ভবিষ্যৎ কম্পিউটার কেমন হবে? কম্পিউটার বিজ্ঞানের ভবিষ্যৎ
ভবিষ্যৎ কম্পিউটার কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা করবো। আমরা অনেকে জানি কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজ। তিনি কম্পিউটার বানানোর ফর্মুলা তৈরি করেছিলেন। এ কম্পিউটার প্রজন্ম হিসেবে পরিবর্তন হয়ে আসসে।সর্ব প্রথম এ কম্পিউটার শুধু মাত্র হিসাব গননার কাজে ব্যবহার করা হতো।
কিন্তু বর্তমানে এ কম্পিউটার দ্বারা বিভিন্ন কাজ করতে পারি। যেমন, গুরুত্বপুর্ন ফাইল, ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করা যায়। আমরা যে কম্পিউটার বর্তমানে ব্যবহার করি সে কম্পিউটার আর থাকবে না। কারন, আমাদের ট্রাডিশনাল ট্রানজিস্টর বেসড সিস্টেম থেকে সম্পুর্ণ আলাদা। এটি কোয়ান্টাম মেক্যানিকালের সুত্র গুলো ব্যবহার করে ডাটা অপারেশন করতে পারে। এর থিওরিক্যাল মডেলের নাম হচ্ছে কোয়ান্টাম টিউনিং মেশিন। বাহ্যিক দিক থেকে হয়তো কেউ এ কম্পিউটারকে আলাদা করে দেখবে না।
কিন্তু যখন এই কম্পিউটিং এর বিট বাইট এর কোনো হিসাব পাবেন না তখন বঝতে পারবেন আমরা কি ব্যবহার করছি? আসলে কোয়ান্টাম কম্পিউটারেও বিট থাকে যাকে আমরা কোয়ান্টাম বিট বলতে পারি। যেমন ধরা যাক, একটি ৮ বিট কম্পিউটারে ২৫৬ রকম পজিষন থাকতে পারে। একক সময়ে তো ৮ বিটের কোয়ান্টাম কম্পিউটার সেই ২৫৬ কিউবিট পজিশন থাকে।
মানুষের স্নায়ু কোষ যেভাবে গঠিত হয় এবং স্নায়ু কোষ গুলো পরস্পরের সঙ্গে যেভাবে যোগাযোগ করে সেই পদ্ধতি ব্যবহার করে ভবিষ্যত এর কম্পিউটার তৈরি হবে। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের কাজ। এটি কখনো আসল স্নায়ু কোষের মতো কাজ করে না। ইউনিভার্সিটি অব পি-মাউথের কম্পিউটার বিজ্ঞানী টমাস ওয়েনেকারস স্নায়ু কোষের গঠন পদ্ধতি ও কার্যক্রম অনুকরণ করে কম্পিউটার তৈরির চেষ্টা করছেন।
ওয়েনেকারস বলেন, স্নায়ু কোষের গঠন পদ্ধতি অনুকরণ করে কম্পিউটার তৈরি করলে সেন্সরি নেটওয়ার্ক আরো শক্তিশালী হবে। এটি তিনি আশা করেন। ওয়েনেকারের মতো আরেক ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্টিভ ফারবার স্নায়ু কোষের গঠন পদ্ধতি অনুকরণ করে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার তৈরির চেষ্টা করছেন। ম্যানচেস্টারের এ বিজ্ঞানী বলেন, আমি চাই অদুর ভবিষ্যতে এমন কম্পিউটার তৈরি করতে, যা আচরণ ও অনুধাবন করবে মানুষের মতো। ভবিষ্যতে এ ধরনের কম্পিউটার এর প্রয়োজন প্রচন্ডভাবে অনুভুত হবে।
স্ট্র্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের ভাষ্য, ট্রান্সক্রিপ্টর নামের জৈব ট্রাঞ্জিস্টরটি ডিএনএর মধ্যকার এনজাইমের প্রবাহ নিয়ন্ত্রন করতে পারে। আর এ ধরনের বৈশিষ্টকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তোলা সম্ভব নতুন কম্পিউটার ।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব প্রকৌশলী জেরমি বনেটের তত্ত্বাবধানেই একটি গবেষনা করা হয়। তিনি বলেন, জিনভিত্তিক কম্পিউটার তৈরিতে ট্রান্সক্রিপ্টরই মুল ভুমিকা রাখবে। এককভাবে অবশ্য এ ট্রান্সক্রিপ্টর গুলো কোনো ধরনের গননা কাজ করতে সক্ষম নয়। তবে সম্মিলিতভাবে এগুলো যৌক্তিক যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম; যা কম্পিউটারের অন্যতম মুল নীতি হিসেবে কাজ করতে পারবে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব প্রকৌশলী জেরমি বনেটের তত্ত্বাবধানেই একটি গবেষনা করা হয়। তিনি বলেন, জিনভিত্তিক কম্পিউটার তৈরিতে ট্রান্সক্রিপ্টরই মুল ভুমিকা রাখবে। এককভাবে অবশ্য এ ট্রান্সক্রিপ্টর গুলো কোনো ধরনের গননা কাজ করতে সক্ষম নয়। তবে সম্মিলিতভাবে এগুলো যৌক্তিক যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম; যা কম্পিউটারের অন্যতম মুল নীতি হিসেবে কাজ করতে পারবে।
সাধারণ কম্পিউটারের অন্য দুটি মুল নীতি হচ্ছে তথ্য মজুদ ও বিনিময়। ট্রান্সক্রিপ্টর বানানোর জন্য প্রাকৃতিক প্রোটিনের একটি অংশকে বেছে নেন গবেষকরা। কোষের মুল কাজ করে থাকে প্রোটিন আমিষ। এ প্রোটিন আমিষগুলোকে ব্যবহার করে ডিএনএ অনুর আরএনএ পলিমিরাস অংশে এনজায়িমের প্রবাহ নিয়ন্ত্রনে সক্ষম হন তারা।
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা এমন কম্পিউটার তৈরি করবে, যা হবে মানুষের মতো অনুভুতিসম্পন্ন। এটি নিজে দেখেশুনে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিধান্ত নিতে সক্ষম হবে। বিস্ময়কর শোনালেও সত্য যে, এতে থাকবে মানুষের মতো পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের অনুভুতি শনাক্ত করার প্রযুক্তি। এই পঞ্চ ইন্দ্রীয়ের ফলে কম্পিউটারটি দেখা, শোনা, গন্ধ, স্বাধ এবং স্পর্শের অনুভুতি সহজে বুঝতে পারবে।আইবিএম গবেষক বার্নি মেয়ারসন বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আইবিএম গবেষকরা একসঙ্গে উন্নত পেযুক্তির অনুভুতি সম্পন্ন কম্পিউটার তৈরির কাজ করছেন। কিন্তু সে দিন আর বেশি দূর নয়, যখন কম্পিউটার মানুষের মতো কাজ করতে সক্ষম হবে।
কম্পিউটারের প্রাণ হচ্ছে মাল্টিপ্রসেসর। এই প্রসেসর তথা কম্পিউটার চিপ বানানো সবচেয়ে কঠিন কাজ। এটি ক্ষুদ্র যন্ত দিয়ে আর কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ করে না। আর এ ছোট জিনিসটার ওপরেই কিন্তু আজকের তথ্য প্রযুক্তি তথা মানব সভ্যতা ধীরে ধীরে নির্মিত হচ্ছে। ডুয়াল কোরের চিপ দিয়ে দ্রুতই যেটি পৌছে গেলো চার কোরের চিপে। মাল্টকোর মেশিনের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো অন্তর্নিহিতভাবেই এরা সিগন্যাল কোর মেশিনের চাইতে শক্তি ব্যবহারেবেশি দক্ষ। এখন হাজার কোরের চিপও বোধ হয় আর বাশি দূরে নয়। তবে কল্পনা হলেও এর কিছু বাস্তব ইজ্ঞিত রয়েছে। কারন, মানুষ এক সময় টাচস্কিনের কথা সপ্নেও ভাবিনি। আর সে কল্পনার ওপর ভিত্তি করেই নতুন সপ্ন পুরণ করার চেষ্টা করছেন আমাদের বিজ্ঞানীরা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url