ্যই আপনি ধীরে ধীরে আপনার চ্যানেলটিকে পপুলার করতে পারবেন। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন আপনি যে ফিল্ডে ভালো সেই ফিল্ডে কাজ করার। অন্যকে অনুকরণ নয় বরং অনুসরণ করে সঠিক নিয়ম মেনে যেকোনো ধরনের ভিডিও তৈরী করে ইউটিউবে ছাড়তে পারবেন।
ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে | ইউটিউব কন্টেন্ট আইডিয়া | ইউটিউব এর ভিডিও সিলেকশনের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা
ইউটিউব চ্যানেল নতুন খুলেছেন তাদের জন্য বেশ কিছু টিপস দেওয়া হলো যেসব টিপস তাদের ইউটিউব এ কি কি বিষয় ভিডিও তৈরি করলে ভালো হবে ইউটিউব কন্টাক্ট এগিয়ে নিতে অনেক কার্যকরী হবে বলে আশা করছি।
১. ভিডিওকে চেষ্টা করুন গঠনমূলক ভাবে তৈরি করতে।
২. অবশ্যই কপিরাইট ফ্রি আপনার ভিডিওটি হতে হবে।
৩. মিউজিক বা টোন অথবা ইমেজ যাই ব্যবহার করুন না কেন ভিডিওর সাথে যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
৪. ভিডিওতে জানো কোন প্রকার উগ্রবাদপন্থী কনটেন্ট না থাকে। অথবা সামাজিক ভায়োলেন্ট সৃষ্টি করে এরকম কোন সিনারি না থাকে।
৫. ভিডিওটি অবশ্যই সেক্সুয়াল সিনারি বা এডাল্ট কন্টেন্ট ফ্রি হতে হবে।
৬. আপনি আপনার ভিডিওর সাথে যে টাইটেল বা ট্যাগ ব্যবহার করবেন তা যেন অবশ্যই ভিডিও বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
৭. সর্বোপরি নিজের সৃষ্টিশীলতাকে ফুটিয়ে তোলে সুন্দর সাউন্ড এবং কোয়ালিটি বজায় রেখে ভিডিও তৈরি করুন।
ইউটিউব এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার সৃষ্টিশীলতাকে তুলে ধরে সবার মাঝে রাতারাতি ফেমাস হয়ে যেতে পারে আবার পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে পারেন। আমার নিজস্ব কর্মক্ষেত্র তৈরি করে ফেলতে পারেন। এখন আপনি কি করবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনার বিষয়।
তবে আমাদের অর্ডিনারি আইটি-র পক্ষ থেকে আপনার ওপেন করা ইউটিউব চ্যানেল এর জন্য রইলো অনেক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা। আপনাদের যে কোন সাহায্য এবং পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে। আমরা 24 ঘন্টা আপনাদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছি।
ধন্যবাদ, লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো,আশাকরি সহযোগিতা করবেন।