নতুন ইপাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ - ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
আপনি কি আপনার মূল্যবান পাসপোর্ট করতে চাইছেন? কিন্তু দুঃচিন্তায় আছেন কোন পাসপোর্ট বানাবেন বা কিভাবে দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করার নিয়ম খুঁজে পাবেন? পাসপোর্ট প্রতিটি মানুষের জন্য ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ জেনে রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।
তাই আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য শতভাগ সঠিক নিয়মে অফিসিয়াল পাসপোর্ট করার নিয়ম, ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ নতুন সম্পর্কে জানাবো। আমাদের আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা আরো জানতে পারবেন-
১. ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম।
২. নতুন পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম।
৩. ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন কিভাবে করতে হয়?
৪. ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করার যাবতীয় নিয়ম।
৫. পুরোনো পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪ এবং
৬. ভারতীয় নাগরিকগণের জন্য ভারতের পাসপোর্ট করার নিয়ম।
৭. ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪
বিস্তারিত জানতে পোস্টটি মনযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ পড়ুন-
ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ নতুন | ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম | ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ | ই পাসপোর্ট কি?
দেশের সমস্ত প্রযুক্তি তিনদিন উন্নত থেকে উন্নততর হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। ঠিক সেভাবেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য আমরা যে পাসপোর্ট ব্যবহার করি সেই পাসপোর্ট কেউ উন্নত থেকে উন্নততর প্রযুক্তিতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সেই চিন্তা কে কাজে লাগিয়ে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে সর্বপ্রথম ই-পাসপোর্ট চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।কিন্তু কিছু কারনে সমস্যার কারণে সেই সময় এই পাসপোর্ট চালু করা সম্ভব না হলেও ২০২০ সালের ২২ শে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট চালু করার কর্মসূচি উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন। এর কিছুদিনের মধ্যেই ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যাদি সঠিকভাবে জানা সম্ভব হয়।
আমরা বর্তমানে যে পাসপোর্ট তিনি তা মূলত এম আর পি. বা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট জেটি সচরাচর আমরা সবাই কমবেশি দেখে থাকি। ই-পাসপোর্ট অধিক মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের মতোই একই রকম দেখতে কিন্তু এর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। বর্তমানে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে,
মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে প্রথমে বায়ো ডাটা সম্মৃদ্ধ চেয়ে পেজগুলো আমরা দেখতে পাই ই পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে এরকম কোন বিষয় থাকবে না বরং সেখানে ডিজিটাল ইনক্লুডেড কার্ড এবং চিপস থাকবে। যার মধ্যে বাহক এর সমস্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। বিশেষত পাসপোর্ট বাহকের ছবি, আঙ্গুলের ছাপ, চোখের আইরিসের স্ক্যান কপি সহ বিভিন্ন ধরনের বায়ো ডাটা এই কার্ডের মধ্যে সংরক্ষিত থাকবে। এর ফলে তথ্য বিশ্লেষণ করা অনেক সহজ হয়ে গেছে।
ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ নতুন | ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম | ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪
ই পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য সঠিক নির্দেশনা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ যাবতীয় ডিটেলস বলা আছে। এর জন্য আপনাকে বেশ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। শুরুতেই আপনাকে জেনে নিতে হবে যে আপনার এলাকা ই-পাসপোর্ট সাপোর্টেড কিনা। মানে আপনার এলাকায় ই পাসপোর্ট সেবা চালু আছে কিনা? দ্বিতীয়ত, আপনাকে অনলাইনে ফরম ফিলাপ করতে হবে অর্থাৎ ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন এবং সর্বশেষ ধাপে আপনাকে আপনার সেবা অনুযায়ী পাসপোর্টের টাকা পে করতে হবে।
এর পরবর্তীতে আপনাকে একটি ডেট দেয়া হবে এবং সেটা আপনি আপনার নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করলে সেখানে আপনার বায়োমেট্রিক ছবি তোলা এবং আরো কিছু কার্যাদি সম্পন্ন করার পরবর্তী আপনি আপনার পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন।
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন | অফিসিয়াল পাসপোর্ট করার নিয়ম | ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ নতুন
শুরুতে দেখে নিই কিভাবে আপনি জানবেন আপনার এলাকায় ই পাসপোর্ট সেবা আছে কিনা? মানে ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম বা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ অনুযায়ী তার আপনাকে করতে হবে। এজন্য আপনাকে নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে। ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ নতুন নিয়ম সমূহ-
১. প্রথমে www.epassport.gov.bd ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে। এখান নিম্নোক্ত পেজটি দেখতে পাবেন।
২. এরপর আপনাকে যেটি করতে হবে তা হল সরাসরি "APPLY ONLINE" এ প্রেস করতে হবে। এখানে আপনার কাছে বেশ কিছু অপশন যেমন আপনি কোথা থেকে এপ্লাই করছেন, আপনার ডিস্ট্রিক্ট নেম, আপনার নিকটস্থ থানা এসব অপশন গুলো পূরণ করার পর সরাসরি কন্টিনিউ করলে আপনি পরবর্তী ইন্টারফেসের চলে যাবেন।
কিন্তু যদি আপনি সাপোর্টেড এরিয়ার মধ্যে না থাকেন তবে কিন্তু আপনাকে পরবর্তী ইন্টারফেসে নিয়ে যাবে না। এক্ষেত্রে সরাসরি আপনাকে এমআরপি পাসপোর্ট এর জন্য এপ্লাই করতে হবে। এটি সম্পূর্ণভাবে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ এর আপডেট নিয়ম।
৩. এরপর আপনি আপনার ভ্যালিড মেইল প্রদান করবেন। তাহলে আপনি মোটামুটি ভাবে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ অনুযায়ী আপনার পাসপোর্ট অ্যাপ্লাই করার জন্য রেডি বলে বিবেচিত হবেন।
এবার আসবে দ্বিতীয় ধাপ যেখানে আপনার ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ নতুন এর জন্য অনলাইনে ফরম পূরণ করতে হবে। এজন্য আপনাকে বেশ কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে সমস্ত ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ এর সমস্ত নিয়ম গুলো দেখিয়ে দেওয়া হল।
তবে মনে রাখবেন, পাসপোর্ট এর ইনফরমেশন যেন সঠিক হয়, কোনভাবেই যেন কোন ভুল না থেকে যায়। ভুল থেকে গেলে পরবর্তীতে আপনাকে কিন্তু ভুল কারেকশন করার জন্য অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হবে। তাই যথাযথ সতর্কতার সাথে আপনার পাসপোর্ট এর ফরম ফিলাপ করবেন।
অনলাইন এপ্লাই এর জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরিঃ
১. এইভাবে শুরুতেই আপনাকে আপনার ইমেইল এড্রেস, পাসওয়ার্ড, আপনার নাম সহ আরো বেশ কিছু তথ্যাদি পূরণ করতে হবে। পাসওয়ার্ড টাইপ করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন সর্বনিম্ন 6 ক্যারেক্টারের হয় এবং সেখানে কমপক্ষে একটি ছোট হাতের এবং বড় হাতের অক্ষর থাকে।
তবে অবশ্যই একটি সংখ্যার থাকতে হবে। না হলে কিন্তু আপনার পাসওয়ার্ডটি ভ্যালিড বলে বিবেচিত হবে না। যেমন- Abdul1234 ইত্যাদি। উল্লেখিত নিয়ম না মানলে আপনার ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ অনুযায়ী নিয়ম হবে না। যার ফলে আপনি পাসপোর্ট ও করতে পারবেন না।
এখানে মনে রাখবেন নামের মধ্যে কোন ডট থাকলে তা কিন্তু এখানে দেওয়া যাবে না এতে করে ফর্মে নাম ভ্যালিড হবে না।
২. এরপর এখানে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ক্যাপচা ফিলাপ করলে আপনি ক্রিয়েট একাউন্ট করতে পারবেন।
৩. পরবর্তীতে আপনার একাউন্টে প্রদত্ত মেইলটি ভেরিফাই করা। এজন্য আপনাকে আপনার মেইল অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে হবে এবং সেখান থেকে নির্দিষ্ট লিংকে ক্লিক করলে আপনার মেইলটি ভেরিফাই হয়ে যাবে।
৪. এবার আপনার কাজ হবে আবার পূববর্তী পেজে ফিরে আসা। সেখানে আসলে দেখতে পাবেন আপনাকে "সাইন ইন" অপশন দেখাচ্ছে । সেখানে আপনার নির্দিষ্ট মেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ক্যাপচা ফিলাপ করলে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করতে পারবেন।
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ | পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪ | অফিসিয়াল পাসপোর্ট করার নিয়ম | দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করার নিয়ম
এবার আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হল পাসপোর্ট এর জন্য এপ্লাই করা। পাসপোর্ট অ্যাপ্লাই করার জন্য আপনার নিজস্ব কিছু ফরমালিটিজ আছে যাকে মেইন্টেন করতে হবে। সঠিকভাবে ফরম ফিলাপ করলে আপনাকে কিন্তু আবারও বলে দিচ্ছি অনেক ভোগান্তি পোহাতে হবে। অবশ্যই যত্ন সহকারে ফরম ফিলাপ করবেন।
১. ফর্ম ফিলাপ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের নিজস্ব তথ্য প্রদান করতে হবে যেমন আপনার প্রফেশন, আপনার ধর্ম, জন্মস্থান ইত্যাদি। যাবতীয় তথ্য ফিলাপ করার পর আপনি "সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ" করলে পরবর্তী পেজে আপনাকে নিয়ে যাবে।
২. এর পরবর্তী পেজে আপনার কাছে জানতে চাওয়া হবে আপনার পূর্ববর্তী কোন পাসপোর্ট আছে কিনা? যদি থেকে থাকে তাহলে সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে আর না থাকলে সেটাও মেনশন করতে হবে।
৩. এবার আপনাকে বলতে হবে আপনার ঠিকানা সমূহ। আপনার প্রেজেন্ট অ্যাড্রেস আপনার পার্মানেন্ট এড্রেস সমস্ত কিছু এই অংশে উল্লেখ করতে হবে।
৪. পরের অপশনটিতে আসবে আপনার বাবার সম্পর্কিত ইনফর্মেশন। এরপরে আপনার স্বামী বা স্ত্রী যদি থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে তাদের ইনফরমেশন গুলো একের পর এক দিতে হবে।
৫. এর পরের অপশন টি হল ইমারজেন্সি কন্টাক্ট। এটি মূলত আপনার পাসপোর্ট এর নিরাপত্তা দেওয়া হয়ে থাকে। যদি কখনো আপনার পাসপোর্টটি হারিয়ে যাই বা অন্য কেউ পেয়ে থাকেন এবং আপনার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হয়ে থাকে তবে সে ক্ষেত্রে এই ইমারজেন্সি কন্টাক্ট এ কার্যকর হবে। তাই এখানে কোন বিশ্বস্ত মানুষকে মেনশন করাটাই ভালো।
৬. এখানে আপনাকে উল্লেখ করতে হবে আপনি আপনার পাসপোর্টটি কিরকম ধরনের চান অর্থাৎ কত পেজ হবে গত বছর মেয়াদের হবে এই সমস্ত ডিটেলস আপনাকে এই "পাসপোর্ট অপশনস" উল্লেখ করতে হবে।
৭. এর পরবর্তীতে আপনি আপনার ডেলিভারি টি কিভাবে নিবেন উল্লেখ করে দিতে হবে আপনি যদি রেগুলার ডেলিভারি নিতে চান তাহলে আপনি তাই করবেন আর যদি এক্সপ্রেস ডেলিভারি নিতে চান তাহলে আপনি সেটিতে ক্লিক করতে হবে এবং "সেভ এন্ড কন্টিনিউ" করবেন তাহলে মোটামুটি ভাবে বলা যায় আপনার অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সম্পন্ন।
৮. এরপর আপনি আপনার যাবতীয় ইনফর্মেশন এই অংশে দেখতে পাবেন। আপনি যদি দেখেন এখানে আপনার কোন অপশনের ভুল আছে তাহলে আপনি চাইলে এখনও আপনার তথ্যগুলো ঠিক করে নিতে পারবেন এর পরবর্তীতে আপনাকে "কনফার্ম এন্ড প্রসিড টু পেমেন্ট" অপশনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনার অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন জমা হবে। এর পরবর্তীতে আপনি কিন্তু চাইলেও আর আপনার তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন না।
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন | পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪ | e passport check online application form | পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়া
উপরোক্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার পর আপনাকে এখন টাকা জমা দেওয়ার জন্য অপশন দেওয়া হবে এখানে অনলাইন এবং অফলাইন মেথড থাকলেও বর্তমানে অফলাইন মেথড চালু আছে। তাই নিম্নোক্ত পেয়ে যায় যে আপনি কনটিনিউ করলে আপনাকে পেমেন্ট করার অপশন এ নিয়ে যাবে
এবার আপনাকে আপনার নির্দিষ্ট সির সিডিউল তৈরি করে নিতে হবে। এজন্য "সিডিউল অ্যাপোয়েন্টমেন্ট" অপশনে ক্লিক করলে আপনাকে আপনার নির্দিষ্ট তারিখ এবং সময় নির্ধারণ করে নিতে হবে। এটি মূলত আপনার পাসপোর্ট অফিসে কাগজপত্র জমা দেওয়ার সিডিউল।
এটি মূলত পেমেন্ট স্লিপ হিসেবে পরিচিত কাগজটি ভালো রেজুলেশনে আপনি প্রিন্ট আউট করে নিবেন। এবং টাকা নির্দিষ্ট ব্যাংকে যে জমা দিয়ে আসতে হবে।
অনলাইন ফর্ম ফিলাপ করার অপশন নেই নিচের দিকে "প্রিন্ট অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম" অপশন থেকে আপনি একটি অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম প্রিন্ট আউট করে নিবেন। উল্লেখিত যে, ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ এর নির্দেশনা মোতাবেক সেখানে আপনার বিভিন্ন ধরনের অ্যাটাচমেন্ট কাগজপত্র যেমন- ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি, অথবা নিকাহনামার ফটোকপি, বা অন্যান্য বিভিন্ন তথ্যাদি উল্লেখ করা থাকবে।
আর অবশ্যই সেগুলো প্রয়োজন মতো নিয়ে শিডিউলের ডেট এবং সময় অনুযায়ী আপনার নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে যেয়ে জমা দিতে হবে। এর কিছুদিন পরেই আপনি আপনার কাংখিত পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন।
মূলত এটি সম্পূর্ণ একটি অনলাইন পদ্ধতি। এখানে কোন দালাল বা এরকম ধরনের কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হয় না। তাই আপনি যদি নিজের থেকে কাজটি করতে না পারেন তবে এক্সপার্ট কোন ব্যক্তিকে দিয়ে আপনি আপনার ফরমটি ফিলাপ করে নিতে পারেন এটা আপনার কোন অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করার প্রয়োজন হবে না। মূলত দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করার নিয়ম হল অনলাইনে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ নতুন বা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪।
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ | নতুন পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম | ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম | পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪
আপনার পাসপোর্টটি হয়েছে কিনা বা তার বর্তমান অবস্থা কি তা জানা যায় অনলাইনের মাধ্যমে। এজন্য আপনাকে শুরুতেই www.epassport.gov.bd ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর অনলাইন এপ্লাই এর মাধ্যমে "চেক স্ট্যাটাস" এ যেতে হবে। সেখানে যে আপনার অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি অথবা অ্যাপ্লিকেশন আইডি সাথে ডেট অফ বার্থ দিয়ে ক্যাপচা ফিলাপ করার মাধ্যমে আপনি আপনার নতুন পাসপোর্ট চেক করতে পারবেন।
এর মাধ্যমে আপনি নিজেও জানতে পারবেন আপনার পাসপোর্ট রেডি হয়েছে কিনা বা পুলিশ ভেরিফিকেশন ক্লিয়ারেন্স আছে কিনা সম্পূর্ন যাবতীয় তথ্য আপনি এখানেই পেয়ে যাবেন। তাই উদ্বিগ্ন না হয়ে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আপনার নতুন পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম অনুযায়ী দেখতে করতে পারবেন।
ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম | e passport check online application form | পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪
আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ যদি শেষ হয়ে থাকে তবে এটি আপনাকে রিনিউ করতে হয়। আর এজন্য আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। তাহলে চলুন জেনে নিই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম 2021. পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪-এ আপনাকে দুইটি পদ্ধতির যেকোনো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
পদ্ধতি দুইটি হলো অফলাইন পদ্ধতি বা সরাসরি পাসপোর্ট অফিসে আবেদন এবং দ্বিতীয়টি হলো অনলাইন পদ্ধতি। এখন আপনি যেটাতে সুবিধা বর্ণনা করেন আপনি সেই পদ্ধতিতে আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন।
অফলাইন বার সরাসরি পাসপোর্ট অফিসে যেয়ে পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম 2021ঃ
১. এজন্য সাথে করে আপনাকে কিছু কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবে। আর শুরুতেই যেটা নিতে হবে সেটি হলো আপনার পুরনো পাসপোর্ট এর ফটোকপি। এক কপি ফটোকপি এবং সাথে আসল পাসপোর্ট টিও সাথে করে নিয়ে যাবেন। সরকারি পাসপোর্ট যদি হয়ে থাকে তবে সরকারি আদেশ (জিও) সাবমিট করতে হবে।
২. এরপর নিজের ছবি এবং স্বাক্ষর দেওয়া লাগবে তার জন্য আপনাকে সশরীরে সেখানে উপস্থিত হতে হবে
৩. আপনি যদি আরো কিছু যেমন নাম জন্ম তারিখ বা ঠিকানা পরিবর্তন করতে চান তবে অবশ্যই আপনার শিক্ষাগত সনদ অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন এর যেকোনো একটি কপি সত্যায়িত ফটোকপি সাথে করে নিয়ে যাবেন । তবে বলে রাখা ভাল স্থানীয় ঠিকানা যদি পরিবর্তন করার দরকার পড়ে তখন ডিআইপি ফরম ১ এর ২ কপি সংগ্রহ করে সেটিকে ঠিকঠাক ভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে।
৪. এরপর আপনাকে আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করার ফি প্রদান করতে হবে। নিম্নোক্ত ফি এর পরিমাণ অনুযায়ী টাকা প্রদান করতে হয়-
(ক) সাধারণঃ ৩৪৫০ টাকা
(খ) জরুরীঃ ৬৯০০ টাকা
এছাড়া আপনার বর্তমান পাসপোর্ট এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরে এক বা দুই বছর অতিক্রান্ত হয়ে যায় তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রতি বছর অনুযায়ী ৩৪৫ টাকা অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হবে। আপনি টাকা জমা দেওয়ার জন্য সোনালী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, প্রিমিয়াম ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক সহ সুবিধামতো যেকোনো একটি জায়গায় যেয়ে আপনার টাকা জমা দিয়ে পে স্লিপ তুলে আনতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ভোটার আইডি কার্ড দেখার নিয়ম।
৫. এর পরবর্তীতে আপনাকে ব্যাংকের পে স্লিপ এর কাগজ সহ পাসপোর্ট অফিস থেকে প্রদান করা ফরম এবং যাবতীয় অন্যান্য কাগজপত্র সহ একত্রে পিনাপ করে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। তাহলে আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য কার্যক্রম মোটামুটি ভাবে শেষ।
এবার পাসপোর্ট অফিসের কর্তৃপক্ষ আপনাকে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে আপনার পাসপোর্ট কবে গ্রহণ করতে হবে। আপনি ঠিক সেই দিনে পাসপোর্টটি তুলে নিয়ে আসবেন। এছাড়া আপনি যদি ছবি পরিবর্তনের জন্য এপ্লাই করে থাকেন তবে আপনাকে নির্দিষ্ট দিনে ছবি তোলার জন্য পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আপনাকে ডেট জানিয়ে দিবে। এটাই হলো মূলত ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪।
এখানে বলে রাখা ভাল এটি একদম সোজা একটি প্রসেস এর জন্য আপনাকে কোন দালাল ধরা বা অন্য কারো সাহায্য নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। এতে করে আপনার অতিরিক্ত অর্থ নষ্ট হবে।
অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম 2021 | ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪:
এতক্ষণ তো আমরা দেখলাম আমিও যদি অফলাইনে পাসপোর্ট রিনিউ করতে তাহলে আমাদের কি কি করতে হবে। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম 2021 বা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ এর সমস্ত কিছুঃ
১. এজন্য আপনাকে শুরুতেই www.epassport.gov.bd ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে। এবার সেখান থেকে সরাসরি "Directly to online application" অপশনে ক্লিক করতে হবে।
২. সেখানে আপনার ডিসট্রিক্ট এবং থানার নাম দিয়ে আপনাকে আপনার পাসপোর্ট এর অ্যাভেলেবলিটি চেক করতে হবে।
৩. সেখান থেকে একটি পূর্বের মতই আপনার ইনফরমেশন দিয়ে নতুন করে একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে যদি আপনার একাউন্ট ক্রিয়েট করার না থাকে। এবং ইমেইল ভেরিফিকেশন করতে হবে এরপর আপনাকে সাইন ইন করতে হবে।
৪. এরপর আপনাকে "অ্যাপ্লাই ফর নিউ ই পাসপোর্ট" অপশনে ক্লিক করে আপনার যাবতীয় তথ্যাদি ঠিক আগের মতই পূরণ করতে হবে। এরপর "previous passport" অপশন থেকে আপনার যে ধরনের পাসপোর্ট আছে সেই পাসপোর্ট টি সিলেক্ট করতে হবে। এর পরবর্তীতে পাঠানোর সঠিক নির্দেশনা মত ফরম ফিলাপ করে; ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে আবেদন সাবমিট করলেই ঠিক একই নিয়মে আপনাকে ডেট দেওয়া হবে আপনার পাসপোর্ট উত্তোলনের জন্য।
এর পরবর্তীতে আপনি আপনার সমস্ত কাগজপত্র এবং পুরনো পাসপোর্ট পাসপোর্ট অফিসে দেখা করবেন। আপনার কাগজপত্র জমা দিয়ে নতুন পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন।
ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম | e passport check online application form | পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪ | ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন
পুলিশ ভেরিফিকেশন কথাটা শুনে অনেকে হয়তো ঘাবড়ে যেতে পারেন কিন্তু আসলে এটা তেমন কিছুই না যদি আপনার ইনফর্মেশন সবকিছু ঠিক থেকে থাকে। হ্যাঁ আমি এই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন এর কথাই বলছি। আপনার যাবতীয় তথ্য সহ ঠিকানা (স্থায়ী-অস্থায়ী) যদি থেকে থাকে তাহলে আপনার পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন কি? কিভাবে পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়ে থাকে বা আদৌ কোনো অর্থ দেওয়া লাগবে কিনা বা কোনো কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট লাগবে কিনা সেই বিষয় নিয়ে আসতে আপনাদেরকে জানাবো।
ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন মূলত আপনার পাসপোর্ট আবেদন করার বেশ কিছুদিন পরে আপনার যে স্থায়ী ঠিকানা সেখানে পুলিশ কর্তৃপক্ষ থেকে যেকোনো একজন ব্যক্তি যাবেন এবং আপনার সঠিকতা যাচাই করবেন। এখানে বলে রাখা ভাল আপনার নিজস্ব বাড়িতে কিন্তু পুলিশ যাবে। সে ক্ষেত্রে আপনার অথবা আপনার অভিভাবকের প্রদত্ত বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দেখতে চাইবে। হ্যাঁ আজকে আপনাদেরকে যে ঘটনাটি বলব সেটি আমার বড় ভাই এর ঘটনা এবং এই পুলিশ ভেরিফিকেশনে আমি কথা বলতে গেছিলাম।
আমার ভাইয়া চাকরির সূত্রে ঢাকায় থাকে এবং আমাদের নিজস্ব বাড়ি রাজশাহী শহরে। পুলিশ কর্তৃপক্ষ থেকে ভাইয়াকে জানানো হয়েছিল আজকে তার বাড়িতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য যেকোনো সময় লোক যাবে তিনি যেন বিলের কাগজ ফটোকপি করে রেডি করে রাখেন।
কথামত আমি আমার বাবার একটি বিলের ফটোকপি রেডি করে রাখলাম এবং ফোনের অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পরে ফোন দিয়ে জানালো পুলিশের লোক বাড়ির কাছাকাছি কোন একটা এরিয়াতে এসেছে এবং সে বাড়ি চিনতে পারছেনা যার কারণে তুমি সেখানে যাও। আমি সঠিক লোকেশন টা জেনে নিয়ে সেখানে বিলের কাগজ নিয়ে গেলাম এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারের কাছে সেটি জমা দিলাম।
বলে রাখি পুলিশ অফিসার কিন্তু সিভিল পোশাকধারী ছিলেন। তিনি আমার কাছে জানতে চান পাসপোর্ট আবেদনকারী আমার কে হন? আমার বাবা কি করেন? মা কি করেন? আমার ভাই কি করেন? ভাইয়ার পড়াশোনা কোথা থেকে? দেশের বাড়ি কোথায়? ভাইয়া কোথা থেকে পড়াশোনা করেছেন? এ সমস্ত কিছু স্বাভাবিক প্রশ্ন। তারপর তিনি বিল এর ফটোকপি জমা নিয়ে চলে যান
এটাই ছিল মূলত ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সিস্টেম। তার কিছুদিন পরেই আমার ভাইয়া তার পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যান। বলে রাখি এখানে কিন্তু কোন প্রকার অর্থ প্রদান করা লাগেনি বা তথ্যে যেহেতু কোন ভুল ছিল না সেহেতু আমাদের কোনো অতিরিক্ত অর্থ উৎকোচ হিসেবে প্রদান করতে হয়নি সমস্ত কিছু লিগাল পদ্ধতিতেই হয়েছে।
তাই ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪ সঠিক মত মেনে চলে আপনিও খুব সহজেই কোন অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করা ছাড়াই আপনার মূল্যবান পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন।
পাসপোর্ট আমাদের অত্যন্ত মূল্যবান একটি কাগজ। যেটি দ্বারা বলতে পারেন আপনার বিদেশযাত্রা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন ধরনের কাজে প্রয়োজন হয়। এটা একদিকে আপনার আরেকটি আইডেন্টিটি বহনকারী কাগজ হিসেবে পরিচত। তাই যথাসম্ভব যত্নের সাথে এই পাসপোর্ট সংগ্রহ করে রাখা এবং বহন করা উচিত।
অনেক উপকারী পোস্ট, ভাল লাগলো।