বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন
বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন বা সার্টিফিকেট উত্তোলন ফরম কোথায় পাওয়া যায়? এ নিয়ে অনেক মানুষই থাকে চিন্তিত। সঠিক জ্ঞান না থাকায় অনেকেই ডিপ্লোমা হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন জন্য আবেদন বা এস এস সি সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য আবেদন পত্র তৈরী করতে পারেন না। শিকার হন প্রতারণার।
চলুন তাহলে জেনে নিই কিভাবে পাব্লিক বা প্রাইভেট বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সনদ উত্তোলনের জন্য আবেদন করা যায় আর কিভাবেই বা hsc হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন পত্র বা যেকোন সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে সরাসরি বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন করা যায়। একমাত্র আমাদের আজকের লেখনিতেই আপনি পাবেন সঠিক নিয়মে সার্টিফিকেট উত্তোলন ফরম পূরণ করার নিয়ম সমূহ।
বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | আবেদন কখন করা হয়
বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন করা হয় মূলত দুই কারণে। প্রথমত, যখন কোন সার্টিফিকেট হারিয়ে যায় আর দ্বিতীয়ত, যখন বোর্ড চ্যালেঞ্জ করে কোন সাব্জেক্টের নম্বর পরিবর্তিত হয় তখন নতুন সার্টিফিকেট উত্তলনের জন্য বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন করা হয়। মূলত এই দুই কারণেই বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন করা হয়ে থাকে। আজকের আমাদের প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা করব কিভাবে হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন সঠিকভাবে করা যায়
বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | hsc সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন পত্র
আমরা সবাই জানি, কোন একজন শিক্ষার্থী কোন একটি বোর্ড পরীক্ষার জন্য একটি করে সার্টিফিকেট পাবে যদি সে পাস করে থাকে। অন্যদিকে সেই সার্টিফিকেট তার ভবিষ্যৎ জীবনের নানা রকম কাজে লাগবে। বেশিরভাগ প্রয়োজন হয় জব এক্সাম বা কোথাও এপ্লাই করার জন্য যেমন- উচ্চতর স্টাডির জন্য বাইরে যেতে হলে। তাই একটি সরকারি বা বোর্ড এক্সামের সার্টিফিকেট অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাছাড়া একটি সার্টিফিকেট দিয়ে ব্যাক্তি তার যোগ্যতার প্রমাণ দিতে সক্ষম হন।
সার্টিফিকেট উত্তোলন ফরম | বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | এসএসসি বা এইচএসসি সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য আবেদন পত্র
আমাদের জীবনে চলার পথে নানা রকমের অনাকাংখিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে। হতে পারে তা আমাদের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের সাথেও। তাই এইসব অনাকাংখিত ঘটনা ঘটলে যেন তার কোন ব্যাকাপ সিস্টেমে হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন করা যায় তা আমাদের জানা থাকে সেই উদ্দেশ্যেই আপনাদের সহায়তা করার জন্যই আমাদের আজকের এই পোস্ট। দেখে নেওয়া যাক কিভাবে পুনরায় বোর্ড থেকে হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন করে কিভাবে তা তোলার জন্য আবেদন করা যায়, আর কিভাবেই বা সার্টিফিকেট উত্তোলন ফরম ফিলাপ করা যায়?
ধরুন আপনি আপনার কোন সরকারি বা বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট সাথে নিয়ে বাসায় ফিরছেন। পথিমধ্যে কোনভাবে আপনার ব্যাগটি ছিনতাই হয়ে গেল বা কোথাও অসাবধানতা বশত পড়ে গেল বা চুরি হয়ে গেল। সেই ব্যাগের মধ্যে আপনার দরকারি কাগজপত্রও ছিল। এখন সেগুলোও মিসিং হয়ে গেল। এবার কিভাবে তা পাওয়া যাবে? এইরূপ অবস্থায় দুশ্চিন্তা না করে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হবে।
বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | hsc সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন পত্র
আমাদের শিক্ষাজীবনের ধাপ গুলো অনেক রকমের হতে পারে। যেমন স্বাভাবিক ভাবে সবাই এসএসসি পরীক্ষা পাশ করে এইচএসসি লাইনে ভর্তি হয়। কেউ কেউ এসএসসি দিয়ে ডিপ্লোমা লাইনে ভর্তি হতে পারেন। আবার উচ্চ মাধ্যমিক বা ডিপ্লোমা দুটো পরীক্ষার পরবর্তীধাপে উচ্চতর শিক্ষার জন্য তারা অনার্স আর মাস্টার্স শেষ করে। আবার অনেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়াশোনা শেষ করে। তো এইসব আলাদা আলাদা সেক্টরে আলাদা আলাদা ভাবে সার্টিফিকেট উত্তোলনের নিয়ম রয়েছে। শুরুতেই দেখব সরকারি বোর্ড কর্তৃক কোন হারিয়ে যাওয়া সার্টিফিকেট বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন করার নিয়ম।
হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | এস এস সি সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য আবেদন পত্র | hsc সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন পত্র
বাংলাদেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অধ্যয়নরত কোন শিক্ষার্থী যদি কোনভাভে তার মূল স্নদ বা সার্টিফিকেট হারিয়ে ফেলে তবে ডুপ্লিকেট কপি উত্তোলনের জন্য তাকে বোর্ড বরাবর আবেদন করতে হবে। তবে মূল সমস্যা হলো অনেকেই সার্টিফিকেট উত্তোলন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি ভালোভাবে সঠিক ভাবে জানেন না, যার জন্য নানা রকমের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। যদিও কাজ গুলো আসলেও একটি ঝামেলাপুর্ণ তাও দরকারে আমাদেরকে করতেই হয়।
ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন
এছাড়া অনেক সময় গুনতে হয় অতিরিক্ত অর্থ বা চা নাস্তার কথা বলে অন্যায় ভাবে অর্থ প্রদান। এজন্য সঠিক ভাবে সার্টিফিকেট উত্তোলন ফরম পূরণ এবং পরবর্তী ধাপ গুলো গ্রহণের জন্য সচেতন হতে হবে। আবার এই বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন এর মাধ্যমকে ডিজিটালাইজেশন করাই অনেক সুবিধা দেখা গেছে। কিন্তু সাথে সাথে বেশ কিছু ত্রুটিও পরিলক্ষিত হয়েছে যেমন- কমিনিউকেশন গ্যাপ। তাই দেরি না করে আসল এবং সঠিক পদ্ধতি জেনে নেই চলুন-
১. প্রথম কাজটি হলো জিডি। জ্বী আপনি ঠিকি শুনছেন। আপনি যদি নিশ্চিত হন যে আপনার বাংলাদেশ শিক্ষাবোর্ডের অধীনস্ত কোন সার্টিফিকেট হারিয়ে গেছে সেক্ষেত্রে আপনাকে সর্বপ্রথম আপনার নিকটস্থ থানায় যেয়ে থানার ইনচার্জ বা ডিউটিরত অফিসারের কাছে সার্টিফিকেট এর নাম, রোল নং, রেজিস্ট্রেশন নং, বোর্ড এবং সেশন উল্লেখপূর্বক হারানো জিডি করুন। কোন মাধ্যম দিয়ে নয় বরং সরাসরি বিনামূল্যেই এই জিডি করা হয়ে থাকে।
হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | hsc সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন পত্র
তাই কোন দালাল বা এরকম চক্রের হাতে না পড়ে নিজেই এই কাজটি করুন। জিডি মূলত হাতে লেখা একটি কাগজ যেখানে হারানোর ঘটনা উল্লেখ পূর্বক কিছু আইনি ভাষা উল্লেখ থাকে। তাই থানা পুলিশের কথা শুনেই বিভ্রান্ত হওয়া বা ভয় পাওয়ার কিছু নাই। আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সার্টিফিকেট হারানো সংক্রান্ত বিষয়ে আপনাকে সাধ্যমত সাহায্য করবেন। শুধু একটু সময় হাতে করে যাবেন।
২. এরপরের কাজটি হলো আপনার জিডির প্রচারণা করা। মানে সহজ বাংলায় যাকে বলে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দেওয়া। হ্যাঁ, শুনতে একটু আজব লাগছে ঠিকি কিন্তু এটাই নিয়ম। এরজন্য আপনাকে কিছু তথ্য যোগ করতে হবে যেমন- আপনার জিডি নং, জিডিতে উল্লেখকৃত আপনার হারিয়ে যাওয়া সার্টিফিকেটের ডিটেইলস যেমন- সার্টিফিকেট এর নাম, রোল নং, রেজিস্ট্রেশন নং, বোর্ড এবং সেশন ইত্যাদি দিয়ে যেকোন জাতীয় দৈনিক এক্টি হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রাকশ করতে হবে। এই কাজে আপনাকে কিছু অর্থ ব্যয় করতে হবে। প্রায় দুই থেকে তিন হাজারের মতো লাগতে পারে বা কম বেশি কিছু হতে পারে। যেটি পত্রিকা খরচ হিসেবে বিবেচিত।
হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সনদ উত্তোলনের জন্য আবেদন
৩. এরপর আপনাকে বোর্ডে এপ্লাই এর জন্য বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন করতে হবে। এটি আপনাকে স্কুল বা কলেজ থেকে করতে হবে। এজন্য আপনাকে আপনার জিডি কাগজ, বিজ্ঞপ্তির কপি, অন্যান্য কাগজাদি যেমন- এসএসসি বা এইচএসসির এডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, জন্ম নিবন্ধন, ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র (যদি থাকে), পাসপোর্ট সাইজের ছবি, প্রশংসা পত্র ইত্যাদির ফটোকপি সাথে করে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে যেয়ে দায়িত্বরত শিক্ষক বা নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
তারাই আপনাকে আপনার বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে আপনার সার্টিফিকেট উত্তোলন ফরমটি পূরণ করে দিবে। সম্ভব হলে নিজের ইনফরমেশন গুলো টাইপ করে কপিটি পেন্ডারিভে করে নিয়ে যাবেন। এতে করে তাদের ফর্ম ফিলাপ করতে সুবিধা হবে আবার সময় ও বেঁচে যাবে। এরপর আপনাকে একটি কপি দেওয়া হবে। যেটি মূলত ব্যাংকের পে স্লিপ এর কপি।
৪. এবারের আপনার কাজ হবে সরাসরি ব্যাংকে। যে ব্যাংকের জন্য আপনাকে রিকোম্বেন্ড করা হবে আপনি সেই ব্যাংকে যেয়ে নির্দিষ্ট পে স্লিপ দেখিয়ে বা ব্যাংক কপি দিয়ে এপ্লিকেশনের টাকা পে করবেন। এখানে আপনার প্রায় পাঁচশত থেকে আটশত টাকা বা কিছু কম বেশি লাগতে পারে। এরপর আপনাকে স্টুডেন্ট কপিটি ভালভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন
৫. এরপর কিছুদিনের মধ্যে ব্যাংকের টাকা জমা হলে আপনার কাছে প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারটিতে কনফরমেশন এসএমএস আসবে। এরপর প্রায় দুই সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ ত্রিশ দিনের মধ্যে সার্টিফিকেট তৈরী হয়ে গেছে বলে কনফর্ফ করে ম্যাসেজ আসবে। এতে করে আপনি সিওর হবেন যে আপনার সার্টিফিকেট তৈরী হয়েছে।
৬. সর্বশেষ কাজ হলো স্ব-শরীরে হাজির হওয়া। অর্থাৎ, আপনাকে এসএমএস দিয়ে ওরা জানাবে যে আপনাকে কবে সার্টিফিকেট নিতে যেতে হবে। সেইদিনে নিজে উপস্থিত হতে হবে। সাথে নিজের দরকারি কাগজ যেমন- ব্যাংক স্লিপ, এসএসসি বা এইচএসসির এডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, জন্ম নিবন্ধন, ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র (যদি থাকে), পাসপোর্ট সাইজের ছবি, প্রশংসা পত্র ইত্যাদির অরিজিনাল কপি সাথে করে নিয়ে যেতে হবে। যাতে কর্তৃপক্ষ চেক করতে চাইলে আপনি দেখাতে পারেন। মনে রাখা ভাল, অবশ্যই শিক্ষার্থীর যাওয়া ভাল। নাহলে সার্টিফিকেট না দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এইভাবে আপনি আপনার হারিয়ে যাওয়া সনদ কে আবার ফিরে পেতে পারেন। বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। এইভাবে আপনি আপনার এস এস সি সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য আবেদন পত্র বা hsc সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন পত্র তোলার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | খাতা চ্যালেঞ্জের ফলে বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন
আমাদের অনেকেই আছেন যারা বোর্ড রেসাল্টের পরে খাতা পুনরায় নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেন। অনেকের গ্রেড এবং জিপিএ পরিবর্তন হয়। এসময় দেখা যায় সার্টিফিকেট চলে আসলেও রেজাল্ট আগেরই থেকে গেছে। এরূপ ক্ষেত্রে নতুন ভাবে আবেদন করে সার্টিফিকেট পাওয়া যায়।
এজন্য থানায় জিডি বা পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে স্কুল বা কলেজের প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষের কাছ থেকে স্বাক্ষরিত আবেদন পত্র সাথে মার্কশিটের অনলাইন কপি নিয়ে শিক্ষাবোর্ডে জমা দিতে হবে। সাথে প্রাপ্ত মার্কশিটের সত্যায়িত কপি। এগুলো জমা দিলে সেখান থেকে নির্দিষ্ট অংকের ব্যাংকড্রাফট করতে বলা হবে। সেটা করে নিয়ে কাগজ জমা দিলে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
এরপর আপনাকে ম্যাসেজের মাধ্যমে বলে দেওয়া হবে কবে আপনাকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। যেদিন সার্টিফিকেট নিতে যাবেন সেদিন পুরানো সার্টিফিকেট সাথে নিয়ে যাবেন। তারা এটি জমা নিয়ে আপনাকে নতুন সার্টিফিকেট দিয়ে দিবে। এভাবে আপনি আপনার সার্টিফিকেট পরিবর্তন করতে পারবেন।
বোর্ড থেকে হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | সার্টিফিকেট উত্তোলন ফরম | সার্টিফিকেট উত্তোলন ফরম | ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন
এতক্ষণ আমরা দেখলাম কিভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য হারিয়ে যাওয়া বা ছিনতাই হওয়া হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন করা যায়। এখন প্রশ্ন হলো যারা কারিগরি লাইন বা পলিটেকনিক লাইন থেকে পড়ে তাদের কিভাবে হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন করতে পারবে? তাদের সার্টিফিকেট যদি হঠাৎ কোন ক্ষেত্রে বিশেষে প্রয়োজন হয় তবে তারা কিভাবে বা কোন মাধ্যম থেকে এই জিনিস সংগ্রহ করতে পারবে এবার আমরা সেটাই দেখব।
ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সনদ উত্তোলনের জন্য আবেদন
ডিপ্লোমা হারানো সার্টিফিকেট অথবা সাধারণ সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন করার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে আবেদন করতে হয়। যদিও কিছুটা ঝামেলা পূর্ণ কাজ তবে খুব কঠিন না। তাদের জন্য করণীয় কাজ সমূহ নিচে দেওয়া হলো-
১. প্রথমত ফর্ম সংগ্রহ। হ্যাঁ। ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন করতে হলে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে যে নির্দিষ্ট ফর্ম আছে সেটি ফিলাপ করতে হবে। এই ফর্ম টি আপনি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড বা আপনার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে বা আমাদের নিম্নোক্ত লিংক থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
২. এরপর ফর্ম টি সঠিকভাবে পূওরণ করতে হবে এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের রুম নাম্বার ১০১ থেকে ব্যাংক ড্রাফট করার জন্য কপি সংরহ করতে হবে। ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন ফর্ম এর জন্য ব্যাংক ড্রাফট সাধারণত সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। তবে এখানে নির্দিষ্ট করে টাকার পরিমাণ দেওয়া হয় না। পাসপোর্টের মতন এখানে সময়ের উপর টাকার মান নির্ধারিত হয়। বোর্ড কর্তৃক বলা আছে এক মাসের ভেতর সার্টিফিকেট নিতে চাইলে তার জন্য ফি হবে দুইশত টাকা। জরুরি ভিত্তিতে এক সপ্তাহের জন্য পাঁচশত টাকা এবং একদিনের মধ্যে চাইলে সাতশত টাকা দিয়ে উক্ত ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংক ড্রাফট সম্পন্ন করতে হবে।
ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | এস এস সি সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য আবেদন পত্র
৩. এরপরবর্তীতে যাবতীয় কাগজ এবং ব্যাংক ড্রাফটের স্লিপ সহ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের রুম নাম্বার ১০১ নং এ যেয়ে জমা দিলে টাকার পরিমাণ মতো আপনি আপনার সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন।
ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন করার জন্য উপরোক্ত পদ্ধতি আপনারা চাইলেই খুব সহজেই অনুসরণ অরে আপনার কাংখিত সার্টিফিকেট টি পেতে পারেন। তাই কোন রকম সমস্যা হলে উক্ত পন্থা অবলম্বনের কোন বিকল্প নেই।
বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | সার্টিফিকেট উত্তোলন ফরম | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সনদ উত্তোলনের জন্য আবেদন
অন্য সব লেভেলের হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সনদ উত্তোলনের জন্য আবেদন করা বা আসল সার্টিফিকেট পাওয়ার সিস্টেম সম্পূর্ণরূপে আলাদা। তাই এখানে সার্টিফিকেট তোলার সঠিক পদ্ধতি জেনে রাখা আবশ্যক। আমরা জানি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার পর সাময়িক সনদ দেওয়া হয়। তাই আসল সনদ তোলার জন্য কিছুটা আলাদা পদ্ধতি মেনে চলতে হয়।
ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | এস এস সি সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য আবেদন পত্র
বিশেষত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসল সনদ তোলা যায় বিশেষ কারণে। কারণ গুলো বলা যায়, আপনি যদি উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যেতে চান বা আপনি কোন চাকরিতে জয়েন করতে চাচ্ছেন এখানে আপনার কাছে আসল সনদ চেয়েছে বা কোন বিশ্যবিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ক্ষেত্র বিশেষে এই সার্টিফিকেট তোলার জন্য আপনি আবেদন করতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সনদ উত্তোলনের জন্য আবেদন করতে পারি?
আরো পড়ুনঃ সকল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২০- ২০২১
প্রথমেই বলে রাখা ভাল যে, মূল সনদ তুলতে সাময়িক সনদ জমা দিতে হয় আর এর জন্য প্রযোজ্য ফি এবং ভ্যাট বাবদ যথাক্রমে পাঁচশত এবং ৪৬ টাকা মোট ৫৪৬ টাকা জমা দিতে হবে। আবেদনের মাধ্যম অনলাইন ভিত্তিক। অর্থাৎ অনলাইনে আবেদন করেই আপনি আপনার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সনদ উত্তোলনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | hsc সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন পত্র
মূল সনদ তোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ সমূহের তালিকাঃ
১. নিজ কলেজের অধ্যাক্ষের সুপারিশসহ আবেদনপত্র।
২. প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার দ্বারা রেজিষ্ট্রেশন কার্ড এর সত্যায়িত ফটােকপি।
৩. প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার দ্বারা চার বছরের প্রবেশ পত্রের সত্যায়িত ফটােকপি।
৪. প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার দ্বারা সাময়িক সনদ ও নম্বরপত্রের সত্যায়িত ফটােকপি।
৫. এছাড়া ব্যাংকের ফি প্রদান করা লাগবে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে।
৬. মূল সনদ কেন প্রয়োজন তার প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় কাগজ বা ডকুমেন্টস এর সত্যায়িত ফটোকপি।
৭. উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সনদ উত্তোলনের জন্য আবেদন | বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন সেবা তে এই সকল কার্যাদি সম্পন্ন করা হয়। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সনদ উত্তোলনের জন্য আবেদন করতে হলে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। যেমন-
১. প্রথমেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব-সাইটঃ www.nu.ac.bd
ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | এস এস সি সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য আবেদন পত্র
২. এরপর আপনাকে service Menu তে যেয়ে "Student Login" অপশনে প্রবেশ করতে হবে। এখানে আবেদন করতে পারবেন।
৩. Student Login এ "Download Instruction" অপশন থেকে যেয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাওয়া যাবে। সেখানে মূল সনদ তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সংযুক্ত অনলাইন স্ক্যান কপি সমূহের নাম পাওয়া যাবে।
এই ছিল মোটামোটি ভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সনদ উত্তোলনের জন্য আবেদন করার নিয়ম। ২০০০ সালের পর্যন্ত যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতকসম্মান লাভ করেছেন তাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সনদ উত্তোলনের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে সরাসরি সাময়িক সনদ দিয়েই আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু পরবর্তীতে সংশোধনী পাশের জন্য এভাবে সরাসরি ভাবে তোলা যায় না। বিভিন্ন কাগজ পত্র সাবিমট এবং কারণের সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে মূল সনদ উত্তোলন করা যায়।
ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সনদ উত্তোলনের জন্য আবেদন
স্বাভাবিক ভাবে সার্টিফিকেট তোলার জন্য অন্যান্য সব ক্ষেত্রের থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যম একটু আলাদা। তাই আমরা চেষ্টা করেছি সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে আপনাদের সাহায্য করার।
পাব্লিক ইউনিভার্সিটির সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন
আমারা সাধারণভাবে স্কুল ও কলেজ জীবন পার করে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করি। এখানে আমাদের জীবনের প্রায় ৪টি বছর সহ ভবিষ্যত কর্ম জীবনের প্রস্তুতি চলতে থাকে। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের চারটি বছর আমাদের জীবনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। আর এই জীবনের সার্টিফিকেটের উপর চাকরি জীবনের অনেক প্রভাব রয়েছে।
হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন
আবার অনেক সময় দেখা যায় যে, আপনি পাশ করে বেরিয়ে যাওয়ার অনেক দিন পার হয়ে গেলেও সঠিক সময়ে আপনি আপনার সারটিফিকেট টি পাচ্ছেন না হাতে। অথচ এইদিকে আপনার চাকরি বা বাইরে উচ্চরত শিক্ষা বা অন্য যেকোন দরকারে আপনার এই সার্টিফিকেট টি দরকার। এখন তাহলে আপনার করণীয় কি? নাকি সার্টিফিকেটের অভাবে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজটাই আটকে যাবে?
ভয় নেই, আপনি চাইলে সাময়িক সনদ পত্র তুলে নিতে পারেন আপনার দরকারে। আজকে আমরা দেখব কিভাবে কোন পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ভার্সিটি থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন করতে পারেন।
১. প্রথম কাজ হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা। শিক্ষার্থীকে অনলাইনে নিজ নিজ ভার্সিটির ওয়েবসাইটে যেয়ে নির্দিষ্ট ঘরে তার নিজস্ব তথ্যাদি বসিয়ে "Generate Invoice" বা "Confirm" বা "Claim" বাটনে প্রেস করতে হবে। এটি করার পুর্বে অবশ্যি তথ্যাদি ভালোমতো চেক করে নিতে হবে। কারণ এরপর আর তথ্য পরিবর্তনের সুযোগ থাকে না। তাই ভুল থাকলে তা অবশ্যই সংশোধন করে নিতে হবে। নতুবা পরবর্তীতে সার্টিফিকেটে বানান বা সংখ্যাগত ভুল আসবে।
২. এরপরের ধাপে আপনাকে আপনার সার্টিফিকেট উত্তলনের জন্য টাকা জমা দেওয়ার রশিদ দেওয়া হবে। সেই রশিদ নিজস্ব তথ্যাদি পূওরণের পর "Download Invoice" বা "Download Payslip" এই বাটন থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। এটি তাৎক্ষণিক ভাবেই পাবেন আপনি। ডাউনলোড ফরম্যাট পিডিএফ এ করতে হবে।
৩. এরপরের কাজ হচ্ছে পে-স্লিপ টিকে প্রিন্ট আউট করে নেওয়া আর সাথে সাথে ওয়েবসাইটে উল্লিখিত ব্যাংকে যেয়ে নিজ নিজ ভার্সিটির উল্লেখ করা এমাউন্টটি নির্দিষ্ট করে দেওয়া থাকলে সেই শাখায় নতুনা উল্লিখিত ব্যাংকের যেকোন শাখায় যেয়ে নির্দিষ্ট টাকা পে করতে হবে।
৪. আবেদনের টাকা পে হলে এক কর্মদিবসের মধ্যে সেই টাকা নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পৌছে যাবে। এরপর তাকে ভার্সিটি সার্ভারে যেয়ে নিজ একাউন্টে লগিন করে সেখান থেকে Check Payment Status বাটনে ক্লিক করলেই দেখতে পারবেন টাকা পে হয়েছে কিনা। টাকা পে হয়ে গেলে সেখান থেকে কপি তুলে নেওয়া যাবে। আর যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে তবে "Claim Payment" অপশন থেকে টাকা জমা দেওয়ার যাবতীয় তথ্য হালনাগাদের আপডেট পাওয়া যাবে
হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন
৫. পেমেন্ট কমপ্লিট হলে আপনি আপনার সার্টিফিকেট উত্তোলনের আবেদন ফরম এবং আবেদনপত্র জমাদানের রসিদ ডাউনলোড করতে পারবেন। আবেদন ফর্ম টিকে অবশ্যই ৮০স এর এ৪ অফসেট পেজে প্রিন্ট করতে হবে। এবং ফর্মটি ফিলাপের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়াদির দিকে নজর রাখতে হবে।
বিষয়াদি হলো যেমন- বিভাগীয় প্রধানের কর্তৃক সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন ফরমের যথাস্থানে স্বাক্ষর করাতে হবে, ফরমের যথাস্থানে ছবির উপরে সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষ/প্রাধ্যক্ষ/গেজেটেড অফিসারের স্বাক্ষর ও সীল মোহর সঠিকভাবে করাতে হবে যাতে করে ছবির উপর কিছু অংশ এবং ফরমের উপর কিছু অংশ থাকে, প্রার্থীর নিজের স্বাক্ষর ইত্যাদি।
৬. এরপরের ধাপে আপনাকে কর্তৃপক্ষের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবেদন ফরমটিকে নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের নির্দিষ্ট রুমে জমা দিতে হবে। আবেদনপ্ত্র জমাদানের সময় প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার দ্বারা স্বাক্ষরিত এবং প্রবেশপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে।
৭. আবেদনপত্র জমাদানের পর জমাদানের রসিদটি প্রিন্ট করে নিতে হবে এবং সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন ফর্ম টি জমাদানের সময় ফরম গ্রহণকারী কর্মকর্তার স্বাক্ষর বা সীল সংগ্রহ করতে হবে নাহলে ফর্মটি সম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হবে না। এই রসিদটি পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে কেননা সার্টিফিকেট তোলার সময় এই রসিদটি অবশ্যই জমা দিতে হবে। নাহলে সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে না।
৮. সার্টিফিকেট তৈরী হয়ে গেলে আবেদনকারীকে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। নির্দিষ্ট দিনে প্রবেশপত্রের আসল কপি সাথে নিয়ে যেয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস হতে সার্টিফিকেটটি সংগ্রহ করতে হবে। সাথে আবেদনপত্র জমাদানের রসিদটি অবশ্যই জমা দিতে হবে।
এইভাবে আপনি আপনার সময় মতো প্রয়োজনীয় সাময়িক সার্টিফিকেট তুলে নিয়ে নিজ প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন।
পাব্লিক ইউনিভার্সিটির হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন
এতক্ষন আমরা দেখলাম কিভাবে নিজ প্রয়োজন মতো সার্টিফিকেট তোলার আবেদন ফর্ম পূরণ করে সেই মোতাবেক সার্টিফিকেট তোলা যায়। এখন আময়াদের অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে যে, যদি আমাদের কারোর সার্টিফিকেট হারিতে যায় বা পুড়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায় বা যেকোন অনাকাংখিত ঘটনা ঘতে যায় তবে সেক্ষত্রে আমরা কিভাবে তা আবার ফিরে পেতে পারি? এটা আসলেই চিন্তার বিষয়।
না, আসলে তেমন কোন চিন্তার বিষয় না। উপরে বর্ণিত বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন করার নিয়ম আর হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন একি। শুধু এখানে আপনাকে অতিরিক্ত একটা ছোট্ট কাজ করতে হবে। আর তা হলো আপনার কাছে থাকা কাগজাদি বা অন্যান্য ডকুমেন্টস এর সহায়তায় আপনাকে সবার প্রথমে আপনার নিকটস্থ থানাই "সার্টিফিকেট হারিয়ে গেছে" এই মর্মে একটা জিডি করতে হবে।
এরপর তা সাধারণ দৈনিক কোন পত্রিকায় প্রকাশ করতে হবে। এরপর আপনাকে জিডির কাগজ ও পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কাগজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। বাকি প্রসেস সব ই একি ভাবে সম্পন্ন করলেই আপনি আপনার হারানো সার্টিফিকেট নির্দিষ্ট সময় পরে ফিরে পাবেন।
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন | হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির কোন শিক্ষার্থীর যদি তার সার্টিফিকেট তুলতে চাই তবে তাকে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। সেখানে কর্মরত শিক্ষক বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারিবৃন্দ সঠিক নির্দেশনা মতো সার্টিফিকেট তোলার আবেদন ফর্ম এবং আবেদনের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে ধারণা দিবেন।
এছাড়া অনেক সময় অনাকাংখিত দূর্ঘটনা বসত যদি সার্টিফিকেট পাওয়ার পরে সেই সার্টিফিকেট হারিয়ে যায় তবে হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই নিকটস্থ থানাই যোগাযোগ করতে হবে। সেখানে জিডি এবং পত্রিকায় জ্ঞাপনের পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে হারানো সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন করতে হবে।
এভাবে আপনারা আপনাদের সার্টিফিকেট ফিরে পেতে পারেন।
বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার আবেদন ফর্ম | হারানো সার্টিফিকেট তোলার নিয়মাবলি সমূহ
এই ছিলো মোটামোটি ভাবেবোর্ড থেকে সার্টিফিকেট তোলার আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম বা হারানো সার্টিফিকেট তোলার নিয়মাবলি সমূহ। আমরা চেষ্টা করেছি সবথেকে সহজ উপায়ে আপনাদের দিক নির্দেশনা দিতে। আপনাদের সহযোগিতা করায় আমাদের একান্ত কাম্য বিষয়।
সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে তা পুনরায় তোলা যায়। এতে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। তবে এতে অনেক ঝামেলা বা দুর্ভোগ থাকে বা অনেক সময় পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে আমাদের অনেক ভাই বোন কষ্টার্জিত অর্থের ব্যয় করে ফেলেন। তাই আমরা চেষ্টা করব আমাদের জীবনের কষ্টে অর্জিত সার্টিফিকেট কে সাবধানে ভালভাবে সুরক্ষিত স্থানে সংরক্ষণ করার জন্য।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url