দরখাস্ত লেখার নতুন নিয়ম ২০২২ | আবেদন পত্র লেখার নিয়ম
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় আমাদেরকে আবেদনপত্র বা দরখাস্ত লিখতে হয়। তাই আমাদের জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম ২০২২, আবেদন পত্র লেখার নিয়ম জেনে রাখা টা অত্যাবশ্যক একটি বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। তাই আজকে আমরা জেনে নিব বিশ্ববিদ্যালয়ের দরখাস্ত লেখার নিয়ম বা চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম।
আবার উপবৃত্তির জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম না জানা থাকলে এখানে আবেদন করা যায় না। তাই উপবৃত্তির সহ ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম বা ইংরেজিতে চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম বা দরখাস্ত লেখার নিয়ম কলেজে বা অভিযোগ দরখাস্ত লেখার নিয়ম বা আর্থিক সাহায্যের জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম নিয়ে আমরা আছি আজকে আপনাদের সাথে। দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক জীবন বৃত্তান্ত সহ দরখাস্ত-
আবেদন পত্র নামটি শুনে আমরা কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি যে কোন কিছু পাওয়ার উদ্দেশ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট যে পত্রের মাধ্যমে আবেদন করা হয় তাই আবেদন পত্র। এটি হতে পারে বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নিকট বা শিক্ষকের বরাবর বা মেয়রের কাছে বা অন্য কোন অধিদপ্তরের কাছে। মূলত প্রয়োজনের তাগিদে যে ফর্মাল পত্র লেখা হয় সেটি আবেদন পত্র বা দরখাস্ত বলে বিবেচিত।
এটি একধরণের অফিসিয়াল পত্র যাতে মূলত প্রয়োজনের দিক প্রাধান্য পায়। আবার ভাষা হতে হবে সাবলিল, প্রয়োজনের ব্যাখ্যা হবে স্পষ্ট এবং সুন্দর আর ভাবের প্রয়োগ হবে সুন্দর এবং প্রায়ােগিক দিকে শুদ্ধতার পরিচয় বাহক।
আমরা স্বাভাবিকভাবে বিবেচনা করলে দেখতে পাই যে, একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন অনুযায়ী এই ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম বা দরখাস্ত লেখার নিয়ম কলেজে লেখা হয়ে থাকে। এরমধ্যে থাকে কিছু ভাগ বা কিছু নিয়ম মেনে চলার লক্ষণ। এই ধরণের পত্রতে সাত ধরণের বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়ে থাকে। বিষয়গুলো হলো-
১. তারিখ।
২. পত্র প্রাপকের পদবি ও ঠিকানা।
৩. বিষয়।
৪. সম্ভাষণ।
৫. মূল পত্রাংশ।
৬. বিদায় সম্ভাষ।
৭. নাম স্বাক্ষর।
চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক দরখাস্ত লেখার নিয়ম কলেজে | ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম এর সমস্ত বিস্তারিত।
১. তারিখঃ
আবেদন পত্র লেখার নিয়ম এর মধ্যে তারিখ দিয়ে শুরু করতে হয়। কাগজের উপরের বাম পার্শে দরখাস্ত লেখার নিয়ম ২০২২ অনুযায়ী তারিখ দিতে হয়। এছাড়া পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী তারিখ আবেদনকারীর ঠিকানার একেবারে নিচেও দেওয়া গেলেও বর্তমানে আমেরিকান পদ্ধতিতে দরখাস্ত লেখার নিয়ম ২০২২ অনুযায়ী তা উপরের বামে দিকে দেওয়ায় ভাল।
২. পত্র প্রাপকের পদবি ও ঠিকানাঃ
এই অংশে উল্লেখ করে দিতে হবে আমার পত্রটি কার নিকটে পাঠানো হচ্ছে। উক্ত ব্যাক্তির পদবি এবং ঠিকানা তারিখের নিচে সামান্য জায়গা (প্রায় এক লাইন লেখার মতো ফাঁকা) গ্যাপ দিয়ে লিখতে হয়।
৩. বিষয়ঃ
আবেদন পত্র লেখার নিয়ম এ পত্র প্রাপকের পদবি ও ঠিকানা লেখার পর কিছু জায়গা (প্রায় এক লাইন লেখার মতো ফাঁকা) গ্যাপে এবার বিষ্য শিরোনাম উল্লেখ করে কি সংক্রান্ত আবেদন পত্র বা দরখাস্ত টি তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে। এখানে আপনি চাইলে আন্ডার-লাইন করে দিতে পারেন।
৪. সম্ভাষণঃ
যার বরাবর আবেদন পত্র বা দরখাস্ত টি লেখা হচ্ছে তার সাথে সম্পর্ক অনুযায়ী স্যার, জনাব, মহাত্মন, মহামান্যবরেষু, মহােদয় ইত্যাদি সম্ভাষণের যেকোনাে একটি প্রয়ােজন মতো ব্যবহার করতে হবে।
৫. মূল পত্রাংশঃ
এটি আবেদন পত্রের বর্ণনামূলক অংশ। এখানে আবেদন পত্রের কারণ ভালোভাবে বর্ণনা করতে হয়। সাশারণত দুই প্যারাতে এটি শেষ করতে হয়। তবে ক্ষেত্র বিশেষে তিনটি প্যারা করা যেতে পারে। তবে দুইটি প্যারায় শেষ করা টা ভালো। এক্ষেত্রে প্রথম অংশে সম্ভাষণ উল্লখ করে সমস্যার বিষয়াদি বিবরণ দেওয়া এবং শেষ প্যারায় আবেদন করার প্রেক্ষিতে সাহায্য চাওয়া হয়ে থাকে।
৬. বিদায় সম্ভাষঃ
এখানে আবেদন পত্র শেষ করার পরে লেখকের পরিচয় তুওলে ধরার জন্য সম্ভাষন মূলক শব্দ ব্যবহার করতে হয়। সাধারণত বিনীত, বিনয়াবনত, বিনীত নিবেদক/ নিবেদিকা ইত্যাদি সম্ভাষণ ব্যবহার করা হয়।
৭. নাম স্বাক্ষরঃ
এই অংশ আবেদন পত্র লেখার নিয়ম এর শেষাং। এখানে লেখকের পরিচয় তুলে ধরে নিজের নাম স্বাক্ষর এবং তারিখ উল্লেখ করতে হয়। কোন অফিস বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে তার ঠিকানা সহ উল্লেখ করতে হবে।
আমাদের পাঠকের সুবিধার জন্য নিচে একটি উদাহরণ দেওয়া হলো-
২৫ জানুয়ারি, ২০১৯ ইং
বরাবর, মাননীয় অধ্যক্ষ,
রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী
বিষয়ঃ বাৎসরিক বনভোজনে যাওয়ার জন্য আবেদন।
মহােদয়, যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা আপনার সনামধন্য কলেজের একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আমরা বাৎসরিক বনভোজনে যাওয়ার জন্য ইচ্ছা পােষণ করছি। শিক্ষার সাথে সাথে মনকে সতেজ করতে এবং একঘেয়েমি দূর করার জন্য বাৎসরিক বনভোজনের গুরুত্ব ওতপ্রােতভাবে জড়িত, তাই শিক্ষার্থীদের জন্য এর প্রয়ােজনীয়তা অপরিসীম। এর মাধ্যমে আমরা নতুন নতুন স্থানের সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক পরিবেশে নিজেদের মনের ক্লান্তি দূর করতে সক্ষম হব। শুধু তাই নয়, এর ফলে শিক্ষামূলক অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা জ্ঞান লাভ করার সুযােগ পাব। শ্রেণিকক্ষের সীমাবদ্ধ পাঠ্যসূচির বাইরে ব্যাবহারিক জীবনে জ্ঞানার্জনের লক্ষ্যে এই বনভোজন আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অন্যদিকে আমরা বনভোজনের জন্য এমন জায়গায় যেতে চাই যেখানে আমরা শিক্ষামূলক বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে সক্ষম হই। তাই আমরা বগুড়ার মহাস্থানগড় যেতে সবাই আগ্রহী। প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন এবং এর সাথের বিশাল সংগ্রহশালা দেখতে যেতে আগ্রহী। আমাদের চারজন শিক্ষক আমাদের সাথে যেতে এবং আমাদের দিকনির্দেশনা দিতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু এর জন্য সম্পূর্ণ টাকা আমাদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। আপনার অনুমতি পেলে আমরা এ টাকার অর্ধেক বহন করতে পারব বলে আশা পােষণ করছি। এ ব্যাপারে আপনার সাহায্য ও সহানুভূতি আমাদের একান্তভাবে কাম্য।
অতএব মহােদয় সমীপে বিনীত প্রার্থনা, শিক্ষাসফরের গুরুত্ব ও প্রয়ােজনীয়তা উপলব্ধি করে আমাদের শিক্ষাসফরে যাওয়ার। অনুমতি ও প্রয়ােজনীয় অর্থ বরাদ্দ করলে আমরা বিশেষভাবে বাধিত হব।
মূলত দরখাস্ত লেখার নিয়ম ২০২২ বা আবেদন পত্র লেখার নিয়ম অনুযায়ী এই পত্র লেখা অনেক সহজ হয়ে গেছে। পত্রের প্রতিটি অংশই বামদিকে একই লাইন বরাবর থাকবে। তাই কোনটা ডান দিকে আর কোন অংশ বাম দিকে এটি ভেবে সময় নষ্ট করার কোন প্রয়োজন নেই। এইভাবে আপনি চাইলে খুব সহজেই ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম বা দরখাস্ত লেখার নিয়ম কলেজে লিখে ফেলতে পারবেন।
আবার যদি আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে দরখাস্ত মূলত ডিপার্টমেন্টের ডীন স্যার বা হলের প্রোক্টর বা বিশেষ ক্ষেত্রে ভিসি বরাবর লিখতে হতে পারে। সেসব ক্ষেত্রেও বিশ্ববিদ্যালয়ের দরখাস্ত লেখার নিয়ম একই থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দরখাস্ত লেখার নিয়ম এবং উপোরক্ত নিয়ম মাফিক একই হবে।
উপবৃত্তির জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম | অভিযোগ দরখাস্ত লেখার নিয়ম | আর্থিক সাহায্যের জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম
অনেক সময় আমাদের কোন সমস্যার জন্য নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ জানানোর প্রয়োজন হয় আবার কলেজ বা স্কুল থেকে বিভিন্ন বৃত্তিমূলক যে টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে তার জন্য আবেদনের দরকার হয়। আবার আমাদের সবার আর্থিক অবস্থা এক না হওয়ায় কারো কারো আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদনের প্রয়োজন পড়ে। এসব গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে আবেদন না করলে দরখাস্ত বাতিলের সম্ভাবনা থাকে।
তাই আজকের আমাদের পোস্টের এই অংশে আপনি পাচ্ছেন উপবৃত্তির জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম, অভিযোগ দরখাস্ত লেখার নিয়ম এবং আর্থিক সাহায্যের জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম। আসলে দরখাস্ত লেখার জন্য প্যাটার্ন বা ধরণ সব একই থাকবে। কিন্তু উপোরক্ত সাতটি বিষয়ের মধ্যে নিমোক্ত বিষয়ে শুধু প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন করতে হবে। চিন্তার কিছু নাই। আমরা আপনাদের পুরো বিষয়টি বিশ্লেষণ করে দেখিয়ে দিব।
পরিবর্তন হবেঃ
২. পত্র প্রাপকের পদবি ও ঠিকানা। ৩. বিষয়। ৪. সম্ভাষণ। ৫. মূল পত্রাংশ।
এই চারটি অংশে।
আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য একটি উদাহরণ দিয়ে দেখানো হলো-
উপবৃত্তির জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়মঃ
১৫ মে, ২০১৯ ইং
বরাবর, প্রধান শিক্ষক,
পি.এন. সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,
রাজশাহী
বিষয়ঃ উপবৃত্তির জন্য আবেদনপত্র।
জনাব, সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে, আমি সাদিয়া রহমান, আপনার বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্রী। আমার বাবা একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সল্প বেতনভুক্ত একজন কর্মজীবি। তিনি আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। কিন্তু খুব দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, গত কয়েকমাস যাবৎ তিনি শারিরীকভাবে অসুস্থ। এমতাবস্থায় আমার বাবার পক্ষে পরিবারের খরচ বহন করে আমাদের তিন ভাই-বোনের পড়ালেখার খরচ, দাদা-দাদির চিকিৎসা ব্যয় বহন করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ফলে পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে আমার পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে।
অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এই যে, উপরোক্ত সমস্যার বিষয়টি বিবেচনা করে এবং আমাকে উপবৃত্তি প্রদান করে আমার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ প্রদান করে আমাকে বাধিত করবেন।
বিনীত নিবেদিকা নামঃ সাদিয়া রহমান শ্রেণিঃ ৯ম
শাখাঃ প্রভাতী 'ক' রোলঃ ০৩
(প্রয়োজনীয় কপি সংযুক্ত)
এখানে উল্লেখ্য যে, এধরণের আবেদন পত্রে প্রয়োজনীয় কপি ফটোকপি করে তা ১ম শ্রেণীর কর্মকর্তার দ্বারা সত্যায়িত করতে হয়। এই কপি আবেদন পত্রের সাথে সংযুক্ত করে জমা দিতে হবে। উপোরক্ত নিয়ম মোতাবেক আপনি উপবৃত্তির জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম, অভিযোগ দরখাস্ত লেখার নিয়ম বা আর্থিক সাহায্যের জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম বা বিশ্ববিদ্যালয়ের দরখাস্ত লেখার নিয়ম এ প্রায় সমান সাদৃশ্য থাকে। একই নিয়ম মেনে এসকল দরখাস্ত লেখা যায়।
আজকাল কার বাজারে চাকরির পেছনে সব মানুষই দৌড়াচ্ছে। কম বেশি সবারই পছন্দের তালিকায় থাকে একটি সম্মানজনক চাকরি। তাই সঠিকভাবে চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানা টা আবশ্যক। আবার সব চাকরিতে বাংলায় বাংলা আবেদন করা যাই না। তখন আমাদেরকে ইংরেজিতে আবেদন করতে হয়। আসলে এই দরখাস্ত লেখার জন্য অন্য কোন নিয়ম নাই এর সাথে কিছু বাড়তি নিয়ম বা কাগজ যোগ করে চাকরির দরখাস্ত লিখতে হয়।
তাই আজকে আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা একই সাথে ইংরেজি এবং বাংলায় কিভাবে চাকরির দরখাস্ত লিখতে হয় তা আমরা জানাবো। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নিই চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম বা ইংরেজিতে চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম-
সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম
১০ মার্চ, ২০২২ ইং
বরাবর, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রাজশাহী
রাজশাহী।
বিষয়ঃ “সহকারী শিক্ষক” পদে নিয়োগের জন্য আবেদন।
জনাব, সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার বিদ্যালয়ে “সহকারী শিক্ষক” পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ১লা মার্চ, ২০২২ তারিখে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা ছিল যে, আপনার বিদ্যালয়ে দুই জন “সহকারী শিক্ষক” নিয়োগ দেওয়া হবে। আমি উক্ত পদে একজন প্রার্থী হিসেবে মহোদয়ের নিকট আমার যাবতীয় তথ্যাদি এবং জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরলাম।
অতএব, মহোদয়ের নিকট সবিনয় আবেদন এই যে, উল্লেখিত তথ্যাবলী বিবেচনা পূর্বক আমাকে উক্ত পদে নিয়োগ দানে আপনার সদা মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদিকা নামঃ উম্মে সালমা রুনা
তারিখঃ ১০/০৩/২০২২ ইং
জীবন বৃত্তান্ত
নাম(বাংলা) : উম্মে সালমা রুনা
নাম (ইংরেজি): Umme Salma Runa
পিতার নাম: আব্দুর রহমান
মাতার নাম: উম্মে হানি
জন্ম তারিখ: ১৫/০৮/১৯৯৪ ইং
বর্তমান ঠিকানা: পদ্মা আবাসিক হাউসিং কোয়ার্টার, বোয়ালিয়া, সপুরা রাজশাহী।
আমি বিগত দুই বছর পথের দিশারি কোচিং সেন্টার ও সাফল্য বিদ্যানিকেতন এ বাংলা ও বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষাকতা করিয়েছি। তাছাড়া ৬ মাস যাবৎ “হাজ্জ্বী আল আমিন জুনিয়র স্কুলে” কর্মরত আছি।
নামঃ উম্মে সালমা রুনা
উম্মে সালমা রুনা
তারিখঃ ১০/০৩/২০২২ ইং
সংযুক্তিঃ
সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি ২ কপি।
প্রথম শ্রেণীর কর্কর্তার দ্বারা একডেমিক সকল সনদপত্রের সত্যায়িত কপি।
চারিত্রিক সনদপত্র।
নাগরিকত্ব সনদপত্র।
৩৫০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট কপি।
এখানে জীবনবৃত্তান্ত এক পেজ এ। এবং আবেদন পত্র একপেজে লিখতে হবে। কোনভাবেই আলাদা পেজে লেখা যাবে না।
ইংরেজিতে চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়মঃ
ইংরেজিতে চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম ও ঠিক বাংলার মতই একই। শুধু আমাদেরকে ইংরেজিতে একটু দক্ষ হতে হবে। তার জন্য ভাষা সুন্দর সাবলীল এবং বোধগম্য হওয়া আবশ্যিক। ইংরেজি দরখাস্তটি এমন হতে হবে যেন দরখাস্ত পড়েই আপনাকে পছন্দ করে ফেলে। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আজকে ইংরেজিতে চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে যাবতীয় সব তথ্য জানাবো।
ইংরেজিতে চাকরির দরখাস্ত লেখার সঠিক নিয়ম নিচে দেওয়া হলোঃ
আমরা ইংরেজিতে দরখাস্ত লেখার শুরুতেই "To" কথাটি লিখে থাকি। কিন্তু মনে রাখতে হবে এই "To" কথাটি কখনোই লেখা যাবে না। দরখাস্ত লেখার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ এবং আমেরিকান দুটো নিয়মই চালু থাকলেও আমরা সবসময় আমেরিকার নিয়মটি ফলো করতে পছন্দ করি। আর এই নিয়মটি এখন সবখানে প্রাধান্য পাচ্ছে। আর এই আমেরিকান নিয়মে "To" কথাটি কখনো উল্লেখ করা হয় না।
এক্ষেত্রে আমরা সরাসরি বাম পাশের উপরে ডেট বসানোর পরেই নিচের লাইনে সম্ভাষণ অংশে চলে যাব। তারপর বাকি অংশ ঠিক দরখাস্ত লেখার নিয়ম 2021 এর মতই হবে। তাহলে চলুন ইংরেজিতে চাকরির দরখাস্তের একটি উদাহরণ আমরা দেখে আসি-
10 March, 2021
The Sr. General Manager (HR & Admin) Meghna Group of Industries Fresh Villa, House # 15, Road # 34, Gulshan-01, Dhaka.
Subject: Application for the post of Shift Engineer.
Dear Sir, With response to your advertisement published on “The daily Prothom-Alo” newspaper dated 01 March, 2021, I strongly believe my knowledge, education, experience & sincerity will make me the ideal candidate for the post.
I have completed my B.Sc. Engineering Course on Mechanical Engineering from CUET/BUET. Major Subject Completed in Industrial Management, Automobile, Production and Operation Management, Refrigeration & Air-conditioning, Production Process, Power Plant Engineering. Completed a 2 weeks Training Course from Bangladesh Industrial Technical Assistance Center (BITAC). Completed a Day long Program on “Professionalism at Work” Jointly organized by www.bdjobs.com and Infinity HR.
Presently doing job in Dhaka Tobacco Industries Leaf Processing Factory (Akij Group), Golora, Manikgonj, as a Shift In-charge.
My complete CV with Passport size colored photograph is added with this cover letter. I believe that I can effectively add to the overall goals based on my knowledge in this area.
Sincerely, Name of The Applicant B. Sc. Engineer in Mechanical Engineering E-mail: --------- Contact No: ----------
Curriculum Vitae
Name (Bengali): ----------
Name (English): ----------
Father's name: ----------
Mother's name: ----------
Date of birth: ----------
Current Address: ----------
Permanent Address: ----------
Marital Status: ----------
Nationality: Bangladeshi
Religion: ----------
Mobile Number: ----------
Email: ----------
Educational Qualifications:
Exam Name
Institute Name
Passing year
Board name
Subject
Obtained GPA/ CGPA
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
Experiences:
Name:
Sign:
Date:
Attachments:
Newly taken attested passport size photo 2 copies.
Attested copy of all academic certificates by first class officer.
Certificate of Character.
Certificate of citizenship.
Bank draft copy of 350 TK.
আমরা অনেকে অনেক ধরণের আবেদনপত্র বা দরখাস্ত লিখে থাকি। আমরা সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে এসব দরখাস্ত লিখতে অনেক সময় অপরাগ হই। যার কারণে আমাদের কাংখিত লক্ষ্য অর্জনে অনেক বাঁধার সম্মুখিন হই। আবার অনেক সময় কাজ টাই হয় না। তাই সঠিকভাবে নিয়ম মেনে আমাদের দরখাস্ত লিখার কোন বিকল্প নেই।
thanks