বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী | ২০৫০ সালের প্রথম দিন
আজ ২০৫০ সালের প্রথম দিন। গতকাল থার্টিফাস্ট নাইট উৎযাপন করে অনেক দেরিতে ঘুমিয়েছি। সকাল হতে না হতেই সরকার হতে প্রাপ্ত আমার রবোট বাবাজি হাজির। কানের কাছে এসে এলার্ম বাজাচ্ছে। মেজাজটা তো হট হয়ে গেল। চিৎকার দিয়ে বললাম জানো না গতকাল অনেক দেরি করে ঘুমিয়েছি? আর এখুনি ডাকাডাকি
শুরু করেছ!
শুরু করেছ!
রবোটঃ কি বলব স্যার! আপনি তো সকাল ৭টাতেই এলার্ম করে রেখেছিলেন। এখানে আমার দোষ কোথায়? আসেন খাবার রেডি করে রেখেছি।
যাইহোক মেজাজ ঠান্ডা করার জন্য চোখ মুছতে মুছতে লগিন করলাম ফেসবুকে... তারপর ভাবলাম একটা
মুভি ডাউনলোড করি। যেই ভাবনা সেই কাজ। ৫০জিবির অ্যাভাটার-৩১ ডাউনলোড দিতে লাগলাম। এখন আর ইন্টারনেট চলে না। এখন চলে আউটারনেট। সারা বিশ্বই ওয়াইফাইয়ের আওতাই। বিশ্বের সব দেশ যেখানে প্রযুক্তিতে এগিয়ে আছে সেখানে আমাদের দেশ এখনো সবার পিছনে পড়ে আছে ।
মুভি ডাউনলোড করি। যেই ভাবনা সেই কাজ। ৫০জিবির অ্যাভাটার-৩১ ডাউনলোড দিতে লাগলাম। এখন আর ইন্টারনেট চলে না। এখন চলে আউটারনেট। সারা বিশ্বই ওয়াইফাইয়ের আওতাই। বিশ্বের সব দেশ যেখানে প্রযুক্তিতে এগিয়ে আছে সেখানে আমাদের দেশ এখনো সবার পিছনে পড়ে আছে ।
ফ্রি ওয়াইফাই আর চালাতে ইচ্ছা হয় না। ডাউনলোড স্পিড মাত্র ২৫৬এমবিপিএস । অবশ্য টেরাবাইটের প্যাকেজ কিনলে ডাউনলোড স্পিড ২জিবিপিএস পাওয়া যায়। গরীবের স্বাদ থাকলেও সাদ্ধ নেই তাই বাদ্ধ হয়ে স্লো স্পিডের নেটই চলাতে হয়।
যাক ছবি দেখা আর হল না। কারন আজ মামাত বোনের সাথে দেখা করার কথা আছে বিকেল ৪টায়। দাতের এপিট ওপিট ব্রাশ দিয়ে দুটো ঘষা দিয়ে মুখটা ধুয়ে গেলাম খাবারের টেবিলে। আমার রবোট আমার জন্য রুটি আর আলু ভেজে রেডি করে রেখেছে। মুখে দিয়েই আবারো মেজাজ হট হয়ে গেল। আলুভাজি প্রচন্ড রকমের ঝাল হয়েছে। রবোটকে জিগাইলাম কাহিনী কি?
রবোটঃ স্যার, প্রথমে মরিচ গুড়া দিয়েছি। পরে আবার ভুল করে হলুদ গুড়া না দিয়ে মরিচ গুড়াই দিয়ে ফেলেছি। স্যরি স্যার।
বললাম হয়েছে। থাক। কাল থেকে একটু সাবধানে রান্না করবে।
রবোটঃ ওকে স্যার।
বাইরে প্রচন্ড তাপমাত্রা। তাই সান রেইজ প্রটেক্টেড এসি জ্যাকেট গায়ে দিয়ে অফিসে রওনা দিলাম। বাইরে এসেই বুঝতে পারলাম কিছু দুরের জিনিস ভালভাবে দেখতে পাচ্ছি না। বুঝতে আর বাকি রইল না। চোখের চার্জ শেষ। আজ রাতে ঘুমানোর সময় চার্জ দিতে মনে ছিল না। তাই অফিসে গিয়ে আগে চোখ চার্জ করতে শুরু করলাম।
২ ঘন্টা পর দেখলাম প্রায় ৫০০মেগাপিক্সেলের মত হয়েছে। এটা দেখে চার্জিং প্লাগ আউট করে দিলাম। এই চার্জেই আজকের দিনটা কোনো মতে পার হয়ে যাবে। এরপর পিসির লেজার স্ক্রিন দেখে তো আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। অনেক কাজ বাঁকি,তারপর আমার মামাত বোনের সাথে দেখা করার কথা আছে। তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে দুপুর ১টার সময় বেরুলাম। মামাত বোনের সাথে দেখা করতে হলে ৬০কি.মি. পথ পাড়ি দিতে হবে।
তো রাস্তাই কিচ্ছুক্ষন ওয়েট করার পর একটা এয়ার বাস আসলো। উঠে ছিটে গিয়ে বসলাম। এয়ার বাসের একটা সুবিধা হল এটা রাস্তাতেও চলে। আবার রাস্তা জ্যাম থাকলে উড়েও চলতে পারে। কিছুক্ষন পর বাসের রবোট বাবাজি বাস চালাতে শুরু করল।
এর ফাকে আমি আমার পকেট থেকে ন্যানো ট্যাবটি বের করে লেজার স্ক্রিন জুড়ে দিয়ে ঢুকে পড়লাম আউটারনেটের জগতে। তো আবহাওয়ার একটা পেজে দেখলাম, আমি যে এলাকায় যাচ্ছি সেখানে আজ দুপুর ২টা থেকে সাড়ে ৪টা পযন্ত প্রচন্ড শিলাবৃষ্টি হবে। তাই মামাত বোনকে ম্যাসেজ দিয়ে বললাম বিকেল পৌনে ৫টায় আসছি। কিছুক্ষন পরই বৃষ্টি হওয়া শুরু হল। তাই এয়ার বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম উপভোগ করার জন্য। তাকিয়েই বুঝতে পারলাম চোখের চার্জ শেষ হয়ে আসছে। তাই বাকি রাস্তা চোখ বন্ধ করে ঘুমের ভান করার মত করে পার করলাম।
বাস থেকে নেমে আমার মামাত বোনের ফেসবুক আইডির লোকেশন ট্র্যাক করলাম। এর আগে কখনও যাই নি তাই চিনি না। এরপর গুগল ম্যাপ বের করে রওনা দিলাম...।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url