OrdinaryITPostAd

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ গোপন ফিচার

আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে কিছু গোপন ফিচার/সেটিংস আছে যা সম্পর্কে অনেকেই তেমন জানেন না। তবে আসুন আজ আমরা জানবো অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের এমনই ৬টি গোপন Settings সম্পর্কে যা জানলে আপনি অবাক হয়ে যেতে পারেন। শুরুতেই বলে রাখছি যে, নিন্মোক্ত সকল ফিচার আপনার মোবাইলে না ও থাকতে পারে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ও কাস্টম রম জনিত কারনে।

প্রথমেই ডেভলপার অপশন অন করুন

আপনার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ৬টি গোপন সেটিংস নিয়ে কাজ করার করার জন্য সর্বপ্রথমে আপনাকে developer options চালু করতে হবে। developer options চালু করতে মোবাইলের settings-এ যেতে হবে। Settings-এ ক্লিক করার পর সবার নিচের অপশন About phone-এ ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনাকে Software Info-এ ক্লিক করতে হবে এবং Build Number/ Model Number   সাতবার পরপর ক্লিক করতে হবে। সাতবার ক্লিক করার পর আপনার মোবাইলের একটি মেসেজ আসবে। আর সে মেসেজের মাধ্যমে জানতে পারবেন আপনার android ফোনের developer options-টি চালু হয়ে গিয়েছে। Back-এ আসার পর আপনি দেখতে পাবেন About Phone-এর উপর Developer options আছে।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পিড বাড়ানো

আপনার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কি খুব slow? আপনার মোবাইল Frist  করতে চান? তাহলে এ Settings-টি চালু করেন। আর এ Settings চালু করার জন্য প্রথমে আপনাকে Developer Options এ যেতে হবে। তারপর আপনি নিচের দিকে আসবেন। তাহলে আপনি দেখতে পাবেন window animation scale অপশন। সেখানে ক্লিক করলে আপনি দেখতে পাবেন Transition animition scale। আর transtion aminition scale অপশনটিতে আপনি দেখতে পাবেন নিচের অপশনগুলো লিখা আছে।  
  • Animation off
  • Animation scale 0.5x     
  • Animation scale 1x
  • Animation scale 1.5x       
  • Animation scale 2x   
  • Animation scale 5x    
  • Animation scale 10x 
যখন আপনি Animation scale 10x/5x-এ ক্লিক করবেন তখন আপনার মোবাইল slow হবে। আর যখন আপনি Animation scale 0.5x-এ ক্লিক করবেন তখন আপনার মোবাইল frist হবে। আর আপনি যদি আপনার মোবাইলকে আরও frist করতে চান তাহলে Animation scale off-এ ক্লিক করতে হবে।

ডিভাইস ম্যানেজার

যদি আপনার মোবাইল হারিয়ে যায়। তাহলে খুব সহজে আপনি  আপনার মোবাইল খুঁজে বের করতে পারবেন Android Device Manager settings-এর মাধ্যমে। আর এর জন্য আপনাকে যেতে হবে আপনার মোবাইলের settings-এ। তারপর Lock Screen and security-তে গিয়ে ক্লিক করতে হবে। এরপর other security অপশন এ ক্লিক করতে হবে এবং Device administors-  যেতে হবে। Device administors   গিয়ে ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনি দেখতে পাবেন Android device manager অপশন। অপশনটি আপনাকে চালু করতে হবে।

অপশনটি চালু করার পর যদি কোনো দিন আপনার মোবাইল হারিয়ে যায়। তাহলে আপনাকে Google-এ গিয়ে সার্চ করতে হবে Android device manager। তারপর যে অপশনটি প্রথমে আসবে সেটাতে ক্লিক করতে হবে। তারপর একটি লগইন অপশন আসবে। তারপর আপনার play store-এ যে gmail অ্যাকাউন্ট আছে সেটা দিয়ে লগইন করতে হবে। লগইন করার পর screen-এ একটি ম্যাপ এবং চিত্রাকারে একটি অপশন আসবে। মাপ এর মাধ্যমে আপনি আপনার হারিয়ে যাওয়া  মোবাইলের location  জানতে পারবেন। আর screen এর চিত্রে তিনটি অপশন আছে। 
তিনটি অপশন হলোঃ
  • Ring
  • Lock
  • Erase

Ring 

আপনার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল যেখানে থাকুক না কেন Ring অপশনে ক্লিক করলে আপনার মোবাইল ring বেঁজে ওঠবে। যদি মোবাইল silent ও  vibition থাকে তবুও ring বাজবে।

Lock

আপনি আপনার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল টি lock  ও  করতে পারবেন। এ lock অপশন এর মাধ্যমে।

Erase

আপনি চাইলে আপনার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল থেকে সব তথ্য ডিলিট/মুছে দিতে পারেন Erase অপশন এর মাধ্যমে। 

লেফটি মোড

আমরা অনেকে বাম হাতে মোবাইল ব্যবহার করে থাকি। আর আপনি যদি বাম হাতে মোবাইল ব্যবহার করেন তবে এ settings-এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে বাম হাতে মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন। আর এ জন্য মোবাইলের settings এ গিয়ে dveloper options এ ক্লিক করতে হবে এবং Force RTL Layout অপশনটি অন করতে হবে। তাহলে আপনি দেখতে পাবেন বাম সাইডের লিখাগুলো ডান সাইডে চলে এসেছে। এর ফলে আপনার বাম হাতে মোবাইল ব্যবহার করা খুব সহজ হয়ে যাবে।

স্ক্রিন পিনিং

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের অ্যাপ্লিকেশনগুলো যেটি বর্তমানে চালু বা স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে সেটি screen-এ  লক করে রাখতে পারেন screen pinning সেটিংসের মাধ্যমে। মনে করেন আপনি আপনার মোবাইল আপনার বন্ধুকে কল করার জন্য দিলেন। আর আপনি চান সে কল অ্যাপ্লিকেশন ছাড়া অন্য অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করতে না পারে। তবে scrren pinning সেটিংসের মাধ্যমে আপনি কল অ্যাপ্লিকেশনকে screen-এ লক করে রাখতে পারেন যার ফলে আপনার বন্ধু অন্য অ্যাপ্লিকেশনগুলতে ঢুকতে বা ব্যবহার করতে পারবে না।

Screen pinning সেটিংস্‌ করার জন্য মোবাইলের settings-এ যেতে হবে। তারপর Lock  screen and  security তে ক্লিক করে other security অপশন এ গিয়ে pin window  অন করে দিতে হবে। তাহলে আপনি আপনার মোবাইলের screen-এ ইচ্ছে মতো যেকোনো অ্যাপ্লিকেশন লক করতে পারবেন।  

স্মার্ট লক

যদি আপনি চান, আপনি যখন বাড়ি থেকে বের হবেন তখন আপনার মোবাইল lock হয়ে যাবে আর বাড়ি ফিরে আসলে unlock হয়ে যাবে। এমনটা করা যাবে smart lock-এর মাধ্যমে। smart lock কে active করার জন্য আপনাকে মোবাইলের settings-এ গিয়ে lock  screen and security-তে গিয়ে secure lock settings-এ ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনার কাছে দুটি অপশন আসবে।

প্রথম অপশন: On body detection
on body detection-এ ক্লিক করলে আপনি যখন মোবাইল হাতে নিবেন তখন আপনার মোবাইল Unlock হয়ে যাবে। আর যখন আপনি মোবাইল রেখে দিবেন তখন আপনার মোবাইল lock হয়ে যাবে।

২য় অপশন: Trusted place
Add trusted place-এ ক্লিক করে আপনি আপনার বাড়ির ঠিকানা ও location   add করে  রাখেন। তাহলে আপনি যখন বাড়িতে আসবেন তাহলে মোবাইল Unlock হবে এবং বাড়ি থেকে বের হলে Lock  হয়ে যাবে।

স্ক্রিন লক ইনফরম্যাশন

আপনি আপনার মোবাইলে আপনার ঠিকানা ও অন্য কারো নাম্বার রাখতে পারেন। যাতে আপনার মোবাইল হারিয়ে গেলে যদি কোনো ভালো ব্যাক্তি আপনার মোবাইল টা পায়,তবে আপনার বাড়ির ঠিকানা ও নাম্বার দিয়ে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। আর এ settings-এর জন্য আপনায় আপনার মোবাইলের settings-এ গিয়ে Lock screen and security  আসতে হবে। তারপর  Info and app shortcut-এ ক্লিক করতে হবে। এরপর  Owner information এ  ক্লিক করার পর আপনার ঠিকানা ও অন্য কারো নাম্বার দিতে হবে এবং Done-এ ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনার ঠিকানা ও নাম্বার মোবাইলের ওপর দেখা যাবে যখন আপনার মোবাইল screen lock হবে।
        
আশা করি উপরোক্ত ৬টি android মোবাইল settings সম্পর্কে আপনি ভালোভাবে বুজতে ও জানতে পেরেছেন এবং এ ৬টি setting আপনার উপকার এ আসবে। আরও প্রযুক্তি বিষয় সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পরবর্তী পোস্টগুলোর সাথে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url