অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল রুট করার সেরা ৫টি সুবিধা
আজকের পোস্টে জানবেন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল রুট করার সেরা ৫টি সুবিধা। গুগল অ্যান্ড্রয়েড অন্যান্য অপারেটিং
সিস্টেম থেকে অনেক উন্মুক্ত এবং কাস্টমাইজযোগ্য। তবে একজন Root ব্যবহারকারী
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেন। তার মতো করে সকল কিছু
কাস্টমাইজড করতে পারেন। তাহলে জেনে নিন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল রুট করার সেরা ৫টি সুবিধা।
কিন্তু
অ্যান্ড্রয়েড ফোন Root করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে Root সম্পর্কে জানতে
হবে, তারপর আপনি অ্যান্ড্রয়েড ফোন Root করার কথা ভাববেন। আজকে মূলত আমরা
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে Root এর সুবিধা গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল রুট করার সুবিধা
একটি
অ্যান্ড্রয়েড ফোন রুট করার পর সে ফোনটি নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চালানোর জন্য
সম্পূর্ণ ফোনের এক্সেস ব্যবহারকারিরা পায়, এবং ব্যবহারকারিরা তাদের
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য যুক্ত করতে পারে।
একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন সঠিক ভাবে রুট করা মোটেও সহজ কাজ নয়। তাই অনেক সাবধানতা অবলম্বন করে মূলত রুট করতে হয়। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল রুট করার সুবিধাও যেমন আছে, অসুবিধাও আছে।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল রুট করার সুবিধা আছে?
একটি
জিনিস সকল কে মাথায় রাখতে হবে, সকল অ্যান্ড্রয়েড ফোন একই রকমের না। তাই
একই রকমের রুট করার কৌশল সকলের এক রকম না ও হতে পারে। তাই রুট করার পূর্বে
অবশ্যই ব্যবহারকারীকে জানতে হবে আসলে কি তার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই রুট করার
সিস্টেম কাজ করবে কি না?
তাছাড়াও
আরেকটি বিষয় হলো। একবার অ্যান্ড্রয়েড ফোন রুট করার পর সেটির ওয়ারেন্টি
বাতিল করে দেয় আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন প্রস্তুত করার কোম্পানি। তাছাড়াও
অনেক ঝুঁকি থেকে যায়। তাই সাবধানতা অবলম্বন করে তারপর ফোন রুট করুন।
কাস্টম ROMs: অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল রুট করার সুবিধা
অ্যান্ড্রয়েড
ডিভাইস রুট করার পেছনে সব চেয়ে বড় কারণ হলো ROM, আর অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস
রুট করার পর সবচেয়ে বড় সুবিধা গুলোর মধ্য একটি হলো এই কাস্টম ROM. এতে করে
ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যান্ড্রয়েডের আগের যে সকল কিছু ফিচার রয়েছে সেগুলোতে
খুশি না থাকলে। রুট করার পর ডিভাইসে কাস্টম ROM যুক্ত করে নতুন নতুন ফিচার
গুলো ইনেস্টল করতে পারবে।
তাছাড়াও একটি কাস্টম ROM এ অনেক সুভিধা রয়েছে যা ব্যবহারকারীরা দেখতে পায় না।
কাস্টম Kernel: অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল রুট করার সুবিধা
Kernel
ফোনের থাকা অ্যাপস গুলোকে ফোনের হার্ডওয়্যারের সাথে সরাসরি যুক্ত করে দেয়।
এতে করে ফোনের কার্য ক্ষমতা আগের চেয়ে অনেকাংশ বৃদ্ধি পায়। ব্যাটারির আয়ু
বৃদ্ধি করে এবং চার্জিং ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
ফোনের কাস্টম সেটিং উন্নত করেঃ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল রুট করার সুবিধা
ফোনের
কি বোর্ডের লেআউট কাস্টমাইজ করা, মাল্টিটাস্কিং কার্যকারীতা বাড়ানো,
ফোনের স্ক্রোলিং স্পিড বাড়ানো এবং পাশাপাশি ফোনের ফোনের থিম কাস্টমাইজেশন
করা এবং ফোনের প্রতিটি বৈশিষ্ট আপনি সামাঞ্জস্য করতে পারবেন সহজে।
একমাএ রুট করা ব্যবহারকারীরা এমন সকল কাজ করতে পারে ফোনের যা সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা করতে পারেন না।
রিমুভ করুন Bloatware: অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল রুট করার সুবিধা
অনেক
সময় আমাদের ফোনের অনেক সফর্টওয়্যার গুলো প্রিললোড নেয়। যার কারনে এগুলো
ফোনের অনেকটা মেমোরির দখল করে নেয় সাথে ফোনের ব্যাটারির ডাউন করে ফেলে।
তাই এগুলোকে আনইন্সটল করার আগে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন এগুলো যেন আপনার ফোনের কার্যক্ষমতা ওপরে প্রভাব ফেলবে কি ফেলবে না।
ব্যাকআপঃ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল রুট করার সুবিধা
গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য সেটিংস গুলো ব্যাকআপ রাখতে পারবেন সহজে। আমরা যদি এক ফোন থেকে
অন্যফোনে সকল ডেটা হস্তান্তর কিংবা ডিলিট হয়ে যাওয়া সকল ফিচার পুনরুদ্ধার
করতে চাই তাহলে অব্যশই একটি ব্যাকআপ থাকা জরুরী।
একটি রুট করা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এসকল কিছু করা একদম সহজ।
উপরোক্ত
সুবিধা গুলো ছাড়াও একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে আরো অনেক সুবিধা রয়েছে, যেমনঃ
বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন ব্লক করা, ফোনের গতি আগের চেয়ে আরো বৃদ্ধি করা,
ব্যাটারি আয়ু বৃদ্ধিকরা সহ ফোনের লুকিয়ে থাকা সকল ফিচার আপনি পেয়ে যাবেন
হাতে মুঠোয় খুব সহজে। যদিও এ সকল কিছু কিছু ফিচার আজকাল সাধারণ
অ্যান্ড্রয়েড ফোনেও পাওয়া যায়।
আশা
করি আজকের টিউটোরিয়ালটি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই
আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। এবং আমাদের Ordinary It'র সাথে থাকুন।
১/২. কাস্টম রম + কাস্টম কর্নেল ইনস্টল করতে রুট লাগে না। শুধু মাত্র বুটলোডার আনলক করা থাকলেই চলে এবং কাস্টম রিকভারি ইনস্টল করে নিতে হয়।
8. ব্লোটওয়ার রিমুভ করতে বুটলোডারও আনলক করার প্রয়োজন পড়ে না সেখানে রুট তো অনেক পরের বিষয়। ADB ব্যবহার করে খুব সহজেই করা যায়।
Thanks for awesome comment. :)