প্রাইভেট ব্রাউজিং কি? প্রাইভেট ব্রাউজিং আসলেই ১০০% নিরাপদ?
ইন্টারনেটে নিরাপত্তার জন্য আমরা প্রাইভেট ব্রাউজিং ব্যবহার করি। কিন্তু এই প্রাইভেট ব্রাউজিং (Private Browsing) কি আমাদের তথ্যের শতভাগ নিরাপত্তা দিতে পারে? আর যদি না পারে তাহলে তাহলে করনীয় কি? প্রাইভেট ব্রাউজিং সম্পর্কিত এই সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আমরা সবাই বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করছি। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত সকল তথ্য ইন্টারনেটে শেয়ার করে থাকি। আসলে আমাদের ব্যক্তিগত সকল তথ্য ইন্টারনেটে কতটা নিরাপদ?
আমরা সবাই বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করছি। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত সকল তথ্য ইন্টারনেটে শেয়ার করে থাকি। আসলে আমাদের ব্যক্তিগত সকল তথ্য ইন্টারনেটে কতটা নিরাপদ?
প্রাইভেট ব্রাউজিং কি?
সাধারণত আমরা ইন্টারনেটে যেসব ওয়েবসাইটে যাই অথবা যেকোন কিছু লিখে সার্চ দিই সবকিছুই ব্রাউজিং হিস্টোরিতে রেকর্ড করা হয়। (ক্রোম হিস্ট্রি, ফায়ারফক্স হিস্ট্রি= ctrl+h) এমনকি কোনো সাইটে অ্যাকাউন্ট খুললে আমাদের ব্রাইজার সেটি সেইভ করে রাখতে পারে। এমনকি আমাদের পাসওয়ার্ড ,ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর সবকিছুই ব্রাউজারে সেভ হয়ে থাকতে পারে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা স্বাভাবিক ব্রাউজিং ব্যবহার না করে প্রাইভেট ব্রাউজিং ব্যবহার করতে পারি।
কিন্তু আসলে ইন্টানেটের জগতে নিজের কোনো রকম ব্রাউজিং ইতিহাস না রেখে ইন্টারনেট চালানো অসম্ভব। প্রাইভেট ব্রাউজিং আপনাকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচারণা কোম্পানীর দৃষ্টি থেকে অগোচরে রাখতে পারবে। আর এই প্রাইভেট ব্রাউজিং-এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি আপনার সকল search history এবং ব্যবহার করা সকল data বা password মুছে দিতে পারবেন প্রাইভেট ব্রাউজিং থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে।
বিভিন্ন ইন্টারনেট ব্রাউজারে বিল্ট-ইন প্রাইভেট ব্রাউজিং সুবিধা থাকে যেমন গুগল ক্রোমের জন্য Incognito (ctrl+shift+n) আবার Internet Explorer-এর জন্য Private mode (ctrl+shift+p) এবং মজিলা ফায়ারফক্সের জন্য প্রাইভেট মোড (ctrl+shift+p)
প্রাইভেট ব্রাউজিং-এর কিছু ব্যবহার
মনে করুন, আপনি আপনার পরিবারের জন্য একটি সারপ্রাইজ পার্টির প্লানিং করছেন, সেজন্য আপনি গুগলে এই সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সার্চ করলেন। এখন আপনার অনুপস্থিতে যদি আপনার পরিবারের কেউ ব্রাউজিং হিস্টোরি দেখে তাহলে তো তারা বুঝে যাবে সারপ্রাইজ পার্টির বিষয়ে। তাই এক্ষেত্রে আপনি প্রাইভেট ব্রাউজিং ব্যবহার করতে পারবেন এবং প্রাইভেট ব্রাউজিং থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে আপনার সকল ব্রাউজিং হিস্টোরি মুছে যাবে।
প্রাইভেট ব্রাউজিং আসলেই ১০০% নিরাপদ?
মনে করুন, আপনি আপনার এক বন্ধুর বাসায় গিয়েছেন এবং সেখানে তার ডিভাইসে ইন্টারনেট ব্যবহার করে আপনি ফেসবুকে লগ-ইন করলেন বা বিভিন্ন সাইটে ইনফর্মেশন দিলেন। এখন তার ব্রাউজার কিন্তু আপনার সকল তথ্য সংগ্রহ করে রেখে দিলো। আপনার অনুপস্থিতিতে সে কিন্তু আপনার সকল অ্যাকাউন্ট-এর access পেয়ে গেল। এজন্য আপনাকে অপরিচিত কোনো ডিভাইসে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে হলে অবশ্যই প্রাইভেট ব্রাউজিং ব্যবহার করা উচিত।
প্রাইভেট ব্রাউজিং কি শতভাগ নিরাপদ?
আপনি যদি মনে করেন, আপনি প্রাইভেট ব্রাউজিং ব্যবহার করছেন বলে আপনি সবার দৃষ্টি অগোচরে আছেন এবং যা খুশি ইন্টারনেটে তাই করতে পারবেন, তাহলে আপনি ভুল। আপনি যদি গুগল ক্রোমের Incognito ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে শুরুতেই আপনাকে বলে দেওয়া হবে যে, আপনার সকল এক্টিভিটি ওয়েবসাইটে, স্কুল বা কলজের বা অফিসের যে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছেন, সেখানে সংরক্ষণ করা হয়। মানে আপনার কিছু না কিছু তথ্য ব্রাউজার বা ওয়েবসাইট বা নেটওয়ার্ক প্রোভাইডারে সেভ করা থাকবে।
তথ্যের নিরাপত্তার জন্য কিছু টিপস | প্রাইভেট ব্রাউজিং
আপনি যদি চান যে আপনার কোনো তথ্যই যেন সংরক্ষণ করে না রাখা হয়, এছাড়া বিজ্ঞাপন প্রচারণা থেকে রক্ষা পেতে যদি আপনি আপনার আইপি এড্রেস গোপন রাখতে চান, তাহলে আপনি ভিপিএন ব্যবহার করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ VPN কি? ভিপিএন ব্যবহার করার ৫ কারণ
আবার অনেকসময় খেয়াল করে দেখবেন যে, আমরা যেই সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশান ব্যবহার করি সেগুলো মাঝে মধ্যে আপডেট চায় এবং আমরা সেগুলো এড়িয়ে যাই। কিন্তু আসলে এগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত না কারণ, আপডেট ভার্সনে সিকুরিটি স্ট্রোং করে তৈরি করা থাকে। তাই অবশ্যই এগুলো আপডেট রাখবেন সবসময়।
বর্তমানে আমরা যদি সচেতন হয়ে ব্রাউজিং করি, তাহলে আমাদের তথ্যগুলো অনেকটাই নিরাপদ থাকবে। তাই আমাদের সচেতন করতে এরকম লেখা বেশ সাহায্য করতে পারে। তাই লেখাটি অন্যের কাছে পোঁছে দিতে অবশ্যই শেয়ার করুন। কোনো প্রশ্ন থাকলে মন্তব্য করতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url