প্রেমের কবিতা ১০০+ সেরা ভালোবাসার কবিতা ২০২২
সেরা প্রেমের কবিতা ও ১০০ ভালোবাসার কবিতা ২০২২ দেখুন। রোমান্টিক প্রেমের কবিতা ও অসম্ভব সুন্দর প্রেমের কবিতা পড়ুন। প্রেমের ছন্দ ২০২২, চাঁদ নিয়ে রোমান্টিক বাংলা ভালোবাসার কবিতা, ছন্দ ও এসএমএস দেখুন।
এই পোষ্টটি আসলে প্রেম-ভালবাসার কবিতার একটি সংকলণ। অর্ডিনারি আইটির পৃষ্ঠপোষকতায়, এখানে বর্তমান সময়ের দুই বাংলার প্রতিভাবান কবিদের ১০০ টি কবিতা সঙ্কলিত হয়েছে।প্রেমের কবিতা ২০২২ - সেরা ভালবাসার কবিতা 'র বই। প্রথমেই বলে নেই, এই সংকলন তৈরীতে কোন মানদন্ড ব্যবহার করা হয়নি।
কোন বৈশিষ্ট্যের ভিত্তেতে ক্রমও করা হয়নি। শুধু এটা বলতে পারি, এই কবিতাগুলোকে পড়ার জন্য অন্য কোনও ওয়েবসাইটে পাবেন না। দুই বাংলার শ্রেষ্ঠ প্রেমের কবিতা ২০২২ - সেরা ভালবাসার কবিতা কোনটি? আধুনিক রোমান্টিক প্রেমের কবিতা পড়ুন। অসম্ভব সুন্দর ১৮+ প্রেমের কবিতা আবৃত্তি করুন।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা পড়ুন। নজরুলের প্রেমের কবিতা পড়ুন। আধুনিক বাংলা প্রেমের কবিতা পড়ুন। সেরা প্রেমের কবিতা বই কোনটি? ফুল নিয়ে প্রেমের কবিতা। ভালোবাসার কবিতা ও ছন্দ শুনুন।ভালোবাসার কবিতা এস এম এস পাঠান। আধুনিক বাংলা ভালোবাসার কবিতা বই। চাঁদ নিয়ে ভালোবাসার কবিতা। শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক ভালোবাসার কবিতা 'র বই।
এখানে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, হাল আমলের পটভূমির সহজ ভাষার প্রেমের কবিতাগুলোকে। যাতে পাঠক এগুলোর মধ্যে নিজেকে দেখতে পান। নিজের অনুভূতি, ঘটনার মিল খুঁজে পান। পড়ে যেন মনে হয়, আরে এ তো আমারই জীবনের ঘটনা!
অনেকগুলো ছোট্ট, অনু কবিতা যুক্ত করেছি যাতে মনে চাইলে ভালবাসার মানুষ, প্রিয়জনকে পাঠাতেও পারেন। প্রেম ভালবাসার কবিতায় আপনাদেরকে ভিন্নস্বাদ দিতে, শেষের দিকে যুক্ত করেছি কয়েকটি উত্তরাধুনিক কবিতা। আর 'ভিনদেশী কবিতা' অংশে গিয়ে আমাদের দেশী কবিতার সাথে মিল খুঁজে পেলে চমকে উঠলেও উঠতে পারেন!
অনেকগুলো ছোট্ট, অনু কবিতা যুক্ত করেছি যাতে মনে চাইলে ভালবাসার মানুষ, প্রিয়জনকে পাঠাতেও পারেন। প্রেম ভালবাসার কবিতায় আপনাদেরকে ভিন্নস্বাদ দিতে, শেষের দিকে যুক্ত করেছি কয়েকটি উত্তরাধুনিক কবিতা। আর 'ভিনদেশী কবিতা' অংশে গিয়ে আমাদের দেশী কবিতার সাথে মিল খুঁজে পেলে চমকে উঠলেও উঠতে পারেন!
প্রতি শিরোনামেই লেখকের নাম উল্লেখ করা আছে। কোন কবিতা ভাল লাগলে তাঁর কাব্যগ্রন্থটি কিনে পড়ার জন্য আমার বিশেষ বিশেষ অনুরোধ রইল।
সেরা ১০০ প্রেম ভালবাসার কবিতার সংকলন | ১৮+ প্রেমের কবিতা
কবিতা প্রচন্ড শক্তিশালী। এঁটা আমাদেরকে যতটা আলোড়িত-আন্দোলিত, ভাবাবেগে উদ্বেলিত করতে পারে সাহিত্যের অন্য কোন মাধ্যমের পক্ষে ততটা সম্ভব হয়না। কবিতা আমাদেরকে উজ্জীবিত করে প্রেমে-বিদ্রোহে-বিপ্লবে এবং শান্তিতে। শক্তি ও সাহস যোগায় বেদনা ও হতাশায় এবং উদ্বেলিত করে আনন্দে। কবি রুদ্র গোস্বামী বলেছেন,
' শরীর তো নশ্বর,
ছুঁলে ফুরিয়ে যায়। শব্দ অমর।
আমি সেই
অমর শব্দগুলো খুঁজছি
যা মানুষের মনের কাছে রাখা যায় '
কিন্তু 'সেরা' কবিতা নির্বাচন করার কাজটা যেন 'জহুরীর সিন্দুক'! অনেক মনি-মুক্তোর মধ্যে থেকে ১০০ টা বের করে 'এগুলোই সেরা' বলার মত একটা ব্যপার! যেখানে আমি নির্বাচকও শতভাগ নিরপেক্ষ নই। আর যোগ্যতার কথাতো বাদই দিলাম। কমাতে কমাতে যখন ১০০ তে আনতে হয় এবং একইসাথে কোন প্রতিভাবান কবিকে বাদ দিতে হয় তখন মনে মনে ভাবি, এই সার্বভৌম এখতিয়ার আমাকে দিলটা কে??
অল্প কয়েকদিনের গবেষণায় যা দেখতে পেলাম তা একইসাথে আশাদায়ক এবং গর্বের। দেখতে পাচ্ছি, দু'বাংলার নবীন কবিরা শব্দের বুননে প্রকাশ করছেন নিজস্ব চিন্তাচেতনা। প্রতিনিয়ত নতুন শৈলীতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের প্রত্যেকের স্ট্যাইলই স্বতন্ত্র, স্বাক্ষরীত।
সময়ের চাহিদা, সময়ের প্রয়োজনেই তারা বাংলা ভাষা ও ভালবাসার কবিতার উপর এক্সপেরিমেন্ট চালাচ্ছেন। ঠিক যেন পোশাকের ফ্যাশন। একসময় কিন্তু কেতাদুরস্ত, খুব পরিপাটি পোশাকই কেবলমাত্র গ্রহণযোগ্যতা পেত। এখন কিন্তু তেমনটা আর নেই।
এখানে সময় গুরুত্বপূর্ণ একটা ফ্যাক্টর। এটা কবি ও পাঠকদের রুচী, দৃষ্টিভঙ্গীতে পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এখন আমাদের মন চাচ্ছে নতুন ছাঁচের কবিতা। আর নবীন কবিরা ছাঁচ ভাঙ্গার চর্চা চালিয়েও যাচ্ছেন। তার কিছুটা ছাপ এই সংকলনে রাখার চেষ্টা করেছি। এখন এগুলো 'সেরা' কি'না সে বিচারের দায়ভার পাঠকের উপরেই বর্তালো।
এক নজরে লেখকসূচী: প্রেমের ছন্দ ২০২২
- রুদ্র গোস্বামী প্রেমের কবিতা
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রেমের কবিতা
- কাজী নজরুল ইসলাম প্রেমের কবিতা
- নবনীতা দেব সেন প্রেমের কবিতা
- হুমায়ূন আহমেদ প্রেমের কবিতা
- সৈয়দ শামসুল হক প্রেমের কবিতা
- সাদাত হোসাইন প্রেমের কবিতা
- হেলাল হাফিজ প্রেমের কবিতা
- নির্মলেন্দু গুণ প্রেমের কবিতা
- জয় গোস্বামী প্রেমের কবিতা
- সুবোধ সরকার প্রেমের কবিতা
- তসলিমা নাসরিন প্রেমের কবিতা
- লতিফুল ইসলাম শিবলী কবিতা
- জুয়েল আদীব প্রেমের কবিতা
- তাসমিয়া শান্তা প্রেমের কবিতা
- অপূর্ব ঘোষ প্রেমের কবিতা
- জান্নাতুন নুর দিশা প্রেমের কবিতা
- রাকিবুল হায়দার প্রেমের কবিতা
- ফাহিম হাসান প্রেমের কবিতা
- চঞ্চল শাহরিয়ার প্রেমের কবিতা
- এহসান মাহমুদ প্রেমের কবিতা
- উত্তরাধুনিক প্রেম-ভালবাসার কবিতা
- মারজুক রাসেল প্রেমের কবিতা
- আলীনূর রহমানের (বঙ্গ রাখাল) কবিতা
- ভিনদেশী প্রেম-ভালবাসার কবিতা
রুদ্র গোস্বামীর সেরা প্রেমের কবিতা | প্রেমের ছন্দ ২০২২
১.
“ পুরুষত্ব নয়, নারীকে অনুবাদ করতে পারে
শুধু তাঁর সাচ্চা প্রেমিক... ”
২.
" তুমি ছাড়া আলোহীন সূর্য আমি। মূর্খরাই বলে পুরুষ শ্রেষ্ঠ। তুমি নারী। তোমাকে ভালোবাসার জন্য এই একটি কারণই যথেষ্ট "
৩.
" ভালোবাসা একটা উল্টো অসুখ।
ছেড়ে গেলে মানুষ মরে যায় "
৪.
" জীবন একটা পণ্যবাহী জাহাজ। কর্তব্য অথবা ভালোবাসা যে বন্দরেই তুমি দাঁড়াও, বুক খালি করে তোমাকে শুধু দিতেই হবে "
৫.
" চাইলে আমাকে আঘাত করতে পারো। উপেক্ষা করতে পারবে না। প্রেমের ক্ষেত্রে আমরা নারীরা অসামান্যা। একবার কারো হৃদয়ে ঢুকলে উৎসবের মতো তাকে ভালোবাসি "
৬.
" বিনা প্ররোচনায় ভালোবাসা হয় না।
যেমন প্রতিটি ফুল ফুটে ওঠার কারণ ছিল
জল-হাওয়া ও আলোর উস্কানি।
ভালোবেসেছি তোমার কিছু গুণ আমাকে মুগ্ধ করল তাই "
৭.
" হৃদয় শব্দটি শুনলেই মনে পড়ে যায়
তুমি ছাড়া আমার অভাব কিছু নেই "
৮.
" যেতে চাইলে তাকে যেতে দাও
ভুল প্রেম রেখে হৃদয় নষ্ট করে লাভ কী? "
৯.
" সব গাছই পাখিদের ডাকে। কিন্তু পাখিরা সব গাছে বসে না। পাখিরা বোঝে কোন গাছ তাকে ছায়া দেবে, ফল দেবে, বসার জন্য শাখাপ্রশাখা দেবে। মানুষ পাখির থেকেও বোকা, কেউ ভালোবেসে ডাকলেই চলে যায় "
১০.
" শীত গ্রীষ্ম অথবা বসন্ত, প্রেমের নির্দিষ্ট কোনও ঋতু নেই। যখনই হৃদয় প্রথম আঘাতটা পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে, তখনই মানুষ প্রেমে পড়ে "
১১.
" প্রেমের ক্ষেত্রে মানুষ সব থেকে বেশি বেহায়া। বারবার আঘাত পেলেও সহ্য করে। বারবার ফিরে যায়। পরাজিত রাজার মতো প্রেমের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে "
১২.
" আমি বারবার একটা মেয়েরই প্রেমে পড়েছি আর সেটা একমাত্র তুই। কখনও তুই পাহাড়। পাথরের মতো কঠিন। কিন্তু পাহাড়কে কেও অস্বীকার করতে পারে? কখনও তুই নদী। নদী মানেই তো জল। জল মানেই জীবন। জলের কাছে যায়নি এমন কাওকে তুই পাবি? "
১৩.
" হাতে হাত নয়
চোখে চোখ নয়
নয় শরীরে শরীরে
খুব কাছাকাছি আসা
আসলে মানুষের সাথে
মানুষের
ভালো কথাটির নাম ভালবাসা "
১৪.
" ভালো যদি বেসেছই তুমি
তবে
আরও উজাড় করে বাসো
জলের সাথে নৌকার মতো
কালিদহে ভাসো "
১৫.
" নদীর গায়ে ডুবে আছে জল
গাছের কাছে ফিরেছে পরিযায়ী পাখি।
আমার দুচোখে বসে আছিস তুই
আয় তোর ভালোবাসা নাম রাখি "
১৬. হাওয়ার কথা | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা ২০২২
হাওয়ার কথা আর কি বলি।
যেদিকে উষ্ণতা পাবে হাওয়া তো সেদিকেই যাবে।
হাওয়া নিয়ে কথা বাড়িয়ে লাভ নেই।
হাওয়ার থেকে যে শ্বাস নিই তার জন্য কৃতজ্ঞতা থাক।
মন তো এমনিই যায় না, যে দিকে শুশ্রূষা পায় সেদিকেই গড়ায়।
মনের সঙ্গে চোখের বড়ো অদ্ভুত যোগ
একবার যদি মুগ্ধ হয়ে যায়...
মুগ্ধতা নিয়েও কথা বলব না। চোখের প্রতি কৃতজ্ঞতা থাক।
যে কথা বলতে এসেছি,
তোমার সঙ্গে এতদিন এই যে জানাজানি হলো
এটুকু কি প্রেমের যোগ্য নয়?
১৭. প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
জানালায় একা বসে আছি
আকাশে তখন রোদ পাখির মতো উড়ছে
কিন্ত আমার ছিল মন খারাপ
হঠাৎ কালো উরদি পরা গুটিকয় মেঘ
গটগট শব্দ করে, প্যারেড করতে করতে
ঘিরে ফেলল আকাশ
আর কিছুক্ষনের মধ্যেই, মাঠঘাট গাছপালা ভেঙে
ঝাঁকড়া চুলের ঘোড়ার মতো ছুটে
জানালায় এল বৃষ্টি
বলল, 'কি ভাবছিস? তোর মন খারাপ?
আয় আমার সাথে খেলবি।'
এক তো মন খারাপ, বললেই কি আর যাই?
বললাম কেন যাব? তুই বিচ্ছিরি, ভিজিয়ে দিবি
বৃষ্টি বলল, 'এই দ্যাখ জলের পোশাক,
আমি কান্নাকে লুকিয়ে ফেলতে জানি।'
তখন আর না গিয়ে কি পারি?
সেই থেকে বৃষ্টিই আমার সব চে' ভালো বন্ধু।
১৮. আজ অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে থাকলে | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা ২০২২
আজ এসে অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে থাকলে।
ট্রাফিকটা বড়ো ঝামেলা পাকাল। শহর তো নয় যেন গাড়ির অরণ্য!
গাছেদের তবু নিয়ম আছে, তারা কেউ কারও গায়ে ঘেঁষে থাকে না।
এই শহর যত বেশি নিয়ম মানে, তার থেকে বেশি ভাঙে।
শুধু তুমি আছ তাই এ শহরকে বেপরোয়া সুন্দর লাগে।
শুধু তুমি আছ তাই এ শহর আমাকে বেঁধে রাখে হরিণ মায়ায়।
আজ অনেকক্ষণ ধরে আমার ওপরে বিরক্ত হলে।
কিন্ত ভেবে দেখো, চাকাওয়ালা খাঁচার মধ্যে বন্দি একটা মানুষ যার গন্তব্য শুধু তুমি, যার চাওয়াপাওয়া শ্বাসপ্রশ্বাস, হৃৎপিন্ডের শব্দ শুধু তোমার দিকে ছুটে চলছে, তোমাকে অপেক্ষায় রেখে সে কি সুখী থাকতে পারে?
আজ খুব বেশি সুন্দর লাগছে তোমাকে। মুখ তোলো, তাকাও, অনেকক্ষন ধরে এ হৃদয় খুব কষ্টে আছে।
১৯. সে এলে | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
সে এলে আজ কী নিয়ে কথা হতে পারে?
আত্রলিতার খোলা চিঠি? ডিউকের অত্নহত্যা?
অথবা বিলি মরিসনের পিয়ানো?
কী নিয়ে আজ তার সাথে কথা হতে পারে!
হেনরিয়েটার ভাঙ্গা আয়না? বন্দরে নোঙর করা যুদ্ধজাহাজ?
কিংবা কাঁসাইয়ের ঘাটের সেই দূরন্ত প্রেমিক-প্রেমিকা?
সে এলে সব যুদ্ধকে বুকে নিয়ে কাঁপি,
সব রহস্যকে গুছিয়ে রাখি।
তামাম আত্নহত্যারা আমার গুপ্ত কুঠুরিতে ভিড় করে। একটা মনের কথা বলার জন্য রোজ এত যুদ্ধ, এত আত্নহত্যা, এত রহস্য বুকের মধ্যে নিয়ে কি বাঁচা যায়?
২০. কোনও প্রশ্ন নেই অভিরুপ | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
পাখিও তার বাসার ভেতরে খসে যাওয়া পালক রাখে না
আথচ মানুষ তার ভুল স্মৃতিগুলোকেও বুকের ভেতরে আগলে রাখে। আগলে রাখাটা একটা মানবিক রোগ অভিরূপ, এ রোগ সবার থাকে না।
কেঠো পাঁজরের নিচে বসন্তের মতো ফুলেল স্মৃতি।
বসন্ত তবু বারবার ফিরে আসে কিন্ত মানুষ কোনও ঋতুর মতো নয়, মানুষ নিজের মতো যাযাবর।
শরীরের মতো মনের শিরদাঁড়া নেই অভিরুপ,
সামান্য আঘাতেই দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
একটি সাধারণ মেয়েকে কেন আঘাতের সাম্রাজ্য দিলে?
আঘাতে আঘাতে এ হৃদয় বিষ হয়ে আছে। যদি ভুল করেও ফিরে আসো,
এই হৃদয়ের কাছে কী পাবে?
মৃত্যুর মতো সব শোকের স্মরণসভা হয় না অভিরুপ
অথচ হৃদয় ভাঙার শোক মৃত্যুর থেকেও বড়ো। এ শোকের সান্তনা নেই।
চোখ নষ্ট হলেও মানুষ মনের চোখে বাঁচে অভিরূপ,
যার মন নষ্ট হয়ে গেল সে কী নিয়ে বাঁচে?
এই পৃথিবীর আশ্চর্যতম এক মানুষ আমি, শ্বাসপ্রশ্বাস আছে অথচ প্রান নেই।
আর কোনও প্রশ্ন নেই অভিরুপ, আর কোনও অভিযোগ নেই
যেটুকু শ্বাস বাকি আছে আজ সেটুকু দিয়ে তোমাকে অভিশাপ দিই,
আমি ছাড়া যদি অন্য কারো প্রেমে পড়ো,
তবে সুখের অসুখ তোমাকে ছারখার করে দিক।
২১. হৃদয়ের কাছে কৃতজ্ঞ আমি | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
তোমাকে না দেখলে কী প্রচন্ড অভাবে থাকি হৃদয় জানে।
আমার সামনে সকালের অপূর্ব গুলমার্গ, বরফের ওপরে ছারখার রোদ! কী যে আলো! কি যে অপূর্ব লাগছে এই দৃশ্য! এখানেও তোমাকে সঙ্গে নিয়ে এলাম।
আভাব বড়ো বেহায়া, যা কিছু তার চাই কাছে না পেলেও যে-কোনও উপায়ে সে পুষিয়ে নেবে।
চারদিকে কত লোক! কেউ তারা আমার মতো নয়। সবাই এই অপূর্ব দৃশ্য পিয়াসি।
এই যে বরফের ওপরে রোদের স্রোত, তোমার হাসির মতো সুন্দর নয়।
এই যে লোকেদের চকচকে চোখ, তোমার চোখের কাছে ম্লান।
এই যে দিকদিগন্তের বিশালতা তার থেকেও অনাবিল সুন্দর তুমি।
এই অপূর্ব সকালে, হৃদয়ের কাছে কৃতজ্ঞ আমি। এই যে হৃদয় এখানে তোমাকে নিয়ে এলো।
২২. সোজা কথা | প্রেমের কবিতা ২০২২ | প্রেমের ছন্দ ২০২২
স্রেফ তোর একটা কাজ হোক, গাড়িবাড়ি চাই না।
–কী করে ঘুরবি?
দুপায়ে ইচ্ছে থাকলেই এই পৃথিবীটা তোর।
-কোথায় থাকবি?
কেন? তোর আকাশটা কি দুজন মানুষ থাকবে
এমন একটা ঘরের থেকেও খুব ছোট?
-বৃষ্টি পড়লে?
তুই ছাউনি হবি।
-রোদ বাড়লে?
তুই আড়াল করবি।
-আর বাড়ির লোক?
দুচারদিন মুখ দেখাদেখি বন্ধ করবে
তারপর ঠিক ডেকে নেবে, ওরাও মানুষ তো।
-যদি না ডাকে
গাধা। তখন তুই মেয়ে হোস
আমি তোর মতো ভিতু একটা ছেলে হয়ে যাব।
-আমি গাধা?
না তুই গাধাদের বস।
-তুই কিন্তু রাগাচ্ছিস
আহারে অগ্নিঠাকুর, রাগলে যেন পুড়িয়ে দেবে।
-বিকেলের দিকে তৈরি থাকিস
পালাবি?
-তুই একটা মেয়ে। এত বেহায়া কেন, তোর লজ্জা নেই?
লজ্জা এখন পুরুষের ভূষণ। এই দ্যাখ কেমন তুই ঝুঁটি বেঁধেছিস। কানে দুল, হাতে নখ, এরপর...
-এরপর কি? এটা তো এখন ফ্যাশান চলছে।
যখন মেয়েদের ফ্যাশান ধার করেছিস, তখন লজ্জা টুকুও নে।
না হলে লোকে বলবে...
-কী বলবে?
নাহ তুই কাঁদবি, ওসব কথা তোর না শোনাই ভালো।
-এটা কিন্তু তুই বাড়াবাড়ি করছিস।
তবে নখ ভাঙ, দুল খোল, সটান বাবার সামনে গিয়ে বল
আমি আপনার মেয়েকে ভালোবাসি।
২৩. প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
-চ' বাবুঘাট যাবি?
-হুট করে নদীতে কেন?
নৌকো চড়ব। কেউ কোথাও থাকবে না।
রবি ঠাকুরের গানের মতো, সবখানে শুধু তুই আর আমি।
-এই ঝড় বাদলে! পাগল?
হাওয়া ছোঁ মেরে আঁচল সরিয়ে দিক
আর তুই
-আমি কী?
আমার ঘরদোর আমার জানালা
আমি বন্ধ করলে দোষ?
-ডাকাতের সামনে কেউ হাট করে দোর খুলে রাখে?
পাগল নাকি?
-আমি ডাকাত?
-এক হাট আলোয় লিপস্টিক সাপটে নেয়,
সে ডাকাত না তো কি?
-সব আমার দোষ?
আর মেঘ ডাকলেই যে জাপটে ধরিস?
-তুই এই প্ল্যানে আছিস? আজ তো যাবই না তবে।
-আচ্ছা মেঘ ডাকবে না, প্লিজ চ'
-বল দূরে থাকবি।
-থাকব।
-একদম ঝুঁকবি না কাছে?
-ঝুঁকব না।
-চোখে চোখ রাখবি না।
-রাখব না
-তবে মেঘ ডাকলে ডাকুক চ' যাই।
২৪. ফ্রাকচার | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
কাল ছাদের কিনারে অমন দাঁড়িয়ে ছিলে
দেখেই মনে হয়েছিল তোমার মন ভালো নেই
শুনলাম তোমার বাঁ পায়ে ফ্রাকচার
কেমন আছ আজ? কেন ঝাঁপালে বোকার মতো?
ভালবাসার আঘাত কি কাউকে দেখাতে আছে?
তুমি যাকে চেয়েছিলে সে তোমার প্রেমিক
মনে মনে হোক তবু
অভিমানে তাঁর বুকেই তুমি লুকিয়েছ মুখ
অমন ভালবাসার বুক কি লোককে জানাতে আছে?
কেন ঝাঁপালে বোকার মতো?
আমিও দাঁড়িয়েছি এই গোটা একটা বছর
আমিও দাঁড়াই রোজ ছাদের কিনারে
বলো তো তোমাকে ভালোবেসে ভরে আছে যে বুক
কী করে সে বুক আছড়ে আমি পাথরে ভাঙি!
কেন ঝাঁপ দিলে বোকার মতো?
ভালবাসার আঘাত কি কাউকে দেখাতে আছে?
২৫. খারাপ লোক | প্রেমের কবিতা ২০২২ | প্রেমের ছন্দ ২০২২
যাওয়ার আগে কি দিচ্ছিস বল?
-তেরো নদীর ঢেউ
যা আমার বুকের ভিতরে তুই ফেলে যাচ্ছিস।
আর আমি যে সাত সমুদ্র চিৎকার নিয়ে যাচ্ছি?
-যাস না, আমার নদীগুলো মোহনা পাবে।
তারপর জোয়ার এলে? দুকুল ছাপালে?
-যেদিকে চাইবি সেদিকে ভাসব।
ভাসতে ভাসতে যেখানে ঠেকব সেখানেই ঘর,
আমরা দুজন প্রেমের যাযাবর।
আর আমার এই যে হাজার হাজার দোষ?
হাতে পায়ে নখ রাখি না, চোখে ঠোঁটে রঙ মাখি না,
এসব যে তোর পছন্দ?
-সে তো গ্রীষ্ম এলে হাওয়াও আমার পছন্দ,
হাওয়ার কি আর নখ আছে আর ঠোঁট আছে?
তবুও হাওয়া চাই। গরমে বেশ আরাম আরাম হাওয়া!
আরাম চাস? তোর মনে তো পাপ!
-হিংসুটি তুই আমার চোখের আরাম, মনের আরাম
এই ফিরিয়ে নে তোর ঠোঁটের ছাপ, উমম্মমা ...।
-ইস্, তুই একটা খারাপ লোক।
২৬. সোনালি কেবিন | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
একদিন খুব ইচ্ছেমত রাজা হব আমি
একদিন আমি তোকে উপহার দেবো বুকের সোনালি কেবিন
একদিন আমি বলব তোকে ভালবাসি খুব
যে যা জানবে সে জানবে
একদিন তুই চাঁদের মতো ছিটকে এসে পড়বি আমার বুকে
একদিন তুই আমার সাথে খুব বাঁচবি জীবন
একদিন তুই আমার হাতে হাত রেখে পালাবি শহর
যে যা বলবে সে বলবে
একদিন এক টুকরো আকাশ আমি থাকব তোর চোখে
একদিন এক পৃথিবী রোদ্দুর আমি ভিজিয়ে দেবো তোকে
একদিন আমি খুব কাঁদবো তোকে জড়িয়ে ধরেই
যে যা বলবে সে ভাববে
একদিন তুই আর আমি পৃথিবীর সবগুলো আপেল বাগান
একদিন তুই আর আমি সব প্রেমিক আর প্রেমিকার ঠোঁটে রাখা ঠোঁট
একদিন তুই আর আমি ভালবাসার অসংখ্য কবিতা
সে যে লিখবে সে লিখবে।
২৭. পালিয়ে যেতে হবেই | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
নিজেকে লুকিয়ে রাখা ছাড়া আর কোন উপায় নেই
কিন্তু কোথায় লুকাবো
ঘর ছিল এক নিজেকে লুকিয়ে রাখা যেত
তুমি এ ঘরে কখনও না এলে
এ ঘরের প্রতিটা কোণ, ছাদ
কী ভীষণ যে বিদ্রুপ করে একা আমাকে
মনে হয় ছুটে পালাই
কিন্তু পালাবো কোথায়! এ শহরের আকাশ ভরে
তুমি আমি উড়েছি পাখির মতো
এ শহরের রাস্তায় গলিতে হেঁটেছি আমরা অনিয়ম
এখানের নদী মাঠ নিঃশ্বাসের হাওয়া
সবাই চেনে আমাদের দু'জনের মুখ
একটাই ঘর ছিঁড়ে খায় একা আমার বাঁচার জীবন
এতগুলো নজর এড়িয়ে আমি কোথায় পালাবো
অথচ পালিয়ে যেতে হবেই আমাকে।
২৮. কবিতা বলতে | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
কবিতা বলতে আমি বুঝি
খুব দস্যি একটা মেয়ে।
যে মেয়েটা ঝরনার মতো দূরন্ত,
নদীর ঢেউয়ের মতো নাচে।
যার ওড়নায় রোদ্রর স্নান লেগে আছে,
আর যার মন খারাপ হলেই তুমুল বৃষ্টি হয়।
কবিতা বলতে আমার মনে পড়ে,
যে মেয়েটার গা পাখির পালকের মতো নরম,
চোখের কোনে তিল,
যার হাতের আঙুলে ভালোবাসার গল্প লেগে আছে,
আর যার মন ভালো থাকলে আকাশে খুব বড়ো চাঁদ ওঠে।
কবিতা বলতেই আমি বুঝি,
খুব সাধারণ নয় এমন একটা মেয়ে।
হাসিমাখা মুখ, পলাশরাঙা ঠোঁট,
যে মেয়েটার চুলে রাতের অন্ধকার লেগে আছে,
আর যার অভিমান হলেই,
একটা বাড়ির চারদিকে খুব মেঘ করে।
২৯. আলো পোকার গল্প | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
একটা আলো জ্বলছিল
একটা গুন্ডামার্কা পোকা এসে বলল,
'এই বুকের হুক খোল, ঝাঁপ দেবো'
আলো বলল, 'জোর নাকি?'
পোকা বলল, 'আলবাত'
পোকা ঝাঁপ দিল, পাখা খোয়া গেল।
বলল পোকা, 'আগুন এত বুঝি নরম!'
আলো নিজেও খানিক পুড়ে বলল,
'গুন্ডাগিরি শেষ? এই হয়েছে বেশ
এবার আজন্ম ঘর কর ।'
রেল-কলোনির কাছে কৃষ্ণচূড়ার নীচে
হঠাৎ গজিয়ে উঠল ঘর,
ঘরের মধ্যে আলো পোকার এক-পৃথিবী সংসার।
দশম মাসের পরে কৃষ্ণচূড়ার ডালে তখন আগুন
আলো লাজুক হেসে বলল, 'পুড়বি?'
পোকা বলল, 'তোর পেটের মধ্যে সুজ্জি
এখন কেমন করে পারবি?'
আলো বাড়িয়ে দিল হাত, পোকার আঙুল ছুঁল।
আঙুল ছুঁয়ে বলল, 'কী ভালো রে তুই
সুখে দুঃখে এমন আমায় জড়িয়ে নিয়ে রাখিস,
মরণ এলেও আমার হাতের আঙুল ধরে রাখিস। '
দেখল সবাই,
দেখল সবাই কৃষ্ণচূড়ার হাঁটুর কাছের ঘরে
দুটো জীবন বাঁচে আর বাঁচার জন্য মরে।
সবাই বলল বেশ ওরা ঘর বেঁধেছে।
সবাই বলল বেশ, ওরা ঘর বেঁধেছে।
আলো শুনতে পেল।
*
আলো শুনতে পেল রাস্তায় কারা ফিশফিশিয়ে বলছে,
'পোকা যেমন প্রেমিক আলোও তেমন জ্বলছে।
প্রেমে জাত পোড়ে না পাত পোড়ে না পোড়ে অহম।
প্রেমে জাত পোড়ে না পাত পোড়ে না পোড়ে অহম।'
আলো আনন্দে উদার।
আলো আনন্দে উদার, পোকার বুকের মধ্যে গলছে,
কয়লার দারিদ্রে যেন হিরের কুঁচি জ্বলছে!
কৃষ্ণচূড়া দেখছে,
সব কৃষ্ণচূড়া দেখছে আর হাওয়ার কানে বলছে,
'ওরা জ্বলুক, ওরা জ্বলুক,
এই মাংসখেকোর দেশে ওরা প্রেমের কথা বলুক।'
৩০. প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
একদিন একটা বৃষ্টি, ঘুরতে ঘুরতে
একটা পাহাড়ের কাছে এসে বলল
'আমার সঙ্গে যাবি?'
বলেই হুস করে জলের ঘাগরা ছড়িয়ে ছুট।
পাহাড় তো কোনদিন হাঁটতে শেখেনি
পাহাড় পারল না যেতে।
ফের একদিন
বৃষ্টি এল, পাহাড়ের কাছে।
বলল, 'এবার ছুটব না যাবি?'
পাহাড় বলল, 'আমি হাঁটতে জানি না।'
বৃষ্টি বলল, 'তুই মর, একা একা মর।'
এর পর একদিন বৃষ্টিকে দেখে
পাহাড় বলল 'ভালবাসি।'
বৃষ্টি বলল 'আঘাত পেয়েও ভালবাসিস?
কোথা থেকে পাস এত জোর?'
পাহাড় বলল,
'ভালবেসে কবেই
তুমিময় হয়ে গেছে বুকের পাঁজর।'
কথাটা শুনেই
বৃষ্টি ঝাঁপিয়ে পড়ল পাহাড়ের বুকে।
'আর ফিরব না' মেঘকে বলেই
ঘাগরা ফেলে, পরল জলরঙা শাড়ি।
সেই থেকে বৃষ্টি
থেকে গেল পাহাড়ের কাছে।
ভালবেসে বৃষ্টিকে বলল পাহাড়, 'তুমি ঝরনা'।
খবরটা কিভাবে পৌঁছল মানুষের কানে!
সেই থেকে নারী আসে পুরুষের ঘরে
পুরুষের পাহাড় বুকে বুনে দেয় ফুলের বাগান।
সেই থেকে চালু হল বিবাহ প্রথা।
মানুষ এখন বউকে যে ভালো নামে ডাকে?
তা আসলে এই পাহাড়ের থেকেই শেখা।
৩১. নিমন্ত্রণ | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা ২০২২
আমাকে ডাকার জন্য,
তোমার কাছে কোনো নিমন্ত্রণ ছিলো না।
তুমি জানতে, প্রেমিক তো!
আসবো আমি নিজের স্বভাবে।
আমাকে পোড়াবার জন্য,
তোমার কাছে কোনো আগুন ছিলো না।
তুমি জানতে, ভালবাসা তো!
নিজের আগুনেই নিজে পুড়ে ছারখার হবে।
আমাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য,
তোমার কাছে কোনো প্রত্যাখ্যান ছিলো না।
তুমি জানতে, সরল তো!
নিজের অভিমানই আমাকে ছিঁড়ে খাবে।
আমাকে হত্যা করার জন্য,
তোমার হাতে কোনো বিষ ছিলো না।
তুমি জানতে, হৃদয় তো!
দুটো কথার আঘাতেই জন্মের শোধ যাবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা
৩২. গীতালি
যেখানে ঘর বাঁধব আমি
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
আসে আসুক বান--
তুমি যদি ভাসাও মোরে
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
চাই নে পরিত্রাণ
দুই বাংলার শ্রেষ্ঠ প্রেমের কবিতা ২০২২ - সেরা ভালবাসার কবিতা কোনটি? আধুনিক রোমান্টিক প্রেমের কবিতা পড়ুন। অসম্ভব সুন্দর প্রেমের কবিতা আবৃত্তি করুন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা পড়ুন। নজরুলের প্রেমের কবিতা পড়ুন। আধুনিক বাংলা প্রেমের কবিতা পড়ুন। সেরা প্রেমের কবিতা বই কোনটি? ফুল নিয়ে প্রেমের কবিতা। ভালোবাসার কবিতা ও ছন্দ শুনুন।ভালোবাসার কবিতা এস এম এস পাঠান। আধুনিক বাংলা ভালোবাসার কবিতা বই। চাঁদ নিয়ে ভালোবাসার কবিতা। শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক ভালোবাসার কবিতা 'র বই।
নজরুলের প্রেমের কবিতা
৩৩. অভিশাপ
যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে,
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে –
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
ছবি আমার বুকে বেঁধে
পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
ফিরবে মরু কানন গিরি,
সাগর আকাশ বাতাস চিরি’
যেদিন আমায় খুঁজবে –
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
নবনীতা দেব সেনের প্রেমের ছন্দ ২০২২
৩৪. টেলি-কম | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
জয়ের ওই মেঘবালিকাদের
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
একজনকে সেদিনই দেখলাম
আমাদের বাস স্টপে
অবিকল আগের মতােই
কাঁধে ব্যাগ, দু'বিনুনি চুল,
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
পরনে স্কুলের ইউনিফর্ম
নাকে ঘাম, ভুরুতে অলকচূর্ণ ওড়ে-
সেই যে ফোনের আশেপাশে
তক্কে তক্কে ঘুরু ঘুরু যে-মেয়েটা-
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
জেঠুর পাহারা থেকে কখন যে মুক্তি পাবে ফোন!
ভােরবেলা জেঠু যেই হাঁটতে যাবেন—
তক্ষুনি ম্যাজিক করে ছেলেটাও
ফোন করবে ঠিক
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
জেই সেই পান-দোকান পার—
টুং করে একটিবার বাজলেই
চটপট ফোন তুলতে হবে
—“কার ফোন ছিল রে তখন?”
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
—“রং নাম্বার, মাগাে”, …
নিঝুম রাত্তিরে
সক্কলে ঘুমিয়ে পড়লে
ঘড়ি দেখে বারােটা পঞ্চাশে
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
পা টিপে দালানে এসে
মেয়েটাই ফোন করবে তাকে
সেও তাে রাত্তির জেগে পড়া করছে কিনা—
বাজতে না বাজতেই ঘন্টি
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
ঝাঁপ দিয়ে ফোন তুলে নেবে
বারােটা পঞ্চাশে
এলােমেলাে কুজনে গুঞ্জনে
পল অনুপল যায়
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
হৃদয়ের শব্দ শুনে শুনে
স্বেদবিন্দু মুক্তোমালা সর্বাঙ্গে জড়ায়
অবিকল সেই মেয়ে-
সেই ব্যাগ, দু’বিনুনি, সেই স্কার্ট ব্লাউজ
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
ফোন-কানে কথা কইছে অন্যমনে-
খর রৌদ্রে রাসবিহারীর মােড়ে
জেঠু ও জেঠিরা হেঁটে যান
সে-মেয়ে নিশ্চিন্ত চোখে, নিজস্ব সময়ে
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
একান্ত নিজস্ব ফোনে
একান্তে নিজস্ব কথা কয়
ভিড় বাস-স্টপে
ভুরুর ওপরে উড়ছে বিচূর্ণ অলক
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
নাকে ঘাম, চুল চোখ
ঠমক ঠামক,
সবই এক, অবিকল
আগের মতনই সব, শুধু …
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
বালিকা, জানিসনে তুই
সে ফোন তাের
মেঘ-টুকু কেড়ে নিয়ে গেছে।
হুমায়ূন আহমেদের সেরা ভালবাসার কবিতা
৩৫. সংসার
শোন মিলি।
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
দুঃখ তার বিষমাখা তীরে তোকে
বিঁধে বারংবার।
তবুও নিশ্চিত জানি, একদিন হবে তোর
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
সোনার সংসার ।।
উঠোনে পড়বে এসে একফালি রোদ
তার পাশে শিশু গুটিকয়
তাহাদের ধুলোমাখা হাতে - ধরা দেবে
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
পৃথিবীর সকল বিস্ময়।
সৈয়দ শামসুল হকের সেরা প্রেমের কবিতা
৩৬. পরানের গহীন ভিতর | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
আমি কার কাছে গিয়া জিগামু সে দুঃখ দ্যায় ক্যান,
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
ক্যান এত তপ্ত কথা কয়, ক্যান পাশ ফিরা শোয়,
ঘরের বিছান নিয়া ক্যান অন্য ধানখ্যাত রোয়?-
অথচ বিয়ার আগে আমি তার আছিলাম ধ্যান।
আছিলাম ঘুমের ভিতরে তার য্যান জলপিপি,
বাঁশির লহরে ডোবা পরানের ঘাসের ভিতরে,
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
এখন শুকনা পাতা উঠানের পরে খেলা করে,
এখন সংসার ভরা ইন্দুরের বড় বড় ঢিপি।
মানুষ এমন ভাবে বদলায়া যায়, ক্যান যায়?
পুন্নিমার চান হয় অমাবস্যা কিভাবে আবার?
সাধের পিনিস ক্যান রঙচটা রদ্দুরে শুকায়?
সিন্দুরমতির মেলা হয় ক্যান বিরান পাথার?
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
মানুষ এমন তয়, একবার পাইবার পর
নিতান্ত মাটির মনে হয় তার সোনার মোহর।
সাদাত হোসাইনের ভালবাসার কবিতা
৩৭.
' ভালোবাসা লুকিয়ে রাখা যায়না। কেউ যদি কাউকে সত্যি সত্যি ভালোবাসে তবে সে তা টের পাবেই। ঘৃণা লুকিয়ে রাখা যায়, ভালোবাসা লুকিয়ে রাখা যায় না। ওটা সত্যি সত্যি থাকলে টের না পেয়ে উপায় নেই '
৩৮.
' পৃথিবীতে সবচে ভাগ্যবান তারা যাদের মেয়ে নেই। নিজের পেলে পুষে বড় করা মেয়েটাকে কাউকে কখনো দিয়ে দিতে হয়না তাদের '
৩৯.
' চোখের সামনে রোজ একটু একটু করে বাবা-মা মেয়েকে যতই বড় করুক না কেনো, তারা কখনই বুঝতে পারেন না যে অজ্ঞাতসারে কোন এক ফাঁকে সেই মেয়েটি এমন বড় হয়ে যায় যে নিজেই হয়ে যায় তাদেরও বাবা-মা '
৪০.
আমি তোমার নিন্দে ছড়াই, হঠাৎ করা ভুলের,
চুপ রয়ে যাই তখন, যখন সুবাস ছড়াও ফুলের
৪১.
জানি দুজনের পথ ভিন্ন
তবু ফেলে যাই পদচিহ্ন,
যদি পদরেখা কভু পথরেখা হয়ে
ঠিকানা করে অভিন্ন!
৪২.
গুছিয়ে নিচ্ছি বাকসো-পেটরা, গুছিয়ে নিচ্ছি বুক,
শহর ছেড়ে হারিয়ে যাচ্ছি, হঠাৎ আগন্তুক।
হাঠাৎই কার কাজল চোখে, এক চিলতে আলো,
সব গুছিয়েও মন ফেলে যাই, ভীষণ অগোছালো!
৪৩. কাঁজল চোখের মেয়ে | সেরা প্রেমের কবিতা
- ওহে কাঁজল চোখের মেয়ে।
- ইচ্ছে করে এসব বাস্তবতার যুক্তি এসব যন্ত্রিকময় শহরতলী থেকে পালিয়ে কোনো এক ছায়া ঢাকা, ঘুঘু ডাকা সবুজালয় গ্রামে তোমাকে নিয়ে সংসারপাতি।
- ইচ্ছে করে কোনোএক ঘুম ভাঙা ভোরে
শিশির ভেজা সরিষা ক্ষেত জুড়ে,
আঙুলের ফাঁকে আঙুল জড়িয়ে,
নগ্ন পায়ে একসাথে পা মিলিয়ে দু'জন হাঁটি।।
৪৪. প্রণয়ে তুমি প্রার্থনা হও | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
যেখানে কেউ হলদে পাতার মতো গা বিছিয়ে দেয়, সবুজ হয়ে ছায়ার মতন থাকে। সেখানে আমার আরেকজনম
আবার, মানুষ হয়েই বাঁচতে ভাল লাগে। সেখানে কেউ
নদীর মতো নরম, জলের মতো ডুবিয়ে রাখা জানে, ঠিক
সেখানে ফিরে আসব বলে, বুকের ভেতর ছটফটানি
জাগে। একটা মৃদু ঢেউয়ের মত মন যেখান থেকে
তিরতিরিয়ে কাঁপায়, সেখানটাতে আলগোছে খুব আমি,
লুকিয়ে রাখি আমায়। এমন করে আমি, আমার মতো
থাকি, আমার মতোই হারিয়ে গিয়ে খুঁজি, ওই ওখানে
ওই যে না থাকায়, অন্য ছায়ায় লুকিয়ে তুমি বুঝি!
হেলাল হাফিজের সেরা প্রেমের কবিতা
৪৫. অচল প্রেমের পদ্য
আমাকে উস্টা মেরে দিব্যি যাচ্ছো চলে,
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
দেখি দেখি
বাঁ পায়ের চারু নখে চোট লাগেনি তো;
ইস্! করছো কি? বসো না লক্ষ্মীটি,
ক্ষমার রুমালে মুছে সজীব ক্ষতেই
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
এন্টিসেপটিক দুটো চুমু দিয়ে দেই।
নির্মলেন্দু গুণের ভালবাসার কবিতা
৪৬. শুধু তোমার জন্য | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
কতবার যে আমি তোমোকে স্পর্শ করতে গিয়ে
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
গুটিয়ে নিয়েছি হাত-সে কথা ঈশ্বর জানেন।
তোমাকে ভালোবাসার কথা বলতে গিয়েও
কতবার যে আমি সে কথা বলিনি
সে কথা আমার ঈশ্বর জানেন।
তোমার হাতের মৃদু কড়ানাড়ার শব্দ শুনে জেগে উঠবার জন্য
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
দরোজার সঙ্গে চুম্বকের মতো আমি গেঁথে রেখেছিলাম
আমার কর্ণযুগল; তুমি এসে আমাকে ডেকে বলবেঃ
‘এই ওঠো,
আমি, আ…মি…।‘
আর অমি এ-কী শুনলাম
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
এমত উল্লাসে নিজেকে নিক্ষেপ করবো তোমার উদ্দেশ্যে
কতবার যে এরকম একটি দৃশ্যের কথা আমি মনে মনে
কল্পনা করেছি, সে-কথা আমার ঈশ্বর জানেন।
আমার চুল পেকেছে তোমার জন্য,
আমার গায়ে জ্বর এসেছে তোমার জন্য,
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
আমার ঈশ্বর জানেন- আমার মৃত্যু হবে তোমার জন্য।
তারপর অনেকদিন পর একদিন তুমিও জানবে,
আমি জন্মেছিলাম তোমার জন্য। শুধু তোমার জন্য।
৪৭. অঞ্জলি | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
তৃপ্তি আমার চোখে লেগে আছে,
ঘামের শিশির নাকে।
ভাবিয়াছিলাম কিছু স্বর্ণমুদ্রা দিয়া
তুষ্ট করিবো তাকে।।
মাথা নাড়াইয়া মেয়েটি কহিল-
ওটা রেখে দাও, আজ
জীবন আমার পূর্ণ হয়েছে,
প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্বরাজ।
কী বললে? স্বরাজ? তুমি
স্বরাজ বললে কেন?
মনে হয় তুমি শিক্ষিতা মেয়ে,
সুভাষ বসুকে চেনো।
মেয়েটি বলিল, ভুলে গেছ বুঝি,
কলেজের দিনগুলি?
তুমি ছিলে আমাদের প্রিয়নেতা,
আমি মিছিলের 'অঞ্জলি'।
অঞ্জলি? তুমিই অঞ্জলি তবে?
হুম, বেশ মনে আছে।
কেমন করিয়া ভুলিব এ-নাম?
আমি তো তোমার প্রণয়পত্রের
উত্তরও দিয়েছিলাম।
উত্তর দিয়েছিলে? দিয়েছিলে?
সত্যিই তুমি উত্তর দিয়েছিলে?
হ্যাঁ। দিয়েছিলাম, এবং সম্বোধনে
তোমাকে লিখেওছিলাম-প্রিয়ে।
হায় ঈশ্বর, কী দুর্ভাগ্য আমার!
আমি পাইনি সে চিঠি, বিপ্লব,
আমি পাইনি তোমার চিঠি।
কার হাত দিয়ে পাঠিয়েছিলে গো,
মনে আছে তার নাম?
কী যে বলো, মনে থাকবে না কেন?
মনে আছে, খুউব মনে আছে।
সাদা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে
আমার দীপান্তর হয়েছিল বলে,
ঐ চিঠি আমি পাঠিয়েছিলাম
কমরেড দীপকের হাত দিয়ে।
দীপক? দীপক? স্প্লেনেডের মিছিলে, পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছিলো যে? সেই দীপক?
হায় ভগবান! আমাকে লেখা
তোমার পত্রটি ওর কাছে ছিলো?
ছিলো, অঞ্জলি, নিশ্চয়ই ছিলো।
মনে হয় তার ডিসক্লেইমড মরদেহ
পুলিশ পুড়িয়ে দিলে দীপকের সাথে-সাথে ভস্ম হয়ে গেছে
ঐ প্রেমপত্রখানি।
এতোদিন পর, আজ এই অভদ্র পল্লীতে, বিপ্লব, তুমি কেন এলে বিগতযৌবনা এই অঞ্জলির ঘরে? একি শুধু দৈবদুর্বিপাকে?
না, অঞ্জলি, না। দুর্বিপাকে নয়।
আন্দামান থেকে ফিরে আসার পর, খন্ডিত ভারতবর্ষে
আমি তোমাকে খুঁজেছি বিস্তর।
পাগল যেমন পাবে না জেনেও খুঁজে ফেরে পরশ পাথর।
কত ঘাটে ভিড়েছে আমার নাও,
তোমাকে আমি পাইনি কোথাও।
কলকাতা, ঢাকা, বোম্বাই ঘুরে
অবশেষে এসেছি নয়াদিল্লিতে--।
একদিন যে-নগরী জয় করবো বলে নেতাজীর শিষ্য হয়ে লড়াই করেছি-- আজ সেই নগরীতে
আমি খু্ঁজিতেছি আমার ঈশ্বরী।
পরম আদরে বিপ্লবের উদগত চোখের অশ্রু শাড়ির আঁচলে মুছে দিয়ে, অঞ্জলি বললো-
নারীচিত্ত জয় করা রাজ্যজয়ের চেয়ে কম বড় কথা নয়,
তুমিও তা মানো নিশ্চয়।
দেশ আজ আছে, কাল নেই।
মানবমানবীর প্রগাঢ় প্রণয় সত্য।
এই শিক্ষা দিতে আমাদের
প্রেমের রথ থেমেছে দিল্লিতে।
আচ্ছা বিপ্লব, আমার যৌবনের প্রাণপ্রিয় নেতা, বলো তুমি কি
তোমার হারানো অঞ্জলিকে
অন্ধকারে চিনতে পেরেছিলে?
বিপ্লব বললো, না, তোমাকে আমি ঠিক চিনতে পারিনি।
তবে তোমাকে কিছুটা
অঞ্জলির মতো মনে হয়েছিলো।
এখন বুঝলাম, অঞ্জলির মতো নও তুমি, ---তুমিই অঞ্জলি।
চলো, তুমি আমার সঙ্গে চলো
আমি তোমায় ছেড়ে যাবো না।
জানি ছেড়ে গেলে তোমায় আমি
আর তো পাবো না।
বিপ্লবের সুরে সুর মিলিয়ে
তখন অঞ্জলি গাইলো,
আমরা কলকাতায় ঘর বাঁধবো,
আর দিল্লি থাকবো না।
জয় গোস্বামী এর রোমান্টিক প্রেমের কবিতা
৪৮. প্রেমিক | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
তুমি আমাকে মেঘ ডাকবার যে বইটা দিয়েছিলে একদিন
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
আজ খুলতেই দেখি তার মধ্যে এক কোমর জল।
পরের পাতায় গিয়ে সে এক নদীর অংশ হয়ে দূরে বেঁকে
গেছে।
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
আমাকে তুমি উদ্ভিদ ভরা যে বইটা দিয়েছিলে
আজ সেখানে এক পা-ও এগোনো যাচ্ছে না, এত জঙ্গল।
গাছগুলো এত বড় হয়েছে যে মাটিতে আলো আসতে
দিচ্ছে না। প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
তুমি আমাকে ঝর্ণা শেখবার যে বইটা দিয়েছিলে
আজ সেখানে মস্ত এক জলপ্রপাত লাফিয়ে পড়ছে
সারাদিন। প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
এমনকি তোমার দেওয়া পেজ-মার্কের সাদা পালকটাও
যে বইতে রেখেছিলাম, সেখানে আজ
কত সব পাখি উড়ছে, বসছে, সাঁতার কাটছে।
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
তোমার দেওয়া সব বই এখন মরুভূমি আর পর্বতমালা,
সব বই আজ সূর্য, সব বই দিগন্ত …
অথচ আজকেই যে আমার লাইব্রেরি দেখতে আসছে বন্ধুরা
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
আমার পড়াশোনা আছে কিনা জানার জন্য! তাদের আমি
কী দেখাবো? তাদের সামনে কোন মুখে দাঁড়াবো আমি!
সুবোধ সরকার এর বাংলা প্রেমের কবিতা
৪৯. শক্তিদা-কে
তুমি তো আমাকে রাস্তায় গেছ ফেলে
ফিরবে বলেছ, কই আর ফিরে এলে?
তুমি তো আমাকে
করে গেছ খান খান
ভালই লাগে না
আহার নিদ্রা স্নান।
তোমার জামায়
আজও লেগে আছে টিপ।
খুঁজেছি , পাইনি
তোমার মতন একটা প্রবাল দ্বীপ।
৫০. ততদিন
ততদিন
যতদিন আমার হাতে
সকাল সাতটায়
সূর্যের
আলো এসে পড়বে
আমি ততদিন তোমাকে ভালবাসব।
কিন্তু তার আগে আজ আমার মুখ
তোমার মুখে চেপে ধরে
বাকি কথা বন্ধ করে দাও।
আমি যেন
কথা বলার সুযোগ না পাই।
৫১. ছেলেটা আজ তার মা-কে বলছে
আরও উঁচুতে উঠতে চেয়েছিলাম।
তারার কাছে থাকতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু সে কী হয়?
জীবন মানে আতঙ্কের সবুজ কনভয় ।
তোমায় ভালবাসতে চেয়েছিলাম
উঁচু বাড়িতে থাকতে চেয়েছিলাম ।
এত উঁচুতে চাইনি উঠে আসতে
আমাকে যদি আর একটু ভালবাসতে ।
৫২. সোনা
তোমার কাছে ঋণী
তোমার মতো আগুন আমি
আর দেখিনি।
তোমার মতো জ্বালিয়ে দিয়ে
কেউ তো জ্বলে না
তোমার মতো নেভাতে এসে
কেউ তো নেভে না।
এমন করে, এমন করে, এমন করে
ভালবাসতে
কেউ তো পারে না।
এমন করে, এমন করে , এমন করে
মেরে ফেলতে কেউ তো পারে না।
৫৩. আবির
তোমাকে আমি আবির দিয়ে জেলে যেতেও পারি
ভালবাসার জন্য আমি ভাঙতে পারি জেল।
ভালবাসার স্কুলে আমরা ভর্তি হয়েছিলাম
আমরা কেউ পাশ করিনি, স্কুলে সবাই ফেল।
ভালবাসার জন্য আমি ভিখিরি হতে পারি
ভালবাসার জন্য আমি হতেও পারি খুন
সীমান্তকে ভয় করি না, ভালবাসাই ভিসা
বড় হতে তো টাকা লাগে না, লাগে তো ফাল্গুন।
ভালবাসলে ভালবাসাই আবির হয়ে যায়
উজাড় করে আমরা তাই আবির মাখি গায়।
৫৪. একজন টেররিস্টের চিঠি | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
প্রিয়তমাসু
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
আমি তিনদিন খাইনি। কেউ কোনও খাবার দিয়ে যায়নি।
কী করে দেবে? গুহার বাইরে প্রচন্ড বরফ পড়ছে।
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
যে কোনও দিন আমি গুলিতে মারা যাব। যে কোনও দিন
তুমি টিভির পর্দায় আমার মুখ দেখতে পাবে।আমি
গুহার ভেতর সারারাত কম্পিউটরের সামনে বসে। কতদিন
আমি বকুল ফুলের গন্ধ পাইনি। কতদিন আমি গরম রুটি
খাইনি। কতদিন আমি তোমার ঘাসে হাত দিইনি।
কালো ঘাস। আঃ! ভাবলেই চে গুয়েভারা ছুটে বেড়ায়
শরীরে। স্টালিনকে হাতের মুঠোয় ধরে বসে থাকি।
তার মুখ দিয়ে গরম বেরিয়ে আসে। আঃ, গরম।
আমার স্টালিন ভালো আছে। তোমার সাইবেরিয়া?
হা,হা,হা… এখানে কেউ আমার জন্মদিন কবে
জানে না।
আমি পড়াশুনায় ভাল ছিলাম। অধ্যাপক বাবার ছেলে।
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
কম্পিউটরে আমার চাইতে কেউ ভাল ছিলনা। আজ আমি
গুহায় বসে আছি।কিন্তু কেন? প্রিয়তমাসু,মাই লাভ,তুমি
এর উত্তর পাবে যদি অত্যাচারের ইতিহাস পড়ো। কত হাজার
কোটি ডলার খরচ করে ওরা গরিবকে আরও গরিব
করে চলেছে। ১১ বছরের একটি
বালককে একটি পাউরুটি কিনে দিয়ে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম,
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
তোর কি হয়েছে রে? সে গোগ্রাসে পাউরুটি কামড়
দিয়ে বলেছিলঃ আমার বাবা-মাকে ওরা পুড়িয়ে
দিয়েছে,জ্যান্ত। ছেলেটা খেতে খেতে কর গুনছিল,
বাবা-মা, দুই ভাই, তিন বোন…এক,দুই,তিন,চার,পাঁচ…
হ্যাঁ, এগারো জন। ছেলেটার নাম বলব না। কে খোঁজো।
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
আজীবন
খুঁজে যাও।
প্রিয়তমা, আমাকে আর বেশি দিন ওরা বাঁচিয়ে রাখবেনা।
তার আগেই আমি ওদের দু’দুটো ঘাঁটি উড়িয়ে দেব।
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
ওদেরতো পুরোপুরি উড়িয়ে দেয়া যায়না, ওরা
আবার জন্মায়, আবার গনতন্ত্র বানায়, আবার পার্লামেন্টে
যায়।আবার প্রেস মিট করে। একটা সত্যি কথা লিখি,
ওরা গনতন্ত্র দিয়ে যা করায়, আমরাও AK-47 কে,
দিয়ে তাই তাই করাই। ওদেরটা দোষ নয়, আমাদেরটা দোষ।
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
আমি মারা যাব। তার আগে একবার, যদি
একবার তোমাকে দেখতে পেতাম। তোমার হাত ধরতে
পারতাম।যদি একবার তোমার ভেতরে ঢুকতে পারতাম, যেভাবে
বরফ ঢোকে গুহায়,যেভাবে শিকড় ঢোকে পাথরে,যেভাবে
ভাইরাস ঢোকে কম্পিউটরে।
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
আজ আমি একজন টেররিস্ট। হয়তো এটাই আমার শেষ চিঠি।
বলতো,কেন আমার মত ছেলে টেররিস্ট হবে?
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
কেন আমি ঘর-বাড়ি ছেড়ে,মায়ের হাতের খাবার ছেড়ে,
ভাল চাকরী ছেড়ে;গুহার জীবন,জঙ্গলের জীবন,
বরফের জীবন বেছে নিলাম?
আমি মাতাল হতে পারতাম।লম্পট হতে পারতাম। একজন
মাতালকে মেনে নেয় সমাজ। একজন লম্পটকে মেনে নেয় রাষ্ট্র।
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
একজন মাফিয়া বিধায়ককে মেনে নেয় এসেম্বলি। কিন্তু
একজন টেররিস্টকে মেনে নেয়া যায়না।
কতদিন তোমার স্নান করা চুলের গন্ধ পাইনি।
চোখ ভরে আসে জলে। পাউরুটি খাওয়া শেষ করে
১১ বছরের ছেলেটি বলেছিল,আর আছে? আমি আর
একটা পাউরুটি কিনে দিয়ে বলেছিলাম; শোন্ তুই বড় হয়ে
কী করবি? সে বলেছিলঃ বদলা নেব।
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
ছেলেটার মুখ ভেসে ওঠে যেই মনে হয় আমার সামনে
অনেক অনেক কাজ। অনেকগুলো খারাপ কাজ। ভুল
বললাম,অনেক,অনেক,ভালো কাজ।
আমাকে ক্ষমা করো। মা’কে একবার দেখে এসো। বোকা মেয়েটা
আমার মা হয়ে কোনও অন্যায় করেনি।
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
ইতি-
কোন নাম নেই
পুনশ্চঃ আমি মরে গেলে, আমাকে তুমি ‘আকাশ’ বলে ডেকো।
তসলিমা নাসরিন এর বাংলা ভালোবাসার কবিতা
৫৫. এ প্রেম নয় | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
সারাক্ষণ তোমাকে মনে পড়ে
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
তোমাকে সারাক্ষণ মনে পড়ে
মনে পড়ে সারাক্ষণ।
তুমি বলবে আমি ভালোবাসি তোমাকে, তাই।
কিন্তু এর নাম কি ভালোবাসা?
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
নিতান্তই ভালোবাসা? যে ভালোবাসা হাটে মাঠে না চাইতেই মেলে!
ভালো তো আমি বাসিই কত কাউকে, এরকম তো মরে যাই মরে যাই লাগে না!
এ নিশ্চয় ভালোবাসার চেয়ে বেশি কিছু, বড় কিছু।
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
তোমার কথাগুলো, হাসিগুলো আমাকে এত উষ্ণ করে তোলে যেন হিমাগারে শুয়ে থাকা আমি চোখ খুলছি, শ্বাস নিচ্ছি।
বলবে, আমি প্রেমে পড়েছি তোমার।
কিন্তু প্রেমে তো জীবনে আমি কতই পড়েছি,
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
কই কখনও তো মনে হয়নি কারও শুধু কথা শুনেই, হাসি শুনেই বাকি জীবন সুখে কাটিয়ে দেব, আর কিছুর দরকার নেই!
এ নিশ্চয়ই প্রেম নয়, এ প্রেম নয়, এ প্রেমের চেয়ে বড় কিছু, বেশি কিছু।
লতিফুল ইসলাম শিবলী এর ভালোবাসার কবিতা এস এম এস
৫৬.
' তোমাদের ঘৃণা তোমাদের ভালোবাসায় আমার কিছুই আসে যায় না। তোমরা মনে রেখ, যে আল্লাহ’র শত্রু সে আমারও শত্রু, যে আল্লাহ’র বন্ধু শুধুমাত্র সেইই আমার বন্ধু, এছাড়া আমার আর কোন সম্পর্ক নেই '.. .
৫৭. ইস! আমার সাথে ইয়ার্কি | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
বলা নাই, কওয়া নাই
আকাশের প্যারেড গ্রাউন্ডে
এক রেজিমেন্ট বৃষ্টির হঠাৎ কুজকাওয়াজ
হার্টবিটের তালে পা ফেলে ভয়ে ভয়ে
এগিয়ে আসছে তোমার বাগানের দিকে,
কোনো মানে হয়!
জলের ঝাঝর ফেলে কটিবদ্ধ দুই হাত
বিরক্তি চোখে ঘাড় উঁচিয়ে দেখছো
অবাধ্য বালকের তুমুল দুষ্টমি,
প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাজকীয় কোনো অতিথি নয়
যেন অভিজ্ঞ জেনারেল তুমি
বৃষ্টির বুকে মেঘের গুরুগম্ভীর ভয়
যদি তুমি ধমকে দাও,
তবুও প্রবল ভীরু স্পর্ধায় মাড়িয়ে দিচ্ছে
তোমার ভালবাসার বাগান
আছড়ে পড়ছে নিজ হাতে ফোটানো গোলাপের পাপড়ির উপর।
তুমি রেগে গিয়ে বললে 'অসহ্য'
নিমেষে ছত্রীসেনার মতো বৃষ্টি লুকিয়ে পড়ল
তোমার ঝাঝরের জলের আনাচে-কানাচে,
তোমার বিশ্বজয়ী মুখের রঙধনু হাসিতে
অহংকারী স্টেটমেন্ট----
ইস! আমার সাথে ইয়ার্কি।
৫৮. তোমাকে পড়ার ভাষা
তুমি কি যে এক কিতাব !
পড়া যায় না,
শুধু পাতা উল্টাই আর পাতা উল্টাই ……
তোমাকে পড়ার ভাষা খুঁজতে যাই রোজ-
পাখির কাছে, ফুলের কাছে, শিশিরের কাছে, প্রজাপতির কাছে
ঝিঝি ও নৈশব্দের কাছে ,
কেউ জানে না সেই ভাষার খোঁজ।
একদিন এক দমকা বাতাস
ফরফর করে পুরা কিতাব পড়ে শুধু জানিয়ে গেল,
‘এ কিতাব ধারন করে আছে এক গুপ্তধনের সঙ্কেত’।
তারপর থেকে আমি
আন্দামান থেকে আন্দালুস-
কত নগর বন্দর জনপথ, অতিক্রম করে গেছি,
পালতোলা জাহাজের মাস্তুলে পা ঝুলিয়ে
অ্যালবাট্রসের সাথে গল্পে গল্পে শিখে ফেলেছি তারও ভাষা।
তোমাকে পড়ার নেশায়
কখনো হাতে নিয়েছি তীক্ষ্ণ ছুরি
কখনো গোলাপ,
কেউ বলেছে লোভী ট্রেজার হান্টার
কেউ বলেছে পাগল প্রেমিক,
এ নেশায় এমনই বেহাল....
একদিন স্বপ্নে দেখা দিলেন বলখের জালালুদ্দিন রুমি,
বুকে টোকা মেরে বললেন- ‘হৃদয় নিয়ে ঘুরছ অথচ শেখনি হৃদয়ের ভাষা !
সেই থেকে শিখছি হৃদয়ের ভাষা
একদিন তোমাকে ঠিকই পড়ে ফেলব।
জুয়েল আদীব এর ভালোবাসার কবিতা ও ছন্দ
৫৯.
এই রুপালি গিটার ফেলে
একদিন চলে যাব দূরে, বহু দূরে
সেদিন চোখের অশ্রু তুমি রেখো
গোপন করে।
মনে রেখো তুমি
কত রাত কত দিন
শুনিয়েছি গান আমি, ক্লান্তিবিহীন
অধরে তোমার ফোটাতে হাসি
চলে গেছি শুধু
সুর থেকে কত সুরে
৬০. বিয়োগান্ত অতীত
তুমি খুবই আশ্চর্য হয়ে পড়লে-
'তোমাকে এখনও মনে পড়ে' বলায়,
সত্যিই কি অবাক হয়েছো এ কথায়
নাকি বুকের ধুকপুকানি আড়াল করলে।
কেউ কি নিজ মনের কথা ভুলতে পারে,
নাকি কারও মনের প্রকাশ ভোলা যায়?
ভুলে থাকা যায় হয়তো অনেক কিছু
ভুলেও ভোলা যায় না মনে রাখা কিছু।
পথের ধুলো উড়ে যায় ঝড়ো বাতাসে
পথিকের পায়ে লেগে থাকে চিহ্নটুকু,
রাতের তারা দিনের আলোয় অস্তিত্বহীন
তবু বিশ্বাসে বেঁচে থাকে নিঃসীম আকাশে।
তোমার নির্বাক চাইনি বলে দেয়
আশ্চর্যের অন্তরালে এখনও আছে
তোমার-আমার বিয়োগান্ত অতীত
সংক্ষিপ্ত হলেও নিরন্তর অনুভবের।
৬১. পুরনো চিঠি
পুরনো কাগজপত্রের একটি খাকি খাম
ব্যক্তিগত স্মৃতির কিছু টুকরো সরঞ্জাম
একটি ছেঁড়া খাম, হলুদ খামে প্রিয় নাম
একটি ভাঁজ করা চিঠি, প্রীতির আঞ্জাম
খুলতে গিয়ে ঝরে পড়লো অবমুক্ত মণি
শুকিয়ে যাওয়া গোলাপ পাপড়ির খনি
ভালোবাসা হাত বাড়িয়ে হয়েছে ঘরণী
রেখে গেছে অনন্ত প্রেমের মর্মর ধ্বণি।
পৃষ্ঠাজুড়ে একগুচ্ছ ভালোবাসা বর্ণজট
কৃষ্ণাক্ষরে তৈরি এক সোনালি প্রেমতট
কত হিমায়িতক্ষণ লেপ্টে আছে অকপট
পুরনো চিঠি পষ্ট করে ধুসরিত স্মৃতিপট।
৬২. বরং তুমিই শক্তিধর | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
বরং তুমিই শক্তিধর
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
তুমি যদি বিছিয়ে দাও তোমার আঁচল
আমি পেরুতে পারবো না তোমার দৃষ্টিসীমা
তোমার চোখে থাকলে অনুমতির স্বাক্ষর
স্ফীত বক্ষে যদি থাকে আহ্বানের শব্দ
তবে সহসা আছড়ে পড়বো তোমাতে
কারণ তোমার শক্তির সম্বোহনে
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
আমি পরাজিত নেশাগ্রস্ত।
তারপরও আমি পুরুষ
তা স্বীকার করতে হবে পৃথিবীর
তাবৎ কমনীয় রমণীকে
আমার পৌরুষদীপ্ততা প্রতিটি নারীর
স্মরণে-মরমে একান্ত অন্বেষা
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
এখানেই আমাদের শক্তি তাদের মাঝে
সম্মিলনে সংগোপনে সঞ্চারিত।
তুমি বসরাই গোলাপ হতে পারো
আমি তবু মরু সাইমুম ঝড়
আমাতে আছে রুক্ষ স্বভাব
তোমাতে শুধু নরোম পাপড়ি।
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
তবুও তুমিই শক্তিধর
কারণ ভালোবাসা তোমাকে করেছে উর্বর।
৬৩.
হাত বাড়ালে ছুঁতে পারি
তবু মন বাড়িয়ে ছুঁই
মনের কথা কেমনে বলি
কেমন আছিস তুই?
৬৪. করোনাময় জীবন
প্রয়োজনে সবার সাথে
আছি প্রিয়জনের পাশে,
নেই ভয় দিন কি রাতে
যারা মানুষ ভালোবাসে।
প্রার্থনা করি প্রতিদিন
ফিরে যাক এ করোনা
ঘুচে যাক সঙ্গনিরোধ
দূরে যাবো, কখনো না।
আহা! কেউ কারও নয়।
এ জীবনের বড় বিস্ময়!
৬৫. প্রিয়মুখ | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
প্রিয়মুখ,
তোমার পত্র পেলাম। তবে চিঠির ভাষা একটুও বুঝতে পারিনি। অধিকার নেই ঠিকই। যদি অনধিকার চর্চা কিছু হয়ে থাকে- তবে ক্ষমা করে দিও। ...এক বড় দীর্ঘশ্বাস নিয়েই হয়তো একদিন নীরব হয়ে যাবো। তোমাদের তবু ব্যথা দেবো না।
চিঠি পড়ে বুঝলাম, অনেকটা সুখেই আছো। দোয়া করি আরও সুখী হও। প্রয়োজনে... যেভাবে সবাইকে ভুলে যাচ্ছো... একদিন আমাকে ভুলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে হয়তো। তবে সিদ্ধান্তটুকুন জানালে প্রীত হবো।
আজ আর বেশি কিছু লিখবো না... শুধু...
অনেক রজনী পেরিয়ে এলো সুন্দর ভোর
অনেক সিঁড়ি পেরিয়ে এক চিলতে করিডোর
কার অন্বেষায় আজ এখানে
কী খুঁজি, কারে খুঁজি সবখানে
বন্ধু তোমাদের, শুধু তোমাদের।
কার কাছে রেখেছিলাম মোর হৃদয়
কার মুখ এঁকেছিলাম মোর হৃদয়ে
সে কি এখানে আজ এসেছে সলাজ
দেখবো কি তার দেহ কারুকাজ?
কোথায় সেই হারানো মুখ
কোথা হারালো সোনাঝরা দিন
আজ শুধু উদাস চোখে চেয়ে থাকা।
আজ এই গোধূলী লগনে
কারে মনে পড়ে ক্ষণে ক্ষণে
নরম মেঘের শুভ্রতা শারদ গগনে
কার মুখ উঁকি মারে মনে মনে।
প্রিয় অতীত, প্রিয় ভালোবাসা
প্রিয়মুখ, প্রিয় সব আশা।
তাসমিয়া শান্তা এর রোমান্টিক ভালোবাসার কবিতা | love poems bangla
৬৬. দ্বিধা
এমন এক ঘোর লাগা রাতে ঠিক বুঝিয়ে দেবো,
বুঝিয়ে দেবো তোমাকে, ভালোবাসার তীব্রতা!
অথবা,
কেমন করে,
বুকের ঠিক কোনখানে তোমাকে রাখি।
আমি না বুঝাতে পারলেও,
একদিন তুমি ঠিক জেনে যাবে
আমার হিমোগ্লোবিনের প্রত্যেকটা কণিকার সাথে তুমি কেমন কতে মিশে আছো।
আমার প্রতিটি হৃদস্পন্দন কতটা আকুলতা নিয়ে তোমাকে চায়।
একদিন তুমি ঠিক জেনে যাবে,
জেনে যাবে,
কতটা বিশুদ্ধ এসব চাওয়া।
৬৭. সে তাকালো না | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
আমি তার সাথে হেঁটেছি
মাইলের পর মাইল রাস্তা;
মাঠের পর মাঠ পাড়ি দিয়েছি
শুকনো ঢিল, কাদাজলে পা ডুবিয়ে।
এবড়োথেবড়ো আ'লপথ ধরে অনভিজ্ঞ পায়ে
বিজ্ঞের মতোন হেঁটে গেছি--
একটাই আশায়,
সে একবার মনের চোখ দিয়ে আমার দিকে তাকাবে;
একদম সোজা, আমার চোখের দিকে।
এত হাঁটলাম, এত কাদাপুকুর পেরিয়ে এলাম
তবু সে আমার দিকে তাকালো না।
আমি বরাবরের মতো ব্যর্থ হলাম।
মার দৃঢ় বিশ্বাস, সে একবার সোজা আমার দিকে,
একটু মন খুলে তাকালেই
তার দৃষ্টি বুক থেকে সরে গিয়ে চোখে আটকাবে!
এ চোখে তার জন্য যে কত প্রেম জমিয়েছি,
একবার দেখতে পেলেই সে জন্মের মতো আঁকড়ে ধরবে আমাকে---
এ আমার মন বলছে।
এত প্রেম উপেক্ষা করার শক্তি ঈশ্বর কোনো মানুষকে দেয়নি।
হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে মাঝপথে বারদুয়েক
ঘাস আর বটগাছের গুড়িতে ঠেস দিয়ে বসে পড়েছিলাম।
ওই খানিক বসাতেই, তারা আমার দুঃখ বুঝলো;
করুণাভরে তাকিয়ে রইলো মার দিকে।
সমবেদনার সুরে আক্ষেপ করে বলল, 'আহারে মেয়ে!'
তবু সে বুঝলো না! সে আমার চোখের দিকে তাকালো না একবার!
অপূর্ব ঘোষ এর সেরা ভালবাসার কবিতা
৬৮. সন্ধিক্ষন
হৃদয়ে উত্তাপ বাড়ছে।
টগবগিয়ে ফুটছে প্রেম,
তার কিছুটা বাষ্প হয়ে উড়েও যাচ্ছে।
বাষ্পীভূত প্রেম আটকে দেবো কলমের নিবে্
লিখব একটা পরিশ্রুত কবিতা,
ঠিক লিবিগ কনডেন্সারের পরিশ্রুত জলের মতন।
কলম খুলে বসে আছি সেই অনেকক্ষণ,
এখন শুধু তোমার কড়া নাড়তে বাকি।
৬৯. আবার নষ্ট হব
টেলিপ্যাথি বিশ্বাস কর?
আমার হৃদয়ের কথা কি ধরা পড়ে তোমার মনের বেতারে?
তবে তো জেনেই গেছ সব,
শুনেও ফেলেছ সেই আদিম আহ্বান--
চল না, আবার দুজনে নষ্ট হই।
আমাদের নষ্টামীর সাক্ষী করি সন্ধ্যেতারাকে।
নষ্টামীর কারুকাজে সাজিয়ে তুলি
আমাদের কষ্টের মরুভূমি।
এত ভাবছ কী?
-- "লোকে দেখবে "
-- " কলঙ্ক দেবে " এইসব?
দেখুক না লোকে, দিক না কলঙ্ক
তোমার আমার তাতে বয়েই যাবে।
আমরাতো রইব আমাদের নষ্ট স্বর্গে
আর গাইব গান,
নষ্ট হয়ে কষ্টকে জয় করার গান।
চলে এসো, আমি দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে।
৭০. অভিপ্রায়
তোমার প্রশ্বাসে অক্সিজেন হয়ে
পৌছাতে চাই তোমার ফুসফুসে।
অ্যালভিওলাসে গিয়ে প্রেম হয়ে মিশতে চাই
প্রতিটি রক্ত কণিকায়।
নরম তোয়ালে হয়ে স্নানের পর
জড়িয়ে ধরতে চাই তোমার ভেজা শরীরে
ছোট্ট একটা আয়না হয়ে
ঢুকে যেতে চাই তোমার ভ্যানিটি ব্যাগে।
তোমার হাতের কলম হতে চাই,
আনমনে যে আলতো বাড়ি দেয়
তোমার নরম ঠোঁটে;
লেখার শেষে যাকে গুঁজে রাখ
তোমার বুকে গর্বিত গম্বুজ মাঝে।
এত ভাবছ কী?
বলে দাও 'ভালোবাসি'
আমি সহস্র প্রজাপতি হয়ে
রাঙিয়ে দেব তোমার ক্লান্ত বিকেল।
৭১. স্বর্গনাশী সমর | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
স্বর্গবাসী ঈশ্বর;
কোন স্পর্ধায় তোমার স্বর্গ
আমার পথের মাঝে রেখেছ?
তোমার কি জানা নেই--
এই পথে হেঁটেই
আমি ভালোবাসার মন্দিরে যাই।
সে মন্দির থেকে বিতাড়িত তুমি;
তাই বলে কোন সাহসে
আমার পথ আগলে দাঁড়াও?
তড়িৎ ডেকে পাঠাও অসুর সেনাপতিকে,
তৈরি কর বিপুল সৈন্য সমাবেশ।
শুধু তোমার দেবসেনারা
আমার মোকাবিলায় আজ তুচ্ছ।
যে আমি বুকে প্রেমের বর্ম আর
মাথায় সাদা কাফন বেঁধেছি,
সে তোমাদের সবার শত্রু-- কি দেবতা,
কি অসুর।
উন্মাদের মত লড়ে ঐ স্বর্গরাজ্যে
আজ আমি আগুন ধরাব।
দেবতার লাশের উপর দিয়ে হেঁটে
স্বর্গ পেরিয়ে
আমি ঠিকই পৌছে যাব
ভালোবাসার মন্দিরে।
আমাকে সেথায় পৌছুতেই হবে;
ভালোবাসার দেবীকে কথা দিয়েছি---
তাঁকে আজ সিঁদুর পরাব।
জান্নাতুন নুর দিশা এর রোমান্টিক প্রেমের কবিতা
৭২.
তুমি আমার অন্ধকার হবে?
আমার নির্ভরযোগ্য গোপনীয়তা
হবে?
৭৩. ছেলেটা প্রেমিক হতে চেয়েছিল
একুশে ফেলেটা কবিতা লিখত প্রেমের,
তেইশে কবিতায় এসেছিল না হয় কাম।
তোমরা অমনি বললে ছেলে খারাপ!
অথচ সে প্রেমিক হতে চেয়েছিল এ সংসারে
তোমরা চাইলে সে খচ্চর হোক, ভার টারবাহী।
পঁচিশে সে দেখল জগৎ ভীষণ প্রেমিকাহীন,
এখানে নারী মানে ভার, পুরুষ ভারবাহী।
এখানে নারীরা সহজে প্রেমিকা হয়ে ওঠে না।
ছেলেটা অতটা খারাপও ছিল না, যতটা তোমরা ভাবতে।
সাতাশে এ প্রেমিকা পেয়েছিল, ছেড়ে গিয়েছে আটাশেই।
ঊনত্রিশে কবিতারা হয়ে গেল ধোঁয়া,
হাতে জ্বলন্ত সিগারেট।
তোমরা বললে গোল্লায় গেছে।
অথচ ছেলেটা প্রেমিক হতে চেয়েছিল প্রেমহীন সংসারে,
তোমরা চাইতে সে খচ্চর হোক, ভারবাহী।
ত্রিশে সে তাই হলো তোমাদের চাওয়া রাখতে।
অতটা ও তো খারাপ ছিল না যতটা তোমরা ভাবতে।
৭৪. কেবল তুমি | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
আমি উত্তাল সমুদ্রের মতো ভেঙে ফেলতে চাই সমস্ত শৃঙখল।
অথচ তুমি!
সৌম্য সুশান্ত তুমি আমার দিকে তাকিয়ে প্রশান্তির হাসি হাসো।
তোমার হাসিতে বিদ্রুপ বেই, আছে প্রচন্ড মমতা।
কী প্রচন্ড যত্নে তুমি আমাকে আগলে রাখো!
আমি প্রতিদিন বিকশিত হই,
আমি আকাশ ছুঁয়ে দিতে দিতে হঠাৎ দেখি
তুমিই আমার আদি এবং একমাত্র আকাশ!
আমি বারেবারে তোমাতেই এসে শেষ হই।
আমি সেই ছুটে চলা রেল,
যার সর্বশেষ গন্তব্য কেবল তুমিই!
আমায় ছুটতে দিয়ে তুমি স্থির তাকিয়ে থাকো!
আমি বৃত্তের মতো তোমাকে ঘিরে ঘুরতে থাকি।
পৃথিবীকে প্রেমহীন ভাবতে ভাবতে প্রেমই আমার পৃথিবী হয়ে গেছে।
পুরুষকে প্রবঞ্চক ভাবতে গিয়ে আমি দেখেছি তুমি কেবল প্রেমকই!
তোমাকে স্পর্শ করব বলে আমি ফেলে রেখে আসি
আমার সমস্ত আদিম অহম,
তোমার চিবুকে চাষ করি পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট সুভাসের।
আমি বিদ্রোহী বিনাশী হতে গিয়ে বারেবারে নারী হয়ে যাই,
আগুন নিভে ঝরণা নামে বুকের খাঁচায়, চোখের তারায়।
শুধু তোমার জন্য আমি প্রেমিকা হয়ে যাই।
আমি শেষতক ফুরিয়ে যাই তোমাতে এসে,
আমার বিনির্মাণ হয় তোমার বুকে,
আমি মহাকালের চক্র ঘুরেও
কেবল ফিরে আসি তোমার কাছে।
৭৫. শ্রেষ্ঠত্ব | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
প্রেমিকা হিসেবে আমি তোমার অযোগ্যই ছিলাম।
তোমার সামনে গেলেই
কেমন জড়সড় হয়ে যেতাম, কথা বলতে গিয়ে কেমন যেন
জড়িয়ে যেত।
তোমার পর্বতসম বিশালত্বের সামনে আমি ছিলাম অতি ক্ষুদ্র,
অতি তুচ্ছ।
জানি না, হয়তো আমার সেই নগণ্যতা, সেই অজ্ঞতাকেই
তোমার ভালো লাগত।
নিজেকে উচ্চতায় দেখতে কার না ভালো লাগে!
তুমি যখন বলতে, আমি কেবল মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতাম,
শ্রদ্ধায় আনত হতাম।
তুমি যখন আমার অজ্ঞতাকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করতে,
আমার দু'চোখে জল আসত,
সে জল লুকিয়ে ফেলে ভাবতাম,
এই যে তোমায় পেয়েছি নিজের করে,
এই তো আমার ভাগ্য বটে।
মানুষ যেমন যত্ন করে আগলে রাখে রত্নাকর,
তার চেয়েও অধিক যত্নে পুষতাম প্রেম তোমার জন্য,
নিয়ম করে যত্ন নিতাম তোমার মনের,
শত ভুলের করেছ ক্ষমা,
শত প্রেমের দিচ্ছ অল্প দাম।
কমটা কিসের?
গর্ব হতো।
এমন জ্ঞানী প্রেমিক আমার, তার প্রেমিকা
কথা কি আর চাট্টিখানি?
জানবে লোকে, তুমি আমার।
স্বপ্নঘোরে জাল বুনতাম।
তারপর,
একদিন তুমি বললে ডেকে,
শুনছ বালা, আমি কোথায়, কোথায় তুমি?
জগৎজুড়ে লোকে আমায় দিচ্ছে মান,
তোমায় লোকে কত'টা চেনে?
আদৌ কি আর যোগ্য তুমি এই প্রেমিকের, নিজেই ভাবো?
মেনেই নিলাম।
ভেবেই নিলাম, যোগ্য হব।
সব সাধনা এক করে আজ তোমার আমি যোগ্য হলাম।
কিন্ত একি!
যতই তোমার যোগ্য হলাম,
ততই তুমি ভাঙলে কেবল আমার চোখে।
যেই তোমাকে মনে হতো বিশালতা পর্বতেরই,
সেই পর্বত প্রতিদিনই একটু একটু করে হলো ছোট,
একটা করে ধূলিকণা পড়ল নিচে।
বড় থেকে প্রতিদিনই অল্প করে নামলে নিচে আমার চোখে,
চোখটা যত খুলল আমার,
তুমি হলে খুব সাধারণ, এখন তো আর
আগের মতো মুগ্ধতা আর পাই না খুঁজে।
তোমার যত বিশালতা, সব'টা কি ভুলই ছিল?
জাগল প্রশ্ন নিজের বোধে।
তুমি এখন খুব সাধারণ,
খুব সাধারণ আমার চোখে।
তোমার হেলায় আমি তোমার যোগ্য হবার শপথ নিয়ে,
দেখো আজ যোগ্য হলাম।
তুমি ক্রমেই আমার চোখে হারালে সব শ্রেষ্ঠত্ব,
আমার প্রেমিক হবার তুমি ভীষণ রকম অযোগ্য।
৭৬. আশ্রিতা | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
হাত ধরে তোমার ঘরের চৌকাঠ মাড়িয়ে ভেতরে আসতে
তুমি বলে দিলে--
'ওটা আমার আলমারি। তুমি ধরবে না যেন!'
বললাম, 'কেন?'
'ওখানে আমার দুঃখদের ভাঁজ করে রেখেছি।
ওসব আমার একান্ত গোপন। কাউকে ছুঁতে দেই না।'
আমি আরেক পা এগিয়ে যেতেই থামিয়ে দিয়ে বললে, 'ওদিকে কোথা
যাও? ওটা আমার পড়ার টেবিলে। ওখানে সাজানো আছে আমার
নীরবতারা। ওদের এলোমেলো করো না। যেও না ওদিকে।'
আমি থেমে গেলাম। খানিক বোধ হয় চুপসেও গেলাম।
ডানপাশটায় বিছানা তোমার। গিয়ে বসব এমন সময় বললে, 'এই যে বিছানা, এখানে আমার শত বছরের কান্নারা ঘুমিয়ে আছে। ওদের যেন
জাগিয়ে দিও না।'
আমি সরে এলাম। জানালার পাশটায় গিয়ে দাঁড়ালাম। ততক্ষণে আমার
লাল বেনারসি ঘিরে রাজ্যের ক্লান্তি।
'এই যে জানালা দেখছ? গ্রিল ধরে কতকাল দেখেছি আঁধার এখানটায়।
আমার সব বিষণ্ণতা এখানটায় থাকে। তুমি এখানে দাঁড়িও না।'
চকিতে সরে গেলাম। 'বারান্দায় যাই?'
'না যেও না। ওখানে স্মৃতিরা দোল খাচ্ছে দোলনায়। ওদেরকে ওদের
মত থাকতে দাও।'
ভেবেছিলাম সম্রাজ্ঞী হয়ে এসেছি তোমার জীবনে। তুমি আমায় ঘোষণা
করলে অনাহূত। ভাগ দিলে না কিছুরই।
আমি এসেছিলাম তোমাকে প্রশ্বাস দিতে। অথচ তুমি ক্রম ক্ষয়িষ্ণু,
ভাঙনের গান তোমার নিশ্চুপ বুকে।
আমি তোমার দিকে এগিয়ে যেতে গিয়ে দেখি কী ভীষণ ভারী প্রতি
পদক্ষেপ!
যেন হাজার বছর পেরিয়ে তোমার বুকের কাছে এসে জানতে চাইলাম,
'এই বুকে কি অধিকার আছে আমার?'
'আমি তো বিস্তীর্ণ একাকিত্বকে দিয়ে দিয়েছি এ বুকের মালিকানা।
তোমায় কি করে দেই বলো?'
নিজেকে মনে হলো ভিখিরিনী। তারপর আরো অনেক অনেক দিন আমি
রয়ে গেলাম তোমার কাছে।
তুমি রয়ে গেলে তোমার অতীতের কাছে।
লোকে জানল তোমার প্রেমিকা আমি।
আমি জানলাম, তোমার আর তোমার গ্লানির সংসারে আমি কেবল আশ্রিতা।
রাকিবুল হায়দার এর অসম্ভব সুন্দর প্রেমের কবিতা
৭৭.
ভালোবাসা যেনো চাঁদের জীবনচক্র,
ক্রমে ক্রমে ফুরায়ে যায়,
আবার ফিরে এসে আলোতে ভাসিয়ে নেয়-
হৃদয়ের আত্মহত্যাপ্রবণ অঞ্চল!
৭৮.
তোমাকে ভুলে যাওয়াটাই বরং ভালো ছিলো,
তোমাকে ভুলে গেলে-
তুমি ভালো থাকতে, আমি ভালো থাকতাম...
বাতাস ভালো থাকতো,
মদের গন্ধে তাকে এতোটা ডুবে যেতে হতোনা!
৭৯. যুক্তি সঙ্গত কারণেই তুমি আমার
তোমাকে অন্যভাবে বলা যেতো ভালবাসি
অন্য কোন উপায়ে সহস্র বার
তাই দীর্ঘ কোন বাক্য নয়,
তোমাকে এক বাক্যেই বলি---
'যুক্তি সঙ্গত কারণেই তুমি আমার'
৮০.
গাঢ় লিপিস্টিকে আঁকা বালিকার ঠোঁটে-----
চুমু খেয়ে নিলো, দুপুরের হঠাৎ বৃষ্টি!
সাদা পাঞ্জাবিতে ডুবে থাকা বালকের দিকে-----
তাকাতে গিয়ে চুরি হয়ে গেছে বালিকার চোখ!
বালিকার মায়ের পরিয়ে দেয়া শাড়িতে-----
সাবধানী পা হেঁটে যায় ফুটপাত ধরে,
নাক বাঁধানো ছোট্ট নাকফুলটাও, নাক কুঁচকে-----
মেনে নেয়, হলদে লাল শাড়ির আড়ষ্ট ভাঁজ।
বালিকার কাঁধের একপাশে জড়ো করে রাখা-----
অবিন্যস্ত চুল এড়িয়ে, বালকের চোখ চলে যায়,
উন্মুক্ত পিঠে! বালকের ঠোঁট অবাধ্য হয়ে ওঠে,
ঐ পিঠে একটা চুম্বন এবং সহস্র অমরাবতীর লোভে!
৮১.
আকাশে উড়িয়ে দিলাম এক লক্ষ গ্যাসবেলুন,
বেঁধে দিলাম চিরকুট! লিখে দিলাম, ভালোবাসি,
তুমি যেখানেই থাকো, কুড়িয়ে নিও সব,
আর যদি একটাও না মেলে তোমার উঠোনে,
তবে জানিও, আমি আবার এক লক্ষ-
চিরুকুটে লিখবো, ভালোবাসি!
আমার মতো, এমন প্রতীক্ষা আর কে জানে!
৮২. প্রিয় সামার ফিন | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
প্রিয় সামার ফিন,
দেখা হবার একষট্টি দিন পেরিয়ে যাবার পর খুব জানতে ইচ্ছে করছে-
তুমি কেমন আছো?
তোমার মনটা এখনো অস্থিরতার কাছে নিজেকে এলোমেলো দেয় কিনা-
জানতে বড় ইচ্ছে করে।
সেদিন যখন তুমি প্রথমবার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিলে আমার,
তোমার শাদা কামিজের প্রলেপ এড়িয়ে চোখ কেড়ে নিচ্ছিলো-
তোমার কালো অন্তর্বাসের ছায়াটুকু,
জানিনা সেদিন ওখানে কোনো শোকদিবস ছিলো কিনা।
তোমার স্লিভলেস কামিজের হাতা,
উন্মুক্ত এক গ্রীবার ছন্দময় কবিতা লিখেছিলো সেদিন।
তুমি জীবনানন্দ দাশ, রুদ্র, আবুল হাসানের গল্প শুনিয়েছিলে আমাকে,
আমি দেখেছিলাম তোমার চোখে কবিতার প্রতি প্রেম,
কবির নাম উচ্চারণে তোমার কেঁপে ওঠা ওষ্ঠ।
আমার কবিতা অথবা আমাকে তুমি উচ্চারণ করোনি একবারও,
নিজেকে তখন বড়বেশি বাতিল মনে হচ্ছিলো,
মনে হচ্ছিলো কবিতার এই উঠোন থেকে আমার নাম কেটে নিয়ে-
মাঝরাতের কোনো ট্রেনে চেপে চুপিচুপি পালিয়ে যাই এই শহর থেকে।
তোমার দামী গাড়ি, তার চাইতেও দামী যাপিত জীবনের কথা ভেবে,
তোমাকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম এক মগ কফির,
অথচ তুমি আমাকে চমকে দিয়ে দু'কাপ চা এর কথা জানালে ওয়েটারকে।
আমি চা ভালোবাসি, তুমি এই কথাটা মনে রেখেছিলে অথবা-
তুমিও আমার মতো এক কাপ চা এ বিনিময়ে বিকিয়ে দিতে পারো অমৃতের পেয়ালা।
মুখোমুখি বসে ঐ এক কাপ চা চুমুক দিয়ে সেদিন-
কি অলৌকিক এক আচরণে তুমি সন্ধ্যা নামিয়ে এনেছিলে।
তারপর হঠাৎ তুমি আমার হাতে হাত রেখে বলেছিলে-
"জানেন, আমি কখনো কোনো কবিকে ছুঁইনি, খুব ইচ্ছে ছিলো,
আজ সেই ইচ্ছেটা পূরন হলো আমার।"
আমি তখন আবার সগর্বে এসে দাঁড়িয়েছিলাম কবিতার উঠোনে,
দখল করে নিয়েছিলাম কবিতার সিংহাসন।
সেদিনের বাকি গল্পগুলো কতবার কবিতায় লিখতে গিয়ে থমকে গেছি,
কাউকে জানাতে ইচ্ছে করেনি আমার হৃদয়ের খুব গোপন কিছু কথা,
ঐ কথাগুলো নাহয় আবার তোমার সাথে দেখা হলে,
স্মৃতি রোমন্থনের নাম করে উচ্চারিত হবে।
একষট্টি দিন পেরিয়ে গেলো সামার ফিন,
একষট্টিটি সন্ধ্যে পেরিয়ে গেলো,
তোমার কি আবার ইচ্ছে করেনা এক নাগরিক কবির সাথে-
এক কাপ চা এর বিনিময়ে আরেকটি সন্ধ্যাকে অলৌকিক করে তুলতে!
আমার কিন্তু খুব ইচ্ছে করে।
প্রিয় সামার ফিন, ভালোই থেকো।
৮৩.
শার্টের কলারে জমে থাকা ঘাম শুকায়,
তোমার উষ্ণ নিঃশ্বাসের তাপে।
তুমি ঠোঁটে আঙ্গুল ছোঁয়ালেই বসন্ত এসে ভর করে,
এই শরীরের প্রতিটি অণুতে অণুতে।
ল্যাবণ্য, তুমি মেঘমালা হতে পার?
আমার উত্তাপের দিনে না হয় বৃষ্টি ঝরালেই।
যদি বৃষ্টি হও, বুকের ভাঁজে তোমাকে রেখে,
ঘাসফড়িং আর সবুজপাতার গল্প শোনাবো।
লাবণ্য, তোমার শরীর যেনো পিয়ানোর রীড!
সেখানে আমার আঙ্গুলের স্পর্শে বেজে উঠে,
পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দরতম এক সুর।
কে যেনো আড়াল থেকে বলে-----
আজ এই বিকেলের জন্য তুমি আমার।
৮৪.
কাল সকালে তোমার দরজায়, আগ্নেয়াস্ত্র নয়,
গোলাপের কলি হাতে দাঁড়াবে একজন খুনে প্রেমিক!
তোমার গলায় পরিয়ে দিবে মাধবীলতার ঘ্রাণ,
তোমার মনের সব দরজা অজানা আত্নঘাতী গ্রেনেডে উড়ে যাবে,
তুমি আয়নায় দেখে নিও, তোমার আত্নসমর্পনণ।
কতগুলো বসন্ত তুমি আঙ্গুলে গুনে নিতে পারো?
কতটা সুখ মুঠোয় পুরে নিতে পারো, দেখা যাক!
পড়তি কৈশোরে তোমার ছাদে যেতে মানা?
জানালায় মুখ গুঁজে আর কতকাল!
প্রজাপতি হয়ে উড়ে যাবার ইচ্ছেটা অনেকদিন হলো-----
চিরকুটে বোনা হয়ে জ্যামিতির বাক্সে পড়ে আছে?
তবে, কাল সকালে সবার চোখ এড়িয়ে দরজায় থেকো,
অতঃপর, খুন হয়ে যেও, যেভাবে তুমি চাও!
৮৫. প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
মনে করা যাক অনেকদিন পর তাদের দেখা হলো,
কফিশপে নিরাপদ দূরত্বে বসে তারা কিছুটা সময় চুপ করে রইলো,
ছাত্রজীবনে মিছিলে-মাইক্রোফোনে স্লোগান দেওয়ার পুরানো অভ্যাসে-
ছেলেটাই হয়তো নীরবতা ভাঙ্গলো,
বললো, মৃন্ময়ী সবশেষে ঐ বুড়ো লোকটাকেই বিয়ে করলো?
মেয়েটাও হয়তো এবার বলবার মতো জুতসই একটা বাক্য খুঁজে পেলো,
বললো, ঐ যে বললে, সবশেষে! সবকিছু শেষ হবার পর ঐতো হয়!
শুভাশিস হাসলো এবার, ফিজিক্সের ঐ ছেলেটা মৃন্ময়ীকে খুব ভালোবাসতো,
আমাদের হলেইতো অ্যালোটমেন্ট ছিলো, রাত-বিরেতে পুকুরের পাড়ে বসে-
মৃন্ময়ীর নাম ধরে চিৎকার করতো, আমরা বলতাম, বিগড়ে গেছে মাথাটা!
জয়িতাও বলতে চাইলো কিছু, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমগুলো এখনো-
তার কাছে নিঃশব্দে চলা ট্রেনের বগি মনে হয়, যেখানে...
জয়িতা এবার আর কোনো বাক্য খুঁজে পেলো না, চুপ করে রইলো!
শুভাশিস তবু টের পেলো সমস্ত কথা, জয়িতা চিরকাল এভাবেই কথা বলে!
ওর নীরবতাটুকুই যেনো স্টেনসিলে সাজানো শব্দমালা, হৃদয়ের উপর-
না রাখলে, তার উপরে হাত না বুলিয়ে দিলে কোনো বাক্য তৈরি হয় না!
তারপর সময় যেনো টেবিল থেকে জুম আউট হয়ে একটু দূরে গিয়ে দাঁড়ায়,
টেবিলে মুখোমুখো বসে থাকে শুভাশিস আর জয়িতা, জয়িতার কপালে তাকালে-
স্পষ্টত অন্য পুরুষের আশির্বাদে মাখা সিঁদুরের রেখা দৃশ্যমান হয়!
দুই মগ কফি শেষ হয়ে যায়, চেয়ার ঠেলে তারা উঠে দাঁড়ায়, তারপর চলে যায়,
কেউ কাউকে ভালোবাসার কথা বলে না, তারা দুজনেই জানে-
ভুল করে যদি আবার কেউ একজন ভালোবাসা শব্দটা উচ্চারণ করে,
সামাজিক লজ্জায় পড়বার ভয়ে আর কখনো এভাবে খুচরো অজুহাতে দেখা হবে না!
৮৬. প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
এরপর দেখা হলে তোমাকে আর যেতে দেবো না,
হঠাৎ একসাথে থাকতে হলে, এই লাগে-সেই লাগে!
হিসেব-নিকেষের এইসব কারসাজি একদম ভুলে যাবো!
তুমি দেখে নিও, এই শহরের কোথাও না কোথাও-
একটা ঘর মিলে যাবে আমাদের দু'জনের জন্য!
প্রথম কদিন মেঝেতে শুয়ে থাকবো তোমার পাশে,
তারপর একটা কাজ যোগাড় করে নেবো, যারা দৈনিক দেবে,
সন্ধ্যায় ফিরে সেখান থেকে কিছু দিয়ে সেদিনের মতো খাবার,
তারপর একে একে কিনে ফেলবো-
রান্নার হাঁড়িকুঁড়ি, শোবার জন্য বালিশ-তোষক আর-
আমাদের সুখগুলো জমানোর জন্য একটা সস্তার আলমারি!
ঐ একটা ঘরেই শুরু করবো জীবন, বাড়াবো বয়স ভালোবাসার!
মোড়ের হকারের সাথে খাতির জমিয়ে, প্রতি সন্ধ্যায়-
থেকে চেয়ে আনবো দৈনিক পত্রিকা আর কিছু খুচরো ম্যাগাজিন,
ওটাতেই দেখে নেবো পৃথিবী, যেটুকু বাকি থাকবে, মাঝে মাঝে-
দু'জন মিলে ঘুরে আসবো চায়ের দোকান, দুই কাপ চা হাতে নিয়ে-
অলস বসে থাকবো সিনেমার শেষ দৃশ্য পর্যন্ত!
তোমার জন্য কিষানী যে শাড়ি পরে, সেই শাড়িই নাহয় আনবো,
আমিও তখন সুখী মানুষের জামা গায়ে, তোমাকে ছুঁয়ে থাকবো!
দরকারে একটা শাড়ি আর একটা পাঞ্জাবী তুলে রেখে দেবো আলমারিতে,
মাসে মাসে উপলক্ষ্য এলে, আমরা নাহয় ওতেই কাটিয়ে দেবো!
তারপর কি হবে জানি না, জানতেও চাই না কিছুতেই,
রোজ রোজ তোমাকে এভাবে বিদায় জানানোটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে,
এরপর দেখা হলে তোমাকে আর যেতে দেবো না,
আমরা এই শহরেই কোথাও আমাদের ঘর বানিয়ে নেবো,
তারপর তোমাকে জড়িয়ে অনন্তকাল শুয়ে থাকবো ভালোবাসায়!
ফাহিম হাসান এর বাংলা প্রেমের কবিতা | love poems bangla
৮৭. বোকা ভাল্লুকের ডায়েরি | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
প্রিয় ভাবওয়ালী,
চিঠি পেয়ে সিউর হালকা ধাক্কা খাবি,
হুট করে তোর লাইফ থেকে উধাও হয়ে গেলাম, কিছু না বলে।
আমার কি দোষ বল,
তুই তো আমাকে ছাড়াই সুখি হতে চেয়েছিলি।
আমি তো তোর মত আয়রন লেডি না,
তাই পালিয়ে গেলাম এই দেশ ছেড়ে।
হয়তো না ফেরার দেশে।
আরে ভয় পাস না,
আমি ওই দেবদাসের মত গাধা নই,
এত সহজে হাল ছাড়বো না,
কর্কট রোগে ধরেছে,
আস্তে আস্তে পুরো শরীরে ছড়িয়ে যাচ্ছে সংগোপনে,
ব্যাপার না, এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
আর খুঁজিস না আমায়।
কেউ জানে না, তার আগেই বিদেশ পালিয়েছি।
তুই বলতি, মিথ্যা কথা বলবেন না, আয়ু কমে যায়।
হাসতাম শুনে।
আয়ু আসলেই কমছে অনেক অনেক অনেক...
তোর দেওয়া কষ্টগুলো প্রতি নিয়ত কুরে কুরে শেষ করে দিচ্ছে,
বেচারা কর্কট আর তার শত্রু কেমোথেরাপি পেইন দেওয়ার কোনো
চান্স পাচ্ছে না।
তোর দেয়া ভালবাসা নাকি অবজ্ঞা এতই ক্ষমতাশালী...
লাস্টের দিকে আমার মাথা হালকা খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
ঢাকার রাস্তাগুলোতে রিকশায় চড়তে গেলেই গলায় প্রচণ্ড কষ্টে কি
যেন আটকে যেত।
যেখানেই যেতাম, তোর কাছে থাকার ক্ষনগুলো টিটকারি মেরে
বেড়াতো।
সেই ক্ষনগুলো, মিরপুরের ঐ রাস্তার নির্জনতাটুকু বড় আপন মনে
হতো। রিকশায় হুড তুলে, চুমু খাবার দিনগুলোতে। বৃষ্টি এলে তো
আরও খুশি হয়ে যেতাম, ত্রিচক্রযানে নীল পর্দার ছোট্ট প্রেমের সংসার পেতে বসতাম।
মনে আছে তোর, খালি নির্জন রাস্তায় তোকে নিয়ে রিকশায় ঘুরতাম।
ভাঙ্গাচোরা রস্তায় সস্তা বাইক চালাতাম, ইচ্ছে করে বার বার হার্ড ব্রেক
দিতাম, তুই লাজুক হেসে দু'হাত দিয়ে শক্ত করে আমাকে জড়িয়ে ধরতি,
নিকোটিনের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে কত ভোর ওই ঝুলবারান্দার
সামনের রাস্তায় তোর অজান্তে কতবার এসে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তোকে কখনো বলা হয়নি।
সব কথা তোকে বলতে হবেই বা কেন...
তুই কি অক্ষম নাকি?
জানিস আমার ঠোঁটটা খুব কালো হয়ে গিয়েছে, এখন তো আর
সিগারেট খেলে কেউ রাগ করবে না, শর্ত জুড়ে দেয় না, চুমু খেতে হলে সিগারেটকে চুমু খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
কেন এমন করলি তুই?
আমি আঁধারেই ছিলাম।
তোর হাত ধরে চেয়েছিলাম, আলোতে আসতে।
আর আমি তো তোকে চিনতামই না ভালো করে,
কেন এক হেমন্তের পড়ন্ত বিকেলে আমার সামনে এসে
এই আটপৌরে জীবনটাকে চৈতালি হাওয়ায় উলটপালট করে দিলি।
আমি এমন সাহসী মেয়ে এখন পর্যন্ত দেখিনাই জানিস।
দৃপ্ত কণ্ঠে বলেছিলি , " আপনি বুঝেন না, আপনাকে ভালবাসি "
তারপর, কেউ না জানুক তুইতো ঠিকই জেনেছিলি।
ভালোবাসার অঝর বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছি প্রতিটা সকাল-দুপুর-বিকেল-রাত্রি ।
এভাবে চুপ করে কেন হারিয়ে গেলি। অবশ্য দোষ আমারই, আমি তোর যোগ্য হয়ে উঠতে পারিনি। আমি তোকে দামী রেস্তোরায় কখনো খাওয়াতে পারিনি। সামসুন্নাহার হলের সামনে ফুচকা , হাকিম চত্বরের জুস আর টিএসসির জঘন্য চা দিয়ে দিন চালিয়েছি। দামী ঠাণ্ডা বাতাসের গাড়ি হাঁকাতে পারিনি পেরেছি শুধু বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে হাত শক্ত করে ধরে হাটতে। তোকে কখনো রেডিসনে নিয়ে যাইনি, পেরেছি শুধু বিবর্ণ নদীর ধারে নিয়ে যেতে। হাতদুটো বুকে জড়িয়ে রাখতে , আর তোর মেঘলা চুলে মুখ ডুবিয়ে গন্ধ নেওয়ার ন্যাকামি করতে। মাঝরাতে তোর কাঁচা ঘুম ভাঙিয়ে তোকে নিয়ে রচিত নতুন কবিতা শুনিয়ে তোর ঘুমের বারোটা বাজিয়েছি।
আমি সব কিছুর জন্য সরিরে, জানিস তোকে নিয়ে বৃষ্টিতে কেন ভিজতাম? তোর ভেজা শরীরে লেপ্টে থাকা কামিজের আড়ালে তোকে লুকিয়ে দেখার জন্য। তুইতো এই কারনেও আমাকে কুরুচিপূর্ণ বলতি। জানিস , তোর মেঘলা চুলে কেন মুখ ডুবিয়ে রাখতাম? তোর চুলের গন্ধের চাইতে সুন্দর গন্ধ পৃথিবীতে আর কিছু নেই।
জানিস রাজকন্যা, আমার কবিতার খাতাটা ছিঁড়ে ফেলেছি। তুইতো বলেছিলি, আমি নাকি কবিতা ভালো লিখি না। সেদিন জোর করে আধা ঘণ্টা কবিতা লেখার চেষ্টা করে দেখি, শুধু তোর নামই লিখেছি। চৈতালি দমকা হাওয়ার মতো কেন ছোরা দিয়ে মারলি না, এতো কষ্ট কষ্ট খেলা কি করে খেললি? আমি কেন তোকে ঘৃণা করতে পারি না , SHITTTTTTT.............I'M CRYING (সিউর এই লাইন পরে তোর ভাব বেড়ে গেসে)
রাজকন্যা, একদিন হঠাত্ করে তোর সবকিছু মনে পড়বে। এই আমি তোকে কতটা পাগলের মত ভালোবেসেছিলাম। রাতের আধাঁরে জানালার গ্রিলটাকে জড়িয়ে তখনো তোর মাঝে থাকবে চরম একাকিত্ব। কি অসহ্য কষ্ট আর শুন্য বুকের অব্যক্ত হাহাকার ! জানি দুপ্রান্ত থেকে দুটো আত্না তখন শিকলে বাঁধা বন্দির মত ছটফট করবে! তবুও তোকে অকৃত্রিম ভালোবেসে যাবো। ভালোবাসা যে স্বার্থহীন, স্বর্গীয় !
বাদ দে এইসব কচকচে কথা, তোর নাকি ১২ই ডিসেম্বর গায়ে হলুদ?আরেক দিন আগে করলেইতো ১১-১২-১৩ হয়ে যেতো। তত দিন বাঁচবো কিনা জানি না, বাঁচলেও তো আসতে পারমু না। তুই তো সেদিন বললি, আমাকে দেখলে তোর বিরক্ত লাগে। আমার হাসি দেখলে তোর মেজাজ খারাপ হয়। কি করে আসি বল?
আরে ব্যাপার না, বিছিন্ন ঘটনা। ওই নিঝুম রাতের সোডিয়াম বাতির হলুদ আলো হয়ে না হয় তোর গায়ে হলুদ মাখিয়ে দেবো। হঠাৎ হাওয়ায় তোর বুকের আঁচল সরে গেলে, নিশ্চিন্তে মামলা ঠুকে দিস পরকালের আদালতে। আমি অনায়াসে স্বীকার করে নেব, ঐ হাওয়ার ছদ্মবেশে আমিই তোর বুক ছুঁয়েছিলাম।
আজ থেকে প্রায় ৫ দশক পরে, কোন এক সন্ধ্যায় – হয়তো বিধবা তুই দাঁড়িয়ে থাকবি ঝুলবারান্দার এক কোণে, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে তখনও। কেউ নেই তোর পাশে, তোর সন্তান আর নাতনীরা বহুদূর – পরদেশে। ভিজে যাবে তোর সাদা শাড়ি, হঠাৎ দু’টি বৃদ্ধ হাত ছাতা হয়ে দাঁড়াবে তোর মাথার ওপর। এই জাদুর শহরের সব কোলাহলকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে, লোমহীন কুচকানো চামড়ার হাত দু’টি চিৎকার করে উঠবে – কেবল আমার ভালোবাসাই পরম, আমি এখনও তোকেই ভালোবাসি। কিংবা কল্পনা কর আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর পরে - কোন এক একাকী নৈশভোজের শেষে , ক্লান্ত তুই ঘুমিয়ে গেছিস বিশাল বিছানা জুড়ে – রিক্ত ; নি:স্ব চেহারার বৃদ্ধা হয়ে গেছিস তুই অসহায়। তোর সন্তানেরা কি তখন জানবে না? তাদের মা একলা – পরিশ্রান্ত ঘুমিয়ে পড়েছে রাতের ওষুধ না খেয়েই? ওরা কি বোঝে না? - তোর শরীর খারাপ করবেতো। হঠাৎ টের পাবি এক বৃদ্ধ ফাঁটা ঠোঁট স্পর্শ করছে তোর ঘুমন্ত কপালে। আলতো চিরচেনা চুমুতে ভেঙ্গে যাবে তোর শিশুতোষ ঘুম। অবাক তুই দেখবি– বেড টেবিলে তোর রাতের ওষুধ অপেক্ষা করছে। আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর পরে - রাতের সব নীরবতা ভেঙ্গে দিয়ে ওষুধগুলো গর্জন করে উঠবে – কেবল আমার ভালোবাসাই সত্য। আমি এখনও তোকে ভালোবাসি।
কখনো যদি কুয়াশা প্রহরে, প্রেমাতাল হয়ে হাত বাড়িয়ে আমাকে পুরানো দিনের মতো করে খুঁজে বেড়াস, একদম ভাবিস না। আমি তোর খালি পায়ে চুমু খেয়ে নেওয়া শিশিরের সাথে সন্ধি করা দূর্বা ঘাস হয়ে জন্মাবো। তোকে চুমু খেয়ে ফতুর হওয়ার বেয়াড়া শখটা আজও গেলো না । আমি আবার জন্মাবো বলেই, মরে যাবো। এমনটা হবারই কথা ছিলো। তাই নয় কি!!! ভালো থাকিস তুই রাজকন্যা, যেভাবে থাকতে চেয়েছিলি ভালো থাকুক তোর রাজ্য - আর অহংকারী মন। আমি না হয় তোর লাইফে একটা "জানিনা" হয়ে হারিয়ে যাবো। আমাকে ক্ষমা করে দিস সব কিছুর জন্য। কবি টাইপতো, আমি এমনি। LOVE YOU MY LOVE।
ইতি,
তোর বোকা ভাল্লুক
(এপিটাফে দেখে নিস নাম-পদবী আর আয়ুষ্কাল)
চঞ্চল শাহরিয়ার এর ভালোবাসার কবিতা sms
৮৮. ফ্রি হবার দরকার নেই | ১০০ প্রেমের কবিতা পড়ুন
ফ্রি হবার দরকার নেই। সকালে চা খেতে খেতে জানালায় মুখ রেখে
হাত নেড়ে দিও। পার্লারে যাবার আগে মিসড্ কল দিও।
ইউনিভার্সিটি থেকে ফিরতে দেরি হলে আরো একবার
বন্ধবীকে বলো, আমার মন কেমন করছে রে!
তাহলেই বুঝে নেব তুমি আছো। তোমার ফ্রি হতে অনেক রাত হয়ে
যায়। ততক্ষনে আমি ঘুমানোর আয়োজন করি।
ততক্ষন মগবাজার মোড়ে নতুন গল্পেরা ডানা
মেলে দেয়।
ফ্রি হলে আমিই কোনোদিন ডেকে নেব ছাইরঙা
শাড়িপরা তোমাকে আবার। সেদিন কোনো অজুহাত
নয়। সরাসরি সোনারগাঁ হোটেলে মুখোমুখি বসব
দুজন। তুমি হাত ছাড়িয়ে নিতে নিতে মিষ্টি অজুহাত
দেখিয়ে বলবে-- অদিতি চলে আসবে, অদিতি চলে আসবে।
আর তোমার দারুন সৌন্দর্য দেখে আমি পুনর্বার
মুগ্ধ হবার জন্য কোনো ভাষা খুঁজে পাব না।
৮৯. ভালোবাসা
কুষ্টিয়ার বনানী সিনেমা হল। আমার শৈশব
কৈশোরের ভালোবাসা। এই ভালবাসা ফুরোতে
দিইনি বলে এক হেমন্তের দুপুরে গোপনে হাত
ধরেছিল কোর্টপাড়ার কিশোরী। ঘরের দরোজা
বন্ধ করে বলেছিল, তোকে আজ সিনেমা দেখাব।
দেয়ালের সাথে মিশে যেতে যেতে আমি শুধু
কিশোরীকে বলেছিলাম -- শাহানা আপাকে বলে
দেব কিন্ত।
তারপর কিশোরী সিনেমা দেখায়নি। শুধু
বুকে চেপে ধরেছিল। বলেছিল, এর নাম সিনেমা।
কাউকে বলবি না যেন।
তারপর কতদিন আমি বনানী সিনেমা হলে
সিনেমা দেখেছি। রক্সী সিনেমা হলের আনন্দ
পকেটে পুরে লালনমেলায় গেছি। কিশোরী
বাতাসে চুল উড়িয়ে দূর থেকে মিটিমিটি হেসেছে।
আজও কার পারফিউমের ঘ্রাণ
আমার ভেতরে নিশিদিন উথালপাথাল করে।
এহসান মাহমুদ এর ভালোবাসার কবিতা facebook
৯০. দুই (আদিবাসী প্রেমিকার মুুখ)
আমার আদিবাসী প্রেমিকাকে নিয়ে
লেখা কবিতাগুলো কবিতা নয়
আসলে তা অশ্রুপতন!
তার জুমক্ষেত রাজার সেপাই
দখল করার পর, লুসাই পাহাড়
যে কেঁদেছিল, তা আসলে
আমার প্রেমিকারই অশ্রুজল!
৯১. তিন
'বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি', 'সংঘং শরণং গচ্ছামি' জপ করা
গেরুয়া বসন যখন বলেনঃ
'বিবাগী হও, মুখ ফিরাও জগতের সকল বাসনার নামে'
তখন আমার অন্তর জপ করে
আদিবাসী প্রেমিকার ধামে।
৯২. আট | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
এক বৈসাবি পূর্ণিমার রাতে
নীলগিরিতে
অবকাশ কেন্দ্রের ব্যলকনিতে বসে
আমি বলেছিলামঃ
চেয়ে দ্যাখো, কী আশ্চর্য সুন্দর!
তুমি কোনদিকে না তাকিয়েই বলেছিলেঃ
ওখানে সবুজ গ্রামের জীর্ণকুটিরে
অপুষ্টিতে ভোগা কিছু শিশু থাকে,
মায়েদের বুক শুকিয়ে গেছে
জুম পাহাড়ে আগুন লাগার পরে!
আমি আবার বললামঃ
ওসব এখন রাখো।
তারচেয়ে দ্যাখো -
চেঙ্গীর জল আর জোছনার খেলা।
তুমি সহজ গলায় বললেঃ
কালো নল আর বারুদের গন্ধে
ওখানকার বৃদ্ধ আর শিশুদের হাঁপানি বেড়ে যাচ্ছে।
এবার আমি কন্ঠে কিছুটা বিরক্তি মিশিয়ে বললামঃ
বাদ দাও, ওসব অলক্ষুনে কথা!
তারচেয়ে বরং শুনি অচিন পাখির গান।
তুমি করুন গলায় বললেঃ
এখানে জুমিয়ার গোলায় থাকে না ধান,
শিশুরা হাসে না,
পাখিরা গায় না কোনো গান!
এর চেয়ে ভয়ানক কথা আমি শুনিনি কোনোদিন।
মারজুক রাসেল এর ভালোবাসার কবিতা ছবি
৯৩. প্রেমিকবৈশিষ্ট্য | ১০০ প্রেমের কবিতা ফ্রিতে পড়ুন
কুয়াশার ফুল থেকে তুলে নেব নীল প্রত্যাখ্যান------
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
পরাণ গায়েন ডাকবে আবার
'অচিন পাখির গান শুনে যান'--------
নদীয়ার জলে স্নান উৎসর্গের আগে রোপণপূর্বক বীজ
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
নেচে যাব সুলতানের চাষির হাতে মাছিমদিয়ায়,
আর ডেকে যাব-------
'ডাঙর ঢেমনি এইখানে আয়,
তর্জনীতে কাদা মেখে তোর কপালে পরিয়ে দিই
প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
বিঘা বিঘা সুন্দরের টিপ।'
৯৪.
যখন যে নামে ডাকব, ফিরে তাকাবি, শুয়ে থাকবি, হাত পা নাড়বি, হামাগুড়ি দিবি --------- কপালে কাজল, কালো-চাঁদ যে! কুয়াশার ভূমিকায় তিব্বত পাউডার। একহাত-দুহাত ছোট্ট কাঁথা তুই তো ভেজাস; শুকোয় যারা, যে উপাদান, মনে রাখিস।
বার্লি কিভাবে যোগাড় হতো, একদিন হাসতে-হাসতে জিজ্ঞেস করবি বাবাকে------ মা জানতে চাইতেন না; অনুগত, ধৈর্য-সহ্যশীলা রমণীর উদাহরণ সে, মুক্তিযুদ্ধকে এখনো 'গণ্ডগোল' হিসেবেই জানে। তার পড়াশোনা কতদূর, জানতে চাইবি না; সে কেবল তোকে পড়ে, পরীক্ষা দেয় না। --------- দরকার আছে?
আলীনূর রহমান (বঙ্গ রাখাল) এর ভালোবাসার কবিতা hd photo
৯৫. সিফিলিস
চোখ উপড়ে ফেলার ইচ্ছে ছিল বহুদিন ধরে
পারিনি-তোমার প্রতীক্ষায় চেয়ে
দু’হাত স্পর্শ করবে তোমায়
এচোখ দেখবে তোমার বুকে জ্বলজ্বলে আলো।
লোকে বলে-অন্ধকার লুকানো স্তনদ্বয়ে।
তবু-ভালোবাসি ফেলে আসা স্মৃতিময় শহর
মৃত্যুর মহতী উৎসব-পাড়ায় পাড়ায়
বিধাতাপুরুষ
তোমার চোখেও করোনা ছড়ায়।
প্রেম পেতে ভালোবাসে-পুরুষাঙ্গ।
হাজার কণ্ঠে তুমি-প্রেমিকের আলিঙ্গন কিংবা চুম্বনে
ছড়িয়ে দিলে-সিফিলিস।
৯৬. গন্তব্য বহুদূরে...
আজকাল কয়েকদিন পার হলেই কি যেন মনে হয়। সেদিন তুমি বলেছিলে শহুরে হও, আমি হতেও চেয়েছি। কিন্তু বাবা? না, বাবাকে ভুলতে নয়। বাবাকে নিয়েই শহুরে হব। তুমি আমাকে পাহাড়ের পথ দেখালে, আমি কিন্তু পাহাড় চিনি না। পাহাড়ে বোধ হয় যাওয়া হবে না; কিন্তু কেন বা কিসের জন্য তা বলতে পারব না। তুমি সমুদ্রের কাছে যেতে বলেছিলে। আমিও মনে মনে ভেবেছিলাম সমুদ্রে যাব। সমুদ্র হব। বাবা মা আমায় ছেলেবেলা শখ করে নাম রেখেছিল সমুদ্র। আমি সমুদ্র হব আর তুমি হবে তার জল।
তোমার বাড়ির পথ ভুলেছি। যেপথ ধরে তুমি রোমের পথ খুঁজে চলেছিলে। আমি পথের বাঁকে বাঁকে তোমার ক্লান্ত ঘামের ঘ্রাণ পেয়েছি। রোমের রাজপথ আর আমাদের গ্রামের প্রজাপথ ঠিক একই। কোন পার্থক্য নেই। আছে শুধু শোষণ করে জীবন খনিজ নেয়া...
আমি পথ হারানো মানুষ -পথ হারাই। আবার নতুন পথও পেয়ে যাই। মাঠে যাই, সমুদ্রে যাই। আকাশের দিকে চেয়ে আকাশ হব ভেবেছি, সমুদ্রের কাছে যেয়ে ভেবেছি সমুদ্র হব। কিন্তু বাবা বলতেন এদের চেয়েও বড় হও।
পথ হারাবো বলেই তো পথে নেমেছি, পথ না হারালে নতুন পথের সৃজন কেমনে হবে। তোমার বাড়ির পথ ধরেই হাঁটব। তুমি মোড়ের মাথায় ঘামমেখে চেয়ে থেকো আমাকে তোমার করে পাবার প্রত্যাশায়... আমি কেমন করে তোমার হব বল, আমি যে সবার। আমি যে ভোগীর চেয়ে বড় বেশি ঋণী।
আমি গন্তব্যের পথ ভুলেছি, চলতে হবে দূর হতে বহু দূরে..
৯৭. বেইলী রোড
বেইলী রোডে তোমাকে দেখি-সিদ্ধেস্বরী গালর্স স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে মলিনতা সম্বল করে-তুমি-উবে যাওয়া ক্ষয়িত সময়কে ধরার ব্যর্থ চেষ্টায় ব্যস্ত। সামনে শপিংমল-ডানে নাভানা টাওয়ার অভিমুখে-ফুটপাতে পাখিওয়ালা- পাখিবিক্রিতে ফিরে পাই বাল্যউচ্ছ্বাস। জানি না কতদিন সময়ের শরীর ছুঁয়ে গন্ধ মাখি না তোমার-নাকের ফুলটা একটু ছোট-্ই-দেখলাম-দিনদিন বুঝি ছোট হয়ে যাচ্ছে আমাদের ঘনিষ্ঠতার স্মৃতিরেখা...
মুক্ত আকাশের নিচে খোলাকাশ কার না ভাল লাগে-আমি কোন দিন তোমার একান্ত অসীমতা কিংবা অবারিত ভালবাসার বৃক্ষ হতে পারিনি বুঝি-আজ এক অবষণ্ন আমি-ত্রিদিব নিদারুণ এক দুঃখজীবন নিয়ে হেঁটে আসি-বেইলী রোড, মালিবাগ, মগবাজার ধরে বাংলামটর হয়ে শাহবাগের দিকে...
৯৮. এ কবিতাটি দৃশ্যকাব্য বা দৃশ্যকাব্যটি কবিতা হতে পারতো | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
পাখিগুলো কোথায় যায়, কোথায় গড়ে নিজের আবাস। কেনই বা আকাশে উড়ে? কি তার মনের অভিলাষ? যদি পাখি হতাম উড়ে যেতাম বন্ধুর পাশে। চুপ করে বসে দেখতাম উচ্ছ্বল বন্ধুর মুখখানি। দু’টি নয়ন ভরে দেখে নিতাম বন্ধুর চেহারা আর জুড়িয়ে নিতাম অন্তরজ্বালা। বন্ধু, বৃক্ষপত্রের মতো লুকালে কোথায়, সমুদ্রের গহীন উত্তাল ঢেউ যে আছড়ে ভাঙে বুক জমিন। মনের খোড়লে কাঠঠোকরার আঘাতে ভেঙে দেয় বুকের পাঁজর। সঙ্গীহীন মানুষ বড় বেশি একা। একা থাকার অভিনয় করলেও মানুষ কি সত্যিই একা থাকে- নাকি থাকতে পারে? বন্ধু তোদের মনে পড়ে, সেই রাত্রযাপনের কথা, স্বজনীর সাথে ঘুরে ঘুরে জোছনা দেখা। রাতের আধাঁরে হারিয়ে যাওয়া ধানক্ষেত আর উন্মুক্ত আকাশের নিচেই মনের বন্ধু হাতে হাত রেখে বলেছিল- পর করে দেবেনাতো। দেখ বন্ধু দেখ- আমি পর করিনি- পর করেছে সময় আর আপন হয়েছে ব্যস্ততা। আজ তোরা সবাই কোন না কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠিত পরিচিত মানুষ। ব্যস্ততায় সময় কাটে তোদের। কেউতো খোঁজ রাখেনি কারো। অথচ একদিন কতো আপন ছিলাম। আজ বুকের মধ্যে শূন্য অতীত। তোর মনে আছে জামিল- ব্যাচলেটের কথা-
জামিল: মনে থাকবেনা- কি স্মৃতির মন্থনেই না আমাদের একাকিত্বের জীবনের যাপিত সময় অতিবাহিত হয়। দূর দিগন্তে পাখিও মেলে ডানা আর পড়ে থাকা স্মৃতি হয় বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন।
স্বজনী: যাপিত জীবনেও এমন কিছু কঠিন সত্যের দিকে মানুষকে ছুটতে হয় বা সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয় যেখানে এক মুখাভিনেতার মতো অভিনয় করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।
নূর: রাতের আঁধারে কত কথার জাল বুননের চেষ্টা করে। মানুষ তাই বলে সকালে সেই জাল ছেদন করে নতুনভাবে কি বাঁচতে চায় না?
চায়, তাই বলে নিজের হৃদয় আর একান্ত কাছাকাছির স্বপ্ন বা নিজের হৃদয়কে দেহ থেকে ছিটকে ডোবার মধ্যে ফেলে দিয়ে নয়। আমি এখনও প্রতিরাতে তোমাকে ভাবি। প্রতিরাতে বালিশে মুখ লুকিয়ে ডুকরে ডুকরে কাঁদি। জানো ফেইসবুকে ইনবক্সে তোমাকে লিখেছি হৃদয়ের চুয়ে পড়া প্রতিটি রক্তের শেষবিন্দু দিয়ে। জবাব দাওনি তুমি, দিলেও হেঁয়ালির ছলে...
জামিল: ভুলে যা নূর, মরিচিকা মানুষকে ঝিলিক দেখায়। দূর থেকে দেখলেই ভাল লাগে।
নূর: জামিল! তুই তো জানিস কত স্বপ্নের ডালি সাজিয়ে সাজিয়ে বাবা মা বলেছিল ডাক্তার হবি। আমি মাথা দুলিয়ে বলে ছিলাম- ডাক্তার হবো। কিন্তু? ডাক্তার! আমার আজ যে বড় বেশি একজন ডাক্তারের খুব প্রয়োজন। মানসিকভাবে আমি বিপর্যস্ত। দেখ- দেখ- আকাশে সায়ংকালীন শুকতারা আর জানালায় ভেসে আসছে- স্নিগ্ধ মেহেদী পুষ্পের হৃদয়কাড়ুনী ঘ্রাণ। এ ঘ্রাণেই স্বজনী বলেছিল- ভুলনা আমায়- রুমালে জড়ানো স্বপ্ন আর কেশ ছেদনের অন্তিকালীন পাশাপাশি থাকার মায়াবী রূপের আবেশে আমিযে অন্ধ। এ অন্ধের জ্যোতি ছিলে তুমি- হে মায়াবিনী। কেন এসেছিলে এ চোখের স্বপ্ন হয়ে, বুনে ছিলে বুক জমিনে আশার বীজ?
কানন: কোথায় পেলি তাকে? কি আছে ওর? ও যে ভ্রান্তি, ও যে কুহোকিনী, ওযে হৃদয় হন্তারক। ভুলে যা।
নূর: লতানো লতার মতো ও যে আমায় জড়িয়ে রাখে। রাতের অন্ধকারে যে ব্যাঙ বলে। কাঁপন তোলে বর্ষার আহবানে। তাকে কি ভোলা যায় এতো সহজে। ইচ্ছে করলেই কি বিসর্জন দিতে পারি জলের অতলে। দেখ, দেখ- যে পাখিটা উড়ে গেল ওটাও স্বজনীর আবিরে সেজেছে। জানি, তোরা যারা আজ আমার সঙ্গী হলি, এর চেয়ে অজস্রগুণ বেশি ছিল সে। বুকের কাছে মাথা রেখে নিয়েছিল আমার উষ্ণ শরীরি উত্তাপ। জানিস, ওর মুখের টোল আর তরঙ্গ দেয়া হাসি আমাকে পাগল করেছে। আমি মেনেছি ওর সব আব্দার। ওর জন্য ছেড়েছি পাগলামী। বৃষ্টিভেজা রাতেও ভিজেছি ঘন্টার পর ঘন্টা আর রাতে প্রহর গুনেছি ফোনের দিকে চেয়ে। হায় মরিচিকা...
রাহুল: একি নূর, তোর কি হয়েছে, তুই এমন হয়ে গেছিস কেন? লম্বা, লম্বা চুল, গোঁফ, দাঁড়ি আর এতো কালো লাগছে কেন তোকে? তুই কি আমাদের সেই বন্ধু যে, অনেক বড় স্বপ্ন দেখতি, আমাদের শিখিয়েছিস বাঁচার মতো বাঁচতে। কি অবস্থা তোর, কি হাল করেছিস শরীরের? আজ তো তোর চোখে স্বপ্ন নেই, যেন খাদ্যহীন চাষীর চাষে ফসল ফলানোর নিরন্তর চেষ্টা। এ যেন দূর্ভিক্ষেরই এক খণ্ডিত চিত্র।
জামিল: এক মরিচিকা, ছলনাময়ীর করালগ্রাসে নিজেকে হারিয়েছে। নিজের উচ্ছ্বাসিত স্বপ্নের বাগান হরণ করে হারিয়ে গেছে মেয়েটি। ফোন ধরেনা, গুটিয়ে নিয়েছে নিজেকে।
নূর: এভাবে বলিস না, ও যে আমার খোড়লে লুকিয়ে থাকা ময়নার ছানা, দক্ষিণা সমীর আর দুলে ওঠা দিগন্ত জোড়া সরলদেহী ধানের রোপিত চারা। আমি তো ধানী পোকা হয়ে ওকে পেতে চেয়েছি। যে আমাকে মাথা দুলিয়ে সমর্থন করেছে। এই সরলীকরণ মনে বুঝে নিয়েছি ওর ভালোবাসা। এ বিশ্বাস যে আমারই ভুল। বুঝেছি কখনও কখনও নিতান্ত সরল বিশ্বাসও বেদনার ছুরি হয়ে চিরে দেয় বুক।
রাহুল: এমন করে বলেই কি সত্যকে তুলে ফেলা যায়, ও তোকে বাজাতে চেয়েছে। ওই হাসি আর চেহারার জৌলুসে। তুইনা মানুষ আবিস্কার করিস, আর চিনলি না ওকে!
নূর: আবিস্কারের মধ্যেও যে ভুল আবিস্কার থাকে।
জামিল: ভুলে যা, কত প্রকৃতি হাত বাড়িয়ে আছে, তুলে নে আঁছলা ভরে পিপাসীত জল।
নূর: জলের পিপাসা পেলেই জলের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু যে কোন জলে পিপাসা মিটালেই কি শরীর সুস্থ থাকে? শরীর যে মনের আকর। তোরা যা আমাকে একা থাকতে দে- আমি কিছু সময় স্বজনীকে দেখি আর বুকের মধ্যে মন্দির পুজাই আরতি বেশে ধুপ জ্বালিয়ে কামনায় বসি- এই প্রার্থনা যেন সত্য হয় প্রভু।
রাহুল: তোকে ছেড়ে যাচ্ছি কিন্ত বল- তোর হাতের ব্রেসলেটটা কার, কোথায় পেলি? দুঃখের দিনেও যে এটি ঝিলিক দিচ্ছে আর বলছে অনাগত সত্যের কথা।
নূর: এই ব্রেসলেটটা আমার অন্তহীন জীবনের সঞ্জীবনীর শক্তি, বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। একে হাতে পরেই কাটিয়ে দেব জীবনের প্রতিটি সময় (ব্রেসলেটটা খুলে মুখে চুমু দিয়ে)। এ স্মৃতিকে জীবন্ত রাখতেই স্বজনীর প্রস্থান। প্রতিরাতে স্বজনী আসে। মাথায়, চুলে হাত বুলিয়ে বলে এইটুকু নাও, এইটুকু খাও। না খেলে অসুখ করবে যে। আমি খেতে চাইনি, করুক অসুখ। অসুখ হলেই তো তোমাকে পাশে পাব। সেবার ছলে ছুঁয়ে দেখবে আমায় আর আমি অবোধ বালকের মতো নিরব নিস্তেজ হয়ে ভীতসন্ত্রস্ত শিশুর মতো মুখ লুকাবো তোমার বুকে।
স্বজনী: হেঁয়ালী ছাড়, খেতে হবে না, রাত জেগে লিখলেই হবে?
নূর: তুমি তো বেশ আছ। স্বামী সন্তান আর নিজের স্বাধীনতা নিয়ে। ইচ্ছে করলেই মূর্তি গড় আবার ডোবাতে পার বিসর্জনের ছলে।
স্বজনী: একি বলছো তুমি? তুমি তো আচ্ছা ছেলেমানুষি কর!
নূর: ইচ্ছা করলেই কি মনের মন্দির থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে আনা যায় সরল বাচ্চাকে কিংবা হাতে লজেঞ্জ পুরে দিলেই ভুলে থাকা যায়, না খাওয়ার বিষাদ যন্ত্রণা।
স্বজনী: সেকথা বলিনি আমি।
নূর: তবে কি। তুমি ভালো আছো। এখনও হাসো নাকি হাসির অন্তরালে লুকিয়ে রাখ বিষাদের বাঁশি। যে বাঁশির সুর মোহনায় হরণ কর অজস্র যুবকের মন।
স্বজনী: বিশ্বাস করনা?
নূর: বিশ্বাস রেখেছো তুমি।
স্বজনী: যাও ভুলে, কথা বলছো কেন? যেখানে বিশ্বাস নেই সেখানে সম্পর্ক ভিত্তিহীন। এক টুকরো হাওয়াই মিঠা আর লাগামহীন ছুটে চলা অশ্ব।
নূর: শতেক চেষ্টাতেও পারিনা ভুলতে। মায়ার বাঁধনে বার বার বাঁধিত থাকি। তুমি বলেছিলে- তোমার সাথে একান্তে নিরিবিলী থাকতে চাই। কিছু সময় বলতে চাই কিছু কথা- ক্ষণেক সময় হবে। আমি মাথা নেড়ে জানাই তোমায়- এসো বলে যাও- তুমি জানালে প্রতিটা সৌন্দর্যের পেছনে লুকানো থাকে বেদনার ডালি। মাথায় মধ্যে এমন লাগছে কেন? দু’চোখের পাতা মুদিত হচ্ছে কেন? বাবা তোমাকে বড় বেশি দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে। মা তুমি বলতে আমি মানুষ হতে পারবো না। তুমি প্রতি সকালে উঠোন নিকাতে আর বকুলের ঘ্রাণে ভরে যেত আমাদের বাড়ির আঙিনা। জানো, মা আমি এখনও প্রতি রাতে তোমার প্রতিক্ষায় থাকি- কখন তুমি খোকা বলে ডাকবে সেই অপেক্ষায়। তুমিও তো নারী, বল মা, আমি মানুষ চিনতে ভুল করেছি- জানো মা, এ ঢাকায় কেউ কারো কথা শোনে না। কেউ কারো দুঃখ শোনেনা। সবাই দুঃখ দিতে পারে, কেউ শোনেনা কারো কথা। তোমার কাছে আসছি মা, আর নয় স্বজনীর ব্যথার পীড়নে হৃদয়দহন। জানো মা, আজ খুব ছোট মাছের ঝোল আর সর্ষে ইলিশ খেতে ইচ্ছে করছে। কত দিন তোমার কাছে বসে খাইনা, তোমার হাতের সেই মুঠা আর বর্ষার দিনে মুড়ির মোয়ার সাথে তিল ভাজির কথা খুব মনে পড়ছে। তুমি তো খুব স্বাদের মাংস রান্না করতে পার, একটু খিচুড়ি আর মাংস ভুনা খাওয়াবে মা? আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে, তোমার পাশে বসে। তুমি আমার খাওয়া দেখে তৃপ্তি পাবে। আমি আজ বড় একা। এই একাকিত্বের জীবন বড় বেশি যে দূর্বিসহ। তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে চাই। তুমি মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিও। আমাদের আঙ্গিনায় বৃক্ষদের বৃক্ষচ্যূত পাতারা ছড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ছে পায়ের কাছে আর স্বজনীর ছলনায় পাতাগুলো মুখ লুকাবে আমার বুকে। আমি আসছি মা, আমি আসছি। মা, সায়ংকালীন উপাসনায় তুমি জ্বালিয়ে দিতে বাতি আর ভগবানের কাছে বলতে- ঈশ্বর তোমায় একটা দিলাম বাতি, বিনিময়ে আমার খোকার দূর কর সব রাতি। কেন তবে এতো অন্ধকার। আমি আসছি মা। আমি আসছি...
(বাড়ির পাশে যে বাঁশ বাগান সেখানেই থাকে নূর ঝিঝি পোকা আর এক রাত জাগা পাখি এখন গায় স্বজনীর স্বজন কোথায়) .... ।
৯৯. যৈবতী কন্যা ইশকুলে
যৈবতী কন্যা ইশকুলে গেছে-মাটির পাত্রে জমা করে রাতের
আঁধার। মাস্টার মশাই মেয়েটির গতরীয় বিরান পথ ধরে হাটে।
রাত তামাশা করে-দাঁতে দাঁত চেপে হারিয়ে ফেলে প্রাপ্তবয়স্কশরীর।
স্বপ্নদোষে যে কন্যা কাঁদাপথ মাড়িয়ে স্টেশন খোঁজে রাতে-তারও
ভীষণ কষ্ট।
নবীনরাতেও জমা হয়-প্রজাতিক হাসি-পোয়াতি সোমত্ত মেয়ে।
সরষে মরিচের পেটে আজ নীলবৃক্ষের বিপন্ন চিরকুট....
১০০. ও কৃষ্ণ ও রাধা
মাতাল মহুয়া পিঠে হাত রেখে ঘুরে আসি আদিম ইতিহাস পুর। লালনের বাড়ির কাছে ঈশ্বরদের বাস। সিদ্ধিতে টান দিলে চেনা মুখে পড়ে যায় ছাপ। কল্কি বাবা সাহিত্য পড়ান, রবীন্দ্রনাথ বিশ্বকবি আর আমি মহাকবি মানে রবীন্দ্রনাথের গুরু বা কাকা বাবু। রবীন্দ্রদের বাড়ির সামনে যে মেয়েটা প্রতিদিন স্কুলে যায় বাইক কিংবা পায়ে হেঁটে তার দিকে তাকিয়ে বাবু দেখলেন কি করে কদমের ডালে কদম ফোটে। মৃনালীনিকেও দেখেছি এমন বর্ষারাতে বিকশিত হয়নি কদম। আহ... মৃনালীনি... কী শেখালে আমায়-
বালিকা মেয়ে, প্রতিদিন আসে, ছায়া দেয়, চড়িয়া শ্বেতকেশে বসে থাকা লালনের ধামে। বাবা আমি তোমার মেয়ে, মা বলে ডেকো- রাতে তোমার বুকে মাথা রেখে জ্বেলে দেবো আগুন। কৃষ্ণ বেসে রাধিকার বুকজমিনে
কর্ষণ চাষীর চাষা হয়ে বুনে দিয়ো শস্যের মলন।
ভিনদেশী প্রেম ভালবাসার কবিতা যা আগে পড়েননি | এশিয়ার কবিতা
পাঠক। এই অংশটি বোনাস। কেমন লাগবে, ১০০ টি দেশী কবিতা উপভোগ করার পর কয়েকটি 'ভিনদেশী' চেখে দেখতে? হতে পারে এগুলোর মধ্যেও নিজেকে, নিজের ভালবাসার মানুষকে খুঁজে পাবেন। নিজের অনুভূতি, ঘটনার মিল খুঁজে পাবেন। তখন ঐ ভিনদেশীকেও মনে হবে খুব চেনাজানা, আপনজন!
বেছে বেছে এমনই মাত্র ৩০টি নিয়ে এলাম, কালের ক্রমে। এশিয়ার কবিদেরকে গুরুত্ব দিয়েছি। তবে শ্রেষ্ঠ কয়েকজনকে বাদ দিতে হয়েছে। ভাল মানের অনুবাদ খুঁজে পাইনি বলে। এটা আমারই ব্যর্থতা।
বেছে বেছে এমনই মাত্র ৩০টি নিয়ে এলাম, কালের ক্রমে। এশিয়ার কবিদেরকে গুরুত্ব দিয়েছি। তবে শ্রেষ্ঠ কয়েকজনকে বাদ দিতে হয়েছে। ভাল মানের অনুবাদ খুঁজে পাইনি বলে। এটা আমারই ব্যর্থতা।
ভিনদেশী কবির সেরা প্রেমের কবিতা
- অজ্ঞাত | প্রেমের কবিতা
- ইমরুল কায়েস | কবিতা
- রাবেয়া বসরি | কবিতা
- মনসুর হাল্লাজ | কবিতা
- বিলহানা | প্রেমের কবিতা
- ওমর খৈয়াম | কবিতা
- রুমী | প্রেমের কবিতা
- হাফিজ | প্রেমের কবিতা
- হঙ উ | প্রেমের কবিতা
- মীর তকি মীর | কবিতা
- মীর্জা গালীব | কবিতা
- খলিল জিবরান | কবিতা
- মাও সে-তুঙ | কবিতা
- ইমাম খোমেইনি | কবিতা
- নিজার কাব্বানি | কবিতা
- ইসমাইল কাদারে | কবিতা
- মাহমুদ দারবিশ | কবিতা
- স্যু তিং | প্রেমের কবিতা
- চিতি মাচিয়া | কবিতা
- দুই বাংলার আধুনিক প্রেমের কবিতা
অজ্ঞাত
I.
আমার শুধু মনে আছে ---
সে যখন আলিঙ্গনে বন্দী করেছিল আমাকে,
স্বর্ণলতার মতো কাঁপছিল আমার দেহ।
সে আদরে সোহাগে ভাসিয়ে দিচ্ছিল আমার স্তনযুগল।
আমি কিছুতেই নিজেকে মুক্ত করতে পারছিলাম না
তার আদরবন্ধন থেকে।
ফুলের মালাটিকে সে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলো।
আমার আর কিচ্ছু মনে নেই, বন্ধুরা।
তারপর কি হয়েছিলো,
আমি বলতে পারবো না।
শুধু মনে পড়ে,
আমার নিঃশ্বাস দ্রুততর হচ্ছিল
আর ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে আসছিল আমার দেহ।
ইমরুল কায়েস এর না পাওয়া ভালোবাসার কবিতা
II. প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
আমার বন্ধুরা একটু দাঁড়াও
দুখুল ও হামলে জীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা আমার প্রিয়তমার বাড়িটাকে
স্বরণ করে কিছুক্ষণ কেঁদে নেই।
তুজি ও মকরায় তার বাড়ির চিহ্নগুলো আজও মুছেনি
দখিনা বাতাস আর উত্তরে হাওয়া উঠোনে বালির রেখা বুনেছে
আঙিনায় এখনো দেখা যায় গোল মরিচের দানার মত
ছাগলের লাদিগুলো আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
বিচ্ছেদের সকালে প্রেয়সি যখন চলে যাওয়ার জন্য উটের পিঠে চড়ল
তখন আমি দূরে কাঁটা গাছের পাশে দাঁড়িয়ে কেবলই চোখের পানি ফেলছিলাম
আমি নিরুপায় প্রেমিক কি আর করব বলো
বন্ধুরা কাছে এসে উট থামিয়ে বলল বিরহ-ব্যথায় ধৈর্য ধরতে হয়
আমি বললাম তোমরা কি বোঝ না চোখের পানিই এখন আমার একমাত্র সান্তনার উপায়।
অথচ আমি জানি এই বিলুপ্ত মোকামে দাঁড়িয়ে কান্নায় লাভ নেই।
*
উটপাখির ডিমের মত সুরক্ষিত তাঁবুগুলোতে সুন্দরী সফেদ মেয়েগুলোর অন্দর মহলে যেখানে প্রবেশ করা সুকঠিন অনায়াসে আমি সেখানে ঘুরে বেড়িয়েছি
আর নির্বিঘ্নে সেই রূপসীদের ভোগ করেছি
তাঁবুর প্রহরীরা অপেক্ষায় ছিল যদি আমাকে পায় তাহলে হত্যা করবে
অথচ তাদের চোখে ধূলি দিয়ে আমি পৌছে গেছি সেখানে
সপ্তর্ষী যখন কালো আকাশে আড়াআড়ি জেগে উঠত
আর আকাশকে মনে হত স্বর্ণখচিত জামার মত
তখন আমি পৌছে যেতাম প্রিয়তমার কাছে
(আর সে তখন)
শুধুমাত্র আমার প্রতীক্ষায়
শুধুই আমার আশায়
বসন খুলে সে রাতের পোশাকে দাঁড়িয়ে থাকত
পর্দার আড়ালে
পালঙ্কে যাবে বলে।
বলত সে কসম খোদার কায়েস তোমাকে
এড়িয়ে চলার কোনো উপায় নেই।
প্রেমের এ ব্যধি কি দূর হবে না কখনো তোমার?
তাকে নিয়ে বের হয়ে এলাম আমি
বালির উপর পড়ে থাকা আমাদের পায়ের চিহ্নগুলো সে
তার নকশাকাটা চাদর দিয়ে টেনে আসছিল
যেন আমাদের চিহ্ন কেউ খুঁজে না পায়।
নিরাপদে বালির টিলায় পৌছলে
তার চুলের বেণী ধরে টেনে আনলাম বুকের উপর
চিকোন কোমর আর নিটোল পা নিয়ে সে তখন আত্নসমর্পণে
লুটিয়ে পড়ল
তার শরীর যেন গোলাকার সুঠাম, আয়নার মসৃণতায় তৈরী তার বুক
উটপাখির ডিমের মত সুঢৌল আর শুভ্র বর্ণ
ধুয়ে রাখা হয়েছে যেন মিষ্টি পানিকে
সে ঘুরে দাঁড়াল ওয়াজআ বনের হরিনীর মত ডাগর চোখ নিয়ে আমার দিকে
যেন লক্ষবার খুন করতে চায়
চোখের তারায়
আমি দেখলাম তার কোমল গাল
নগ্ন গলা
খেজুরের কাদির মত বিছিয়ে রাখা তার ঘন কালো চুল
উটের লাগামের মত চিকোন কোমর আর পেলব উরু দেখিয়ে
সে আমাকে কাছে ডাকল
রাত শেষে যখন সে বিছানা ছেড়ে উঠে যায়
তখনো বিছানায় পড়ে থাকে মেশকের রেণুর সুবাস
সে এমনই এক নারী যাকে
পরম সাধক পুরুষও
তার প্রেমদৃষ্টি নিক্ষেপ করতে ভুলবে না।
কেটে যায় প্রেমের মোহ মানুষের চলে গেলে যৌবন
অথচ তোমার প্রতি প্রেম আমার রয়ে গেল
চির অম্লান আজীবন।
*
(তুমি তো জানলে না প্রিয়তমা)
তোমার জন্য অনুগত হৃদয়ে
মাথা নত করে
কত মানুষের পানির মশক বয়ে বেড়িয়েছি আমার কাঁধে
ক্লান্ত গাধার মত খালি পেটে ক্ষুধায় কাতর হয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি
এমন সব প্রান্তরে যেখানে যেখানে জুয়ায় হেরে যাওয়া নিঃস্ব ব্যক্তির মত চিৎকার করে বেড়ায় ক্ষুধার্ত বাঘ
গর্জনরত বাঘকে বলেছিলাম থামো তুমি
আমাদের অবস্থা মোটেও ভিন্ন নয় তুমিও আমার মত
রিক্ত, নিঃস্ব, অসহায়।
আমরা যখন কিছু পাই সহজে হারাই
আর যা অর্জন করি তা শুধু দুঃখই বয়ে আনে
রাবেয়া বসরি এর নতুন প্রেমের কবিতা
III. স্বপ্নপুরাণ | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
আমি নিজেকে একবার আবিষ্কার করলাম একটি বড় সবুজ বাগানের মধ্যে। বাগানটি ছিলো বড়ই সুন্দর; তেমন সুন্দরের কথা শিখিনি তখনও কল্পনা করতে আমি। সেখানে ছিলো এক আশ্চর্য সুন্দরী কিশোরী। আমি তাকে বললাম, 'কী চমৎকার জায়গা এটা!'
সে আমাকে জিজ্ঞাসা করলো, তুমি কি দেখতে চাও কোন স্থান এরচেয়েও বিষ্ময়কর?'
আমি বললাম, 'হ্যাঁ।' সে তখন আমার হাত ধরে আমাকে নিয়ে হাজির হলো এমন এক মহিমান্বিত রাজপ্রাসাদে, মানবচক্ষু যা প্রত্যক্ষ করেনি এর আগে। কিশোরীটি প্রাসাদের দরোজায় একটি করাঘাত করতেই কেউ এসে খুলে দিলো দরোজাটা। সাথে সাথে আমরা দুজনেই ডুবে গেলাম অপূর্ব এক আলোর বন্যায়।
সেখানে আমরা দেখলাম অনেক রূপসী বালিকা। একমাত্র আল্লাহই জানেন আমাদের দেখা সেইসব বালিকার গূঢ়ার্থই বা কী। তাদের প্রত্যেকের হাতে ছিলো আলো দিয়ে সাজানো এক একটি আপ্যায়নের ট্রে। আমাকে সঙ্গ দেওয়া সেই কিশোরীটি বালিকাদেরকে জিজ্ঞাসা করলো তারা সব যাচ্ছে কোথায়। তারা বললো, 'আমরা এমন একজনকে খুঁজছি, যে ডুবে গিয়েছিল সাগরে৷ এভাবে সে শহীদ হয়ে গিয়েছিল। রাতের বেলা এক পলকের জন্যেও সে ঘুমাতো না কোনোদিন৷ আমরা তার শরীরের উপর আতরের খোশবু ছিটাতে যাচ্ছি।'
কিশোরী বললো, 'এখন আমার এ বন্ধুটির গায়ে কিছু সুগন্ধি ছিটিয়ে দাও না।'
বালিকারা বললো, 'একদা এইসব মশলা ও সুবাসের কিছু অংশ ছড়ানো হয়েছিল তার উপর। কিন্তু সে পালিয়ে গিয়েছিল লজ্জ্বায়।'
তৎক্ষণাৎ কিশোরীটি আমার হাত ছেড়ে দিলো, সরে দাঁড়ালো একদিকে এবং আমাকে বললো, ' তোমার প্রার্থনাই তোমার আলো, তোমার সাধনাই তোমার শক্তি, নিদ্রা উভয়েরই দুশমন। তোমার জীবনই তোমার একমাত্র সুযোগ যা তোমাকে অমরতা দেবে। তুমি যদি একে অবজ্ঞা করো, এর অপচয় করো, তুমি কেবল ধুলোতেই মিশে যাবে।'
এই বলে কিশোরী অদৃশ্য হয়ে গেল।
IV. আমার প্রিয়তম | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
হে আমার ভ্রাতা ও ভগ্নিরা, আমার নির্জনতাই আমার শান্তি।
আমার প্রিয়তম তো আমার সঙ্গেই আছে সবসময়।
তার ভালবাসার কোনো উপমা খুঁজে পাই না আমি।
মরণশীল সত্তাসমূহের মধ্যে তার প্রেমই আমার জন্যে এক অগ্নিপরীক্ষা।
তার যে সৌন্দর্যেরই আমি ধ্যান করি না কেন, সে-ই আমার 'মিহরাব' আর তার দিকেই আমার কিবলা।
আমি যদি ভালবাসায় ভুগে মারা যাই
আমার সমস্ত তৃপ্তি পূর্ণ হওয়ার আগেই,
মরে যাই পৃথিবীর সমুদয় দুশ্চিন্তা আর দুঃখদুর্দশায় ভুগে,
কিসের বা ক্ষতি!
হে আত্নাসমূহের চিকিৎসক, তোমার ইচ্ছাই তো আমার আত্নার খোরাক।
ও আমার আনন্দ, ও আমার চিরস্থায়ী জীবন,
তোমার সঙ্গে মিলনের যে সংগ্রামে আমি রত, তা-ই আমার আত্নাকে
সুস্থ করে তুলেছে।
তুমিই তো ছিলে আমার জীবনের উৎস
আর তোমার কাছ থেকেই এসেছিল আমার আত্নার আনন্দ।
সমস্ত সৃষ্টজীব থেকে আমি বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছি আমাকে।
আমার আশা তোমার সঙ্গে আমার মিলন ঘটবেই এবং সেটাই আমার সমস্ত কামনার একমাত্র লক্ষ্য।
V. বাস্তবতা
বিষয় যখন প্রেম
দুটি হৃদয়ের মাঝখানে থাকতে পারে না কোনো দেয়াল।
মিলনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকে জেগে ওঠে দুটি মনের অফুরন্ত কথা, যেন তা মূল স্বাদেরই প্রকৃত বর্ণনা।
যে নিয়েছে এর স্বাদ সে-ই শুধু বোঝে এর মানে।
আর যারা এর ব্যাখ্যা দিতে করে বাচালতা, তারা তো মিথ্যুক।
কী করে তুমি বর্ণনা দেবে তার, যার কাছ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে
তোমাকে?
আর তুমি বাঁচবেই বা কোথায়?
আর হে মিথ্যুক, কেই বা তোমার প্রেমের পরওয়া করে?
VI. তুমিই আমার শ্রেষ্ঠ প্রয়োজন
আমার অন্তরে আছো তুমি---আমার কী চাওয়ার আছে আর?
আমার কণ্ঠে উচ্চারিত তোমার নাম সবচেয়ে মিষ্টি শব্দ পৃথিবীর।
আমার প্রিয় মুহুর্ত, যা কেবল তোমার সান্নিধ্যে কাটে।
হে আল্লাহ, তোমাকে স্মরণ না করে তো
একটা মুহূর্ত আমি থাকতে পারিনা পৃথিবীতে
পরকালে কি করে বাঁচবো বলো, না যদি তোমার মুখ
দেখতে পাই এই চোখে?
তোমার সাম্রাজ্যে আমি এক আগন্তক
এবং তোমার পূজারীদের মধ্যে আমি বড়ই নিঃসঙ্গ
এটাই আমার অভিযোগ।
মনসুর হাল্লাজ এর গভীর রাতের প্রেমের ছন্দ ২০২২
VII.
আমি যখন তোমাকে
স্মরণ করি
আমার আকাঙ্ক্ষা তোমাকে
পাওয়ার জন্যে
মরিয়া হয়ে ওঠে।
কিন্ত তোমাকে ভুলে থাকা
আমার জন্যে
বেদনা ও দুঃখের।
পুরো আমিই আত্না হয়ে
তোমায় ডাকতে থাকি
যা আমার কষ্ট ও দুঃখকে
আরও বাড়িয়ে দেয়।
বিলহানা এর শীতের প্রেমের কবিতা
VIII. শুধুই প্রেমের জন্য
জীবনের শেষ-প্রান্তে এসেও যদি পুনরায়
দেখা হয়ে যায় সেই রমণীর সাথে---,
আহা! বাদামী চোখের সেই নারী,
যে আমাকে বেঁধেছিল তার স্তানাগ্র চূড়ায়।
অমৃতপূর্ণ পাত্র, রাজার প্রমোদ, স্বর্গের সুখ,
এবং প্রার্থিত নির্বাণকেও আমি
তুচ্ছজ্ঞান করবো, যদি পুনর্বার তাকে পাই।
ওমর খৈয়াম এর বর্ষার কবিতা প্রেমের কবিতা
IX. রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
উদয়-অচল গুহা হতে ঊষা
দিনের প্রদীপ ধরি'
বিলীন করলো তারকা বধুর
পরনের কালো শাড়ি
শরমে লুকায়, দ্যাখো দিলরুবা
আলোর মুকুট পরে
প্রভাত অরুণ কিরণ মালাটি
পরালো মিনার চূড়ে।।
*
সোনালি প্রভাত আলোর পরশ
বুলালে আকাশ পরে
সরাই খানার হৈ হুল্লোড়ে
শুনিনু তন্দ্রা ঘোরে
*
'জাগো, বাছা জাগো রাত আর নেই'
দিলদার কয় ডেকে
'ভরে নে পেয়ালা, হৃদয় মদিরা
শুকিয়ে যাবার আগে।। '
*
কাল-মোরগের হৃদ কাঁপা ডাকে
আগত কাফেলা দল,
'দোর খোলো, দোর সরাইখানার'
তুলছিল শোরগোল,
'জানো না তোমরা', কে যেন বললে
'আছি বা কতক্ষন,
'এ পান্থনিবাস ছাড়লে বারেক
জিন্দিগী সমাপন।।'
*
নতুন বরষে পুরানো বাসনা
করে যেন হাসফাঁস
মাটির গভীরে তাই শোনা যায়
অতীত উষ্ণ শ্বাস।
ঈসা ও মূসার পরশে লালিত
ঘন তরু বীথিকায়
ভাবুক হৃদয় আশেক চলেছে
নিরালা সে বনোছায়।।
*
নেই সে ইরেম, বিরান উহার
গোলাপের সম্ভার,
জামশিয়েদের বিলাশবহুল
পেয়ালা নেই কো আর,
তবুও দ্রাক্ষা আজো নত হয়
চুনী-পান্নার ভারে
কুঞ্জটি তুমি খুঁজে নিও রানী
বহমান নদী তীরে।।
*
দাউদের ঠোঁটে ঝরবে না আর
পেহলবে সুর তান।
হারানো সে সুরে বুলবুলি এক
ডুকরে ধরেছে গান,
কেঁদে কয় ও যে গোলাপের কাছে,
'সুরার রক্তলালে',
এঁকে দাও রানী মদির চুম্বন
আমার হরিৎ গালে।।"
*
পেয়ালা তোমার ভরে নাও সখি
ফাগুনে আগুন জ্বলে
হিমানী শীতল অনুতাপ শাড়ি
ছাই হোল সুরানলে।
কাল-বিহঙ্গ ডানা ঝাড়া দিলে
সময় পাবে না আর
দ্রাক্ষা-রসে ভরে নাও হৃদি
ভেঙে যাবে ভৃঙ্গার।।
*
কতো যে কুসুম ফুটে আছে দ্যাখো
ঊষার আভাস পেয়ে
প্রদোষে উহার অনেক ঝরেছে
ধরনীর ধুলো ছুঁয়ে।
ফাগুন যখন হৃদয় কাননে
ফোটালো গোলাপ কলি
হারানো দিনের জামশিয়েদের
স্মরণে এনো না তুলি।।
*
এসো সখি এসো ভাবনা কিসের
খায়াম দাঁড়ায়ে আছে
কায়রো' খসরু কাহিনী এখন
ওরা থাক ইতিহাসে।
দয়ালু হাতেম, বীর রুস্তমের
জৌলুস আজ ম্লান,
অতীত দিনের জের টেনে রানী
ভুলো না বাঁচার গান।।
*
তার চেয়ে চলো সবুজ বনের
লতা বিতানের আড়ে
সোনালি ফসল সেখানে মরুকে
রেখেছে ফারাক করে।
নেই ভেদাভেদ, দাস প্রভূ আর
মানুনের বাদশাই
কাছাকাছি এসো হাত ধরো রানী
চলো গো সেখানে যাই।।
*
একটু ছায়ায় কাছে যদি থাকে
টুকরো যবের রুটি
আর যদি পারি ছন্দে সাজাতে
রুবাই একটি দুটি,
ভৃঙ্গায় সুরা, পাশে আছো তুমি
কন্ঠে গজল গান
হোক সে বিজন, মনে হবে মোর
আমি এক সুলতান।।
জালালউদ্দিন রুমী এর অসম্ভব সুন্দর প্রেমের কবিতা
X.
প্রতিটি প্রশ্ন তোমাকে নিয়ে
প্রতিটি পদক্ষেপ তোমারই দিকে।
গত রাতে হয়েছে গভীর ঘুম
ঘুম ভেঙ্গে দেখি পুরো মাতাল
সে-রাতে তুমি এসেছিলে স্বপ্নে।
XI. বুদ্ধিমান
বুদ্ধিমান সব সময় নিজেকে জাহির করেন;
আর প্রেমিক আনমনা-- লুকিয়ে থাকেন।
বুদ্ধিমান পালিয়ে বেড়ান-- ডুবতে তার খুব ভয়;
যদিও ভালবাসা মানেই হল দরিয়ায় ডুবে মরা।
বুদ্ধিমানরা অবকাশ যাপনের প্রস্তুতি নেন;
আর প্রেমিকরা বিশ্রাম নিতে খুবই কুণ্ঠিত হন।
প্রেমিক সর্বদাই নিঃসঙ্গ, এমনকি জনারণ্যেও
তিনি স্বতন্ত্র-- তেল আর জল পরস্পর যেমন।
যিনি প্রেমিককে সুপরামর্শ দেবার ঝামেলা পোহান--
তিনি ব্যর্থ হন। প্রেমিকের একাগ্রতা তাকে উপেক্ষা করে
ভালবাসা মুখোশের মতো, এটা দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
ভালবাসা একটি গাছ, আর প্রেমিকরা তার ছায়া।
XII. নতুন নিয়ম
এটা পুরোনো নিয়ম যে মাতালরা তর্ক করবে
আর ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়বে।
প্রেমিক হল দুনিয়ার খারাপ। সে গর্তে পড়ে যায়
আর ওর অতল গহ্বরে চকচকে কিছু খুঁজে পায়;
অঢেল অর্থ বা বিপুল ক্ষমতার চেয়েও দামি কিছু।
কাল রাতে চাঁদ এসেছিল কাপড়চোপড় সব রাস্তায় ফেলে।
এটাকে আমি গান গাইবার অজুহাত হিসেবে পেয়ে গেলাম
পেয়ালা ভরা আকাশের মধ্যে আমি নেমে দাঁড়ালাম।
পেয়ালা গেল ভেঙে। সবখানে ছড়িয়ে গেল সবখানে।
আমার আর কিছু করার ছিল না।
এই-ই হল হতুন নিয়ম। মদের পেয়ালা ভেঙে ফেল,
আর পড়ে যাও কাঁচফোলানো শ্বাসের স্রোতে।
হাফিজ এর রাধা কৃষ্ণের প্রেমের কবিতা
XIII. রুবাইয়াৎ-ই-হাফিজ | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
একাকি দিন ভালোই ছিলো
কাটছিলো সব স্বপ্নময়,
তোমার দেখা পাওয়ার পরই
শুরু হলো অবক্ষয়।
কিছুই ভালো লাগে না আর
খাওয়া-দাওয়া নিদ্রাসুখ,
ডাক্তার সব ফেল করেছে
সারাতে এই বদ-অসুখ।
*
ফুল ফুটে তো অনেক গাছে
সব ফুলের আর কদর কই?
তোমায় কেনো লাগলো ভালো
রইলো আজো রহস্যেই।
লাগলো ভালো এই বলে কি
করবে তুমি দারুণ রাগ
রেগে গেলেই ছাড়বো পিছু?
বাড়বে আরো অনুরাগ।
*
এই যে আমি রাত্রি জেগে
লিখছি তোমায় পত্রটা
মন-মাধুরী মিশিয়ে দিয়ে
লিখছি হরেক ছত্রটা
তারপরেতেও ভয়ে ভয়ে
আছি আমি রাত্রিদিন
দয়া করে জবাব দিও
থাকবো ক'দিন পাত্রীহীন?
XIV.
কেনান থেকে আসবে ফিরে-- কোরো না শোক ইউসুফের।
নিরুদ্দেশের মাত্র ক'দিন! চোখের পানি ফেলো না ফের।
কেঁদ না আর। কাঁদবে কেন? দুঃখশোকের খরাতেই
গোলাপ কুঁড়ি উঠবে ফুটে সুগন্ধ তার ছড়াতেই।
বুকে তোমার গোপন ব্যথা, বিষণ্ণতায় মলিন মুখ--
আবার হয়ে উঠবে আলো, আসবে ফিরে মিলন সুখ,
শান্ত হবে দগ্ধ হৃদয়।
চোখের পানি ফেলো না ফের।
হঙ উ এর সেরা প্রেমের কবিতা
XV. রসুল প্রশস্তি | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
মহাবিশ্ব সৃষ্টির প্রাক্বালে
সৃষ্টিকর্তা দিয়েছিলেন ঘোষণা
পাঠাবেন মর্ত্যে
মহান এ ধর্ম-প্রচারককে;
অবশেষে তিনি আবির্ভূত হলেন পশ্চিমে;
তাঁকে দেওয়া হলো পবিত্র কিতাব
যার ভাগ হলো ত্রিশটা,
সমস্ত সৃষ্টিকে যা দেখাবে পথ।
তিনি বিশ্বাসীগণের নেতা;
আসমান থেকে আসে সাহায্য তাঁর কাছে
তাঁর জাতিকে রক্ষার জন্য।
দিনে পাঁচবার প্রার্থনা করেন তিনি,
কেবলি শান্তির কামনা নৈঃশব্দে,
হৃদয় নিমগ্ন শুধু আল্লাহর ধ্যানে।
গরিবকে তিনি ক্ষমতায় বসান,
বাঁচান তাদেরকে তাবৎ দুর্দশা থেকে।
অন্ধকারে নিমজ্জিত আত্নাসমূহকে
বের করে আনেন আলোয়
সমস্ত বিভ্রান্তি থেকে;
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের জন্যে তিনি আশীর্বাদ।
তিনি পাড়ি দিয়ে এসেছেন প্রচীন গৌরবময় সব পথ;
বিতাড়িত করেছেন সমস্ত অপশক্তিকে।
তাঁর ধর্ম খাঁটি, সত্য;
মহম্মদ-- তিনি মহান ও শ্রেষ্ঠ।
মীর তকি মীর এর ভালবাসার কবিতা ২০২২
XVI.
' প্রিয়! কত কী যে চাই তোমার কাছে, কী বলবো সে গল্প
এক প্রাণ তার সহস্র বাসনা, এক হৃদয় আর সহস্র চাওয়া '
মীর্জা গালীব এর রোমান্টিক প্রেমের কবিতা
XVII.
"এইখানে এই তরুর তলে
তোমার আমার কৌতুহলে
যে কটি দিন কাটিয়ে যাব প্রিয়ে,
সঙ্গে রবে সুরার পাত্র
অল্প কিছু আহার মাত্র
আরেকখানি ছন্দমধুর কাব্য হাতে নিয়ে "
খলিল জিবরান এর ভালোবাসার কবিতা এস এম এস
XVIII. ভালবাসা বিষয়ে উপদেশমালা | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
আল মিৎরা বললেন,
আপনি আমাদেরকে ভালবাসা সম্পর্কে কিছু বলুন জ্যোতির্ময়।
তিনি মাথা তুললেন এবং সমবেত মানুষের দিকে তাকালেন;
কলরব থেকে চারদিকে নিস্তব্ধতা নেমে এলো। তারপর তিনি
নিভাঁজ গলায় উচ্চারণ করলেন --
ভালোবাসা যদি কখনো ডাকে, অবশ্যই তার পিছু যাবে,
যদিও প্রেমের পথ বড়োই রুক্ষ আর বন্ধুর।
যখন প্রেমপুঞ্জ তোমাকে ঢেকে দেবে, তাকে বাধা দিও না,
যদিও তার ডানার ভেতরে লুকানো কিরিচ তোমাকে আঘাত করে
তবু তুমি তার হাতে নিজেকে সঁপে দিও।
প্রেম যদি তোমাকে কিছু বিশ্বাস করতে বলে,
বিনা তর্কে বিশ্বাস করো তার কথা।
যদিও তার বেয়ারাপনা চুরমার করে দিতে পারে তোমার স্বপ্নের প্রাসাদ
যেমন বিনষ্ট করে অনেক সুন্দর করে সাজানো বাগান উত্তরের ঝড়ে।
ভালবাসা যেমন তোমার শিরে বিজয়ের মুকুট পরাতে পারে,
তেমনি ক্রুশবিদ্ধও করতে পারে।
ভালবাসা যেমন তোমার উপরে ওঠার সিঁড়ি আবার সেটা
তোমার পতনের কারণও হতে পারে।
ভালবাসা যেমন তোমাকে অতি উঁচুতে তুলে সূর্যমাখা লতাপাতা
শাখা-প্রশাখায় আদরে হাত বুলাবে,
ঠিক তেমনি তোমার শেকড়ে নেমে প্রবল নাড়ানি দিয়ে
আলগা করে দিতে পারে তোমার মাটিস্থ বন্ধন।
আঁটিবাঁধা শস্যের মতো সে তোমাকে যত্ন করে কুড়িয়ে আনাবে।
তারপর মাড়াই করতে করতে নগ্ন করবে।
আবার তোমারই মুক্তির জন্যে শস্যদানা থেকে আলাদা করবে খোসা।
শস্যদানাকে পিষে পিষে করবে সাদা ধবধবে গুঁড়ি।
ততক্ষণই সে তোমাকে পিষবে যতক্ষণ না তুমি সুসৃশ্য হচ্ছো;
তারপর সে তোমাকে নিষ্পাপ আগুনে দগ্ধ করবে যেনো তুমি
ঈশ্বরের পবিত্র ভোজের উপযোগী পূত পবিত্র চমৎকার রুটি হও।
ভালবাসা তোমাদের সাথে এইমত আচরণ করবে
আর তোমরা তোমাদের গভীর-গোপন হৃদয়রহস্য
নিজেরা উপলব্ধি করতে পারবে।
আর সেই অভিজ্ঞান লাভ করে তোমরা নিজ নিজ জীবনে
নিজ হৃদয়ের আসঙ্গ সঙ্গী হয়ে উঠবে।
কিন্তু যদি ভয় পেয়ে শুধুমাত্র বাসনার শান্তি
ও আনন্দের খোঁজে তথ্য তালাশে পরিব্যাপ্ত হও,
তখন তোমার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে, তুমি তোমার উদোম দেহটা ঢেকে
প্রেমের শস্যমাড়াই-ক্ষেত ছেড়ে দূরে--- বহু দূরে পালিয়ে যাওয়া।
XIX. আমার ভালবাসা | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
তিল তিল করে জমানো ভালোবাসার
শেষ তলানিবিন্দু পর্যন্ত আমি ঢেলে দিতে চাই
তার পদপ্রান্তে যাঁর ইচ্ছায় আমি পৃথিবীতে এসেছি
পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ পানে
ব্যাকুল আত্নায় জ্বলে উঠেছে ধন্যবাদের প্রদীপ
যে প্রদীপের আলোয় পথ দেখে দেখে
কৃতজ্ঞচিত্তে আমি তুলে নিচ্ছি ভোগ-উপভোগের সমূহ সম্ভার
এত ভালোলাগা----
ভালো লাগতে লাগতে শীতল পরশের ছোঁয়ায়
আমি প্রীত-মুগ্ধ-অভিভূত
চোখ ভুজে আসা প্রশান্তিতে গা এলিয়ে দিয়ে
আমার আত্নায়--- অন্তরাত্নায় কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে
উচ্চারিত হয়---- শুকরিয়া শুকরিয়া এবং শুকরিয়া
যিনি আমাকে ধরাধামে পাঠিয়েছেন
তাঁর কাছেই আবার ফিরে যাবো----
এই চমৎকার ভ্রমণে সব সরঞ্জামসহ
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আধুনিক আমার এই দেহ ভান্ডার
যাঁর আশীর্বাদপুষ্ট তিনিই আমার মালিক, আমার প্রভু
তাঁর জন্য আমার সব সঞ্চয়---- শ্রদ্ধা-ভক্তি-ভালবাসা
আমি ঢেলে দিতে চাই অকৃপণ সরলতায়
আমার ভালোবাসার প্রতিটি উহূর্ত
দীপ্তিময় স্বর্গীয় আভায় আমাকে উদ্বেল করে,
আন্দোলিত করে। আমি বার বার ফিরে ফিরে দেখি,
আকুল হয়ে তাকাই----
আমার প্রভু, আমার মালিক
আমার ভালোবাসা তোমার জন্য
আমি ততটুকু ভালোবাসতে পারলাম কি না তুমি জানো সব
আমার সওদা গ্রহণ করো----
মাও সে-তুঙ এর ভালোবাসার কবিতা ও ছন্দ
XX. চাংসা | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
শরতের শীতে প্রকৃতির মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছি একা।
বয়ে যায় নদী কমলা দ্বীপটি ছাড়িয়ে----
উত্তরে একটানা;
লালে লাল ঐ হাজার পাহাড় দেখি,
আর দেখি ঐ রাঙা আলো মাখা থরে থরে সাজা মহীরুহ!
ঢেউ ভেঙে ভেঙে পথ ক'রে নেওয়া নৌকোরা ভেসে চলে----
ঘন নীল ঐ প্রশস্ত নদী জুড়ে;
আকাশেতে ভাসে চিল, আর
জলেতে মাছের আনাগোনা।
বরফশীতল বিশাল এ প্রকৃতিতে----
স্বাধীনতাকামী কোটি কোটি প্রানী
দৃঢ় প্রত্যয়ে বাঁচে!
জিজ্ঞাসা করি আকাশ-বাতাস-ধরনীকে
'প্রকৃতির খেলা কার হাতে আছে বাঁধা?'
পড়ুয়া বন্ধুদের সাথে বেশ ক'টা বছর আমি কাটিয়েছি এইখানে;
যায় না তো ভোলা সেসব দিনের কথা!
দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সব তরুন হৃদয়----
দৃপ্ত শরীরে মাথা উঁচু ক'রে বাঁচা আর ভরসা রাখা নিজেদের দর্শনে
আমাদের কলম সেদিন উঠেছিল ঝলসিয়ে
দেশের মাটির ডাকে,
উচ্চাসনে বসা প্রভুদের----
পথের ধুলোই ভেবেছি।
মনে কি পড়ে সেইসব কথা?
সেই মাঝনদীতে দাপিয়ে বেড়ানো, আর
দ্রুতগামী নৌকোকেও ঠেলে দেওয়া----
ঢেউয়ের গুঁতোয়?
ইমাম খোমেইনি এর ফুল নিয়ে প্রেমের কবিতা
XXI. সাগর ও মরীচিকা
আমাকে ছেড়ে দাও এই সীমাহীন দুঃখের মাঝে
যেখানে অন্তর খান খান হয় বক্ষ সিদ্ধ কাবাব।
বন্ধুর আননের বিরহ যাতনায় চলে গেল একটি জীবন
আমার পাখি আগুনে পুড়েছে আর আত্না মাছ হয়ে ডাঙায় ছটফট করছে।
এত কষ্টে এ জীবন ঘানি টেনে চলেছে তবুও ভাগ্য খোলে নি,
বাজে খরচে বয়স বেড়েছে, যৌবনও গতপ্রায়।
বিদ্যালয়ে পাঠ নিয়ে শুধু বিতণ্ডা বাড়ল পেলাম না কিছুই,
জানি না সাগরে পৌছতে পারব কখন এই মরীচিকা পাড়ি দিয়ে
যা কিছু পেয়েছি এতকাল বড় বড় কিতাব ঘেঁটে
সবকিছুই তো দেখছি পর্দার পর পর্দার মলাট।
ওহে প্রিয়তম! জীবন ঋতুতে সাবধানে চল, বিচক্ষন হও।
বুড়ো বয়সে অঘোর নিদ্রা ছাড়া আর কিছুই নেই।
এই মূর্খরা যারা হেদায়াতের গালভরা বুলি আওড়ায়
তাদের পোশাকে 'আমি' 'আমি' ছাড়া আর কিছুই নাই।
আমরা আমাদের দোষ অপূর্ণতা এবং অন্যের রূপগুণ মহিমা
লুকিয়ে রাখি কলপের প্রলেপে বয়স গোপন করার মতো।
আর শব্দ কর না, অনর্থের হিসাবের বই ফেলে দাও।
আর কতকাল চলবে তোমার বৃথা আস্ফালন।
XXII. মধ্যরাতের সূর্য্য
ওহে রূপসী! তুমি পর্দায় ঢাকা, অথচ নেকাববিহীন
ওহে তোমার শত সহস্র ঝলক তারপরও হিজাব পরিহিত।
মধ্যরাতের ওহে সূর্য! মধ্যদিনের ওহে চাঁদনি!
কোন সদূরের ওগো তারা, তুমি নও চাঁদ, নও সূর্য।
জগৎ তোমার ধ্বজা বহন করে, সূর্য তোমার প্রতিচ্ছায়া।
হুরিদের অলকগুচ্ছ তোমারই অভিমানের দড়ি
পবিত্রাত্নাদের প্রাণ তোমার প্রেমের আগুনে জ্বলছে।
হুরিদের হৃদয় তোমার বিরহের আগুনে পুড়ে কাবাব।
সুন্দরের অনুপম আদর্শ মহিমার কিংবদন্তি তুমি
তুমি অসীম অকুল সমুদ্র জগৎ সর্বত্র মরীচিকা
আহা তুমি কি চোখের পলকে একটিবার আমাকে দেখবে?
ডানা মেলে উড়ে যাব তখন এই দুনিয়া রেখে।
তোমার সুন্দরের ছটায় ভাগ বসায় সব সুন্দর
তোমার চাইনি প্রাণ কেড়ে নেয় যুবা বৃদ্ধা সকলের
বন্ধুর লোভী চোখই আমাকে নষ্ট করেছে আহা!
তবে এই পথে কুরবান হয়েই অস্তিত্ব জগতের আহাজারি।
XXIII. হৃদয়ের খানকাহ
ওগো সাকী! বের করে দাও আমার হৃদয়ের বাসনা ব্যথা
তোমার রসের বাটি খুলে দিক সকল রহস্যের জট।
দিলের খানকায় বুদ্ধির দৌড় বেঁধে দাও তরলিত মদে,
কখনো এই উন্মাদের আখড়া যুক্তির নিবাস হবে না।
যদি প্রিয়তমের প্রেমে লাগাও প্রেমের বাঁধন
তবে তো স্থান ছেড়ে দিতেই হবে
কারণ, এই পানশালা বেঁহুশদের ঠিকানা ছাড়া আর কিছু নয়।
মদিরার নেশায় এক মুহূর্ত যদি হুঁশ পাও তুমি
তাহলে তো তুমি এখানকার বাসিন্দা নও,
কারণ, এটা হলো সবহারাদের আস্তানা।
যদি সুহৃদের গুলবাগিচায় দেখ ফুলের ফাগুন
তাহলে তো তোমার ঠাঁই নেই, এই বিতানে।
যদি এখান থেকেই দেখ তুমি জান্নাতুল ফেরদাউস
তবে তোমার ঠিকানা অবিশ্বাসীদের বাসরে।
যদি দিল দরিয়া কর, অস্তিত্বের আরামে
তাহলে তো মাকড়শার জালেই আটকে গেছ, মুক্তি নেই তোমার।
নিজার কাব্বানি এর নতুন প্রেমের কবিতা
XXIV. দুঃখের কবিতা | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
আমাকে দুঃখ পেতে শেখালো তোমার ভালোবাসা
আর বহুদিন থেকে
আমার দরকার ছিলো এমন এক নারী
যে-আমায় দুঃখ দিতে পারে।
এমন এক নারী
কাচের টুকরোর মতো যে-আমাকে
কুড়িয়ে নেবে।
তোমার ভালোবাসায়
পথে পথে ঘুরিফিরি আমি
বৃষ্টি আর নগরীর আলো
দেয়ালে দেয়ালে সাঁটা রঙিন বিজ্ঞাপনে
তোমার মুখের খোঁজ করি
এবং হারিয়ে যাই
দীর্ঘদিনের জন্য যে-মুখের মসৃণে আমি
নিজেকে হারাই
সবারই সে মুখ
আমি যে-কণ্ঠস্বর খুঁজে ফিরি
সে কণ্ঠ সবার।
আমাকে ফিরিয়ে নাও শৈশবে তুমি
এবং তোমার মুখ চক দিয়ে আঁকি আমি
বিভিন্ন ক্রশের গায়ে
ঘণ্টায়
মাছের জালে।
তোমার ভালোবাসা আমাকে রূপকথার
তলানিতে টেনে নিয়ে যায়;
ঘুমে আর জাগরণে
স্বপ্নে দেখি কোনো এক রাজকন্যাকে
স্বচ্ছ জলের মতো চোখ দুটো যার।
ইসমাইল কাদারে এর ভালবাসার কবিতা ২০২২
XXV. কবিতা
কবিতা, তুমি কীভাবে আমার উদ্দেশ্যে তোমার পথ খুঁজে পেলে?
আমার মা আলবেনীয় ভালো বলতে পারে না,
সে আরাগঁর মতো কমা ও যতিচিহ্ন ছাড়া বাক্য লেখে,
আর আমার বাবা তার যৌবনে একের পর এক সাগর ঘুরে বেড়িয়েছে,
কিন্ত তুমি এসে গেছ আমার কাছে
এই নিস্তব্ধ পাথুরে শহরের ফুটপাথ হেঁটে হেঁটে,
এবং মৃদু কড়া নেড়েছ ষোল নম্বরে,
আমার এই তিন-তলা বাড়ির দরজায়।
এই জীবনে আমি অনেক কিছু ভালো বেসেছি, অনেক কিছু ঘৃণা করেছি
অনেক সমস্যা নিয়ে আমি হয়ে গেছি এক 'উন্মুক্ত শহর'
একজন যুবকের মতো উদভ্রান্ত ঘোরাঘুরি শেষে
রাত করে বাড়ি ফিরেছি,
আজও এক ঝুঁকিপূর্ণ অপকর্মে ক্লান্ত হয়ে
তোমার কাছে প্রত্যাবর্তন করেছি।
কিন্তু তুমি আমার আত্নস্খলনকে গ্রাহ্য না করেই
আমার মাথায় নম্রভাবে হাত বুলালে,
হে আমার শেষ ঠিকানা, কবিতা।
মাহমুদ দারবিশ এর সেরা প্রেমের কবিতা
XXVI. আব্বা, আমি তোমার ইউসুফ | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
আব্বা, আমি তোমার ইউসুফ
ও আব্বা!
আমার ভাইয়েরা আমাকে ভালবাসে না
তাদের কাছে আমি যেতে চাই না
ওরা আমাকে অযথা মারধর করে
পাথর ছুঁড়ে মারে
অপমানের বন্যায় ভাসিয়ে দেয়
আমার ভাইয়েরা আমার মৃত্যু কামনা করে
ওরা তাই মিছেমিছে প্রশংসা বিলায়
আমার মুখের সামনে ওরা
তোমার দরজা বন্ধ করে দেয়।
আমি হয়েছি বিতাড়িত
তোমার জমিজমা শস্যখেত থেকে
ও আব্বা!
ওরা আমার আঙুরবন বিষে ভরে দিয়েছে
বয়ে চলা বাতাস যখন আমার চুল নিয়ে খেলে
ওরা সবাই তখন হিংসায় মরে
তোমার আমার প্রতি ক্রোধ ছুঁড়ে মারে।
আব্বা ও আব্বা!
আমি ওদের কী এমন ক্ষতি করেছি?
কোন অপকার করেছি?
প্রজাপতির দল আমার কাঁধে বিশ্রাম নেয়
গমখেত মাথা নত করে
পাখি আমার হাতের উপর ঘুরে বেড়ায়
আব্বা, আমি কি তাদের ক্ষতি করেছি!
কেন তবে এতো লাণছনা?
তুমিই আমার নাম রেখেছো ইউসুফ!
ওরা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিল----
গভীর কুয়ার অতলে
দোষ চাপিয়েছিল নেকড়ের ঘাড়ে
ও আব্বা! ওই যে নেকড়ে ----
সেও আমার ভাইদের চেয়ে অনেক দয়ালু।
যখন আমি আমার স্বপ্নের কথা বলেছি----
তখন কি কারো ক্ষতি করেছি?
কারো অসুবিধা করেছি?
আমি স্বপ্নে দেখেছি----
এগারোটি গ্রহ, চন্দ্র-সূর্য, আমাকে সিজদা করছে
XXVII. আমার আম্মা | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
আমার মন কাঁদে------
আম্মার হাতের বানানো রুটি, বানানো কফি
এবং তার হাতের স্পর্শের জন্য।
দিনের পর দিন
আমার ভেতরে ছেলেবেলার স্মৃতি জেগে ওঠে
মৃত্যুর সময় আমার জীবনের দাম আছে
একমাত্র আমার আম্মার কান্নার জন্য
মৃত্যুর পর একদিন যদি ফিরে আসি------
আমাকে তুলে নিও
তোমার চোখের পাপড়ি হিসেবে
ঘাসে ঘাসে ঢেকে দিও
আমার হাড়গুলোকে
আমাকে দু'আ দিও
তোমার পদচিহ্ন দিয়ে
আমাকে বেঁধে রেখো
তোমার চুলগুচ্ছে
-------অথবা বেঁধে রেখো
তোমার কাপড় থেকে লতিয়ে আসা সুতো দিয়ে।
যদি তোমার হৃদয়ের গভীরতাকে স্পর্শ করি
আমি অমর হয়ে যাবো
ঈশ্বর হয়ে যাবো।
স্যু তিং এর অসম্ভব সুন্দর প্রেমের কবিতা
XXVIII. শিরোনামহীন | প্রেমের কবিতা ২০২২ | সেরা ভালবাসার কবিতা
ছুটে যাই ব্যালকনিতে, তোমাকে দেখতে
যাচ্ছ ফুল আর বৃক্ষপথ দিয়ে
কোথায়, অনেক দূরে?
দ্রুত নেমে আসি, পথ আগলে দাঁড়াই
"এত ভয় কিসের?"
হ্যাঁ, কিন্তু কেন তা বলবো না।
নদীর ধারে নির্জন পথে পাশাপাশি হেঁটে বেড়াই
ধীর লয়ে,
কোনো তাড়া নেই
বাতাস আসে বাতাস যায় দারুচিনি বনে
'খুশি'?
'হ্যা'
কিন্তু কেন তা বলবো না।
লেখার টেবিলের পাশে এসে ঝুঁকে দেখছো
লজ্জা পেয়ে সরিয়ে নিই কবিতার খাতা
প্রগাঢ় স্বরে বললেঃ
'তুমি প্রেমে পড়েছো'
'হ্যাঁ, ঠিক তাই'
কিন্তু কেন তা বলবো না।
XXIX. আমি তোমায় ভালবাসি
কে সে তপ্ত জলভরা চোখে অকৃপণ হাতে
লিখেছিলো এই শব্দত্রয় সমুদ্র সৈকতে!
সে কে আজও হৃদয়ে লালন করে মুকুলিত স্বপ্ন!
সাতরঙা ঝিনুক সাজিয়েছিল শব্দের শরীর;
পাশে আলতো করে রেখেছিল
লাল রুমালে বাঁধা অফোটা একগুচ্ছ কৃষ্ণচূড়া---
অবশ্যই সে কোনো বালিকা হবে।
হয়তো সে চেয়েছিল এই পথে যেই যাক
রঞ্জিত হোক অজস্র চিন্তায়।
চিতি মাচিয়া এর রোমান্টিক প্রেমের কবিতা | love poems bangla
XXX. নকশিকাঁথার সুঁই
এক মধুর সন্ধ্যায় সে আমাকে বলে--
লিয়াঙ শান পর্বতে
য়ি-দের হৃদয়ভূমি জিলেবুতে যাওয়ার
সেই সরু পথ তোমার কি মনে আছে?
আমি নকশিকাঁথার সুঁই হারিয়ে ফেলেছি--
আমাকে একটু খুঁজে দেবে?
(আমি তন্নতন্ন করে সারাপথ সুঁই খুঁজলাম)।
য়ি-দের হৃদয়ভূমি জিলেবুতে যাওয়ার
সেই সরু পথ তোমার কি মনে আছে?
ঘন অন্ধকারে আমি তাকে বললামঃ
প্রিয়তমা, তোমার নকশিকাঁথার সুঁইটি
বিঁধে আছে আমার নরম হৃৎপিণ্ডের গভীরে
(সে কাঁদতে লাগলো অঝোরে)!
পাঠক, অর্ডিনারী আইটির এই ফিচার্ড পোস্টটি কেমন লাগলো তা কিন্তু অবশ্যই আমাদেরকে জানাবেন কমেন্টবাক্সে। এ'রকম ব্যতিক্রমি কন্টেন্ট পেতে নিয়মিত নজর রাখুন অর্ডিনারী আইটির ওয়েবসাইটে। আজ এ পর্যন্তই। ভালবাসা চিরন্তন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url